ছায়াগ্রহ – সায়ন্তনী পূততুন্ড

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

…..ওর মুখটা আবার বিপজ্জনক কাছে নেমে এসেছে।
—অর্ক, আমার ভালাে লাগছে না। আমি মুখ সরিয়ে নিয়ে বললাম‘চলাে, আমরা এখান থেকে চলে যাই।শিবাকুমারণের হাবভাব ভালাে ঠেকছে না। কিছু একটা গােলমাল নিশ্চয়ই আছে। চলাে, বরং ভাইজাগ যাই। মায়ের কাছে শুনেছি খুব সুন্দর জায়গা।
-“ভাইজাগও যাব-তবে পরের বছর,ও আমায় একরকম জোর করে বুকে টেনে নিয়েছে—এটা কী পরেছ? এটার বােতাম কোথায়?”
বুঝলাম কথা বলে লাভ নেই। ও কানে তুলবে না। ‘এটা ওভাবে খােলে না, পিছনে ফিতে।
এ সব উলটোপালটা জিনিস কেন যে পরাে।
সে বাচ্চাছেলের মতাে আশ্রয় খুঁজছে। চুমু খেতে খেতে শরীরটা উলটে দিল। নারীদেহটা নিয়ে কী করবে ভেবে পাচ্ছে না। ওকে দু’হাতে জড়িয়ে ধরতেই টের পেলাম কেমন একটা শৈত্য আমায় ঘিরে ধরেছে। অভ্যাসবশত। চোখ বুজে আসছিল। কিন্তু শরীর তেমন করে বেজে উঠছে না।
কানে গরম ঠোট ঘষতে ঘষতে অর্ক বলল-‘I love you…love you -‘Love you too…।’
রিফ্লেক্স অ্যাকশনেই কথাটা বেরিয়ে গেল। বিয়ের পর থেকেই একবছর ধরে প্রায় প্রতিটি রাতে এই একই কথা বলে আসছি। আজও তার অন্যথা হল না।
এরপরেই মিনিট দশেক শুধু ঘন নিঃশ্বাসের জোয়ারে ভেসে বেড়ানাের ইতিহাস। শরীরের সাথে শরীরের কথা বলা। ঠোটে ঠোট ডুবিয়ে পরস্পরের সত্তাটুকু শুষে নেওয়ার প্রচেষ্টা। অর্কর হাতদুটো, ঠোট, জিভ শরীরের যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুরুষের উক বুক থেকে উঠে আসা অদ্ভুত একটা গন্ধ নাকে এসে ঝাপটা মারল।
-“এরকম স্টিফ হয়ে আছ কেন?” অর্ক গলায় কামড়ে দিয়েছে— তােমার হচ্ছে না?”
হতে তাে চাইছে, পায়ের পাতা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত হবার জন্য তৈরি। কিন্তু তেমন হচ্ছে কই। অর্ক বােঝে না—ওর এই ছেলেমানুষি আদরে আমার মন ভরে না। সব যেন উপর দিয়ে চলে যায়। এ যেন সুইমিং পুলের টলটলে জলের উপর দিয়ে সাঁতার কাটা। সমুদ্রের গভীরে, অজানায় ডুবে যাওয়ার রােমাঞ্চ নেই, নেই জ্বালা ধরানাে অনুভব, অর্কর সব ভালাে, শুধু যদি ও আরেকটু পুরুষ হত।
ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গনাবদ্ধ অবস্থাতেই টের পেলাম কোমরে উদ্ধৃত পুরুষাঙ্গের খোঁচা। অর্ক তার শীর উন্মুক্ত করে ফেলেছে। স্তনের উপর, স্তন বৃত্তের উপর, নাভির খাজে অল্প অল্প করে লিঙ্গ ঘষছে সে। ওর পুরুষাঙ্গ বেশ দীর্ঘ। তার উপর রােমশ।
-“প্লিজ, সাক মি।
অর্কর ঘন নিঃশ্বাসের সাথে কয়েকটা কথা বেরিয়ে এল। প্রত্যুত্তরের অপেক্ষা না করেই সে দু পা ছড়িয়ে দিয়েছে আমার মুখের উপর। ভেজা ভেজা অথচ দৃঢ় কঠিন, ঘন কালাে অঙ্গটা মুখে ঘষা খাচ্ছে। আমার মুখে যৌনাঙ্গ ঘষতে ঘষতে বলল অর্ক-মুখে নাও তিস্তা…।’
যৌন মিলনের আগে ফোর প্লে খুব জরুরি। আর ফোর প্লে বলতে অর্ক শুধু বােঝে সিক্সটি নাইন পশ্চার। পরস্পরের যৌনাঙ্গ লেহন, চোষণ। হয়তাে পুরুষের লিপ্সা ও সুখ শুধুমাত্র লিঙ্গেই সীমাবদ্ধ বলে তারা বােঝে না নারীর আকুতি শুধু যােনিতে নয়। তার দৃঢ় হয়ে ওঠা স্তন চায় শক্তিশালী মর্দন। একটা সাপের মতন জিভ আষ্টেপৃষ্ঠে চেপে ধরবে স্মৃতি হয়ে ওঠা স্তনবৃন্ত। লালচে বাদামি স্তনগােলক কেঁপে উঠবে। চাইবে, পুরুষ গােটা স্তনটুকুই মুখে নিয়ে নিক। দৃঢ় হয়ে ওঠা বস্তুকে প্রথমে আদর ও পরে ছিন্নি করুক। প্রথমে লেহন, পরে চোষণ,..আর তারপর? ….তারপর একটা কামড়। একটু একটু করে সে কামড় তীক্ষ্ণতর হবে-আঃ…!
অর্ক ততক্ষণে যােনিমুখে জিভ রেখেছে। ফঁ্যাসফ্যাসে গলায় জানাল
“আঃ…আঃ…দাঁত বসাও তিস্তা…জোরে.. আরাে জোরে..আঃ..আঃ…ও মা…’
আমি ভিজছি। অর্কর জিভ, ঠেটি আরাে গভীরতর বিবরে প্রবেশ করেছে। নিন্মাঙ্গে দারুণ বেসামাল অবস্থা। পেশিগুলাে যেন ক্ষুধার্ত অজগরের মতাে কী যেন একটাকে গিলে খাবার জন্য উত্তাল। আমার মুখের মধ্যেই অর্কর লিঙ্গ স্মৃতি হয়ে উঠেছে।ক্রমাগতই নােনতা হয়ে পড়ছে। ও আর পারবে না। অথচ আমি চাই ও আরেকটু অত্যাচারী হােক। আরাে অনেকক্ষণ ধরে আমায় মর্দন, চোষণ, চর্বন করুক। এখনই যােনিতে ওকে প্রবেশ করতে দেওয়ার মতাে উন্মও আমার আসেনি। ও কি আরেকটু টিকে থাকতে পারে না? ও কি বােঝে না এই আমন্ত্রণী ভঙ্গিতে ক্ষুরিত স্তনবৃন্ত নিয়ে আমি কোথায় যাব? কবে বুঝবে? কবে হবে সে বিস্ফোরণ!
আস্তে আস্তে ইন্দ্রিয়ের জানলাগুলাে বন্ধ হয়ে এল। চোখের সামনের আলাে নিভে যাচ্ছে। কানের ভিতর শেষ শব্দটুকুও ক্ষীণ হতে হতে মিলিয়ে গেল। অনাবৃত চামড়ার উপর আরাে একটা গরম চামড়ার স্পর্শ। বিছানার উপর শরীরের মৃদু উত্থান পতনের আওয়াজও চলে যাচ্ছে চেতনার বাইরে…।
বন্ধ দরজায় এসে আছড়ে পড়েছে প্রবল সাইক্লোন। তার সাথে অভিজিতের কণ্ঠস্বর—বলি রাত আটটাতেই ঘুমিয়ে পড়লি নাকি? দরজা খােল…….

