কোথাও নয় – প্রচেত গুপ্ত

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……আয়নার সামনে এসে দাঁড়াল রুপসা রাত হয়ে গেছে। হাত গলিয়ে পা পর্যন্ত ঢোলা ম্যাক্সি থেকে বেরিয়ে এল সে। অন্তর্বাস পরা শরীরে পিঠ সােজা করে দাঁড়াল। ছিপছিপে শরীরটাকে দুপাশে বেকাল। কোমরে দুটো হাত রেখে সামনে ঝুঁকল। বুকের দুটো পাশে চাপ দিল। বুক দুটো কি বয়েসের তুলনায় একটু বেশি বড়? মনে হয় বড়। মেঘনাও সেদিন বলছিল। এখন থেকে কসাস হ রূপসা। নইলে দেখবি একটা সময় বেটপ হয়ে গেছে। দেখলেই মনে হবে কোনও এক গাঁয়ের।  কথা শেষ করে মেঘনা হা হা করে হাসল।

মেঘনা হাসলেও এটা একটা চিন্তার বিষয়। বড় বুক আউট অব ফ্যাশন। মায়ের বুকটা কী সুন্দর। যেন আলতাে করে ছুঁয়ে আছে। একেই কি বলে উইথ আ প্লেসেন্ট টাচ্ ? একটুও বাড়তি নয়। এই বয়েসে কী ভাবে যে এত সুন্দর রয়েছে কে জানে বাবা। হিংসে হয়। শুধু বুক নয়, আজকাল মায়ের অনেক কিছু নিয়েই হিংসে হচ্ছে রূপসার। মনে হয়, মা তাকে হারিয়ে রেখেছে। কেন মনে হয়? রােহন আঙ্কেলের জন্য? রােহন আঙ্কেল যে এখানে আসে, সে কি শুধু মায়ের জন্য? মায়ের শরীর? কোনও কোনও সময় রােহন আঙ্কেল এলে লুকিয়ে লুকিয়ে মায়ের দিকে তাকিয়ে দেখে রূপসা। সেই সময় হাঁটা চলা, সবকিছুতে যেন মা একটা ছন্দ নিয়ে আসে। বুক, পেট, হিপ সব কিছ যেন একটা ভালে বেঁধে ফেলে। একটা নড়লেই বাকিরা বেজে উঠছে তার তাে এমন হয় না। নাকি হয়, বুঝতে পারে না? রােহন আঙ্কেল নিশ্চয় মায়েরটা ধরতে পারে? আর কত বড় হলে এই ছন্দ সেও পাবে? কোনও কোনও দিন ঘরে বা বাথরুমে একা একা হাঁটাহাঁটি করে রূপসা। মায়ের মতাে নকল করে, চেষ্টা করে। পারে না। উল্টে নিজেকে বাজে লাগে। মনে হয়, ই এসব ভাবনা তার আগে তাে ছিল না। এখন কেন হয়েছে কে জানে। রূপ নিয়ে মায়ের সঙ্গে কি কোনও অদৃশ্য লড়াইতে নেমে পড়ছে সে? পর মুহূর্তে ভাবে দূর, তা কখনও হয়। এসব মিথ্যে ভাবনা। বড় হওয়ার অসুখ।

কোমর থেকে প্যান্টি নামাতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল রূপসা। ঝুঁকে পড়ে আয়নার পাশের সুইচ বাের্ডে হাত দিয়ে আলাে বদলাল আগে। কড়া নিওনের বদলে রাতের নরম আলাে। তারপর সব খুলে নগ্ন হয়ে দাঁড়াল নিজের মুখােমুখি। এটা মেঘনারই প্রেসক্রিপন।

‘অ্যাট দ্যা এন্ড অব দ্য ডে নিজের শরীরের দিকে একবার তাকাতে হয়। ছেলেদের এই ঝামেলাটা নেই। আমার মা বলেন মেয়েদের শরীর শুধু শরীর নয়, তার থেকেও বেশি।…..

