…..জীমূতবাহনের পাশে বসেছে বারিদবরণ সিকদার । ওদের পেছনের সিটে শ্যামসুন্দর কর্মকার আর দ্বিতীয় যুবতী শঙ্খমালা ঘোষ, তেরছা জামদানির সালোয়ার-কামিজে, যার রয়েছে, শ্যামসুন্দরের মতে, অজন্তার নারী চোখের নিঃসীম গভীরতা, লম্বা পদযুগল, সরু দেহ ও লাবণ্যময় তন্বী অবয়ব।। তাদের পেছনের দুই সিটে অমিতবিক্রম দস্তিদার আর নধর গতর যুবতী ভবতারিণী বসু যাঁর পেট চ্যাটালো, গুরুভার পাছা, সুডৌল বুক আর সুগঠিত দুটো-পা । …..
…..–-কেন ? ভুল কী বলেছি ? সৌন্দর্য্য ভোগ করার কথা বলেছি । তুমিও জানো আর আমিও জানি, আমরা এই সময়ের আর সংস্কৃতির সন্তান যারা প্রেমকে অবিশ্বাস করে । প্রেমে, রোমান্টিক প্রেম, গোটা রোমান্স ব্যাপারটা, তার যৌন ভাষা, ভাষাগত যৌনতা, বিশ্লেষণ, ব্যবচ্ছেদ, বিনির্মাণ , ক্লিভেজ দেখানো, ফোসলানো সবই তাত্ত্বিকভাবে জানি । ফ্যালোক্রেসি, ব্লোজব, থমকে রাখা কিছুক্ষণের জন্য, লাবিয়ায় মাকড়ি পরা, অনুপ্রবেশ, বহুরূপীর মতন ঢঙ আর পলিসেমাস বিকৃতি, মুখেমুখ, ঠোঁটেঠোট, ভাল স্তন আর খারাপ স্তন, ক্লিটোরাল টিউমেসেন্স, ভেসিকল তাড়না, যৌনতার আঠা এটসেটরা । কী জানি না বলো তো ? …..
…..ভবতারিণী নিজের বক্তব্য বজায় রাখল, বলল, তুমি যা বললে, তার মর্মার্থ কী বলো তো ? পতিতাবৃত্তির গ্রহণযোগ্যতা জনসাধারণের দৃষ্টিতে সমস্ত মহিলাদের সম্ভাব্য পতিতা করে তোলে, কারণ একজন মহিলার যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করার জন্য কেবল দুটি জিনিস দরকার: একটা হল তার পরিস্থিতি তাকে বাধ্য করে আর অন্যটি হল যে তার যোনি আছে । সমস্ত মহিলা এই প্রয়োজনীয়তাগুলোর অন্তত একটা পূরণ করে জন্মায় । যদি নারীর পণ্যটি গ্রহণ করা হয় তবে সমস্ত মহিলা সেই সম্ভাব্য কাজের আওতায় পড়ে। কোনও নারী যদি সমাজে পতিতাবৃত্তি করে, তবে সে জানুক বা না জানুক, সে এটা ব্যক্তিগত উদ্যোগে গ্রহণ করে, যেমন আমি জেনেশুনে করেছি, কারণ সেক্স আমার ভালো লাগে। বলতে পারো যে আমি ইনস্যাশিয়েবল।…..
…..কেবিএসের ইশারায় সুখেশ্বরী পাল ওনার ঠোঁটে চুমু খেলো, আওয়াজ করে, মার্কিন ফিল্মে যেমন চুমুর আওয়াজ শোনা যায় । সেবিকাদের মা বলে ডাকেন কেবিএস । বললেন, ধন্য ধন্য হে মা সুখেশ্বরী ।
যে সেবিকার দায়িত্ব রাতের বেলায়, তার প্রথম কাজ সকাল সাড়ে সাতটায় জুনিয়ার কেবিএসকে চুমু খেয়ে জাগিয়ে তোলা, সেবিকাদের এজেন্সির সঙ্গে সেরকমই চুক্তি, যাতে এই শর্তও আছে যে সেবিকাদের বুক এক্সট্রা লার্জ হতে হবে, জুনিয়ার কেবিএসকে ঘিরে মাতৃস্নেহের আবহ গড়ে তোলার জন্য…..
