ক্ষমা করাে, হে প্রভু – রূপক সাহা

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..তার আগে স্নান সেরে শুদ্ধ হয়ে নেওয়া দরকার। বাথরুমে যাওয়ার জন্য পরনের জামাকাপড় খুলে ফেলল পুরন্দর। তারপর নগ্ন শরীরে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াল। কোনও একটা কাজ সেরে আসার পর হস্তমৈথুন করা পুরন্দরের বরাবরের অভ্যেস। বীর্যপাত করার পরই ও নিশ্চিত হয়ে যায়, কাজটা সুসম্পন্ন হয়েছে। নেহাতই কুসংস্কার। আর এরকম বহু কুসংস্কার নিয়ে শিশু বয়স থেকে ও বেড়ে উঠেছে, পুরীর মন্দির সংলগ্ন এক কর্মীর আশ্রমে, কঠিন অনুশাসনের মধ্যে দিয়ে। কৈশােরেই ওকে বলে দেওয়া হয়েছিল, নারীসম্ভোগ করার জন্য ওর জন্ম হয়নি। দেবসেবার জন্য ওর জীবন উৎসর্গ করা হয়েছে। কোনও নারীর সঙ্গে যদি কোনওদিন ও সহবাস করে, তাহলে ওর ভয়ঙ্কর চর্মরােগ হবে। দেবতার রােষে সেই চর্মরােগ কোনওদিনই সারবে না। সারা শরীরে ক্ষত, আমৃত্যু ওকে বয়ে বেরাতে হবে। ওই আশ্রমেরই ওপরতলায় তালিম দেওয়া হত, দেবদাসীদের। চোখের সামনে অসামান্যা সুন্দরী নর্তকীরা ঘুরে বেড়াত। তাদেরই একজন অম্বালিকাকে দেখে পুরন্দরের তীব্র কামচিন্তা হত। কিন্তু বহুবার সুযােগ পাওয়া সত্ত্বেও তাকে স্পর্শ করার দুঃসাহস কখনাে হয়নি পুরন্দরের।…..

…..আয়নার সামনে দাঁড়িয়েই নিজের লিঙ্গটা নিয়ে খেলা করতে লাগল পুরন্দর। স্নানসিক্ত অম্বালিকার নগ্ন দেহটা ও চিন্তা করতে লাগল। পাকা ডালিমের মতাে ঠোটে ও চুম্বন করতে থাকল। গাঢ় চুম্বন কামনায় ওর নিশ্বাস ভারী হয়ে এল। কল্পনায় চুম্বন করতে করতে মুখটা ও নামিয়ে আনল অম্বালিকার স্তন পর্যন্ত। সুডৌল স্তন দুটির কথা ভাবলেই পুরন্দরের যৌন ইচ্ছা দ্বিগুণ বেড়ে যায়। স্তনে কিছু সময় হাত বােলানাের পর, অম্বালিকার ঈষৎ বাদামি স্তনবৃন্ত দুটি, মনে মনে চুষতে লাগল পুরন্দর। কিন্তু আশ্চর্য, অন্যদিন ওর লিঙ্গ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। আজ তা হল না। অম্বালিকার সরু কোমরটা ধরে, মনে মনে ওকে নিজের শরীরের সঙ্গে মিশিয়ে দিল পুরন্দর। কিন্তু অনুভব করল, লিঙ্গে কোনও উত্তেজনাই টের পাচ্ছে না। হতাশ হয়ে ও বিছানায় বসে পড়ল।…..