…….মানুষের পরিচয় কি শুধুই তার স্বাভাবিক যৌনজীবন! তবে এত কষ্ট করে পড়াশােনা করেছি কেন? কামসূত্র পড়ে কাটালেই পারতাম। সমাজ ঠিক করে। দিয়েছে বলে একটা মেয়েকেই ভালােবাসতে হবে। সমাজ কে? তার ঠিক করে। দেওয়ার কী অধিকার? যদি মেয়েদের প্রতি আমার কোনাে যৌন আকর্ষণ না থাকে তা সত্ত্বেও জোর করে তার সাথেই সঙ্গম করতে হবে! এ কেমন নিয়ম! যদি লবঙ্গলতিকা, লাস্যময়ী নারী শরীরকে ভেড়ার ঠান্ডা মাংস বলে মনে হয়, যদি পুরুষের চওড়া গরম বুক আমার বেশি ভালাে লাগে তবেই আমি বিকৃতকাম হয়ে গেলাম। কেন?..কেন?…….

……তিস্তার বুক থেকে কখন যেন আঁচলটা অনেকটা নেমে এসেছে। শংখের মতাে বুক। বিভাজিকা সুস্পষ্ট। কালাে আঁটোসটো ব্রাউজে আরাে লােভনীয় হয়ে উঠেছে। এ মেয়েটার একেবারে অসভ্যের মতাে বুক। পেছনও অনুরূপ। ন্যগ্রোধপরিমণ্ডলা! এককথায় সর্বনাশী! পুরুষের যে কটা দুপ্রবৃত্তি আছে সেগুলাে জাগিয়ে তুলতে অদ্বিতীয়া।
পাশে তাকিয়ে দেখি সম্রাটের চোখও ওখানেই আটকে গেছে। ওর চোখদুটো কেমন অপ্রকৃতিস্থ মনে হল। যেন ফুসে খুঁসে উঠছে। পারলে নরম অঙ্গটার উপর হামলে পড়ে ছিড়ে কুটিকুটি করে ফেলে।
চোখ দিয়েও যে কারাে শ্লীলতাহানি করা সম্ভব তা জীবনে প্রথম বুঝলাম। সম্রাটের মুখ দেখে মনে হল, যেটুকুআবরণ আছে ওর চোখ বােধহয় সেটুকুও সরিয়ে ফেলেছে।……

……..উপর থেকে নীচে নামতেই সামনে অনেকগুলাে মেয়ের মূর্তি। তিস্তার দেশােয়ালি বােন। জামাকাপড় কিছুতেই সামলাতে পারছে না। অ্যারিস্টটলের দশা আর কী। ভদ্রলােককে পুরাে কাপড় পরা অবস্থায় দেখলে চিনতেই পারব না। কোনােদিন একটা খসে পরা কাথা ছাড়া আর কিছু পরে থাকতে আমি তাে দূরের কথা আমার বাপ-ঠাকুরদাও দেখেছে কি না সন্দেহ। এই মেয়েগুলাের
অবস্থা ঠিক তাই।…..অনেকক্ষণ ধরেই অর্ককে একটু একা পেতে চাইছিলাম। এইবার পেয়ে গেলাম। একেই বিবাহিত লােক। তার উপর বােধহয় উপােসী। ন্যাংটো মেয়ে দেখতে দেখতেই হাঁ করে দাড়িয়ে পড়েছিল। ফলস্বরূপ পাসবাবুদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে।
-কী দেখছিস বে? তিস্তার মতাে লাগছে নাকি?”
অর্ক লাল হয়ে গেল—“কী যে বলিস? সুন্দর মূর্তিগুলাে। অনবদ্য আর্ট তাই না?
‘অনবদ্য তাে বটেই। মেয়েদের দুদুন মানেই অনবদ্য।’ —“যাঃ…এসব নয়। আর্ট ইজ আর্ট। গঠন শৈলীটাই অদ্ভুত।’
‘দুর ছাই। তাের ন্যাংটো মেয়ে দেখতে ভালাে লাগছে সেটাই বল না বাপু। ওসব আর্ট মার্ট তাে অজুহাত।……

……ভুল ভেবেছিলাম। যদি ভুলই না হবে তবে আজ কেন মনে হয় সবটাই মিথ্যে? এতদিন মিছিমিছি শুন্যতাকে পুজো করে এসেছি। শরীরের জ্বালা কেন আমার গলা থেকে উপচে পডে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ছে? কেন ভিতরে ভিতরে।
একটা খিদে আমায় বিদ্রোহের পথে টেনে নিয়ে যাচ্ছে? একটা অতৃপ্তি প্রলয় নাচ নাচতে নাচতে বলছে–আমি চাই…আমিও তৃপ্তি চাই…মনের মতাে পুরুষ চাই তার শরীর চাই পরিপূর্ণ পুরুষ শরীর চাই..আমায় শরীর দাও।’
—“তিস্তাদি।
দরজায় মৃদু টোকা এসে পড়েছে। তার সাথে একটা নরম কণ্ঠস্বর তিস্তাদি, আমি বন্দনা।
শাড়িটা কোনােমতে গায়ে জড়িয়ে দরজার দিকে এগিয়ে গেলাম। মেয়েটাকে দেখলেও বিরক্তি লাগে। বয়স প্রায় কুড়ি পেরিয়ে একুশ হাতে চলল। এখনাে খুকি খুকি ভাৰ যায়নি। অথচ সম্রাট যে কী দেখল মেয়েটার মধ্যে। সম্রাটের নখের যােগ্যও ওই মেয়ে নয়। এদিকে আমাকে দেখলেই তাে এমন ভাব করে যেন স্বভাবে এলােরে বালব্রহ্মচারী। অথচ তলে তলে ওই ন্যালাখ্যাপা মেয়েটার ফাটা চামড়া ওঠা ঠোটে চুমু খেতেও তার অরুচি হয় না।…..

…..অভিজিৎ চুমু খেতে দেখেছে। বন্দনাকে জাপটে ধরে চুমুর পর চুমু খাচ্ছে সম্রাট। ঘাড়ে, গলায় পাগলের মতাে ঠোট ঘষছে, আর বিড়বিড় করে বলছে,….
কিন্তু তারপর? অভিজিতের দৃষ্টির বাইরে কতদূর গিয়েছিল ওরা? কেমন লেগেছিল বন্দনার? সম্রাটের ঠোট আমি দেখেছি। গলাে, পুরু, নিটোল। নীচের ঠোটের পাশে একটা ছেলেমানুষি ভাব লেগেই থাকে। একটু ভেজা ভেজা। সবসময় আমন্ত্রণী ভঙ্গিতে একটু শিথিল, একটু ফুরিত। মদের বােতলটার গলা যখন দুই ঠোটে আঁকড়ে ধরে তখন সেই গ্রিপ যে কত জোরালাে তা বােঝা যায়। বন্দনার ঠোট কি সেই শক্ত বেষ্টনীর মধ্যে গলে যেতে চেয়েছিল? অমন পুরু ঠোট চুষতে কেমন লাগে সেটা কি ও আদৌ বুঝেছে?
আচ্ছা, সম্রাট ওর বুকে মুখ রেখেছে? চুমু খেয়েছে। ওর ওই সব পুরুষালি হাত দুটো ওর বুকে চেপে ধরেছে? বন্দনাকে নিজের রােমশ বুকে টেনে নিয়েছে? কেমন করে ?…যেমন করে বাঘ হরিণের গলা কামড়ে ধরে তেমনভাবে ওকে কামড়ে ধরেছে? তারপর? আর কতদূর গিয়েছিল ওরা? -কতদূর?…..
সম্রাটের গায়ে অ্যালকোহল—সিগ্রেটের গন্ধ, ওর ঠোটে, ওর গায়ে শরীরের যত্রতত্র অদ্ভুত মাদকতায় যে গন্ধটা ছড়িয়ে আছে সেই গন্ধ…জিভের স্বাদ…পুরু ঠোট..চওড়া কঁাধ…বুক কবজি, পুরুষ.পুরুষ…শুধু পুরুষ… | আমি ভিজে যাচ্ছি। কান, মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। হৃৎপিণ্ডটা যেন গলায় উঠে এসেছে। বন্দনা নয়, যেন আমিই কোনাে অশরীরী পুরুষের সাথে মিলিত হচ্ছি।
আঃ…আমার পুরুষ.পরিপূর্ণ পুরুষ! যদি তুমি আমার হতে! কেন তুমি ওই কচি খুকি হয়ে গেলে? কেন তুমি ওকে আদর করলে? কেন? কেন?…..