…..নারীর স্তন কার্তিকবাহনের মস্তিষ্কে এই বয়সেও ডোপামিন নিঃসরণ করে। তাই স্তন দেখলে যুবকদের মতন তাঁরও ভালো লাগে অথচ কান্না পায় । উন্নত ভরাট স্তন পুরুষের মস্তিষ্কে উর্বরতার সিগনাল পাঠায়। পূর্বপুরুষরা নারীর বড়ো স্তনকে সুস্বাস্থ্যের প্রতীক মনে করতো। তাই তারা জিনকে পরবর্তী প্রজন্মে স্থানান্তর করার জন্য বড়ো স্তনের নারীর সাথে সঙ্গম করতো। নারীও বড়ো স্তনের মাধ্যমে তার পছন্দের পুরুষকে আকৃষ্ট করে । তবে এখন অপেক্ষাকৃত ছোট ফিট স্তনকেও আকর্ষণীয় মনে হয় জুনিয়ার কেবিএসের। পারফেক্ট স্লিম ফিগার এখন অন্যরকম সৌন্দর্য। টলিউড কলিউড বলিউড হলিউড সব ইন্ডাস্ট্রিতেই এখন এমন দেখা যায়।
স্তন বলতে জুনিয়ার কেবিএসের বাধো-বাধো ঠেকে ; উনি বলেন মাই, এমনকী বাংলায় লেখা চুক্তিতেও স্তনের বদলে মাই লেখা আছে। টিভি বা কমপিউটারে ফিল্ম দেখার আগে সেবিকাদের কাছে জেনে নেন আজকাল কোন অভিনেত্রীর মাইয়ের মাপ বড়ো, কে ক্লিভেজ দেখায় ।
আজ চুমুর আগেই কেবিএসের ঘুম ভেঙে গিয়েছিল । ……
…..ছাত্রটি দুই অতিথি-বক্তাকে জীবনশৈলীর সেমিনারে জিগ্যেস করলো, আপনাদের সতীচ্ছদ ছেঁড়ার ঘটনা বলবেন ? বড্ডো ইচ্ছে করছে শুনতে। ব্যাপারটা কি নৈতিকতার ? যখন যুবতীদের নৈতিকতা সম্পর্কে শেখানো হয়, তখন প্রায়ই সহানুভূতি, দয়া, সাহস বা সততার কথা বলা হয় না। বলা হয় সতীচ্ছদ বা যোনিচ্ছদ নিয়ে । আমি বড়ো মামার সঙ্গে আরব দেশগুলোতে গেছি । সতীচ্ছদের দেবতা আরব দেশগুলোতে জনপ্রিয়। আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন বা গোপন নাস্তিক হন, কোন ধর্মের তা বিবেচ্য নয়, পুরুষরা প্রত্যেকেই সতীচ্ছদের দেবতার পূজা করে। সতীচ্ছদ, যা সবচেয়ে অপলকা অংশ, যার ওপর কুমারীত্বের দেবতা বসে আছেন, তাকে অক্ষত রাখার জন্য যা কিছু সম্ভব করে ওদের দেশের কর্তাবাবারা৷ সতীচ্ছদের দেবতার বেদিতে, কেবল মেয়েদের শারীরিক পরিপূর্ণতা আর আনন্দের অধিকারই নয়, যৌন নিষেধের মুখে তাদের ন্যায়বিচারের অধিকারকেও বলি দেয়া হয় । কখনও কখনও তাদের বেঁচে থাকার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়, সম্মানের নামে । অনেক পরিবার তো তাদের মেয়েদের মেরেও ফ্যালে, জাস্ট সতীচ্ছদের দেবতাকে সন্তুষ্ট রাখবার জন্য। পুরো সমাজ মনে হয় একটা পাতলা সতীচ্ছদের ওপর দাঁড়িয়ে আছে ।…..
