গেম অব থ্রোনস (আ সং অব আইস অ্যান্ড ফায়ার এর ১ম খন্ড) – জর্জ আর. আর. মার্টিন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

রূপান্তরঃ অনীশ দাস অপু

…..যাক বাচ্চাগুলােকে তাে দেখা হবে। শেষ যেবার দেখা হলে সবচেয়ে ছােটটা ওই ল্যানিস্টার মহিলার মাই চুষছিল। এখন ওর বয়স কত হবে, পাঁচই তাে নাকি?

‘প্রিন্স টোমেনের বয়স সাত,’ বললেন ক্যাটলিন। ব্রানের বয়সী। তবে নেড, দয়া করে মুখটা একটু সামলে। ওই ল্যানিস্টার মহিলা আমাদের রাণি এবং প্রতিবছরই নাকি তাঁর সুখ্যাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।…..

…..ডেনির ভাই দরজার পাশে ঝুলিয়ে রাখল গাউন। ‘ইলিরি ক্রীতদাস পাঠাবে তােমাকে গােসল করাতে। গা থেকে যেন আস্তাবলের গন্ধ দূর হয়। খাল ড্রোগাের হাজারটা ঘােড়া তবে আজ রাতে সে অন্য রকমের ঘােড়ায় চড়বে। বােনের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল সে। তুমি দেখছি এখনাে জবুথবু হয়ে আছ। সিনা টান করে দাঁড়াও। সে ডেনির কাধে ধাক্কা মারল। ওরা যেন দেখে বুঝতে পারে তুমি এখন নারী হয়েছ। প্রস্ফুটিত বক্ষে হাত বুলাল সে, চেপে ধরল একটা স্তন। আজ রাতে আমাকে যেন হতাশ কোরাে না। হতাশ করলে কিন্তু তােমার খবর আছে। তুমি নিশ্চয় ড্রাগনটাকে জাগিয়ে তুলতে চাও না, চাও কি?’ শক্ত কাপড়ে তৈরি টিউনিক ভেদ করে হালকা দৃশ্যমান ডেনির স্তনের বোঁটায় জোরে চিমটি কাটল ভসেরিস। চাও কি? ‘ পুনরাবৃত্তি করল সে।

না, ভীরু গলায় জবাব দিল ডেনি।………

…..গােসল পর্ব শেষ হলে ক্রীতদাসীরা ডেনেরিসকে বাথটাব থেকে নেমে পড়তে সাহায্য করল। তারপর তােয়ালে দিয়ে মুছে দিল গা। মেয়েটি
ওর চুল আঁচড়ে দিতে লাগল যতক্ষণ না গলানাে রূপানাে মতাে চকচক করতে থাকল কেশ। বুড়ি ওর গায়ে মাখিয়ে দিল ডােট্রাকি সমভূমি থেকে আনা মসলাফুলের সুগন্ধী। দুই কব্জি, কানের পেছনে, বুকের ডগায়, ঠোটে এবং সবশেষে দুই পায়ের মাঝখানে।…..

……ডেনি ঘুরে দেখল সত্যি তাই। ম্যাজিস্টার ইলিরিও হাসতে হাসতে, কুর্নিশ করতে করতে খাল ড্রোগােকে ওদের কাছে নিয়ে আসছেন। ডেনি হাতের চেটো দিয়ে মুছে ফেলল অশ্রু।

হাসাে, ফিসফিস করল ভিসেরিস, হাত চলে গেছে তরবারির বাঁটে। সােজা হয়ে দাঁড়াও। ও যেন তােমার বুক দেখতে পায়। ঈশ্বর জানেন, তােমার বুক দুটো এত ছােট কেন।’
ডেনেরিস হাসল এবং বুক চিতিয়ে দাঁড়াল।…..

…..আর শহরগুলাে যদি তুমি দেখতে নেড! সবখানে ফুল আর ফুল, বাজারভর্তি খাদ্য সম্ভার , সামার ওয়াইন এত সস্তা এবং সুস্বাদু, পেটে গেলেই মাতাল। ওখানকার সবাই মােটা, মদ্যপ এবং ধনী। তিনি হেসে উঠে নিজের ভুঁড়িতে চাপড় বসালেন। আর মেয়েগুলাে , নেড!’ চেঁচিয়ে উঠলেন তিনি, চকচক করছে চোখ। সৃষ্টিকর্তার দিব্যি, গরমের চোটে মেয়েগুলাে তাদের সমস্ত ভব্যতা ভুলে যায়। ওরা প্রাসাদের নিচের নদীতে ন্যাংটো হয়ে সাঁতার কাটে। আর রাস্তায় ভীষণ গরমে উল বা পশমের পােশাক গায়ে রাখা দায় বলে ওরা ছােট ছােট গাউন পরে ঘুরে বেড়ায়। ঘামে সিল্ক বা সুতির পাতলা গাউনগুলাে ভিজে ওদের শরীরে সেঁটে থাকে, দেখলে মনে হয় ন্যাংটো। রাজা হাে হাে করে হাসতে লাগলেন।….