…..আমি বসেছিলাম বিছানার উপরে। নরম গদিতে আধখানা ডুবে তাকিয়েছিলাম আয়নার দিক। সেখানেই আমার প্রতিবিম্ব। ফর্সা রংটা রােদে পুড়ে সাময়িক তামাটে হয়ে গেছে। চুলগুলাে বিস্বস্ত, আঙুরের থােকার মতাে। কপালে গালে লেগে আছে। চোখে কীসের যেন খিদে। অনুপম দেহসৌন্দর্য, যৌবন যেন অন্তর্বাস থেকে উপচে পড়তে চাইছে। নারী নয়, নারী নয়, বর্ষার খ্যাপা নদীর মতাে উত্তাল। আমি নারী নই, আমি রূপা নই, গােপা নই, জয়া-বিজয়া নই, নন্দিনী-বন্দনা নই। আমি তিস্তা। আমার গন্তব্যস্থল খাল-বিল নয়, সমুদ্র। আমার সমুদ্র চাই। সমুদ্র আমার সাথে মিলিত হতে ছুটে আসছে! ওই…ওই তার পায়ের শব্দ…করিডাের বেয়ে সে আসছে…আসছে…।…..

……হেচটা টানে আমায় নিজের বুকে আছড়ে ফেলল সম্রাট। লােহার মতাে বুকে নরম বুক পিষছে। চুলের মুঠি ধরে মাথাটা পেছনে হেলিয়ে দিয়ে বললকী চাও তুমি আমার কাছে? হু? কী চাও?”
ঘাড়ের কাছটায় টনটন করছে। চুলে টান পড়ে চোখে জল চলে এল। তবু সে যন্ত্রণায় যে কী সুখ তা এই প্রথম জানলাম।।
‘সাহস আছে তােমার?’ মােটা ঠোট দুটো আলগােছে কামড়ে ধরল গলা। গরম জিভ দিয়ে চেটে দিল। সবল হাতে খুলে এল শাড়ি। জিভ, ঠোট আর দাঁতের জ্বালাময়ী বিষাক্ত ছােবল আমায় খেপিয়ে তুলছে। পিঠের মাংসে, কোমর, তলপেটে যত্রতত্র শক্তিশালী হাতের অসহ্য চাপ।
এক ঝটকায় আমায় পিছন ফিরিয়ে দেওয়ালে ঠেসে ধরল সম্রাট।
-বড়াে দুঃসাহস তােমার! কত সাহস আজ দেখব।
জোরালাে মদের গন্ধ ঝাপটা মারল নাকে। এ পুরুষ আদর করতে জানে। মেয়েদের শরীরে ঝড় তুলতে জানে। শরীরী খেলায় এ ছেলে পাকা খেলােয়াড়। অর্কর মতাে ছেলেমানুষ নয় রীতিমতাে প্রবীণ।
সম্রাট দাঁত দিয়ে কামড়ে কামড়ে ব্লাউজের গিটগুলাে একের পর এক খুলছে। শায়ার গিট, রায়ের স্ট্র্যাপ আর সবশেষে প্যান্টিটাও দাঁত দিয়ে টেনেই খুলে ফেলল। সারা গায়ে একটু সুতােও নেই। থরথর করে কঁপছি। নীচ থেকে একটা আসন্ন বিস্ফোরণের ইঙ্গিত উঠে আসছে ঝাকাচ্ছে…কাপাচ্ছে।
—ইউ নাে তিস্তা…। সম্রাট আমায় ছেড়ে দিয়ে খানিকটা পিছিয়ে গেল। ওর চোখ আমার প্রত্যেকটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ গিলছে। চোখ দিয়ে আমায় গিলতে গিলতেই বলল-“তুমি অসহ্য সুন্দর। তাজমহলের মতাে সুন্দর জীবনের মতাে সুন্দর, মদের মতাে সুন্দর, আমার মায়ের মতাে সুন্দর। আর এত সুন্দর বলেই আমি তােমায় ঘৃণা করি, ভীষণ ঘৃণা করি। আই হেট ইউ, আই হেট ইউ।
অনেকক্ষণ সহ্য করছিলাম। এবার সহ্যের সীমা পেরিয়ে গেল। আমি ওর কপাটি বুকের উপর ঝাপিয়ে পড়ে চুমু খাচ্ছি, বনবিড়ালের মতাে আঁচড়াচ্ছি, কামড়াচ্ছি, শার্টের বােতাম ছিড়ে ফেলেছি। মেরে ফ্যালাে…মেরে ফ্যালােপিষে ফ্যালাে আমায়.. রাক্ষস.আমার রাক্ষস.খােলা.জামা খােললা…আমি তােমায় দেখতে চাই…খােললা খােলাে…।
শার্ট ছিড়ে রােমশ বুক বেরিয়ে এল। বৃষ, সিংহের মতাে কোমর, উন্মুক্ত সুঠাম বাদামি শরীর। ওঃ..ওঃ ওঃ…।
সম্রাট খেপে গিয়ে আমায় চুমু খেল। সে চুমু চুমু নয়। দুটো বিষাক্ত সাপের ঠোটে ঠোটে ছােবল। প্রচণ্ড রাগে দুটো বিষধর ফোস ফোস করে তেড়ে গিয়ে পরস্পরের ঠোটে বিষাক্ত দংশন করছে। আবার ফিরে এসে গর্জন করে দ্বিগুণ রােষে তেড়ে যাচ্ছে। যেন দুজনেই দুজনকে খেয়ে ফেলবে।
আমার ঠোটে ঠোট রেখে চুমু খেতে খেতেই সম্রাট একহাতে কোমর সাপটে ধরেছে। ওর আঙুলের তীক্ষ্ণতা নাভির চারপাশে খেলে বেড়াচ্ছে।
পাগল করে দিচ্ছে। এক ঝটকায় অবলীলায় তুলে নিল কোলে। আমি সুযােগ পেয়ে ওর কাধে কামড়ে দিয়েছি।
আমাকে বিছানায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে সিংহের মতাে দুই থাবায় চেপে ধরল সে। পিঠ, কঁাধ, হাতের পেশি যেন ময়াল সাপের মতাে ফুলে ফুলে উঠছে। শরীর বেয়ে উঠে এসে বুকে তীক্ষ দাঁতের কামড় বসাল। নাভিতে গরম জিভ। কী প্রচণ্ড শক্তি ওর। আমি ওর লৌহবেষ্টনীর মধ্যে তবু যুদ্ধ করে। যাচ্ছি। ওর শক্তির কাছে হার মানতে চাইছি। তবু হার মানছি না, হাত দিয়ে ওর মুখ যতবার সরিয়ে দিচ্ছি ততই যেন ও ফুসে ফুসে উঠছে। আমায় আদর করছে, যন্ত্রণা দিচ্ছে। অত্যাচার করছে। শরীরটাকে নিয়ে যা ইচ্ছে তাই করছে। ভেঙে পড়ছে আমার উপর। ঝড়ের মতাে উথালপাথাল সম্রাট, ধুমকেতুর মতাে জ্বালাময় সম্রাট। পাহাড়ের মতাে পেশল, বজ্রের মতাে বলশালী সম্রাটকে যতবারই দু’হাতে বন্দি করতে যাচ্ছি, ততবারই ও সরে সরে যাচ্ছে। ধরা দেবে না… কিছুতেই ধরা দেবে না।
অর্কর পছন্দ সিক্সটি নাইন। সম্রাট কিন্তু সে রাস্তা মাভাল না। হ্যাচটা টানে আমার নগ্ন শরীরটাকে টেনে নিল কোলে। হরগৌরীর পােজ। বুঝলাম, ও ছেলে শুধু দামালই নয়, শৈল্পিকও বটে। ওর ঠোট আমার গলা বেয়ে চুমু খেতে খেতে নেমে এসেছে বুকের কাছে। স্তন আঁকড়ে ধরেছে তার দুই ঠোট। জিভ দিয়ে খেলা করছে। নিপল ক্রমাগতই শক্ত হয়ে উঠছে। দৃঢ় হয়ে উঠে দাবি জানাচ্ছে—“দংশন করাে.-দংশন করে আমাকে…।