…..সঞ্চালক নন্দিনী ভড়, যিনি দুজন বক্তার সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন, তিনি বলল, বাহ, ইট ইজ আ গুড কোয়েশ্চেন ; আমার সতীচ্ছদ আজও ছেঁড়েনি, আমি ভার্জিন । তবে আমি স্বমেহন করি আমার পলিটিকাল স্টেটমেন্ট হিসেবে । কিছু মহিলা আনন্দের জন্য হস্তমৈথুন করেন না; তাঁরা একটি রাজনৈতিক প্রটেস্টের জন্য হস্তমৈথুন করেন। নিজেকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য, যে, নারীদের সত্যিই পুরুষদের প্রয়োজন নেই বা অন্তত ততটা আর ঘন ঘন নয়, যতটা প্রতিটি পুরুষ শভিনিস্ট আর প্রতিটি মিসজিনিস্ট বিশ্বাস করে।…..
…..মেঘনা মৃদু হেসে বললেন, আমি বুঝতে পেরেছিলাম, প্রথম ঋতুস্রাবের পর থেকেই আমার সেক্স ভালোলাগে । কৈশোরের উত্তেজনা চেপে রাখিনি কখনও । স্কুলের সময় থেকে আমি সেক্সুয়ালি অ্যাকটিভ । বিয়ে করার নোংরা পথে যাইনি, কেননা আমি বুঝে গিয়েছিলাম যে একজন মাত্র পুরুষ নিয়ে জীবন কাটাতে পারবো না । তোমাদের বলি, কুমারীত্ব একটা ধারণা মাত্র । এখন তো একটা সাধারণ হাইমেনোপ্লাস্টি , যা চাদরে সামান্য রক্ত পড়ার নিশ্চয়তা দেয়, যাতে ভবিষ্যত স্বামী সিদ্ধান্ত নিতে পারে যে সে একজন কুমারীকে বিয়ে করেছে বা একটা সুপারভ্যাজিনোপ্লাস্টি, যা নারীযৌনাঙ্গকে ঝিনুকের মতো শক্ত করে রাখার প্রতিশ্রুতি দেয়, কসমেটিক সার্জনরা সেসব অফারের বিজ্ঞাপন তাদের ক্লিনিকে টাঙিয়ে রাখে । ব্যাস, টাকা থাকলেই হলো, তুমি যতোবার ইচ্ছে কুমারী হয়ে যাও ।…..
…..মেঘনা বললেন, খ্রিস্টধর্মীদের প্রভাবে বাঙালির নবজাগরণ সংস্কৃতি যোনির মুখে পাতলা চাদরটাকে বাধা হিসেবে দেখেছিল আর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে তা হলো একজন মেয়ের কুমারীত্ব চিহ্নিতকারী । এই ধরনের অদ্ভুত ধারণা শুধুমাত্র এমন সমাজে উদ্ভাবিত হতে পারে যেখানে নারী আক্ষরিক অর্থে সম্পত্তি, যোনি তাদের সবচেয়ে মূল্যবান পুঁজি । এই পুঁজির মালিকের জন্য অপেক্ষা করতে হয় মেয়েদের । যে সমাজ যতো গোঁড়া সেখানে এই পুঁজির ততো দাম । ….
…..বারিদবরণ বলে উঠলো, তবে ? অসম্ভব তো কপচাচ্ছিস কেন ? সত্য বলে কিছু হয় না । আমিই সত্য, বাদবাকি সব মিথ্যা । তুই এবার শঙ্খমালাকে ছাড় দিকিনি । বক্তিমে ঝাড়ছিস আবার সেই ফাঁকে ওর ঠোঁটের তলাকার তিলে জিভ বোলাচ্ছিস । বলতে-বলতে বুকের খাঁজেও হাত দিয়ে নিলি ।
শ্যামসুন্দর বলল, এই তিল আর বুকের খাঁজের জন্যেই বুঝতে পারছি এই মেয়েটাই উচ্চমাধ্যমিকের সময়ে দেখা পদ্মা নামের মেয়েটাই ।
শঙ্খমালা মুখ তুলে শ্যামসুন্দরের দিকে তাকিয়ে বলল, হ্যাঁ গো, আমিই পদ্মাবতী । বুকের কাপ সাইজ বাড়িয়েছি ব্রেস্ট ইমপ্ল্যান্ট করিয়ে, আর ঠোঁটের তলাকার তিলটা তো উল্কি । সিঙ্গাপুরে গিয়ে চার হাজার ডলারে ইমপ্ল্যান্ট করিয়েছিলাম । কোনো কোনো ক্লায়েন্ট উত্তেজনা চাপতে না পারলে তাদের বলে দিই যে বুকে সিলিকন জেলের বল ইমপ্ল্যান্ট করা আছে, বেশি জোরাজুরি করলে ফেটে বিপদ ঘটে যেতে পারে । ….