……ওয়ারড্রোব থেকে তােয়ালেটা টেনে নিয়ে, তাই বাথরুমে ঢুকে পড়ল পুরন্দর। প্রায় তিন মাস হল, ও আশ্রমের বাইরে। কাজ উপলক্ষেই প্রায় একমাস ও ছিল মায়াপুরের এক মন্দিরে। সেখানকার গেস্ট হাউসে হঠাই ভুল করে অন্য এক অতিথির ঘরে ও ঢুকে পড়েছিল। তখনই ও এক বিদেশি নারীর নগ্ন শরীর দেখে। সেই নারী সঙ্গম করছিল এক স্থানীয় পুরুষের সঙ্গে। বিদেশিনীর পা দুটি সেই সময় পুরুষের কাঁধের ওপর বেড় দেওয়া। তার শিকার ধ্বনি, রতিতৃপ্তির চুড়ান্ত মুহূর্তটি, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছিল পুরন্দর। ওরা টেরও পায়নিও, একজন বহিরাগত ওদের সঙ্গম দেখছে।

নিঃশব্দে পুরন্দর ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিল। জীবনে সেই প্রথম ওরও ইচ্ছে হয়েছিল, নারীসঙ্গম করার। কিন্তু নিজেকে ও নিবৃত্ত করে, ঘরে ফিরে হস্তমৈথুন মারফত ও শরীরের উত্তেজনা কমায়। হয়তাে নারীসঙ্গমের সেই ইচ্ছেটাই ওর অবচেতন মনে লুকিয়ে রয়েছে। নারীর তপ্ত শরীর না পেলে ওর লিঙ্গ দৃঢ় হবে না। হয়তাে সেই কারণেই মনােসংযােগে সাময়িক বিচ্যুতি ঘটছে। কথাটা মনে হওয়ার পরই নিশ্চিন্তে পুরন্দর শাওয়ারের নিচে এসে দাঁড়াল।……

…..ভুজিয়াওয়ালার দোকান থেকে কী কিনে যেন নেমে আসছিল। ওকে দেখেই মেয়েটা বলে উঠল, আপনি? কবে এলেন? | বলেই নিচু হয়ে পা ছুঁতে গেল। মেয়েটার পরনে ঢিলে টপ, আর জিনসের প্যান্ট। স্তন দুটো ঠেলে বেরিয়ে আসছে। ও নিচু হওয়ার সময় ফর্সা স্তন দুটো দেখে পুরন্দরের সারা শরীর শিরশির করে উঠল। এক পা পিছিয়ে এসে ও বলল, মা, তুমি? 

‘চিনতে পারলেন না? আমি কালীপদ ভটাচাযের মেয়ে ছােটন। এই কাছেই কোয়ার্টার্সে থাকি। আপনি ভুলে গেছেন বােধহয়।…..

……মেয়েটার গা থেকে সুগন্ধি ভেসে আসছে। ওর কমলা কোয়ার মতাে ঠোট ভিজে আছে লাল টকটকে লিপস্টিকে। সেদিকে তাকিয়ে পুরন্দর টের পেল, ধুতির নীচে ওর লিঙ্গ দৃঢ় হয়ে উঠছে। রাতে হস্তমৈথুন করে নিলেই হবে। আপাতত, এই মেয়েটার সামনে থেকে চলে যাওয়া দরকার। কথাগুলাে বলেই ও সামনের দিকে পা বাড়াল।…..

…..মেয়েটাকে এক নজরেই পুরন্দর চিনতে পেরেছিল। পাঁচ বছর আগে, তখন ছিল কিশােরী, এখন যুবতী। মেয়েটাকে ওর খুব ভালােমতাে মনে আছে, একটাই কারণে। কেননা, ওই বাড়িতে রাত্রিবাসের সময় সেদিন মেয়েটার চোখে পুরন্দর কামনার আগুন দেখেছিল।…..