আমি দু পা ফাক করে ওর কোলে দৃঢ় হয়ে বসলাম। দু পায়ে শক্ত করে এঁটে ধরেছি সম্রাটের সরু কোমর। দুই বাহুতে ওর গলা সাপটে ধরেছি। কিছুতেই ফিরে যেতে দেব না। এসেছে যখন, তখন সব উজাড় করে দেবে ও, দিতেই হবে ওকে।
সম্রাট একটা মৃদু ঝাকুনি দিল। বুঝলাম ও প্রবেশ করার উপক্রম করছে আমার যােনিবিবরে। আমি ওকে আরাে জোরে আঁকড়ে ধরি। আমি ক্ষুধার্ত.. বড়াে ক্ষুধার্ত..। আজ খালি পেটে ঘুমােনাের দিন নয়। আজ ভরা পেট খাব। টের পেলাম অন্দরমহল সিক্ত করে তরল কমন লেগে যাচ্ছে যােনিকেশরে।
সম্রাট কিন্তু প্রথমেই প্রবেশ করল না। বরং মুচকি হেসে আমার আগ্রাসী-আলিঙ্গন ছাড়িয়ে নিয়ে বলল—এত তাড়া কীসের? আরেকটু
অপেক্ষা করাে।’ সে আমাকে বিছানার ওপর চিত করে ফেলেছে। একটা আঙুল দিয়ে আলতাে আলতাে করে স্পর্শ করছে স্তনবৃন্ত, নাভি, ঠোট।
আস্তে আস্তে তার হাত নেমে গেল তলপেটে। উরুতে হাত বোলাচ্ছে সে। কোমল শিরশিরে সে স্পর্শ। না.স্পর্শ নয়। সে বিদ্যুৎ। কিনঝিনে অনুভূতিতে বারবার ধাক্কা দিচ্ছে তলপেটে।
—“এইখানে একটা টিয়াপাখির ঠোট আছে। জানাে?
ওর হাত আমার যৌনাঙ্গের একটা বিশেষ জায়গা টিপে ধরল, তারপরই তীব্র কামড়। আঃ ওঃ | মরে যাব, মরে যাব! আমি দু হাতে বিছানার চাদর আঁকড়ে ধরি। যদি এক্ষুনি ও না আসে তাহলে আমার হৃৎস্পন্দন এক্ষুনি থেমে যাবে। মনে হল মরতে চলেছি। থিরথির করে কেঁপে উঠছে স্তন। নাভির নীচটা প্রচণ্ড আন্দোলনে কেঁপে কেঁপে উঠছে।
-“এসাে…এবার এসাে প্লিজ..আমি…পাগল হয়ে যাব…পাগল হয়ে যাব—মরে যাব,..এসাে| আমার কথাগুলাে ক্রমাগত গােঙানিতে পরিণত হল। সম্রাট কি বুঝছে না, আমার কষ্ট হচ্ছে। নাকি ও আমার কষ্টটা উপভােগ করছে? এতদিন বাদে শরীরের ভিতরে আকাঙ্ক্ষিত বিস্ফোরণ টের পাচ্ছি। এখন যদি সম্রাট আমাকে খুনও করে ফেলে ত্বও ওকে ছাড়ব না।
আমি ওর উপর ঝাপিয়ে পড়েছি। এসাে…এক্ষুনি এসাে রাক্ষস…। নয়তাে আজ কিছুতেই তােমার রক্ষা নেই। আজ তুমি তৃষিত সাগর মছন করবে। আর তার গভীরে বপন রবে তােমার প্রাণভােমরা…তােমার সত্তা! এসাে…!
‘এত খিদে ছিল তােমার!’সম্রাট আমাকে টেনে নিল ওর উপরে। ও ঠিক আমার নীচেই শুয়ে আছে। মাথাটা আমার পিছনের দিকে। ওর দৃঢ় পুরুষাঙ্গ আমার যােনির মধ্যে প্রবেশ করছে। আঃ! এই তাে! আমার অত্যাচারী পুরুষ। ধরা দিয়েছে তাহলে। শেষ পর্যন্ত এলে!
আমার মুখ বেয়ে টপটপ করে ঘামের বেঁটা পড়ছে। কিন্তু কষে বাঁধা তানপুরার মতাে সমস্ত স্নায়ু সজাগ। প্রতিটা নড়াচড়া, প্রতিটা ঝাকুনির স্বদ শুষে নিচ্ছে গােটা শরীর। খাড়া হয়ে বসে আছি ওর কোমরের উপর।
আচমকা ওর বলিষ্ঠ হাতদুটো পিছনদিক দিয়ে চেপে ধরল দুই স্তন। আমার গােঙানি তখন প্রায় শীৎকারে পরিণত হয়েছে। প্রবল ঝাকুনিতে দুই স্তন থরথর করে প্রবলভাবে কাপছে। কেউ কি কখনাে পাহাড়চূড়ায় ভূমিকম্পের দৃশ্য দেখেছে। আমি দেখেছি। এখন দেখছি। উত্তেজনায়, যন্ত্রণায়, আনন্দে সাপের মতাে শী শী” করে উঠি। তার দুই হাত শখের মতাে পুরন্ত বুক মর্দন করছে, চটকাচ্ছে। আর আমি…আমি-ও! ও! আরাে…আরাে দাও…!
তৃষ্ণা মিটেও মেটে না। আগুন নিভেও নেভে না। যতবারই সম্রাট আমায় কান্নায় ভাসিয়ে দিয়েছে, পরিপূর্ণ করে তুলেছে ততবারই যন্ত্রণায়, সুখে কাপতে কাপতে আমি ওকে আরাে আঁকড়ে ধরেছি। বলেছি—’আরাে দাও…আরাে দাও..আরাে…আরাে..। সম্রাট আরাে বন্য হয়ে উঠেছে। মত্ত ঝড়ের মতাে প্রচণ্ড শক্তি নিয়ে বারবার ফিরে এসেছে। লক্ষ লক্ষ আদরে কখনাে ঘূর্ণির মতাে ঘুরতে ঘুরতে চক্রাকার ঢেউ তুলেছে। কখনাে কালবৈশাখীর মতাে আকাশছোঁয়া তরঙ্গ বানিয়েছে।
প্রায় ঘণ্টাখানেকের যুদ্ধ যখন শেষ হল তখন রাত যৌবনবতী। সম্রাট নিস্তেজ হয়ে পাশে পড়ে আছে। ক্লান্তিতে চোখ বােজা। বলিষ্ঠ হাত দুটো আমার কোমরের উপর এলানাে। মদ, সিগ্রেটের পুরুষালি গন্ধ মিশে গেছে আমার বােমে রােমে। ভীষণ আদর করতে ইচ্ছে করছিল ওকে। আরাে একবার…আবার।…..

……তিস্তা!—অনেকক্ষণ ওর কথা ভুলেছিলাম। এবার মনে পড়ে গেল। মেয়েটার দম আছে! বত্রিশ বছরের নীতিদীর্ঘ জীবনে কম মেয়ে তাে দেখলাম না। বাঙালি মেয়েদের বিছানায় উষ্ণতা বিশেষ পাইনি। সেক্স সম্পর্কে তাদের নকাই শতাংশের ধারণা যে‘আমি চুপচাপ শুয়ে থাকল, আর পুরুষমানুষটা আমার ঘাড়ের ওপর লাফিয়ে কাপিয়ে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়বে।
কিন্তু এ মেয়ে তেমন নয়। যে কোনাে পুরুষকেই তৃপ্ত করার ক্ষমতা ও “গ। আদর করলে পাল্টা আদর করতেও জানে। …..