…..জীমূতবাহনের তৃতীয় বন্ধু, বারিদবরণ কর্মকার, ওরফে বেরি, যে নিজের সিটে বসে ঢুলছিল, হয়তো তন্দ্রাচ্ছন্নতায় সবায়ের কথাবার্তা শুনছিল, হঠাৎই ভবতারিণীকে বলল, তুমি খুব সুন্দর দেখতে গো, হুবহু এলিজাবেথ টেলর, আই লাভ ইউ, আমি তোমার ফোলা-ফোলা ফর্সা গালটা টিপবো ? ভবতারিণী অনুমতি দেবার আগেই বারিদবরণ উঠে দাঁড়িয়ে ডান হাত দিয়ে গাল টিপে রইলো কিছুক্ষণ, আর ঠোঁট এগিয়ে চুমু খেলো রিনিকে । কালো শিফন শাড়িতে জরি দিয়ে তৈরি নানারকম নক্ষত্র রিনিকে সেক্সুয়ালি আকর্ষক করে তুলেছিল । বারিদবরণের মুখের ভেতরে জিভ ঢুকিয়ে রিনি বলল, চুমু খেতে শেখোনি, বুঝতেই পারছি ।….
……ভবতারিণী হেসে উচ্ছ্বসিত শ্বাস উড়িয়ে বলল, ককটেলের । কালকে একটা ব্লাইন্ড সেক্সের পার্টি ছিল, আমি একজন ইনড্রাস্টিয়ালিস্টের এসকর্ট ছিলাম । সবাই মুখোশ পরে অন্ধকার ঘরে নাচতে নাচতে মিউজিক বন্ধ হবার মুহূর্তে নিজের সঙ্গী বেছে নেবে, এরকম খেলার নিয়ম করা হয়েছিল । আমার ভাগ্যে পড়লো একজন ছোকরা, আমার চেয়ে বয়স বেশ কমই হবে । সে আমাকে সারারাত জাগিয়ে চটকামটকি আর ডলাডলি করেছে । আনকোরা বলে ছোকরাটা আমাকে তিনবার অরগ্যাজম দিয়েছে ; আই অ্যাপ্রিশিয়েট হিজ ডিভোশান অ্যান্ড এনার্জি । তাই আমার এখন ঘুম পাচ্ছে । যাক, থ্যাঙ্ক্যিউ বেরি, আমি পর্দার পেছনে শোবার জায়গায় শুতে যাচ্ছি ।…..
…..শ্যামসুন্দর বলল, অরগ্যাজম ব্যাপারটা শুনেছি বটে, তার সঙ্গে শুনেছি জি স্পট । ওগুলো যে কী ব্যাপার তা বুঝিনি ! বাংলায় বেশ কাব্যিক শব্দ আছে, রাগমোচন, ফালতু বক্কাবাজি ।
শঙ্খমালা শ্যামসুন্দরকে বলল, তুমি যখন আমার সঙ্গে শোবে তখন বুঝিয়ে দেবো, ধাপে-ধাপে কী-কী ঘটছে আমার দেহে তা তুমি টের পাবে । অতো সহজে মোচন শেষ হয় না যে তুমি বলবে রাগমোচন ।
জীমূতবাহন বলল, ভবতারিণী এক্সপ্লেন করতে পারবে ।
ভবতারিণী বলল, বলছি, যেটুকু জানি, বলছি । শঙ্খমালা ঠিকই বলেছে, রাগমোচন বললে মনে হয়ে ব্যাপারটার সমাপ্তি ঘটলো । তা কিন্তু নয় ।অর্গাজম মানে উত্তেজনা বা ফুলে যাওয়া বা যৌনতার ক্লাইম্যাক্স, যা একজন বয়ঃসন্ধিতে নিজেও ঘটায়, সঙ্গী বা সঙ্গিনী ছাড়া, যাকে স্বমেহন বলে । ব্যাপারটা হলো যৌন প্রতিক্রিয়া-চক্রের সময় জমে-ওঠা যৌন উত্তেজনার চরম আকস্মিক স্রাব, যার ফলে পাছায় ছন্দময় পেশী সংকোচন হয় যা যৌন আনন্দ হয়। পুরুষ আর নারীর অর্গাজমগুলো অনিচ্ছাকৃত বা স্বায়ত্তশাসিত স্নায়ুতন্ত্র দিয়ে নিয়ন্ত্রিত