……কিট ব্যাগের ভেতর ওর বাইনােকুলারটা রয়েছে। সেটা বের করে, মঞ্চের দিকে তাকাল পুরন্দর। এ বার স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে। মেয়েটার পােশাকই বলে দিল, গাইতে এসেছে। মুখে চড়া মেক আপ। ঊধ্বাঙ্গ প্রায় অনাবৃতই। দুধ বেয়ে নেমে আসা দুটো সরু স্ট্যাপওয়ালা, চুমকি দেওয়া টপ পরেছে। স্তন দুটো ঠেলে বেরিয়ে এসেছে। কাধ, বাহুসন্ধি দেখা যাচ্ছে। গান গাইতে গাইতে মেয়েটা নাচছে, নাচাচ্ছে। আত্মীয় স্বজনের বিয়েতে কেউ এ ভাবে মঞ্চে উঠে গায় না। বাইনােকুলার দিয়ে মেয়েটাকে দেখতে দেখতে পুরন্দর অনুভব করল, ওর লিঙ্গ দৃঢ় হয়ে উঠেছে। স্নান সেরে আসার পর, ও তখনও নিজের পােশাক পরেনি। বাইনােকুলারটা টেবলের ওপর রেখে, পুরন্দর কোমরে একটা ভােয়ালে জড়িয়ে নিল।…….নাম শুনে হাত থেকে বাইনােকুলারটা কার্পেটের ওপর পড়ে গেল। অম্বালিকা…..মেয়েটার নাম অম্বালিকা! নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারল না পুরন্দর। অম্বালিকা নামটা ওর যৌন ইচ্ছা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল।…..

…..উত্তেজনা প্রশমন করে দরজা খুলল পুরন্দর। দেখল, সারা শরীরে যৌনসম্ভার নিয়ে অম্বালিকা দাড়িয়ে আছে। পােশাক বদলে নিয়েছে। পরনে ঢিলে টপ আর ঘাঘরা। ……মেয়েটার সুডৌল স্তন দুটো ওর প্রায় বুকের কাছে। ইচ্ছে করলে পুরন্দর তার মাঝে মুখ ডুবিয়ে দিতে পারে। কিন্তু নিজেকে নিবৃত্ত করল ও। তাড়াহুড়াের কিছু নেই। মেয়েটার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদটা ও সেরে ফেলতে পারত। কিন্তু ওকে স্পর্শ করার লােভ সামলাতে না পেরে, দু’হাতে মুখ টেনে এনে, কপালে চুমু খেয়ে পুরন্দর বলল, মনস্কামনা পূরণ হােক।……

…..এলাে চুলে খােপা করছে অম্বালিকা। হাত দুটো মাথার ওপরে। টপ-এর একটা অংশ উঠে যাওয়ায়…ওর কোমরের খাজটা দেখা যাচ্ছে। মাখনের মতাে কোমল সেই অংশটা। ওখানে চুমু খাওয়ার ইচ্ছে অতি কষ্টে দমন করল পুরন্দর। মেয়েটা মন্দ বলেনি।…..

……সােফায় বসে পুরন্দর ঠাট্টা করে বলল, ‘সেবা করার ইচ্ছে থাকলে তাে, এখানেই করতে পারাে। বাড়িতে যাওয়ার দরকারটা কী? | কথাটা সত্যি বলে ধরে নিল অম্বালিকা। উৎসাহে ধপ করে কার্পেটের ওপর বসে পড়ল। তারপর বলল, ও মা, তাই! দিন তাে, আপনার পা দুটো দিন। আগে পদসেবা করি। জানেন, মা পদসেবা না-করলে….পদ্মনাভ মহারাজের ঘুমই আসে না। স্নান সেরে, শুদ্ধ হয়ে রােজ রাতে মা ওঁর ঘরে পদসেবা করতে ঢােকে। বলে, এতে নাকি পুণ্যি হয়। আপনি উঠুন তাে। বিছানায় টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। পদসেবা করে আমি আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি।

কথাগুলাে বলেই হাত ধরে টানতে লাগল অম্বালিকা। মেয়েটার কি বুদ্ধিশুদ্ধি বলে কিছু নেই? নিজেই নিজের সর্বনাশ করার জন্য কেন ওকে বিছানায় নিয়ে যাচ্ছে? এরপর পুরন্দর তাে নিজেকে আর সামলাতে পারবে না। মেয়েটা নাছােড়বান্দা দেখে, অগত্যা বিছানায় উঠে, আধশােয়া অবস্থায় পা দুটো টানটান করে দিল পুরন্দর। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটাও বিছানায় উঠে বসেছে। পায়ের পাতায় ওর কোমল হাত দুটো বুলিয়ে দিচ্ছে। সারা শরীর কেঁপে উঠল পুরন্দরের। সংযমের বাঁধ আর কতক্ষণ আটকে রাখতে পারবে, ও বুঝতে পারল না। কিন্তু ওর মন বলল, তাড়াহুড়াে করার দরকার নেই। মেয়েটা নিজে থেকেই ধরা দিয়েছে। তাই চোখ বুজে, সুখানুভূতিটা ও নিতে শুরু করল।

