কিলিং ফ্লোর – লি চাইল্ড

›› অনুবাদ  

অনুবাদ: আদনান আহমেদ রিজন

…..আমার উল্টো দিকে বসল মেয়েটা । কনুই দুটো টেবিলে ঠেকিয়ে সামনে ঝুকে এল সে, স্তন রাখল টেবিলের ওপর । মেয়েটা দেখতে ভালো, কালো চুল, সুদর্শনা । ওর দিকে তাকিয়ে হাসলাম আমি ।……

…..মেয়েটার হাসিও দারুণ । ওর বুক পকেটে লেখা নেমপ্লেটটা দেখতে ইচ্ছা হলো । কিন্তু যদি সে ভেবে বসে, ওর বুকের দিকে তাকিয়েছি, তাহলে? মনে পড়ে গেল একটু আগের দৃশ্য, কীভাবে স্তনজোড়া টেবিলের ওপর ছিল। তাকিয়েই ফেললাম । মেয়েটার নাম রোস্কো ।…..

….রোস্কোর বাসার সামনে এসে গাড়ি থামল । দরজা খুলে বেরিয়ে এলাম আমরা । মেয়েটা আমার চেয়ে এক ফুট খাটো । চুমু খেতে খেতে এসে ঢুকলাম লিভিং রুমে ।
ক্ষিপ্র হাতে একে অপরের কাপড় খুলতে শুরু করলাম আমরা, যেন দু’জনের গায়েই আগুন ধরে গেছে । অসাধারণ ফিগার । রেশমের মতো কোমল ত্বক ৷ সব স্বপ্নের মতো লাগছে আমার কাছে । কতক্ষণ পর ঘোর কেটেছে জানি না । সম্বিত ফিরে পেয়ে বুঝলাম, ঘামে ভিজে জবজব করছে দু’জনের এক হয়ে যাওয়া শরীর ।
উঠে দাঁড়াল রোস্কো । টেনে তুলল আমাকেও । এবার ঢুকলাম বেডরুমে । চাদর সরিয়ে শুয়ে পড়লাম বিছানায় । মনে হচ্ছে যেন আমার সারা গায়ের হাড়গোড় রাবারে পরিণত হয়েছে । হাওয়ায় ভাসছি আমি । পাশ থেকে জড়িয়ে রেখেছে রোস্কো । নিঃশ্বাসে ওর চুলের গন্ধ । দু’জনের হাতই ঘোরাফেরা করছে পরস্পরের শরীরে ।
রোস্কো জানতে চাইল, ওর সাথে থাকব নাকি মোটেল খুঁজতে বেরোব । আমি জবাবে হাসলাম । বললাম, এখন ওর কাছ থেকে আমাকে সরানোর একটিমাত্র মাধ্যম শটগান নিয়ে তাড়া করা । তাতেও কাজ হবে কি না সন্দেহ আছে ।
হেসে উঠে আরও কাছে চেপে এল মেয়েটা । কানে কানে ফিসফিস করে বলল, “আমি শটগান আনব না । একটা হ্যান্ডকাফ এনে তোমাকে চিরদিনের জন্য আটকে রাখব বিছানার সাথে ।’……

……পরিকল্পনাটা শুনে রাজি হয়ে গেল তারপর ঢুকল গোসল করতে । আমারও গোসল দরকার । তাই পিছু নিলাম আমিও । রোস্কো ওর পরনের শার্টের বোতাম খোলার সময়ই উপলব্ধি করলাম, পরিকল্পনাটা খানিকক্ষণ পিছিয়ে দিতে হবে ।
ইউনিফর্মের নিচে মেয়েটা কালো অন্তর্বাস পরেছে । প্রাথমিক ধকল ওটার ওপর দিয়েই গেল । শেষ করলাম বাথরুমের মেঝেতে হাঁপাতে হাঁপাতে ।…..

…..রোস্কোর পরনের শার্টটা ঘামে ভিজে গায়ের সাথে লেগে গেছে । নিচে কিছু নেই । স্তনজোড়া স্পস্ট ভাবে ফুটে উঠেছে। অসাধারণ আবেদনময়ী লাগছে ওকে । আমি যেন স্বর্গসুখে ভাসছি ।…..

…..’রোস্কো,’ ডাক দিলাম ।
‘কি?’
‘পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাছা তোমার ।’
খিলখিলিয়ে হেসে ফেলল মেয়েটা । আর থাকতে না পেরে আমি ওর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম । হাসিটা যেন পাগল করে দিয়েছে আমাকে । কাঁপতে শুরু করল বিছানা । আধ ঘণ্টা পর উঠে আবারও গোসল করতে ঢুকল রোস্কো ।
ফিরে এসে কাপড় পরতে পরতে বলল, ‘তো কথাটা কি সত্যি?’
‘কোনটা?’
হাসল রোস্কো । ‘আ রে একটু আগে যে বললে… আমার ইয়ে সুন্দর ‘
*শুধু সুন্দর তো বলিনি,’ আমি শুধরে দিলাম। ‘বলেছি পৃথিবীর সবার চেয়ে সুন্দর ।’…..