অনুবাদঃ শেখ আবদুল হাকিম
………মেক্সিকান মেয়েরা খুব কম বয়সে বড় হয়ে যায়। যদি না নিজের ব্যাপারে সচেতন থাকে-খুব কম মেয়েই তা থাকে-চারদিকে চর্বি জমিয়ে বিচ্ছিরি করে তােলে আকৃতি, আকর্ষণীয় বলতে অবশিষ্ট কিছু থাকে না। রেবেকা ফার্নান্দেজ মেক্সিকান, বয়স সতেরাে। তার সতেরাে মানে আমেরিকান মেয়েদের ছাব্বিশ কিংবা সাতাশ।
সাধারণ মেক্সিকান মেয়েদের চেয়ে সামান্য একটু বেশি লম্বা রেবেকা। চুল অস্বাভাবিক দীর্ঘ, হাঁটু ছাড়িয়ে যায়। কফি আর ক্রিম মেশানাে গায়ের রং, ক্রিমের পরিমাণ প্রয়ােজনের চেয়ে একটু হয়তাে বেশি। আলাে ছড়ানাে বড় বড় কালাে চোখ-তাতে অঢেল মায়া আর প্রেম। নাক ছােট, আদর্শ আকৃতি, রঙিন স্বপ্নের প্রতিশ্রুতি দেয়। যৌনাবেদন জাগানােয় অদ্বিতীয় একটা মেয়েলি যন্ত্র রেবেকার শরীর, পুরুষের কল্পনায় যতটা নিখুঁত হতে পারে। বালিতে পিঠ দিয়ে শুয়ে আছে, রাশি রাশি চুল মুখ আর শরীরের দুই পাশে ফ্রেম তৈরি করেছে। চোখ বন্ধ। একা।……
……..তার সামনে চলে এল কেড, ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় ব্যস্ত, অকস্মাৎ থমকে দাঁড়াল, খেয়াল নেই দম আটকে ফেলেছে। | টকটকে লাল একটুকরাে কাপড় তার স্তন ঢেকে রেখেছে। আরেক ফালি ঢেকে রেখেছে ঊরুসন্ধি।
কেডের মনে হলাে, দুনিয়ার সবচেয়ে সুন্দর জিনিস দেখছে। এতই সুন্দর, মেয়েটাকে ‘জিনিস’ বলে ভাবতে বাধ্য হলাে, মেয়ে হিসেবে নয়, মেয়েটার যৌনাবেদন, আর সেটার প্রতি ওর প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করল আরও খানিক পর।…….তার কাঁধ চৌকো, কোমর সরু, পেছন দিকটা ছােট হলেও সুগঠিত, ভরাট আর নিরেট।….
……….ওঁর মেয়ে ভয়াবহ রকমের প্রকাণ্ড। তিনি স্বয়ং একটা পাহাড়। অত্যন্ত সম্মানী, বুঝতেই পারছেন, তবে বিশাল আকৃতি। লােকে বলাবলি করে, তিনি তাঁর স্তন দুটোকে বাগে আনতে মাছ ধরার জাল ব্যবহার করেন। তার পেছন দিকটা…’
……..বিছানার পাশের আলােটা নীল সিল্ক স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রেখেছে রেবেকা, তা সত্ত্বেও বিছানায় তাকে লম্বা হয়ে শুয়ে থাকতে দেখতে পেল কেড। মখমলের ঝলমলে একটা চাদরে ঢাকা তার নগ্ন শরীর। ওর দিকে তাকিয়ে হাসছে।……… বিছানায় ওদের প্রেমকে দীর্ঘস্থায়ী বিস্ফোরণের সঙ্গে তুলনা করা যায়, অসম্ভব তৃপ্তি দিয়েছে, এ ধরনের উত্তেজক অভিজ্ঞতা অন্য কোনাে মেয়ের সঙ্গে হয়নি কেডের। রেবেকার যৌন কলাকৌশল একাধারে কোমল, দক্ষতায় নিপুণ, অফুরন্ত প্রাণশক্তির জোগানদার, একই সঙ্গে বিধ্বংসী।……..