কথা বলতে বলতে পুরন্দরের ডান পা নিজের কোলের ওপর তুলে নিয়েছে অম্বালিকা। পদসেবা করছে। ওর দুটো হাত পুরন্দরের উরুর কাছাকাছি পৌছে, ফের পায়ের পাতার দিকে নেমে যাচ্ছে। চোখ খুলে একবার অম্বালিকার দিকে তাকাল পুরন্দর। একজন পরপুরুষের কোন অঙ্গে হাত দিচ্ছে, মেয়েটা কি বুঝতে পারছে না? না কি নরনারীর যৌনসম্পর্ক সম্পর্কে ওর কোনও ধারণা নেই? বা আগে কোনও অভিজ্ঞতাও হয়নি। মেয়েটাকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছে, পদসেবা করে আনন্দ পাচ্ছে। বােধহয় পূজ্যপাদ পদ্মনাভর সঙ্গে ওকে একই পঙক্তিতে ফেলে দিয়েছে। ও জানবে কী করে, পুরীর মন্দিরের পুণ্যাত্মাদের সঙ্গে পুরন্দরের কোনও যােগাযােগই নেই? প্রশ্নগুলাে মনে আসার সঙ্গে সঙ্গে, মেয়েটা ওর বাঁ পা-টাও কোলে তুলে নিল। তখনই ডান পা মেয়েটার জঘর খাঁজে আটকে গেল। ঘাঘরার নীচে নরম অঙ্গের স্পর্শ পেতেই পুরন্দরের সারা শরীরে তীব্র শিহরণ। একটা হিংস্র প্রাণী শরীরে দাপাদাপি শুরু করেছে। এই সময় মনে মনে নিজেকে ধন্যবাদ দিল পুরন্দর। ভাগ্যিস, অন্তর্বাস পরেছিল! না পড়লে, মেয়েটার কাছে ধরা পড়ে যেত।…..

……শুনে পুরন্দর আর স্থির থাকতে পারল না। সহবাস করার ইচ্ছেটা উবে গিয়ে, এই প্রথম মেয়েটাকে ধর্ষণ করার কথা ও ভাবল। প্রথমে হাত দুটো ধরে ও থামাল। তারপর এক হ্যাচকায় অম্বালিকাকে বুকের ওপর টেনে এনে বলল, “থাক, আর পদসেবা করতে হবে না। এ বার লিঙ্গসেবা করাে। | কোনও প্রতিরােধ নেই। কোনও অনিচ্ছা প্রকাশের ইঙ্গিত। অম্বালিকা ওর শরীরটা বুকের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। ওর নরম স্তন দুটো বুকের সঙ্গে মিশে আছে। ওর মুখটা দু’হাতে তুলে ধরে চুমু খেতে শুরু করল পুরন্দর। মায়াপুরের গেস্ট হাউসে এক বিদেশিনীকে ঠোঁট চুষতে দেখেছিল ও। সেই দৃশ্যটা চোখের সামনে ভেসে উঠতেই, অম্বালিকার ঠোট দু’টো ও চুষতে লাগল। চোখ বুজে মেয়েটা এ বার ওর শরীরের ওপর উঠে এসেছে। এর গলাটা দু’হাতে আঁকড়ে ধরেছে। উঠে বসে দ্রুত ধুতিটা খুলে ফেলল পুরন্দর। ওর নগ্ন দেহটা দেখে, অম্বালিকার কী প্রতিক্রিয়া হয়, তা লক্ষ্য করার জন্য তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাল। মেয়েটা টপ খুলে সােফায় ছুঁড়ে দিয়েছে। ঘাঘরার ক্লিপ আলগা করে, পায়ের নীচে নামিয়েছে। তারপর বিস্ফারিত চোখে একবার ওর নগ্ন দেহের দিকে তাকিয়ে, নিজেই চিত হয়ে শুয়ে পড়ল।…..