……ক্যাটলিনের সঙ্গে রতিক্রিয়া শেষে নেড গড়ান দিয়ে তার বিছানা থেকে নেমে পড়লেন যে কাজটি তিনি আগেও সহস্রবার করেছেন । রুম পার হয়ে গেলেন জানালার ধারে , ভারী পর্দা টেনে দিয়ে ধাক্কা মেরে এক এক করে খুললেন উচু এবং সরু জানালাগুলাে। ঘরে রাতের বাতাসের প্রবেশাধিকারের সুযােগ করে দিলেন।

অন্ধকারে উলঙ্গ দাঁড়িয়ে আছেন নেড। তার চারপাশে পাক খেল বাতাস। ক্যাটলিন পশমের কম্বল টেনে নিলেন চিবুকে, লক্ষ করছেন স্বামীকে। পনের বছর আগে রিভাররানের সেপ্টে বসে যে তরুণকে তিনি বিয়ে করেছিলেন, সেই মানুষটিকে এখন অনেক বেশি ক্ষুদ্রকায় আর ভঙ্গুর লাগছে।

নেডের প্রেমের দুরন্তপনায় ক্যাটলিনের কুঁচকির কাছটা ব্যথা করছে। তবে এ সুখের যন্ত্রণা। নেডের বীজ শরীরের ভেতরে টের পাচ্ছেন।
তিনি। প্রার্থনা করলেন বীজ যেন দ্রুত অংকুরিত হয়। রিকনের জন্মের পরে তিন বছর গেল। ক্যাটলিন এমন কিছু বুড়িয়ে যাননি। স্বামীকে আরেকটি সন্তান উপহার দিতেই পারেন।…..

……‘আমার ভয় লাগছে,’ স্বীকার করলেন ক্যাটলিন। কম্পিত হাতে গােল করে গােটানাে কাগজের টুকরােটি তুলে নিলেন। গা থেকে কম্বল খসে গিয়ে প্রকাশ করে দিল তার নগ্নতা। তবে সেদিকে খেয়াল নেই ক্যাটলিনের । তিনি তাকিয়ে আছেন কাগজের গায়ে নীল মােমের সিলগালার দিকে।…..

…..‘আমি বরং যাই,’ বললেন মাস্টার লুইন।।
না,’ বললেন ক্যাটলিন। আপনি থাকুন। আপনার পরামর্শের দরকার হবে আমাদের।’ তিনি কম্বল ফেলে দিয়ে নেমে পড়লেন বিছানা থেকে। কবরের মতাে ঠাণ্ডা রাতের বাতাস কামড় বসাল ক্যাটলিনের উন্মুক্ত দেহে।
মাস্টার লুইন মুখ ঘুরিয়ে অন্যদিকে তাকালেন। নেড তার স্ত্রীর এহেন কাণ্ডে চমকে গেছেন। করছ কী তুমি?
‘আগুন জ্বালছি,’ বললেন ক্যাটলিন। একটা ড্রেসিং গাউন গায়ে চাপিয়ে নিভন্ত চুলার সামনে ঝুঁকে বসলেন।
মাস্টার লুইন’ বললেন নেড।
মাস্টার লুইন আমার সমস্ত সন্তানের প্রসব করিয়েছেন,’ বললেন ক্যাটলিন, এখন তাঁর সামনে ভুয়া শালীনতা দেখানাের সময় নেই।’ তিনি আগুন জ্বালাবার কাঠের মধ্যে চিঠিটি ঢুকিয়ে দিয়ে তার ওপর কিছু ভারী লাকড়ি চাপালেন।……

…..জানালায় তাকাল ব্রান।
ঘরের ভেতরে একজন পুরুষ এবং একজন নারী কুস্তি লড়ছে। দুজনেই ন্যাংটো। ব্রান চিনতে পারল না ওরা কারা। পুরুষটার পিঠ ওর দিকে, মহিলাকে সে দেয়ালের সঙ্গে ঠেসে ধরেছে বলে তার চেহারাও দেখা যাচ্ছে না।
ওদের মুখ দিয়ে ভেজা, চটচটে আওয়াজ বেরিয়ে আসছে। ব্রান বুঝতে পারল ওরা চুমু খাচ্ছে। বিস্ফারিত এবং ত্রস্ত নয়নে ওদেরকে দেখছে ব্রান। নিশ্বাস আটকে রইল গলায় ।
লােকটা মহিলার দুই পায়ের মাঝখানে চালিয়ে দিয়েছে হাত, নির্ঘাত সে মহিলাকে ব্যথা দিচ্ছে কারণ মহিলা গােঙাতে গােঙাতে বলছে, “থামাে, থামাে। ওহ, থামাে! ওহ, প্লিজ…’ তবে তার গলার স্বর নিচু এবং দুর্বল, এবং সে লােকটাকে ধাক্কা মেরে সরিয়েও দিচ্ছে না। উল্টো লােকটার এলােমেলাে সােনালি চুল ধরে টানছে এবং টানতে টানতে নিজের বুকের ওপর মাথাটা নামিয়ে আনল ।