হয়। শরীরের নানা এলাকায় পেশীবহুল খিঁচুনি ওঠে আর উচ্ছ্বাস ঘটে । দেহ আপনা থেকেই নড়াচড়া করে । অনেকের মুখ দিয়ে আওয়াজ বেরোয় যাকে বলে শীৎকার । অর্গাজমের পরের সময়টা, মানে রাগ যখন মোচন হয়ে যায়, তখনকার অভিজ্ঞতা ঢলে পড়ার মতন । আসলে নিউরোহরমোন অক্সিটোসিন, প্রোল্যাক্টিন আর সেইসাথে এন্ডোরফিন বা ভেতরের মরফিন বেরিয়ে যাবার একটা আরামদায়ক শিথিলতা তৈরি হয় ।…..
….. বেরি রিনির বুক থেকে মাথা ওঠালো না, বলল, মা তো তেমনভাবে ছিল না, বিয়ে করব কী না, করলে ভালোবাসবো কী না, তা জানি না । রিনির ঠোঁট স্পর্শ করার সাথে সাথে ওর ঠোঁট নিজের মস্তিষ্কে ঢেউ তুলছিল , যেন সেগুলো কিছু অস্পষ্ট কথাবার্তার বাহন আর সেগুলোর মধ্যে বারিদবরণ কোনো অজানা ভয়ের চাপ অনুভব করছিল, স্খলনের চেয়েও গাঢ়, শব্দ বা গন্ধের চেয়েও নরম।
–তুমি এমন কাঁদুনে খোকা যে কন্ডোম পরতেও জানো না, বলল ভবতারিণী ।
বেরি ভালো করেই জানে যে প্রতিটি বীর্যপাতের মধ্যে কয়েক কোটি শুক্রাণু কোষ, বা প্রায় যতো মানুষ পৃথিবীতে আছে, ততো সংখ্যক, যার মানে হল যে, প্রতিটি মানুষ নিজের মধ্যে একটি সমগ্র বিশ্ব ধরে রাখে। যা ঘটবে, বা কি ঘটতে পারে, তা হল সম্ভাবনার পূর্ণ পরিসর । তাতে থাকতে পারে নির্বোধ এবং প্রতিভাবান, সুন্দর এবং বিকৃত, সাধু, উন্মাদ, চোর, ফাটকাবাজারি আর সঙ্গীতশিল্পী। প্রতিটি মানুষ, তাই, সমগ্র জগত, তার জিনের মধ্যে সমস্ত মানবজাতির স্মৃতি বয়ে বেড়ায় । বারিদবরণের লিঙ্গ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল ।…..
…..ভবতারিণী বলল, তারপর বেরিকে টেনে আবার নিজের ওপর তুলে যোগ করল , কী আবার হবে, ভাগ্যিস বেরি লুঙ্গি পরে আছে, ওর ভয় আর আদরের অভাব মেটাতে সুবিধা হবে । শাটার টেনে দিলো রিনি । রিনির বুকে মুখ গুঁজে, রিনির হাতের নির্দেশ মেনে, কণ্ডোম পরার পর, রিনি ফিসফিস করে ‘ওখানে নয়, ওখানে নয়, এখানে’ বলতে, মিনিট কয়েকেই ভালোবাসার প্রক্রিয়া পুরো করে ফেললো বারিদবরণ । বেরির কানে আলতো কামড় দিয়ে রিনি বলল, কখনো প্রেমে পড়োনি তো ? এখন ব্যাপারটা কেমন ভয়ংকর মনে হচ্ছে, তাই না? এখন তোমার মগজ খুলে গেল, তোমার হৃদয়কেও খুলে দিল । বুঝতে পারছ তো, কেউ তোমার ভিতরে ঢুকে তোমাকে বিভ্রান্ত করে দিয়েছে, অথচ ভেতরে আমি ঢুকিনি, তুমিই আমার ভেতরে ঢুকে এলে। মানুষের কান্নায় এমন সৌন্দর্য থাকে যে তা সত্যিকারের হৃদয়ের একজন মানুষকে মেলে ধরে। …..