…..“মেঘনা হাত বাড়িয়ে রূপসার থুতনি ইস। হেসে বলল, ওরে আমার কাচা মেয়ে, এ দেখা সে দেখা নয় বাছাধন। সারাদিন তােমার শরীর এই দুনিয়াকে কতটা দিল আর বাকি কতটা রইল সেটা রাতে শােওয়ার আগে একবার হিসেব করে দেখে নিতে হয়। ক্রেডিট, ডেবিটের মতাে। এখন থেকেই প্র্যাকটিস কর, নইলে পরে বিপদে পড়বি, তখন আর কিছুই করার থাকবে না।

রূপসা হেসে বলল, সত্যি তুই বড্ড পেকে গেছিস মেঘনা। ভেরি বিগ বিগ টক ঝাড়ছিস আজকাল। মেঘনা ঠোক বেঁকিয়ে বলল, “সে পাকা কল আর যাই । আমি ভাই রােজ রাতে শােওয়ার আগে সব খুলে টুলে একবার আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়াই। ব্রেস্ট, হিপ, ওয়েস্ট সব টিপেটুপে দেখি। ঠিকঠাক আছে কি না। তারপর নিশ্চিন্তে খাটে যাই।
রূপসা মেঘনার মুখে হাত চাপা দিয়ে হেসে বলল, আই নাে স্লাং।

মেঘনা হাত সরিয়ে বলল, ইস্ স্ন্যাং? দেখব কত,স্ন্যাং। বিয়ের পর বর যখন জামা খুলতে যাবে তখন বলবি, নাে প্লিজ। তুমি জামার ওপর দিয়েই হাত রাখাে না…হি হি।

তারপর থেকে কোনও কোনও রাতে রূপসা নিজে একই কাণ্ড করে। আয়নার সামনে সব আবরুণ সরিয়ে দাঁড়ায়। নিজেকে দেখে কিছুক্ষণ। আজও দেখেছে। দেখে ভালাে লাগছে না, তবু কঙ্কনের কথা ভেবে নিজের মনেই হাসল। ছেলেটার সাহস বেড়েছে। এই শরীর কি পছন্দ হবে তার? সরে এসে ওয়ার্ডরােব খুলল রূপসা। রাতের পায়জামা আর স্প্যাগােটি সামনেই রাখা থাকে।…….

……….মহিলা বসে আছে মেঝেতে, কার্পেটের ওপর। সামনে ধীরা। মহিলার বুকের কাপড় কোলের ওপর নামানাে, জামা, অন্তর্বাস নেই। অনীশ চোখ সরানাের আগেই দেখতে পেল শ্যামলা, ভারি দুটো স্তন ঘন হয়ে থমকে আছে। কাপড়ে জড়ানাে শিশু পরম নিশ্চিন্তে একদিকের স্তনবৃন্তে মুখ গুজে দিয়েছে গভীর আনন্দে। মহিলা তৃপ্ত মুখে তাকিয়ে আছে সেদিকে। আর ধীরা? সেও হাসছে!…..

….আসলে অতখানি কাধ, গলা, হাত দেখানাে স্লিভলেস ব্লাউজ পরলে মাকে যে আকর্ষণীয় লাগে, সেটা তার জানাই ছিল, কিন্তু এতটা জানা ছিল ? মা-ই বা এটা পরল কেন? উইক অ্যান্ড ট্যুর কি সন্ধেবেলার পার্টি ? শুধু স্লিভলেস নয়, জামার বুকটাও ডিপকার্ট। শাড়ির আঁচল এদিক ওদিক হলে ক্লিভেজও দেখা যাবে। জিনিসটা আগে খেয়াল করেনি সে। রােহন আঙ্কেলের তাকানাে দেখে বুঝতে পারল। মা কি এই কারণেই পড়েছে? যাতে তাকায় ?……

…..এরপরই রূপসা পােশাক পালটানাের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার এই স্লিভলেস টপটা শুধু হাত আর কাধ দেখানাে নয়, একটু নিচু হলেই পিঠ আর পেটের অনেকটা খুলে যায়। মায়ের অমন সুন্দর বুকের রেখাকে এরা হারাতে না পারলেও একটা থ্রেটে তাে রাখতে পারবে।….