………ওর বুকের কাপড় সরিয়ে দিয়ে পটাপট ব্লাউজের বােতাম খুলতেই সাদা শখের মতাে বুকের আদল বেরিয়ে পড়ল। আজ লাল ব্রা পড়েছে। কিন্তু তাতেও ঢল সামলাতে পারছে না। ঈশ্বর মেয়েদের কী জিনিসটাই না দিয়েছিলেন। এই বুক দুটো দিয়ে ওরা সারা বিশ্বে আগুন ধরাতে পারে। হাত পড়লেই মনে হয় শালা স্বর্গে পেীছে গেছি। ওঃ..জে জিনিসই বানিয়েছিলে বস! থ্যাঙ্ক ইউ, ফর মেকি দিস বিউটিফুল বুবস। এই দুটো না থাকলে মেয়েদের দিকে তাকাত কে?
–“না…না…উঃ…ছেড়ে দাও,-প্লিজ, পায়ে পড়ি।”
নখরা! সব মেয়েরই এক কথা! নেশা ধরিয়ে দিয়ে নানা করাটাই ওদের স্বভাব। কতক্ষশ রেসিস্ট করতে পারবে তা-ও জানা আছে। ও ওর মনে বকে যাক। আমার কাজ আমি করবই।
-“না…সম্রাট…এখন নয়। প্লিজ…তুমি বুঝতে পারছ না। আমার জামাকাপড় ভিজে যাচ্ছে। কেউ দেখলে কী বলবে?
-“ভিজুক, আমি ওকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিলাম। তিস্তা হাত পা ছুড়ে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। মেয়ে একেবারে বাঘিনী। আঁচড়ে কামড়ে একসা করে—“কী করছ? এই…না…না, আমার শাড়ি, আমার শাড়ি ভিজে যাবে…।
-‘দ্যাটস নট মাই প্রবলেম।’
ঝপাং জোর করে ওকে জামাকাপড়সুদ্ধ বাথটবের সাবানজলে ফেলে দিয়েছি। ভিক্ষুক! একেবারে চুপচুপে হয়ে ভিজে যাক। বেশ হবে! বাথরুমের দরজার ফাক দিয়ে পরপুরুষের স্নান দেখতে লজ্জা হয় । তার মানে জামাকাপড় খুলতে লজ্জা হয় না আর যত লজ্জা ভেজা কাপড়ে কাজের সামনে যেতে! আমার সাথে ফস্টিনস্টি করে বরের পাশে সতীলক্ষ্মী হয়ে বসে থাকবে! ওই মহিলার মতাে আরেকটা ব্লাডি বাস্টার্ড পেটে ধরে বরের আদর খাবে। আহ্লাদ!
আদরে আদরে বিপর্যস্ত হতে হতে তিস্তা আমাকে জড়িয়ে ধরল। ওর ঠোটে ম্যারাথন চুমু খেতে খেতে টের পেলাম ওর হাত আমার পিঠে, বুকে খেলা করতে করতে পেচিয়ে ধরছে গলা। কামার্ত নারীর মতাে সুস্বাদু মাংস বােধহয় আর হয় না। তিস্তা চোখ বুজে কাঁধে মুখ ঘষতে ঘষতে বলল ‘সম্রাট…তুমি বর্বর, আমার বর্বর!…….

……..ছাতে উঠতেই ফুরফুরে হাওয়া এসে ঝাপিয়ে পড়ল। খ্যাপার মলে গায়ে এসে ঝাপটা মারছে। হু হু করে মাথার চুল এলােমেলাে করে দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। হাওয়ার সাথে সাথেই বােধহয় উড়তে উড়তে একটা মেয়ে নেমে এল। ওর দুই কাধে কি দুটো ডানা ছিল? লক্ষ করিনি তাে। ছাতের ও প্রান্ত থেকে বােধহয় ডানা দুটো গুটিয়ে নিয়ে মৃদু পায়ে এসে দাঁড়াল। অন্ধকার মাখা জলজ্যান্ত অপ্রকাশিত কবিতা। সূর্যের প্রথম রশ্মিটাও ওর গায়ে পড়েনি। গলায় বকুলের কুঁড়ি। স্তনবৃন্ত শিশির বিন্দুতে ঢাকা।
অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। অন্ধকার মাখা নারীমূর্তি ঘন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তার গায়ে প্রথম বৃষ্টিপাতে ভেজা ঘাসের সুগন্ধ। স্থালিত স্বরে বললাম—’তুমি..তুমি কে?….

……ওর পিঠে হাত রেখে ট্যাঙ্কের কাছে নিয়ে গেলাম। কচি পিঠ। তিস্তার মতাে মসৃণ নয়। হাড়ের আধিক্যই বেশি। তবু কোমল, নরম।…..

…..’তােমার বুক দুটো বেশ ভারী। ডাসা পেয়ারার মতাে। দেখলেই লােভ লাগে। আমি তােমার বুকে হাত রাখতে চাই। দেবে?’ আমি ওর কানে ঠোট চুইয়ে বললাম—‘জামাটা খুলে তােমায় একটু চটকাতে চাই। দেবে?”
পরি শক্ত কাঠ হয়ে গেছে। এক সেকেন্ডের জন্য মনে হল, বােধহয় ও মরে গেছে। একবার জোরে শ্বাস টানল। তারপরই পাথরের মতাে শক্ত, স্থির।
–তােমার আপত্তি নেই। ফাইন।’
‘আমি আস্তে আস্তে ওর সালােয়ার কামিজের সামনের বােতামগুলাে খুলে দিয়েছি। যতখানি ফাক হয়েছে তার মধ্যে দিয়েই হাতটা ঢুকে গেল। বুকটা কেঁপে কেঁপে উঠছে। নিঃশ্বাসের তালে তালে উঠছে নামছে। জামার। ভিতরে দুটো পৃথিবী পাশাপাশি স্তম্ভিত। পেলব! হাতের মুঠোর মধ্যে এক্ষুনি গলে যাবে।
জামা খােলাে। কামিজটা খুলে হাতে চলে এল। মেয়ে কাপছে। হয়তাে কাদছেও। কাদুক। প্রথম প্রথম এমনই কাদে বটে। তারপর অভ্যস্ত হয়ে যায়। ধরাবাধা রুটিনে পড়ে যায়।
সামনে পরির খােলা স্তন। উলটোনাে রূপাের বাটি। সালােয়ারের দড়িতে হাত পড়ল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রকট হল উরুসন্ধি। একদম ভার্জিন। কোমরের বাঁকে বাঁকে অন্ধকারের চাদর। মদের বােতল থেকে অনেকটা ঢেলে দিই ওর বৃন্তে। তারপর চুষে চুষে খেতে থাকি। কুমারী মেয়েদের স্তনের একটা অদ্ভুত স্বাদ আছে। একটা চটচটে সান্দ্র রসের স্বাদ পাচ্ছিলাম মদের সাথে। বাঃ! বেশ নতুনত্ব আছে তাে! আমি চুষে চুষে সবটুকু স্বাদই গ্রহণ করলাম। ওর স্তনগােলকের পাশে, বুকের খাঁজে একফোটা দু ফোটা তরল লেগেছিল। জিভ দিয়ে চেটে চেটে পরিষ্কার করেছি।