……রাত প্রায় একটা সময় কলুটোলার বস্তিতে ফিরে পুরন্দর শুনল, মােহান্তি নেই। রান্নার কাজ নিয়ে ব্যারাকপুরে কোন এক বিয়েবাড়িতে গেছিল। কাল সকালের আগে সে ফিরতে পারবে না। ওর বউ ফুলি দরজা খুলে দেওয়ার পর, ফিক করে হেসে খবরটা দিল। দু’দিন ফুলির দিকে পুরন্দর ভাল করে তাকায়নি। ওকে হাসতে দেখে পুরন্দরের শরীরটা শিরশির করতে লাগল। ফুলির পরনে কমদামি ছােপছােপ শাড়ি। ওড়িয়া মেয়েদের মতাে কাছা মেরে পরা। মাংসল দুই উরুতে শাড়ি লেপ্টে রয়েছে। নাকে বড় বাসনি, কানে তাতঙ্কা। মুখে বােধহয় স্লেপাউডার জাতীয় কিছু মেখেছে। দেখতে মন্দ লাগছে না ওকে। পলকে মন্দিরের মাহেলিদের কথা মনে পড়ে গেল পুরন্দরের। দুই অম্বালিকার কথাও। ও দেখল, দরজা খােলা রেখেই, কোমর দুলিয়ে ফুলি ঘরে ঢুকে গেল। দেখে পুরন্দর আর নিজেকে সামলাতে পারল না।…….ফুলি চাপাস্বরে জিজ্ঞেস করল, কিছু দরকার?

দরজায় খিল লাগিয়ে পুরন্দর বলল, তােমাকে। কথাটা বলেই পাজাকোলা করে ও তুলে নিল ফুলিকে। সময় নষ্ট না করে, ওর দুই স্তনের মাঝখানে মুখ ঘষতে লাগল। মিনিট খানেকের মধ্যেই, পুরন্দর টের পেল, ফুলির দেহটা গরম হয়ে গেছে। ঠোট দুটো ফাক করে, ও চোখ বুজে রয়েছে। ঠোটে দীর্ঘচুম্বন দিয়ে, চৌকির ওপর ওকে শুইয়ে দিল পুরন্দর। তারপর নিজের পােশাক খুলতে লাগল। ওর ফর্সা নগ্নদেহটা দেখতে দেখতে ফুলি অবাক চোখে উঠে বসেছে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফুলি, নিজেকে নগ্ন করে, আদুরে গলায় বলল, লক্ষটা নিভিয়ে দাও না গাে।……

……লম্ফ নেভানাের জন্য কুলুঙ্গির সামনে গিয়েই পুরন্দর চমকে উঠল। পুজোর আসনে শ্রীচৈতন্যদেবের বাঁধানাে ছবি। ফুলের মালা ঝুলছে, ধূপদানিতে আধপােড়া ধূপ। মােহান্তিরা তা হলে এই লােকটাকে পুজো করে? উৎকলবাসী অসংখ্য মুখের মতাে, ফুলিরাও এই ধাপ্পাবাজের শিকার? ঘৃণায় মুখ কুঁচকে উঠল পুরন্দরের। তখনই ঠিক করে নিল, ফুলিকে নির্মমভাবে মারবে। পাশ ফিরে ও দেখল, নগ্ন পা দুটো ছড়িয়ে ফুলি শুয়ে আছে। বিবাহিতা নারী, যৌন ছলাকলায় অভ্যস্ত। ওর ওপর পাশবিক অত্যাচারের প্রস্তুতি নিয়ে, লম্ফটা নিভিয়ে দিল পুরন্দর। তারপর ঝাপিয়ে পড়ল। বিছানার এক পাশে ফুলির কাঁচুলি পড়ে আছে। প্রথমেই সেটা ওর মুখের ভেতর গুঁজে দিল। যাতে চিৎকার কতে না পারে। তারপর থাবা বসাল দুই স্তনে। নখের আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দিল। ফুলির চোখমুখে আতঙ্ক দেখে খুশি হল পুরন্দর। ওকে আরও যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য ঠোট কামড়ে ধরে ওর জ্বালা মেটাতে লাগল। নাক কেটে বাসনি খুলে পড়েছে। নাক আর ঠোটের পাশ দিয়ে রক্ত বেরিয়ে এসেছে। বিছানা থেকে উঠে পড়ার জন্য ফুলি ছটফট করছে। দু’হাত দিয়ে ও প্রাণপণ ঠেলছে পুরন্দরকে। কিন্তু পারবে কেন? পুরন্দরের গায়ে যে অসুরের মতাে শক্তি। একটা সময় ফুলির গোঁখানি বন্ধ হয়ে গেল। আর তখনই পুরন্দর রতিক্রিয়া শুরু করল।