…..বাঁধনের নিয়ম হল, অনীশ উঠে পড়লেও সে বিছানা ছাড়বে না। শুয়ে থাকবে আরও বেশ কিছুক্ষণ। পােশাক ছাড়াই শুয়ে থাকবে। অনীশ যদি হাত বাড়িয়ে খানিকটা ঢেকে দিল তাে ভাল, নইলে তাও নয়, একেবারে উদোম হয়ে থাকবে। এই অবস্থাতেই কোনওদিন সিগারেট ধরাবে, কখনও হাত বাড়িয়ে পেগ ঢালবে। একদিন শুরুতে তাে মারাত্মক হল। বাঁধন ফুস্ক ভর্তি কফি করে এনে খাটে উঠল।

এ আবার কী? মদের বদলে কফি! অনীশ জিগ্যেস করেছিল। বাঁধন ঠোট কামড়ে বলল, “আজ আপনার সঙ্গে প্রেম করতে করতে কফি খাব ঠিক করেছি। কেমন হবে? ভাল হবে না?

খুব দরকারে না পরলে অনীশ সাধারণত স্যুট পরে না। সেদিন পরেছিল। ক্লায়েন্টের সঙ্গে বাইরে মিটিং ছিল। টাহয়ের নট খুলতে খুলতে আঁতকে উঠল।
‘হােয়াট!’

‘হােয়াট নয়, আই মিন ইট। এই দেখুন কেমন সুন্দর কফি মাগ নিয়ে এসেছি। অসুবিধে কী? আপনিও খাবেন। ইউ উইল ফিল হট উইদিন অ্যান্ড আউট। খিলখিলিয়ে হাসল বাঁধন।

জামা খুলতে খুলতে অনীশ বলল, ‘গরম জিনিস নিয়ে নাে দাক বাঁধন। একটা কাজ করাে, তুমি কফি খাওয়া শেষ কর নাও, তারপর শোব।’
এবার শরীর কঁপিয়ে আরও জোরে হেসে উঠল বাঁধন। ‘দূর, আপনি বড্ড ভীতু। দেখুন না অন্যরকম টেস্ট পাবেন। একটু একটু ভয় করবে, এই বুঝি গরমটা গায়ে পড়ল। সেক্সসুয়াল প্লেজারের সঙ্গে ভয় ব্লেন্ড হিসেবে বেশ কড়া। নিন আসুন তােত লেটস্ স্টার্ট। | সত্যি সত্যি সেদিন যেন সার্কাসের মতাে বাঁধন এক হাতে গরম কফির মাগ নিয়ে পুরােটা সামলেছিল! অনীশের কোমরের দু পাশে হাঁটু মুড়ে বসে শরীরটা বার বার নামিয়ে আনছিল মুখের ওপর। চোখে, নাকে ঠোটে তুলির মতাে আঁচড় কেটে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। মাগে চুমুক দিতে দিতে একসময় অনীশের হাত দুটো নিজের নিতম্বে নিল সাবধানে। নিতম্ব কঁপছিল, উরু কাঁপছিল। কোমর, পেট সব কাপছিল তিরতিরিয়ে, কিন্তু মাগ থেকে গরম কফি ছলকায়নি একফোটাও। বরং গােটা শরীর ছলকে ছলকে পড়ছিল অনীশের ওপর!

বাঁধন কফি শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেদিন সমানে চালিয়ে গিয়েছিল। শেষ হতে দিচ্ছিল না কিছুতেই। বলেছিল, এরপর একদিন হাতে আগুন নিয়ে শােব।’

অনীশ বলেছিল, ‘আলাদা করে আগুন জ্বালার দরকার নেই, তুমি নিজেই আগুন।….

…..হাসবে কী, রােহন তাে চোখই সরাতে পারছিল না। মুগ্ধ হয়ে তাকিয়েছিল। মাধবী সেটা বুঝতেও পারল। খুব না ভিজলেও মাধবী তার ব্রা খুলে রেখে এসেছিল। যখন খুলছিল তখন মাধবীর একবার মনে হয়েছিল, বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে না তাে? রােহনের দিক থেকে যদি কোনও উৎসাহ না পাওয়া যায় ?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাত তুলে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে মাধবী বুঝতে পারল, না, রূপসার বন্ধুরা সত্যি কথাই বলে। তার ফিগার এখনও সুন্দর। রােহনের চোখ মুখও সেকথা বলছে। সে আড়চোখে তাকিয়ে আছে বুকের দিকে।…..