বন্দনার স্তনবৃন্ত উগ্র হয়ে উঠেছে। এখন টানটান! বােধহয় কামড় চায়। থিরথির করে কাপছে অনাঘ্রাত চাপা ফুলের সুপ!
—“হাত দুটো টানটান করাে।
ও হাত দুটো মাথার উপর তুলে নিতেই বুক দুটো আরাে স্বীত হয়ে উঠল। এখন হাতের কাছে চেরি বা স্ট্রবেরি থাকলে খুব ভালাে হত। ওর বৃন্তের উপরে রেখে আলতাে আলতাে করে কামড়ে কামড়ে খেতাম।
– বগল শেভ করাে না কেন? উ। আমি জিভ দিয়ে ওর বগল চাটতে চাটতে বললাম-“মেয়েদের হেয়ারি পুসি আমার খুব ভালাে লাগে। বাট হেয়ারি আন্ডার আর্ম নয়। তােমার এখানে চুল আছে দেখতেই পাচ্ছি। নীচে আছে ডিয়ার?”
বলতে বলতেই আমার হাত চলে গেছে ওর নিম্নাঙ্গে। চুল আছে মানে! গােপনাঙ্গ ঘিরে একেবারে পশমের গালিচা। কী উষ্ণ! আঃ! কবি সবসময়ই ‘বুবরণ-কন্যার মেঘবরণ চুল নিয়ে গবেষণা করেছেন। কিন্তু কন্যার যৌনাঙ্গে যে এমন কমল পেলব মখমলের গালিচা ওত পেতে আছে তার বর্ণনা কেউ করেননি। অন্যায়, ভীষণ অন্যায়।
ওর যৌনরসের স্বাদ নিতে নিতে মনে হল—এই স্বাদটা একদম আলাদা। গন্ধটাও!
-কখনাে নিজেকে টেস্ট করেছ? এই নাও।’
আমি সেই চটচটে রস আঙুলে করে ওর ঠোটে মাখিয়ে দিয়েছি। ঘেন্নায় বন্দনা কুঁকড়ে গেছে। তা সত্ত্বেও জোর করে তার মুখে আঙুলটা ঢুকিয়ে দিলাম।
-চোষে। দ্যাখাে তােমার স্বাদ কেমন?
প্রচণ্ড বিবমিষাকে মেয়েটা কোনােভাবে চাপল। ওর শরীরটা ক্রমাগতই কেঁপে উঠছে। কাঁপছে ওর তলপেটের মেদ। কঁপছে সুগােল উরুর পেশি।
উরু থেকে চুমু খেতে খেতে উপরে উঠলাম। জানু, আর পেশি শিউরে উঠল। ও ভিজছে। নাভির চারপাশটা থরথরিয়ে উঠছে। তলপেট। তলপেট থেকে কোমর, কোমর বেয়ে…।
-একটু চুমু খেতে পারি?
কোনাে উত্তর নেই। ঠান্ডা, অসাড় ঠোটদুটো মুখের মধ্যে কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করে ছেড়ে দিলাম। ভালাে লাগল না। মেয়ের বিষপাত এখনাে গজায়নি। একদম মিয়ােনে। মুড়ির মতাে। এরা বিছানা গরম করতে জানে না। শুয়ে সুখ নেই।
তবু আমি ওকে খুঁড়ছিলাম। মাথাটা আবার ওর বুরে কাছে নেমে এল। যে মুকুলে এখনাে মৌমাছি বসেনি তার আনকোরা স্বাদ। কুমারী শরীরের একটা নতুন স্বাদ আছে। আমি সেই স্বাদে অভ্যস্ত। কিন্তু দুটো সূবর্ণগোলক চুষতে চুষতে বুঝলাম কোথাও কিছু একটা ঠিকঠাক ঘটছে না। জিভটা যেন মুখের মধ্যে তালগােল পাকিয়ে যাচ্ছে। জড়িয়ে যাচ্ছে। অসাড় হয়ে যাচ্ছে।
কেন এমন হচ্ছে? এরকম তাে আগে কখনাে হয়নি। মেয়েদের বুক যেটে আমি অভ্যস্ত। যে অসটার উপর আমার সবচেয়ে বেশি লােভ সে দুটো চোখের সামনে উন্মুক্ত। অথচ এ দুটো নিয়ে কি করতে হয় সেটাই যেন মাথা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে আমি এখনাে কৈশােরের সীমায় পড়ে আছি। নারী শরীর সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ। এখনাে কৌমার্য ভঙ্গ হয়নি।
কিন্তু এ আমার ভুল ! এই বুক দুটোর আলাদা কোনাে মাহাত্ম্য নেই। এ-ও মাংস। এ-ও মাংসেই গড়া! একেও হাত দিয়ে স্পর্শ করা যায়। অন্যান্য মানবীদের সাথে এর কোনাে পার্থক্য নেই। এটা অসাধারণ কিছু নয়। সম্পূর্ণ এক…কাম অন, কাম অন সম্রাট…ছিন্নভিন্ন করাে এই বুক…! কাম অন…ইউ ফ্রন্ট…এ কাজ তুমি আগেও অনেকবার করেছ। জেগে ওঠো! ভিতরের দস্যুটাকে জাগাও, হাঁ করে ক দেখছ! ওয়েক আপ…ওয়েক আপ…।
-এসাে।
মেয়েটাকে চিত করে মেঝের উপরেই শুইয়ে দিই। এতক্ষম হয়তাে অতিকষ্টে চেপে ছিল। এবার হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল ‘না…না..সম্রাটদা… ছেড়ে দাও।”
আমি নিজের শরীর দিয়ে ওর শরীর ঢেকে দিয়েছি-‘কেন? তুমি আমায় চাও না?”
—“চাই-চাই। কিন্তু এভাবে, এভাবে নয়।”
হেসে ফেললাম-“তা হলে কীভাবে চাও? সাবিত্রী সত্যবানের মতাে প্লেটোনিক প্রেম? ওসব ভালােবাসা-টাসা পােষায় না গুরু। আমি সেক্স বুঝি। সাফ সাফ বলে সেক্স করতে চাও, কি চাও না।”
–“চাই না…ছেড়ে দাও!’ দু হাতে মুখ ঢেকে অঝােরে কাদছে সেছেড়ে দাও..। আমি ওর শরীর থেকে নেমে এলাম। জামাকাপড়গুলাে আশেপাশেই পড়ে ছিল। ওর মুখের উপর ছুড়ে দিয়ে বললাম-“গেট লস্ট।
পরি বােধহয় বােঝেনি সে এত সহজে ছাড়া পেয়ে যাবে। কিছুক্ষণ হতভম্ব হয়ে থেকে তারপরই ধড়মড় করে উঠে বসল।….

…….আমি ওর দিক থেকে চোখ সরিয়ে নিয়েছি। তিস্তা আরাে কাছে ঘনিয়ে এসেছে। ওর বুক দুটো আমার কপাল স্পর্শ করল। মসৃণ উরুর স্পর্শ উরুতে। পাতলা কোমরের মাঝখানে উম্মুক্ত নাভি। কান মাথা ঝা ঝা করছিল। টের পাচ্ছি দানবটার ঘুম ভেঙেছে। তেড়েফুঁড়ে উঠে সে শিকল ভাঙার জন্য দাপাদাপি করছে।
‘এখনাে রাগ কমেনি?” বুকের আঁচল খসে পড়ল। বেগুনি ব্লাউজের ভিতরে সাদা মাংসের উচ্ছ্বসিত ঢল নেমেছে। অলিতে দুটো হাত আমার মাথাটাকে আলগােছে নরম স্পঞ্জের উপর টেনে নিল। গালের উপর আরাে একটা মসৃণ গালের স্পর্শ।তি কোলের উপর বসে পড়ে গালে গাল ঘষতে ঘষতে বলল—বাপ রে বাপ! কী রাগ! কী রাগ! ছেলের এত রাগ তা আগে। জানতাম না তাে! অর্ক তাে মুখ ঝামটা খেয়েই থেমে গেল ! এখন দেখি। আমার কপালে কী লেখা আছে।…..