তৃপ্ত হওয়ার পর, ফুলির মৃতদেহ ফেলে রেখে পুরন্দর যখন বাইরে বেরিয়ে এল,……

……ট্রেনের আপার বার্থে শুয়ে, ফুলির তপ্ত শরীরটার কথা মনে করতেই পুরন্দর উত্তেজনা অনুভব করল। সঙ্গে সঙ্গে অম্বালিকার নগ্ন দেহটার কথাও ওর মনে হল। দিন তিনেকের ব্যবধানে দুই ভিন্ন নারীর সঙ্গে ও যৌনক্রিয়া করেছে। দীর্ঘদিনের সুপ্ত কামনা পূরণ করতে পেরেছে। পুরন্দরের মনে হল, কুমারী অম্বালিকা ওকে সেই তৃপ্তি দিতে পারেনি, ও ফুলির কাছে পেয়েছে। বিবাহিত নারীর সঙ্গে সঙ্গম করার অনুভূতিই আলাদা। অম্বালিকা ওকে বাধা দেয়নি। উল্টে, সঙ্গমের সময় নিজেও অংশ নিয়েছিল। ওর শীৎকার ধ্বনি শুনে খুব অল্প সময়ের মধ্যে পুরন্দরের বীর্যপাত হয়ে যায়। কিন্তু ফুলি প্রতিরােধ করায়, পুরন্দর পৌরুষ দেখানাের সুযােগ পেয়েছে। ফুলির মেদহীন শরীর ধীরে ধীরে শিথিল হয়ে গেছিল। ফলে দীর্ঘসময় ধরে পুরুন্দর মৈথুন চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।……

…….এত গরম লাগছে? জয়দেব পাশ ফিরে শুয়ে রয়েছে। ওর ঠিক উল্টো দিকের বার্থে, বিবাহিতা মেয়েটা এখনও পুরাে ঘুমােয়নি। ওর কোলে বাচ্চাটা ছটফট করছে। আবছা আলােয় পুরন্দর দেখল, আধাে ঘুম-আধাে জাগরণ অবস্থায় মেয়েটা ব্লাউজের ভেতর থেকে স্তন বের করে, বাচ্চাটার মুখে গুজে দিল। মন্দিরের পাতাল গৃহে বসবাস করার, জন্য অন্ধকারেও পুরন্দর অনেক কিছু দেখতে পায়। মেয়েটার সুডৌল স্তন দেখে ওর মনে কামভাব জেগে উঠল। মেয়েটা জানেও না, এত রাতে গােপনে ওর স্তন দেখে, কেউ যৌনসুখ পেতে পারে। পুরন্দর একবার ভাবল, টয়লেটে গিয়ে হস্তমৈথুন করে আসে।……