এবার মহিলার চেহারা দেখতে পেল ব্রান। সে চোখ বুজে আছে তবে মুখ খােলা। গােঙানি বেরিয়ে আসছে গলা দিয়ে। মাথাটা বারবার এপাশ-ওপাশ করছে, ফলে সােনালি চুলগুলাে ডানে বামে দোল খাচ্ছে। তবে রানিকে চিনতে পারল ব্রান। নিশ্চয় ও কোনাে শব্দ করে ফেলেছিল। হঠাৎ রানির মুদিত চোখ খুলে গেল। তিনি সরাসরি তাকালেন ব্রানের দিকে। এবং গগনবিদারী চিৎকার দিলেন।……

……এবারে ড্রোগাের পালা। সে ডেনির পােশাক খুলতে লাগল। | ড্রোগাের আঙুলগুলাে কুশলী এবং আশ্চর্যরকম কোমল। ডেনির গায়ের সিল্কের বস্ত্র হরণ চলল একটি একটি করে, সাবধানে এবং সযতনে। ডেনি চুপটি করে বসে রইল, কথা বলছে না, শুধু তাকিয়ে আছে ড্রোগাের চোখে। তবে ওর বুকজোড়া যখন উন্মুক্ত করে ফেলল ড্রেগাে লজ্জা পেয়ে চোখ নামাল ডেনি, হাত দিয়ে আড়াল করল বক্ষ সম্পদ।
নাে,’ বলল ড্রোগাে। বুকের ওপর থেকে সরিয়ে দিল ডেনির হাত। তারপর আবার ওর মুখ তুলে নিজের দিকে চাইতে বাধ্য করল সে। নো, পুনরাবৃত্তি করল ড্রোগাে।
‘নাে, এবার প্রতিধ্বনি করল ডেনেরিস।

ড্রোগাে ওকে দাঁড় করাল। ডেনির শরীর থেকে সরিয়ে নিল শেষ বস্ত্রখন্ড। রাতের শীতল বাতাস নগ্ন ত্বকে ঠাণ্ডা কামড় বসাল। কেঁপে উঠল ডেনেরিস। হাত এবং পায়ে শিরশিরানি এরপরে কী ঘটবে ভেবে ভীত। তবে এক মুহূর্ত ঘটল না কিছুই। খাল ড্রোগাে পা মুড়ে বসে তাকিয়ে আছে। ডেনেরিসের দিকে, দুচোখ ভরে পান করছে নগ্ন সৌন্দর্য।
এরপরে সে ওকে স্পর্শ করতে শুরু করল। প্রথমে হালকা ভাবে, তারপর কর্কশ হয়ে উঠল ছোঁয়া। ড্রোগাের হাতের দানবীয় শক্তি অনুভব করছে ডেনেরিস। তবে ওকে একটুও ব্যথা দিল না ড্রোগাে। ওর প্রতিটি আঙুলে হাত ঘষল। একটি হাত আস্তে করে চালিয়ে দিল পায়ের নিচে। আদর করল মুখে, আঙুল ছুঁয়ে গেল ওর কান, মুখের চারপাশ। দুই হাত দিয়ে আঁচড়ে দিল ওর চুল। তারপর ওকে ঘােরাল। ম্যাসেজ করল কাধ, শিরদাঁড়া বেয়ে নেমে এল ড্রোগাের আঙুল।
অবশেষে ডেনেরিসের বুক স্পর্শ করল ড্রোগাে। নরম ত্বকে হাত বােলাচ্ছে। বুড়াে আঙুল দিয়ে স্তনবৃন্তের চারপাশে চক্কর কাটল, বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠি এবং তর্জনীর মাঝে বন্দি করল স্তন, প্রথমে খুব হালকাভাবে, তারপর জোরে যতক্ষণ পর্যন্ত না দাঁড়িয়ে গেল স্তনের বোটা এবং ব্যথা করতে লাগল।
থেমে গেল ড্রোগাে। ওকে টেনে বসাল কোলের ওপর। ডেনি ততক্ষণে লজ্জায় রাঙা এবং দম প্রায় আটকে আসার দশা , বুকের খাচায় দমাদম পিটছে হৃদপিণ্ড । প্রকাও দুই হাতের চেটোয় ওর মুখখানা ধরে চোখে চোখ রাখল খাল ড্রোগাে। নাে?’ বলল সে। ডেনি জানে এটি একটি প্রশ্ন।
সে ড্রোগের হাত ধরে দুই উরুর মাঝখানের সিক্ত জায়গাটায় নিয়ে গেল । “ইয়েস, ফিসফিস করল ডেনেরিস, ওর শরীরের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দিল ড্রোগাের আঙুল।…..

Leave a Reply