….মাধবী সিদ্ধান্ত নেয়, সে আজ অনেক দূর যাবে। যতদূর যাওয়া যায়, রােহন যতটা চাইবে ততটাই যাবে সে। শুধু শরীরের জন্য নয়, তাকে যেতে হবে নিজেকে জানতেও। সত্যি কি সে ঠাণ্ডা হয়ে গেছে? ফ্রিজিড়? যে সৌন্দর্য শুধু পুরুষেই বােঝে, উত্তাপের সেই সৌন্দর্য কি সে হারাতে বসেছে? অনীশ কি সেই তাপ খুজতে ছুটে যায় অন্য মেয়ের শরীরে? এটা জানা দরকার।…..

….সেদিন বিকেল পর্যন্ত যে কত সময় দ্রুত কেটে গিয়েছিল মাধবী বুঝতেও পারেনি। মনে পড়ছে লাঞ্চের পর তাকেই প্রথম এগােতে হয়। অফিস যেতে হচ্ছে বলে, রােহন দাড়ি কাটেনি দুদিন। এক গাল হালকা দাড়িতে দারুণ লাগছিল তাকে। ‘বাঃ মিষ্টি লাগছে তাে!’ বলে হঠাৎই সেই গাল দুহাতে চেপে ধরে চুমু খল মাধবী। বাইরে তখন মেঘ ঘনিয়ে এসেছে। নিজের দুটো বুকের মাঝখানে রােহনের মুখ চেপে ঘষতে ঘষতে ঘসতেই মাধবী বুঝতে পারে, এই ছেলে আনাড়ি। আরও ভালাে লেগে যায় তার। একটা সময় যখন খানিকটা ছেলেমানুষের মতেই রােহন তার নিতম্ব, পেট আর বুক হাতড়াতে থাকে মাধবী ফিসফিস করে বলে, ‘আই এভাবে হয় ? আগে খুলে দিন।

রােহন বলল, “আমি পারব না। কিছুতেই পারব না আমি।’ ‘খুব পারবেন। নিন, বােতাম খুলুন।
রােহন কাঁপা হাতে মাধবীর জামার বােতাম একটা একটা করে খুলতে থাকে মুখ নামিয়ে। থুতনি ধরে মুখ তুলে দেয় মাধবী। ঠোটে ঠোট রাখে। বুঝতে পারে তার শরীর ভুলে যাওয়া শিহরন মনে করে যেন জেগে উঠছে। কতদিন পরে চুমু খেল সে? বাইরে তখন ঘনিয়ে বৃষ্টি নামার তােড়জোড় শেষ। | ‘আপনি কি লজ্জা পাচ্ছেন?

হন আরও লজ্জা পেল। মাধবী বলল লজ্জা কী আপনি তাে নিজের জামাই খুলছেন। এ জামা কি আমার?
‘খাটে আসুন ম্যাডাম।’ গাঢ় গলায় বলল রােহন। হাত বাড়িয়ে রােহনের ট্রাউজারের বেল্ট খুলতে খুলতে মাধবী জড়ানাে গলায় বলে, ম্যাডাম নয়, মাধবী, শুধু মাধবী প্লিজ।
রােহন মাধবীর চওড়া কাঁধে আলতাে দাঁত ফুটিয়ে বলল, ‘উফ! আমি পাগল হয়ে যাব মাধবী, আমি পাগল হয়ে যাব। সিম্পলি আই শ্যাল বি ম্যাড। | সত্যি দুজনে যেন কিছুক্ষণের জন্য পাগলই হয়ে গিয়েছিল। মাধবী রােহনের শরীর আদরে আদরে ভরিয়ে দিতে থাকে। তার শক্ত হয়ে যাওয়া শরীর চেপে ধরে বলে, “আমি কি ঠাণ্ডা? বলাে, বলাে আমি কি পারি না? পারি না আমি?
রােহন দাঁত দাঁত চেপে মাধবীর বুকে হাত রাখে। ঘন গলায় বলেছিল, পারাে, পারাে, পারাে…।
এরপর রােহন যখন তার শরীর মাধবীর শরীরে প্রবেশ করায় মাধবীর মনে হয়, ঘরেও বৃষ্টি নেমেছে। অনেকদিন পরে বৃষ্টি নেমেছে। রােহনের কোমর ধরে নিজের শরীর কখনও ওপরে তােলে, কখনও নিচে নামায়। চৌত্রিশ বছরের মাধবী তার শরীর ঢেউয়ের মতাে দোলাতে থাকে উচ্ছাসে, আনন্দে। যেন সে প্রথম রমণে মেতেছে!