…..মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই মাহেরিদের মহল থেকে চুপিসাড়ে নিচে নেমে এল পুরন্দর। ওর কাধে মন্দাকিনীর অচেতন দেহ। মেয়েটার শরীর থেকে সুগন্ধি ভেসে আসছে। সুডৌল স্তনের স্পর্শ কাধে। পুরন্দর অনুভব করল, ওর শরীরটা গরম হচ্ছে।……একটা পূর্ণবয়স্কা মেয়েকে কাঁধে নিয়ে… দেওয়ালের খাঁজ বেয়ে খিলানে ওঠা চাট্টিখানি কথা নয়। কিন্তু পুরন্দরের অমানুষিক ক্ষমতা। খিলানে উঠেই ও মন্দাকিনীকে নগ্ন করল। ওরই কাঁচুলি… ওর মুখে গুঁজে দিল। তার পর শাড়ি ছিড়ে, হাত দুটো মাথার পিছনে নিয়ে গিয়ে … দু’পাশে বাঁধল লােহার গরাদের সঙ্গে। খোঁপা খুলে গেছে। সযত্নেলালিত চুল এলিয়ে… খিলানের ধুলােয় গড়াগড়ি খাচ্ছে। এতক্ষণে পুরন্দরের নজরে পড়ল মেয়েটার সিথিতে সিঁদুর। পাপী পদ্মনাভর আদরের দুলালীকে এই অবস্থায় দেখে বেশ তৃপ্তিবোেধ করল পুরন্দর। কাঁচা হলুদের মতাে গায়ের রং। গােলাকার স্তন দুটো সাদা পদ্মের মতাে। সরু কটি, ভারী জঘা। এই নারীকে ওর স্বামী একা ভােগ করবে কেন? | রােদ উঠছে, বাইরে থেকে আলাে আসছে। মৃদু বাতাসও। অপরিসর খিলানে পুরন্দর পা ভাজ করে বসে রইল মন্দাকিনীর চেতনা ফিরে আসার অপেক্ষায়। ইচ্ছে করলে ও মেয়েটাকে মেরে ফেলতে পারে। কিন্তু তাহলে গায়ের জ্বালা মিটবে না। মন্দাকিনীর নগ্ন দেহটার দিকে তাকিয়ে পূজনীয় পদ্মনাভর একটা সাবধানবাণী হঠাৎই ওর মনে পড়ল। কোনও নারীর সঙ্গে সহবাস নয়। সহবাস করলে নাকি ওর দেহে দুরারােগ্য চর্মরােগ হবে। কথাটা মনে পড়ায় পুরন্দরের হাসি পেয়ে গেল।

কাঁকুড়গাছির মেয়েটার সঙ্গে পুরন্দর সহবাস করেছে। ফুলির সঙ্গে ওর সহবাস হয়নি। ও যা করেছে, তাকে ধর্ষণ বলাই উচিত। নারীসঙ্গমের পর তাে বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কই, ওর তাে চর্মরােগ হয়নি? নিজের যৌনাঙ্গের আশপাশ ভালাে করে দেখেছে পুরন্দর। না, কোনও লক্ষণ নেই চর্মরােগের। পদ্মনাভ তাহলে মিথ্যে কথা বলেছিলেন!…..

…..কাল সারা রাত ওর ঘুম হয়নি। পাখার হাওয়া, পেটে গরম দুধ, বিধ্বস্ত শরীর। সত্যি সত্যিই একটা সময় পুরন্দরের চোখে ঘুম নেমে এল। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ও স্বপ্ন দেখল। বেলি নানীর ঘরে মন্দাকিনীর সঙ্গে ও সহবাস করছে। একবার, দু’বার, তিনবার….ওর বীর্যপাত হয়ে গেল। তবুও মন্দাকিনীর আশ মেটে না। নেতিয়ে পড়া ওর লিঙ্গটা নিয়ে মন্দাকিনী খেলা করছে। ওর যৌনক্ষমতা নিয়ে বিদ্রুপ করছে। সহ্য করতে না পেরে পুরন্দর একটা সময় মন্দাকিনীর গলা টিপে ধরল। সঙ্গে সঙ্গে ওর ঘুম ভেঙে গেল। বিছানায় উঠে বসে ও দেখল, ঘরে কেউ নেই।……

