একটা বেশ্যা, শ্মশান আর দিদি
….দরজা এক ধাক্কায় খুলে হ্যারিকেনের অল্প আলোয় দেখল বিছানায় খোলা দিদির ওপর নেপুদা শুয়ে গোরুর মতো দিদির বুক চাটছে। বারো বছর বয়েসে সেই প্রথম ইলেকট্রিক খেয়েছিল মিঠুন। পা নড়ছিল না। বঁটির সামনে এসে যাওয়া মুরগির মতো কঁকিয়ে উঠেছিল দিদি। সরে যা সরে যা … যা আআআআআ বলতে বলতে শোয়া অবস্থাতেই হ্যারিকেনটা ছুড়ে দিয়েছিল ওর দিকে মেঝেতে চুরমার হয়ে দপদপ করতে করতে নিভে গেছিল হ্যারিকেন। আর অন্ধকারে নেপুদার আপশোশের গলা, ধুউউউউর বাঁড়া, পুরো কেঁচিয়ে দিল …..
…..একবার দেখে আয় বাঁড়া। কচি ডাব পুরো। বলে নিজের হাতের তালুদুটো জোরসে ঘষল বিশু। আমি আর নীহারুল একটু আগে দেখে এলাম। মেয়েটা সামনে ঝুঁকে কাঁদছিল, আঁচলটা সরে গিয়ে উ-উ-উ-উ-উ-ফ মাইরি মাখম মাখম, বলে রিন্টুকে জড়িয়ে ধরল বিশু।….
…..চোদ্দ বছর বয়েসে দিদির জন্য প্রথম কনট্রাক্ট নিয়েছিল মিঠুন। বোঁচাইদা সরাসরি অফার ঢেলেছিল। তোর দিদিকে একদিন ব্যবস্থা করে দে। বাইরের পার্টি এসে দুবেলা খেয়ে যাচ্ছে আর আমরা পাড়ার ছেলে হয়ে …..
….কী করবে? শুধু নাড়িয়ে দিলে ষাঠ, সাকিং একশো আর সব করলে দুশো লাগবে। বুকে হাত মারতে দেব না। আর পোঁদে নিই না। গড়গড় করে বলে গেল মেয়েটা।
মেয়েটা আর কিছু না বলে ঝপাঝপ শাড়ি-ব্লাউজ ছেড়ে ফেলল। ব্রা খুলতে গিয়ে থেমে একঘেয়ে টোনে বলল, তুমি নিজে খুলবে, না আমি খুলে নেব? লাল রঙের ব্রায়ের ভেতর ধ্যাবড়া বুকদুটোর দিকে ভুরু কুঁচকে তাকিয়ে মিঠুন জিজ্ঞেস করল, বাইরে যে বাচ্চা ছেলেটা খেলছিল ও তোমার কে হয় ?…..
ছায়াপথ
….এমন চাকরি ছেড়ে দাও, যেখানে সপ্তাহে সাতদিনই কাজ করতে হয়। লাস্ট উইকে কী কথা দিয়েছিলে মনে আছে? বিছানায় আধশোয়া হয়েই রাকার সামনে মুখ বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করল স্নিগ্ধ। ওর শরীরে রাত্রের ঘুমের আলস্যটা এখনও জড়িয়ে রয়েছে। কেমন একটা মায়া জড়ানো ভালোবাসার গন্ধ। স্নিগ্ধকে খুব ছুঁতে ইচ্ছে হল রাকার। হাতটা বাড়াতে গিয়েও গুটিয়ে নিল। একবার ছুঁলেই অমনি স্নিগ্ধ বলবে আদর চাই … এক্ষুনি। আর আদরের সময়ে স্নিগ্ধ খুব ওয়াইল্ড হয়ে ওঠে .. একটা সুতোও গায়ে রাখতে দেয় না। স্নিগ্ধর এই পুরুষালি অ্যাগ্রেসিভনেসটা দারুণ ভালো লাগে রাকার। নিজেকে আপ্রাণ মিশিয়ে দিতে ইচ্ছে করে ওর মধ্যে। কিন্তু মোটেই এখন আদরের সময় নয়।…..
রামবাবুর আত্মহত্যা রহস্য
….আজ একটা সাংঘাতিক এক্সপেরিমেন্টের দিন ছিল। তুমুল এক্সাইটমেন্ট বোধ করছিলেন সকাল থেকেই। আসলে রামবাবুর একজন বাঁধা দালাল রয়েছে। দুলাল নাম। বহুদিন ধরেই সে রামবাবুকে মাল সাপ্লাই দিয়ে থাকে। মানে মেয়েছেলে আর কী। কয়েকদিন আগে রামবাবু দুলালকে বেশ দুঃখ করেই বলেছিলেন ভাই রে জীবন তো প্রায় শেষ হয়ে এল। আর কদ্দিনই বা বাঁচব। একটা অপূর্ণ সাধ থেকে গেল।
সেই শুনে দুলাল বলেছিল আপনার জন্য জান কবুল বড়দা, বলুন কী টাইপ চাই ।
আর পোলট্রি খেতে ভালো লাগে না। বড়ো শখ একবার দিশি কচি মাংস খেয়ে দেখি। বলে গভীর দুঃখের শ্বাস ফেলেছিলেন। বড়দার দুঃখ সয়নি দুলালের। দু-দিন আগেই ফোন করে বলেছিল বড়দা আগামী পরশু ফ্ল্যাটে চলে আসুন, একদম পনেরো, আর ফ্রেশ। এবার খুশি তো?….
…..অনেক কিছুই হবে। নতুন মেয়েছেলেটার কাছে যাওয়া হবে না, রোববার রোববার মাংসভাত প্যাঁদানো হবে না। ছেলের ডাগর বাঁজা বউটার গায়ে- মাথায় হাত বোলানো হবে না। আচ্ছা বউটা কি কিছু বুঝতে পারে? রামবাবু কিন্তু খুব সাবধানেই বোলান। মাথায়, ঘাড়ে আর হাতে। ব্যস এর বেশি কি না। একবার রিস্ক নিয়ে পিঠের দিকে হাত একটু ফস্কে চলে গেছিল, সঙ্গে সঙ্গে ছিটকে দূরে চলে গেছিল মেয়েটা। খুব চালু। আজকালকার মেয়ে তো।….
প্রাণের খেলা
…..ঝাঁপ দিল ঋক পেছন থেকে। মুখ থুবড়ে পড়ে গেল মিশিকো। ওকে চিত করে দিয়ে একটানে ছিঁড়ে ফেলল শার্টটা, তারপর খুবলে নিল ব্রা। হই হই করে বেরিয়ে আসল অপূর্ব বুকদুটো। জিন্সটা টেনে নামাতে গিয়ে একঝলক মেয়েটার চোখে চোখে রাখল ঋক। ডাগর চোখদুটো দিয়ে করুণভাবে তাকিয়ে রয়েছে মেয়েটা। অসহ্য মায়া সেই চোখে … ঠিক শ্রাবণীর যেমন ছিল … এই চোখেই মজেছিল ঋক। যতবার তাকাত ডুবে যেত শ্রাবণীর ওই দিঘির মতো টলটলে চোখ দুটোতে। সব মিথ্যে … সব ঠকানো … শাল্লাহ … চোখ সরিয়ে নিয়ে মিশিকোকে পুরো পোশাকহীন করে নিটোল মাখন শরীরটার দিকে তাকাল ঋক। কী অসম্ভব সুন্দর … আআহ্ … শ্রাবণীর শরীরও কি এমনটাই ছিল?……