….–আমায় বলছো ? জিগ্যেস করলো শঙ্খমালা । তারপর জীমূতবাহনকে বলল, তুমি বারিদবরণ আর ভবতারিণীকে বলো আমাদের সিটে আসতে । আমি আর শ্যামসুন্দর গিয়ে শুই দুজনে মিলে ।
শ্যামসুন্দর শঙ্খমালার দিকে তাকিয়ে বলল, পদ্মাবতী, তোমাকে সেই কবে থেকে চেয়েছি । শঙ্খমালা, শ্যামসুন্দরকে চুমু খেয়ে বলল, যতোবার চাও পাবে, কিন্তু বইপোকাদের আমার ভাল্লাগে না । আমার কার্ড দিয়ে দেবো । জীমূতবাহন গাড়ি থামাবার পর শঙ্খমালা আর শ্যামসুন্দর পেছনে শোবার জায়গায় গেলো । ভবতারিণী আর বারিদবরণ বাইরে বেরিয়ে পেচ্ছাপ করে নিলো । ভবতারিণী গাছের গুঁড়ির আড়ালে । বারিদবরণ আকাশের দিকে তুলে ।
দুজনে পাশাপাশি শোবার পর উতলা শঙ্খমালা বলল, আমার ইউটেরাস আছে; ঘাসপাতার ওপরে আমি শকুন্তলা হয়ে তোমাকে তিনবার দুষ্মন্ত করেছি ।
স্যামি গালে গাল রেখে বলল, বইয়ের সীমা থাকে, যৌন মিলনের সীমা থাকে , শরীরের ভাষা পড়ার ইচ্ছা অসীম; এটা আমাদের নিজেদের মৃত্যু, আমাদের ভয়, শান্তির আশাকে ছাড়িয়ে যায়, বুঝলে শঙ্খমালা ।
সালোয়ার আর কুর্তা খুলে মেয়েটি বলল, বুঝেছি বুঝেছি বুঝেছি, …..শঙ্খমালা উঠে বসল, নগ্ন, জিগ্যেস করল, কবিরা এতো নিষ্ঠুর হতে পারে ?
শ্যামসুন্দর বলল, শোও, শোও, কবিরা নির্দয় হয়, শুনেছি আমার কবি বন্ধুদের মুখে ।…..
……ভবতারিনী যখন ওকে কণ্ডোম পরিয়ে দিল, অমিতবিক্রম বলল, তুমি তো অন্ধকারকে আগুনের রঙে রাঙিয়ে নিয়েছো । আধোশীতের রাতে অনেক অজানা রহস্য আবিষ্কার করতে লাগলো ভিকি। ও ভেবেছিল যে একজন যুবতী লজ্জায় গুটিয়ে থাকবে । রিনির দেহে দেহ ঠেকাবার সময় অনুভব করলো, এখন, ও নিজের প্রকৃতির আসল শেকড়ের কাছে এসেছে, আর মূলত নির্লজ্জ হতে পারছে। ও এখন কামুক, স্বতঃপ্রবৃত্ত, নগ্ন আর নির্লজ্জ। ভিকি যেন বিজয় করতে চলেছে, প্রায় একটা অহংকারকে কব্জা করতে পারছে ! ও একজন যুবতীর নিজের চূড়ান্ত নগ্নতা উপভোগ করছে, অন্য একজনের সত্তার অস্তিত্ব দখল করে ফেলছে।চুমু কপালে, চুমু চোখের পাতায়, চুমু গালে, চুমু কানের লতিতে, চুমু বুকে, চুমু নাভিতে, চুমু যোনিতে, জিভ যোনিতে ।……