…..খুব যে ইচ্ছে ছিল তা বলতে পারি না। বিশেষ করে শেষ পর্যন্ত যাওয়ার ইচ্ছে একেবারেই ছিল না। ভেবেছিলাম অল্প স্বল্প আদর টাদর করে ছেড়ে দেব। কিন্তু কেমন একটা প্রচণ্ড জেদ চেপে বসল। আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছি তা বুঝতে পারছিলাম, কিন্তু তার সাথে কাণ্ডজ্ঞানটাও যে হারিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে চাইনি। আমার শক্তিশালী চুম্বনের ধাকায় তিস্তা ছটফট করছিল। নিশ্চিত জানি ওর দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জানি ওর কষ্ট হচ্ছে। তবু আমি পাগলের মতাে ওকে চুমু খেয়ে যাচ্ছিলাম। মাথার চুলে মারাক টান না পড়া পর্যন্ত হুশ ফেরেনি।
—“কী করছ?…।’ তিস্তা ঠোট ছাড়িয়ে নিয়ে হাঁপাচ্ছে—ওঃ..আরেকটু হলেই দমবন্ধ হয়ে মরছিলাম। You are so wild..।”
“Yes, farm’ মুচকি হাসলাম-“কেন? খারাপ লাগল? তা হলে থাক।”
ও আমার দিকে তাকাল। দৃঢ় হাতে নিজের ব্লাউজের হুক খুলছে। নাকের পটিা খুলল। গালে আর নাকে উষ্ণতার লালচে আভাস। উত্তুঙ্গ বুক দ্রুতগতিতে উঠছে নামছে। মেয়েটা খেপেছে। বিছানায় এ মেয়ে মারাত্মক খেপু! উপর থেকে দেখে বােঝা যায় না। কিন্তু একেকটা সময়ে এমন খেপে যায় যে তখন ঠান্ডা করার জন্য বলপ্রয়ােগ না করে উপায় থাকে না। তিস্তাই বটে!
-কী ভেবেছ?’ও আবার আমার উপর উঠে এসেছে ‘সেক্সটা শুধু তােমরাই করতে জানাে! ভােগ করার অধিকার শুধু তােমারই আছে। শুধু তুমিই অত্যাচার করতে পারাে?’
–না… যে নয় সে তাে চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি।’
ও বুকে, গলায় চুমু খেতে খেতে বলল-“তা হলে আজ আমি তােমাকে রেপ করব। তােমার ইচ্ছে না থাকলেও শেষ পর্যন্ত যেতেই হবে। ভালােয় ভালােয় চলাে তাে ভালাে কথা, নয়াতে…।’
নয়তাে কী করবে? ঘাড়ে তীব্র কামড়—’জোর করে টেনে নিয়ে যাব। আমি হাসলাম।
তিস্তা বাঘিনীর মতাে আমার বুকের উপর থাবা পাতল—“আজ আমার ইচ্ছে অনুযায়ী তােমায় সেক্স করতে হবে।’
আমি কোনাে উত্তর দেবার প্রয়ােজন বােধ করলাম না। নিশ্চেষ্ট হয়ে পড়ে থেকে দেখার চেষ্টা করি, ও কী করে।
তিস্তা এক এক করে তার সমস্ত পরিধান খুলে ফেলেছে। মেয়েদের সাধারণ শরীরে থেকে এ শরীর অনেক মাত্রায় বেশি উত্তেজক। উদগ্র স্তন দুটো দেখলে ছিড়ে খেতে ইচ্ছে করে। পাতলা কোমর ও নিতম্ব যেন বহু যত্নে গড়া। বিশেষ করে পিছনটা অবিকল তন্দুরার মতাে।
সে আমার কান চেটে দিল। জিভটা ঢুকিয়ে দিল কানের মধ্যে। বুঝতে পারলাম, ফের উত্তেজিত হয়ে উঠছি। এ উত্তেজনা মানুষের নয়, পশুর।
তিস্তা আমাকে ছেড়ে দিয়ে একটু দূরে গিয়ে বসল। অদ্ভুত তেজি ‘ভঙ্গিতে বসে আছে। গর্বোদ্ধত স্তন। তার নীচে কোমল, মসৃণ ত্বকে ঘেরা নাভি। সিংহের কেশরের মতাে চুল ঘাড়ের কাছে অবিন্যস্ত। দু পা ফাক করে সাহসী এবং আমন্ত্রণী ভঙ্গি তার। কলাগাছের গুড়ির মতাে পুষ্ট অথচ চিকণ দুই উরুর ফাকে উকি মারছে দেহের প্রবেশ পথ। সিংহদুয়ার।
—আজ একটু অন্য স্টাইলে করি?’ আমি উঠে বসলাম–তােমাকে জন্ধুর মতাে লাগছে।’
সে বােধহয় ব্যাপারটা বােঝেনি। এই হল মুশকিল। বেশিরভাগ মেয়েরাই কামসূত্র পড়ে না। তাই পশ্চারগুলােও ঠিকমতাে জানে না।
আমি ঠিক করলাম, আজ পিছন দিক দিয়ে করব। তিস্তা অবিকল একটা কুকুরীর মতাে আমার দিকে পিছন ফিরে চার হাত পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াল। ও যদি কুকুরী হতে পারে, আমার কুকুর হতে আপত্তি নেই। বেসিক্যালি আমি তাে তাই-ই।

পিছন দিক দিয়ে ওকে রমণ করতে শুরু করি। ওর বিপুল নিতম্ব থরথর করে কেঁপে ওঠে। এ মেয়েটা এত বড়াে বুক আর পাছাৱ ভার নিয়ে হাঁটে কী করে। আমি ওর পাছাটাকে চাটছিলাম চটকাচ্ছিলাম। তিস্তা আরাম পাচ্ছিল। কিন্তু যন্ত্রণাও ছিল সমান। ও যন্ত্রণায় কাতরে উঠল—“এত যন্ত্রণা দাও কেন আমায় ? উঃমাগাে! কেন এত অত্যাচারী তুমি? আই লাভ ইউ ড্যাম ইট!”
মনে মনে উত্তর দিই—“আই হেট ইউ।
সব শেষ হতে ঘণ্টা দেড়েক লাগল। এতক্ষণ ধরে আমরা যতটা আদর করেছি তার চেয়ে বেশি মারপিট করেছি। জন্তুর মতাে বারবার মিলিত হয়েছি। তিস্তা নিভে আসতে আসতে আবার জ্বলে উঠেছে। আমি নিভিয়ে দিয়েছি। আবার জ্বলে উঠেছে। আবার নিভিয়েছি। এই অদ্ভুত খেলার মধ্যেই কী করে অতখানি সময় কেটে গেল টেরই পেলাম না। সব শেষ হয়ে যাওয়ার পর তৃপ্তিমাখা গলায় তিস্তা বলল-“জানাে সম্রাট, মাঝেমধ্যে আমার খুব আফসােস হয়।”…..

……নির্দিষ্ট কারণ আছে? আদৌ কোনােদিন ধরেছিলাম কি? কারাে চোখ ভালাে লেগেছে, কারাে নাক ভালাে লেগেছে, কারাে নিতম্ব ওই যাকে পাছা, টাছ বলে আর কী। কারাে বুক, ঠোটের যৌন আবেদনে চমকে গেছি। শখ মিটে গেলে আরাে নতুন কিছুর খোজে লেগে পড়েছি। পিছনের হাতছানি চোখের জল-কোনাে কিছুই থামাতে পারেনি।

তবে নীলাঞ্জনা মেয়েটা একটু অন্যরকম ছিল। গায়ের রং ছিল সােনালি আভাময়। ফর্সা শরীরে একটু আঁচড় লাগলেই লাল হয়ে যেত। ওকে লাভ বাইট দিতে বেশ মজা লাগত। বুকে একটু দাঁত বসালেই টুকটুকে লাল হয়ে যেত। মনে হত স্তন বেয়ে, গােলাপী বৃন্ত বেয়ে এক্ষুনি রক্ত গলে গলে পড়বে!
নীলাঞ্জনাই আমার জীবনের প্রথম নারী শরীর। তার আগে মাস্টারবেশনেই দিব্যি কাজ চলছিল। শুধু মাঝেমাঝে কমােডটার দিকে তাকিয়ে ভয় করত! মনে হত এই বুঝি কয়েকশাে শিশু ওর গর্ভ থেকে লাফ মেরে ঝাপিয়ে পড়বে আমার উপরে! চিৎকার করে বলবে—“বাবা-..বাবা..!

