…..কাজরী তার দুই উরু পরিতোষের কাঁধের সঙ্গে জোরে চেপে ধরেছে। তাতে পরিতোষের বিন্দুমাত্র রোমাঞ্চ হল না। মানবচরিত্র তিনি ভালোই বোঝেন। কাজরীর মতন সুন্দরী রমণী যে এরকম শারীরিক ঘনিষ্ঠতা দিতে চাইছে, তার পেছনে আছে স্বার্থ। অল্পবয়েসে এইরকম স্বার্থবোধ থাকে না, তখন ঝোঁকের মাথায় মানুষ নিজের কত ক্ষতিও করে ফেলে। তারপর বাস্তবের সঙ্গে ঠোক্কর খেতে খেতে মানুষ আস্তে-আস্তে কঠিন হয়ে ওঠে। কাজরী এরকম অনেকগুলো ঠোক্কর খেয়েছে।….
…..পরুদা কাজরীকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিজের কাছে টানেনি, এ কথা কাজরী স্বীকার করতে বাধ্য, কাজরীই নিজে থেকে যেত চুম্বকে আকৃষ্ট হয়ে। শুধু হিরো ওয়ারশিপ নয়, কাজরীর তখন মনে হয়েছিল সেটাই প্রেম। জীবনের প্রথম চুম্বন সে পায় পরুদার কাছ থেকে। পরুদার তখন সিনেমার অনেক নায়িকার বাড়িতে যাতায়াত, উঠতি নায়িকারা তাকে অনেক কিছু দিতে রাজি, পরুদা সেইজন্যই কাজরীর প্রতি কখনও লোভ দেখায়নি, সতেরো বছরের একটি ব্যাকুল যুবতীকে সে আদর করত যেন দয়া করে, কাজরী তাতেই ধন্য হয়ে গিয়েছিল। একদিন সেই অবস্থায় চুমু খাওয়ার মুহূর্তে এসে পড়েছিল কাজরীর ছোট বোন। বাবা-মা’ও কী যেন সন্দেহ করেছিলেন, তবু কাজরী লুকিয়ে- লুকিয়ে চলে আসত, পরুদার কাছে সমস্ত পোশাক খুলে ফেলতেও সে দ্বিধা করেনি। সকালবেলা সদ্য ফোটা ফুলের মতন কাজরীর নরম, পবিত্র শরীরে হাত ছোঁয়াবার আগে পরুদা বলেছিল, ইস তুই কী সুন্দর রে, তোকে যে বিয়ে করবে, সে ধন্য হয়ে যাবে।
কাজরীকে নিজের করে পাওয়ার কিংবা তার সঙ্গে কোনওরকম হৃদয়-সম্পর্ক স্থাপন করার চিন্তা স্বপ্নেও স্থান দেননি পরিতোষ। তিনি যেন নিরাসক্তভাবে এই উৎসুক যুবতীকে যৌবন ধর্মে দীক্ষা দিচ্ছিলেন। ……
……কাজরী এগিয়ে এল পরিতোষের দিকে। তার শরীরে একটা অতি পাতলা নীল রঙের রাত পোশাক। মেয়েরা সাধারণত ঘরের বাইরে বেরুতে হলে এর ওপর আর একটা কিছু চাপিয়ে নেয় । কিন্তু কাজরী এখানে কারুকে বাইরের লোক মনে করে না।
রোদ্দুরের দিকে আসতেই কাজরীর সেই পাতলা পোশাক ভেদ করে শরীরের সবক’টি রেখা দেখা গেল। স্তনদুটি একে পরিষ্কার। সেদিকে তাকিয়ে বিমানই বরং একটু লজ্জা পেয়ে গেল। পরিতোষ কিন্তু কাজরীর শরীরের দিকে একবারের বেশি তাকালেনই না। রেলিং ধরে চেয়ে রইলেন রাস্তার দিকে ।…..