ছদ্মবেশী (জিম ব্রাউন-৭) – কাজী এহসান উল্লাহ

›› পেপারব্যাক  

…..এটুকু ‘কথার বেশি উচ্চারণ করতে পারলাে না ও। তার আগেই জিম ব্রাউনের একটা হাত ওর মুখ চেপে ধরেছে। অন্যহাতে সে টার্মাকে নিজের বুকে টেনে নিয়েছে। টার্মা যেন যাতাকলে পড়েছে। ওর শক্ত বাহু থেকে নিজেকে কিছুতেই মুক্ত করতে পারছে না। শুধু মনে মনে ভাবছে, পুরুষ মানুষের গায়ে এতাে শক্তি থাকে ? মুখটাও বন্ধ। শুধু নাক দিয়ে ঘোৎ ঘোৎ শব্দ করা ছাড়া ওর আর কিছুই করার নেই। জিম ব্রাউনের মুখটা এগিয়ে এলে ‘একেবারে টার্মার মসৃণ মুখের ওপর। খোঁচা খোঁচা ধার দাড়ি। ওর মুখটা খষে গেলাে। হাতে ছুলেও গেছে, আলা করছে, টার্মা তার দু ঠোট দাঁত দিয়ে চেপে ধরেছে। যদিও জিমের মুখ টার্মার ঠোঁটের কমপক্ষে দেড় ইঞ্চি দুরে, তবুও মেয়েটা নিজের ঠোটকে বেশি নিরাপদ করতে চেষ্টা করছে। প্রাথমিক আক্রমণটা ওখানে হবে তাই আশা করছে। টার্মার বুক জিম ব্রাউনের বুকের নিচে ঢেকে গেছে। মেয়েটার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার জোগাড়।….

…..টার্মা আগে থাকতেই প্রস্তুত ছিলাে।

ডেপুটি তখন ঘােড়া ছুটিয়ে ঐ পথেই আসছিলাে। টার্ম হাত তুলে সামনে দাড়ালাে। আগে থাকতেই নিজের চুলগুলােকে এলােমেলাে করে নিয়েছিল। নিজের উন্নত বক্ষের অধংশ উন্মুক্ত করে রেখেছিলাে। ব্লাউজের সামনেটা নিজে হাতে ছিড়ে নিয়েছিলাে।

ডেপুটি ঘােড়া থামায়। টার্মার স্তনের উলঙ্গ উপত্যাকায় তার দু’চোখ থেমে যায়। হা করে তাকিয়ে থাকে ও দুটোর দিকে, ঘােড় থেকে লাফিয়ে নামে।…..

….. জিম ব্রাউন প্রথমে ঢুকলাে শেষের কক্ষে। ঢুকে নিজেরই চোখ বন্ধ করে ফেলার অবস্থা হলাে। লজ্জায় নিজের কাছেই নিজেকে অনেক ছােট মনে হলাে। মেয়েটা পিছন ফিরে দাড়িয়ে আছে, দিগম্বর। পিঠে ব্রেসিয়ারের ফিতের চাপে বসে থাকার হালকা দাগ। পায়ের কাছে পড়ে আছে সায়া। মােটা দড়িটা স্পষ্ট করে তােলার জন্য ওটা সায়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে।

‘নিম্নাঙ্গে এক টুকরা কাপড় লাগাও। পারলে বুকটাও একটু ঢেকে বিছানায় যাও। আমি তােমার সুন্দর মুখ দেখেই পাগল হয়েছি। ওটাই ভালাে করে দেখতে দাও আগে।

‘তুমি যা চাও তাই হবে সিনর। তুমি কাপড় খুলে বিছানায় যাও। আমি পেন্টি আর ব্রা পরেই আসছি। মেয়েটা প্রথমে দু’বগলের ফাঁক দিয়ে ব্রেসিয়ারটা গলালাে। সায়াটা লুঙ্গির মতো মমাচড় দিয়ে পরলাে। তারপর অর্ধ শায়িত জিমের ওপর ঝাপিয়ে পড়লো। দু’হাতে ওকে আঁকড়ে ধরলাে। নিজের বুকের সাথে চেপে ধরলাে।

সাদা ধবধবে বেটে-খাটো মেয়েলী থলথলে দেহটা জিমের বুকে পড়তেই ওর মনে হলাে, গায়ে কেউ ময়দার আড়াই মণ ই বস্তা ছুড়ে দিলাে। ইশ্বর যদি হাড়গোড় গাম আঠা দিয়ে লাগাতেন তাহলে এতক্ষণে ওগুলাের জোড়া খুলে যেতাে।

মেয়েদের গােঙ্গানীর শব্দ আমার একটুও পছন্দ নয়। তবুও ওরা একসময় গােঙ্গানীর শব্দ করে। তাই তুমি তােমার ব্লাউজটা তােমার মুখে পুরে রাখাে। আমি হালকা করে ওটা বেধে দেবাে।’…..

….হঠাৎ ছুরিটা থেমে গেলো। লােকটার একটা হাত টার্মার স্তনের ওপর এসে থামলাে। হালকা চাপ অনুভব করলাে বুকে।

কে ? ‘আমি।’

‘টার্মা? বুক থেকে হাত সরে গেলাে। তােমার তো এদিকে আসার কথা ছিলাে না। আর একটু হলেই তাে ছুরিটা এফোঁড় ওফোঁড় করে ফেলতে তােমার বুক।…..

Leave a Reply