নীলাঞ্জনা আমার কাছে প্রায়ই আসত। আমার চোখের প্রশংসা করত। একদিন বলল-“তাের চোখের চাউনিটা একদম এক্সরের মতাে সম।’
আমি মুচকি হেসে বলি—“এক্সরের মতাে নয়, এর রেই।”
-এক্স রে? তাই?’নীলাঞ্জনা মাথা ঝাঁকিয়ে বলল-“বল তাে, আমি কী রঙের আন্ডারগারমেন্ট পড়েছি।
বেমক্কা প্রশ্নটির ধাক্কা খেয়ে কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। ওর দিকে ভালাে করে তাতেই মেরুদণ্ড বেয়ে শিরশিরে একটা স্রোত বয়ে গেল। ধাক্কা মারল পুরুষাঙ্গে।
-“তুই কোনাে আন্ডারগারমেন্ট পড়িসনি!
আমি বােকার মতাে উত্তর দিয়ে চুপ করে গেলাম। ওদিকে আবার লিঙ্গটা টনটনিয়ে উঠেছে।
—“তাের তাে অবস্থা কাহিল!” নীলাঞ্জনা কোনাে কিছুর তােয়াক্কা না করেই একঝটকায় টপ খুলে ফেলেছে। জিন্স পরা পা-টা দিয়ে আমার গলা জড়িয়ে ধরে টেনে নিল ওর উপরে। ফিসফিস করে বলল-“ওয়েল, আমি কিন্তু প্যান্টিও পরিনি।’
এরপরের দৃশ্যটা বলার অপেক্ষা রাখে না। শুনেছি উলঙ্গ পুরুষকে দেখতে মেয়েদের ভালাে লাগে না। তাই আলাে নিভিয়ে দিতে চেয়েছিলাম।
নীলাঞ্জনা জেদ ধরল
-“না, আলাে জ্বেলেই স্ত্র। -তাের লজ্জা করবে না?”
ও আমার মাথাটাকে ওর সােনালি নরম বুকে চেপে ধরে বলেছিল‘না। যখন তুই আমাকে করবি তখন আমি দেখব।’
ক উদ্ভট শখ। আরাে অদ্ভুত ছিল ওর পরের প্রতিক্রিয়া। আমার সেদিন খুব ব্যথা লেগেছিল। আর নীলাঞ্জনা। তার যােনিতে শেষ ঝাকুনিটা দেওয়ার সময় যেন মাথায় রােখ চেপে গিয়েছিল। ও দু’হাতে আমার মাথার চুল খিমচে ধরে গােঙাচ্ছে। শেষ ঝাকুনিটা দিতেই চিৎকার করে উঠল। আর, আর ফিনকি দিয়ে রক্ত! ওর গােপনাঙ্গ থেকে তাজা রক্ত বেরিয়ে আসছে।
নীলাঞ্জনা ব্যথাতুর অথচ পরম তৃপ্তস্বরে আমাকে আঁকড়ে ধরে বলেছিল-“তাের পেনিসে আমার রক্ত লেগেছে। আর আমার ভাজাইনার রক্তে তাের বীর্য মিশছে। তুই আমার নথ ভেঙেছিস…আমায় ছেড়ে যাবি না…..

…..টুনির শরীরটা আমি আজ দ্বিতীয়বার দেখলাম। একেবারেই সাদামাটা শরীর। তবু কী অজানা আকর্ষণ আমাকে পাগল করে দিচ্ছিল। | টুনি- টুনি, আমার পার্বতী, আমায় ভালােবাসবি? টুনি, আমাকে কেউ ভালােবাসতে শেখায়নি। শুধু শরীরকে দলিত মথিত করতে শিখিয়েছে। তাের কচি নরম বুকের উপর আমায় টেনে নে। নীলকণ্ঠ ফুলের স্কুপের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ব আমি। তাের সাথে একা নেমে যাব সমুদ্রের গভীরে। জানি তাের দু পায়ের মাঝখানে সে অঙ্গটা আছে সেখানে অনেক ঝিনুক জমে আছে। প্রতিমাসের শেষে যে ঝিনুকগুলাে ভেঙে মুচড়ে ঝরে পড়ে তাের রজবের সঙ্গে। আমি সেই ঝিনুকের মৃতদেহ সম্মানে সারাদেহে মেখে নেব। তুই চাইলে তাের রজস্রাব আমি তিলকের মতাে মাথায় পরে নিতে পারি। তুই চাইলে অতলে তলিয়ে থাকা ঘুমন্ত ঝিনুকগুলােকে নিষিক্ত করে দেব আমি। যা কখনাে কাউকে দিইনি, তাই দেব তােকে। একটা সত্যিকারের অমূল্য মুক্তো। তাের গর্ভে একটু একটু করে ফুটে উঠবে সে। সে পিতৃপরিচয়হীন হবে না। সে অসুস্থ হবে না।
টুনি, তের ব্যথা লাগছে না তাে? এই দ্যাখ, তাের বুকে আমি আলতাে আলতাে করে চুমু খাচ্ছি। কামড়াচ্ছি না—যদি তাের লাগে। চাদের আলােয় পুরু, বুক দুটো বড়াে লােভনীয়; তবু কামড়াচ্ছি না। শুধু ঠোট, মুখ ছােটো ছেলের মতাে তাের বুকে ঘষছি। হাত বােলাচ্ছি। নরম ত্বক, নরম স্তনগােলকের স্পর্শ আমায় টেনে নিচ্ছে তাের দিকে। আজ আমায় আশ্রয় দে টুনি। সম্রাট চৌধুরী কখনাে এমন ভিখিরির মতাে রিক্ত হতে চায়নি আরাে কাছে। আয় টুনি। আমি আর পারছি না।
টুনি, তুই জানিস না, কতকগুলাে যােনি আমি পেরিয়ে এসেছি। আমার লিঙ্গ ক্লেদাক্ত হতে হতে ক্রমাগত ক্লান্ত হয়ে উঠেছে। তুই তার গায়ে চন্দন মাখিয়ে দে। তাের মধ্যে আমায় টেনে নে। রার মতাে পুরােপুরি গ্রাস করে। নে। আমার-আমার লজ্জা করছে টুনি…আমার শীত করছে। তাের পায়রার মতাে শরীরে ঢেকে দে আমার শরীরটাকে। দুই ডানায় আঁকড়ে ধরে মিশিয়ে নে তাের দেহে। ঠোটের মধ্যে ঠোট ডুবিয়ে আমার শেষ নিঃশ্বাসটুকুও ধরে রাখ। রাক্ষসের প্রাণ তিস্তার জরায়ুতে থাকবে না। থাকতে পারে না। তাের নিঃশ্বাসে হৃৎস্পন্দনে তার প্রাণভােমরা নেচে বেড়াবে। আয় টুনি, যােনি মেলে ধর। আমায় নে…আমি এসেছি…সম্পূর্ণভাবে নে…তাের দেহে স্বার্থপরের মতাে আঃ-টুনি..-টুনি..শুধু তুই-শুধু তুই আমার ঠিকানা..তাের ভ্যাজাইনায়। ঘুমােব আমি…ঘুমােবে বহু সম্রাট চৌধুরীরর সফল-অসফল সত্তা।
আঃ.. টুনি…ঢুকতে দে আমায়…গভীরে…আরাে গভীরে…উফ, সিক্ত বিবরে দুই ডানায় আঁকড়ে ধরে মিলিয়ে নে তাের দেহে। …আঃ…আঃ. আঃ।
গাড়ির নীল কাচের উপর জ্যোৎস্নার আলাে পড়ে কেমন একটা নীলাভ আভা এসে পড়েছিল আমাদের উপর। সামনে স্টিয়ারিংয়ের গােল চাকতিটা ঢালের মতাে চকচক করছে। গুমােট গরমে দুজনেই ঘামছিলাম। একজোড়া আদিম মানব-মানবীর মতাে আমরা। টুনির গরম ঠোট আমার গলার কাছে নীরব। আবেগঘন গরম নিঃশ্বাস ঝাপটা মারছে চোখে মুখে। পেলব কমনীয়তায় যৌবন ঢলঢল করছে শরীরে।
-“টুনি? খুব কষ্ট হয়েছে?
টুনি মাথা নাড়ল। তারপর আবার আমার বুকে মুখ গুজে চুপ করে শুয়ে রইল। ওর উরুর উপর চাদের আলাে এসে পড়েছে। দু উতে যেন গর্জন তেল মাখানাে। কিংবা কাচের তৈরি। রেশমি আলাে পিছলে পড়ে অপার্থিব সুন্দর লাগছিল। আমি মুগ্ধ হয়ে তাই-ই দেখছিলাম। দেখছিলাম আর ভাবছিলাম জীবনটা এত সুন্দর। আগে কখনাে দেখিনি তাে!……

Leave a Reply