সব হয়ে গেলে রােহনের গায়ে হেলান দিয়ে বসে মাধবী অনীশ আর বাঁধনের ঘটনা বলেছিল। বলেছিল নিজের প্রতি কত হীনমন্যতায় ভুগে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে কাদে।……..

……..মাধবী শোনে না। দরজার ছিটকিনি তুলে রােহনের হাত দুটো টেনে ধরে নিজের বুকে রাখে। চাপা গলায় বলে, “কেউ দেখবে না। প্লিজ একবার, সেদিনের মতাে আর একবার আদর করাে আমায়। রােহন প্লিজ। বলতে বলতে ডুকরে কেঁদে ওঠে মাধবী।

এরপর আর নিজেকে আটকাতে পারেনি রােহন। সে ব্লাউজ (খেলে মাধবীর। অন্তর্বাস টেনে নামায়। অন্ধকারেই স্তনে মুখ রাখে গভীর আশেষে। সায়ার দড়ি খুলতে খুলতে নিজের শরীর রাখে মাধবীর উরুর যাকে+তারপর আলতাে কোলে তুলে নিয়ে যায় খাটের ওপর। খুব অল্পক্ষণের মধ্যেই মাধবী বুঝতে পারে সমুদ্র ঝাপিয়ে পড়েছে তীরে। দুটো চোখ বুজে চাপা শিৎকার ধ্বনি তােলে। ফিসফিসিয়ে বলে, ‘আমাকে মেরে ফেলাে, আমাকে মেরে ফেলল। প্লিজ কিল মি রােহন।
মাধবীর মাথার চুল দু’হাতে চেপে ধরে রােহন। কানের লতিতে ঠোট রেখে বলে, মাধবী, মাধবী, মাধবী…।
আবার বলাে। আবার বলাে…।’ রােহন আবার বলে। বলতে বলতে একসময় শান্ত হয়। খাটের ওপর উঠে বসে রােহন বলে, আপনি ড্রেস পরে নিন। ওরা চলে আসবে।

নগ্ন মাধবী উপুড় হয়ে শুয়ে থাকে। তার পিঠ, নিতম্ব, পা বাইরে থেকে চুইয়ে আসা আলাে গড়াচ্ছে। তার মনে হচ্ছে, বাইরে নয়, আলাে গড়াচ্ছে শরীরের ভেতর থেকে। বালিশে মুখ রেখে সে বলে, “আসুক।’

‘পাগলামি করবেন না, নিন উঠুন। শার্টের বােতাম লাগাতে লাগাতে রােহন বলে, “আমি বিশ্বনাথের সঙ্গে একটু বেরােচ্ছি।’…….

……….কথা শেষ করে রূপসা সমুদ্রের দিকে ফিরে গায়ের হাউস কোটটা খুলে নামিয়ে রাখল বালিতে। শান্তনু কেঁপে উঠল। সে যা দেখছে তা কি সত্যি! বেতের মতাে ছিপছিপে মেয়ের গায়ে সত্যি কি আর কোনও পােশাক নেই? নাকি আছে, সে দেখতে পাচ্ছে না?
রূপসা নগ্ন। নগ্ন হয়েই হাঁটু পেতে বসেছে জলে। দু’হাতে জল ছিটোচ্ছে শিশুর মতাে। যেন খেলছে। তারপর মৎস্যকন্যা হয়ে দুহাতে কালাে জল কেটে, ঢেউয়ের মাথায় উঠে ও নেমে এগিয়ে গেল সে।
শান্তুনু চিৎকার ওঠে, ‘কোথায় যাচ্ছে? রূপসা কোথায় যাচ্ছ?’ আতঙ্কে গলা। শুকিয়ে গেছে তার। রূপসা জলেই খিলখিল করে হেসে ওঠে। চিৎকার করে বলে‘নাে হােয়ার ম্যনেজারবাবু। কোথাও নয়।……….

Leave a Reply