…….উপাসনাকে জড়িয়ে ধরে প্রথম চুমুটা জয়দেব দিয়েছিল ওর কপালে। এ কি করছ? বলে সােফার অন্য প্রান্তে সরে গিয়েছিল উপাসনা। সঙ্গে সঙ্গে ওর হাত ধরে টেনেছিল জয়দেব। একেবারে কোলের কাছে নিয়ে এসেছিল। এবং অবাক হয়ে লক্ষ করেছিল, উপাসনা বাধা দেওয়ার কোনও চেষ্টাই করল না। এই প্রথম একজন যুবতীর দেহ ওর শরীরের সঙ্গে লেপ্টে রয়েছে। শাড়ির আঁচল সরে গিয়ে তার ফরসা স্তনের উপরিভাগ স্পষ্ট হয়ে চোখের সামনে। উপাসনার শরীর দিয়ে জুই ফুলের সুবাস পাচ্ছিল জয়দেব। শরীরে হঠাৎই উত্তেজনা। দু’হাত অঞ্জলির মত করে উপাসনার মুখটা ও তুলে ধরেছিল তখন। এই না না। প্লিজ, ছাড়াে আমাকে। দুর্বল গলায় বলেছিল উপসনা। শুনে সঙ্গে সঙ্গে ওর ঠোটে নিজের ঠোট ডুবিয়ে দিয়েছিল জয়দেব। | জীবনে কখনও কোনও মেয়েকে চুমু খায়নি। কিন্তু উপাসনার নরম ভিজে ঠোট স্পর্শ করা মাত্র জয়দেবের শরীরের ভেতর একটা কিছু দাপাদাপি শুরু করে দিয়েছিল। ঝড়ের গতিতে ও তখন চুমু খেতে শুরু করে। উপাসনার সারা মুখমণ্ডলে, গলায়, ঘাড়ের পিছনে। বুকে মুখ ঘষার সময় জয়দেব লক্ষ করেছিল, উপাসনা কেমন যেন নিস্তেজ হয়ে পড়েছে। চোখ বন্ধ করে ফেলেছে। ঠোট দুটো ফাঁক হয়ে গিয়েছে। মুক্তোর মতাে সাদা দাঁতের সারি দেখা যাচ্ছে। পুরাে শরীরটা ও ছেড়ে দিয়েছে জয়দেবের হাতে। ঠোটে ফের একটা দীর্ঘ চুম্বন দিয়ে উপাসনাকে বুকের সঙ্গে জড়িয়ে ধরেছিলও। ফের অবাক হয়ে গেছিল এটা লক্ষ করে যে, উপাসনা ওর গলা জড়িয়ে ধরেছে।…..

…..নিজের ঘরে ঢােকা মাত্রই পুরাে ঘটনাটা ওর চোখের সামনে ভেসে উঠল। এই ঘণ্টা পাঁচেক আগে… ঘরের ঠিক মাঝখানে দাঁড়িয়েছিল প্রভা পাণিগ্রাহী বলে মেয়েটা। ওর ঔরসে সন্তান চাইছিল। ব্লাউজ খুলে ফেলেছিল। ভরাট দুটো স্তন উন্মুক্ত। শাড়িও ও ডিভানের উপর ছুঁড়ে ফেলে দু’হাত বাড়িয়ে বলেছিল, আসুন প্রভু, আমার মনস্কামনা পূর্ণ করে দিন। ওর যৌনতাড়িত মুখটা দেখে গােরা কড়া গলায় ধমক দিয়েছিল, তুমি এখুনি চলে যাও। না হলে আমি লােকজন ডাকব।……

…..ভগবতী বলে মেয়েটাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে দুতিনজন পুলিশ। দৃশ্যটা যাতে নীলভদ্রের চোখে না পড়ে, সেই কারণে ওর কাধ ধরে অন্যদিকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে পুরন্দর বলল, ‘ভেঙে পড়াে না ভাই। দেখি, আমি কিছু করতে পারি কি না।……নীলভদ্রকে সঙ্গে নিয়ে। তারপর কয়েক পা হেঁটে গিয়ে সেই ঘরের সামনের গিয়ে দাড়াল, যেখানে তিন পাপাত্মা ভগবতীর যৌনাঙ্গে রুল ঢােকানাের চেষ্টা করছে।……..

Leave a Reply