কর্কটক্রান্তি – হেনরি মিলার

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

ভাষান্তরঃ আবু কায়সার

……এক একদিন রাত্রে তানিয়ার কথা মনে হলে আমি ক্ষেপে যাই যেন। ও রে তানিয়া, তাের উষ্ণ যােনিটা এখন কোথায়, কোথায় তাের সেই মস্ত, নরম উরু। আমার এই ছ’ইঞ্চি লম্বা লিঙ্গের মধ্যে হাড় আছে, আমি তাের যােনির সব কটা দরজা ছিড়ে খুঁড়ে ফেলবো। তােকে পাঠিয়ে দেবাে তাের সিলভেস্টারের কাছে । তাের সিলভেস্টার ? হ্যা, সে জানে কিভাবে আগুন জ্বালাতে হয়। আর আমি জানি সেই আগুন একটা যােনিতে লাগাতে। তাের সিলভেস্টার কি এখন আমাকে হিংসা করে ? সে কি কিছু বুঝতে পারে ? পারে কি? আমার ঢাউস নুনুর মহিমা কি সে বুঝতে পেরেছে। আমি যে তােকে ঢিলে করে ফেলেছি, সে কি রাখে সে-খবর ! আমার পর তুই অনায়াসে ঢালাঢলি করতে পারিস ভেড়া, ঘােড়া—এমনকি ষাঁড়ের সঙ্গেও। তানিয়া, আমি তােকে ধর্ষন করছি-তুই ধর্ষিত হচ্ছিস। তুই যদি প্রকাশ্যে ধর্ষিতা হতে না-চাস আমি গোপনে ব্যক্তিগতভাবে তােকে ধর্ষন করবো। আমি তাের যােনির ওপর থেকে চুল তুলে নিয়ে বুনে দেবো বোরিসের গালে। আমি তাের মধ্যচ্ছদা কামড়ে কামড়ে ছিড়বে।…..

…..আইরিনকে নিয়ে মুশকিল হয়েছে এই, যােনির চেয়ে সে স্তনকে বেশী গুরুত্ব দেয়। সে চায়, সবাই তার স্তনের গুনগান করুক। আবার লােনার যােনি বেশ পুরুষ্টু। সে একবার খামে ভরে তার নিম্নাংগের চুল পাঠিয়েছিলো কয়েক গােছ। লােনার বন্য নাক হাওয়ায় মজা খুঁজে পায়। কখনো টেলিফোন বুথে, কখনােবা শৌচাগারে সে দাড়িয়ে দাড়িয়েই কাজ সেরে নেয়। একটা মগের মধ্যে সে ভরে রেখেছে নানা যৌন যন্ত্রপাতি। টোটেন হ্যাম কোর্ট রােডের এ-মেয়েটি দিনরাত ওই চিন্তা নিয়েই আছে। সে ব্যবহার করে মােমবাতি, এমনকি দরজার খিল। দেশে এমন একটা শিশ্নও নেই, যা তার হাউস মেটাতে সক্ষম। একটাও নেই। বরং গােটা মরদটাই দিব্যি তার ভেতরে সেধিয়ে যায়। তার জন্যে দরকার বাড়তি মাপের পুরুষাঙ্গ, স্ব-বিস্ফোরণযােগ্য রকেট, ফুটন্ত মােমে তৈরী তেল। আপনি যদি অনুমতি দেন, তবে সে আপনার লিঙ্গটি কেটে আজীবন নিজের যােনির ভেতর ভরে রাখবে। অবশ্য হা,–স্বীকার করতেই হবে যে অমন দুর্দান্ত যােনি লাখেও একটা মেলে না। ওরকম একটি মিথ্যুক মেয়েও দেখা যায় না সচরাচর। তার বক্তব্য ভরপুর হয়ে থাকে দুটি শব্দে—উকুন আর আগামীকাল। স্বামীটি তার বুদ্ধ, সাক্ষী গােপাল। বেচারা ক্যারল। লােনা ওকে এক বােতল হইস্কি ভেট দিয়েই চুপ করিয়ে রাখে। ভ্যাড়াকান্ত আর কাকে বলে ? লোনার জার্মান মুখ, ফরাসী কান এবং রুশ পাছা। আর যােনি ; এটি আন্তর্জাতিক। লাখ যােনির এক যােনি। আর তার পাছার আয়নাতে ফুটে উঠে মধ্যযুগের ইতিহাস। নানা দিক দিয়েই মলভফ এক বিচিত্র মানুষ। কিন্তু কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে আমার সঙ্গে তার কী আশ্চর্য সাদৃশ্য । মনে হয়, ওকে নয়—ফাটা আয়নার সামনে দাড়িয়ে আমি নিজেকেই দেখেছি।…..

….যে মেয়েটির সঙ্গেই দেখা হচ্ছিলাে আমি তাকেই জড়িয়ে ধরে বলেছিলাম, ‘সকালেই চলে যাচ্ছি। স্বর্ণকুন্তলা মেয়েটিকেও একই কথা বলেছিলাম আমি। মেয়েটি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে নিয়ে ল্যাভটরিতে ঢুকলো। আমি দাড়িয়েছি মলভাণ্ডের গা ঘেষে। মেয়েটি আমার একটি হাত নিয়ে তার দু’পায়ের ফাঁকে গুজে দিলো। আমার অবস্থা তখন শোচনীয়। শিশ্নটাকে একই সঙ্গে মনে হচ্ছিলো হালকা এবং ভারী যেন এটি একখণ্ড সীসে-যার পাখা আছে। কে জানে, হঠাৎ মােন এখানে এসে পড়ে কিনা। কিংবা বরাওফিও ঢুকে পড়তে পারে আচমকাতার সোন য় বাধানাে বেত হাতে। %ি ন্তু সে আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে এবং আমি এখন বেপরােয়া। আমি মেয়ে টিকে দেয়ালের সঙ্গে চেপে ধরে বিদ্ধ করতে চাইলাম ;  কিন্তু হলাে না। তারপর বসে পড়তাম দু’জনেই। তাতেও কাজ হলো না। অসুবিধে হচ্ছিলো। তা হােক, মেয়েটির এমন নিবিড়ভাবে আমার লিঙ্গটি ধরে আছে, যেন ওটি হাত ফসকে গেলে তার মৃত্যু হবে।…..

….একটা বাজে নভেল লিখতে গেলেও তােমার বসার জন্যে একটা চেয়ার লাগবে, দরকার হবে কিঞ্চিৎ নিরিবিলি পরিবেশ। খানিকটা নিভৃতি। ওই ধনী যােনিটা অবশ্য এ সমস্যার কিছুই জানে না। চিন্তাই করতে পারে না। এরা যখনি নিজেদের নরম পাছাটা কোথাও রাখতে চায়, তক্ষুনি একটা চেয়ার তার দিকে এগিয়ে আসে।….

……এই খুনি খানকির কারবার শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে তাড়িয়ে দেবে তােমাকে গলাধাক্কা দিয়ে। এমনকি প্যান্টের বােতাম লাগাবার সময়টুকুও দেবে না। বিচিত্র ব্যাপার। পায়রার খুপরির মতো ঘর। তাতে কোনাে জানালা পর্যন্ত নেই। তারা তােমাকে নিয়ে সেই ঘরে ঢুকে পড়বে ত্বরিৎ গতিতে। বসাবে স্কার্ট ডাই করা বিছানার ওপর। এক পলকে জরিপ করে নেবে তােমার মুখ। ফ্লাই খুলে তােমার নুনুতে থু থু দেবে এবং তা সরাসরি সেট করবে জায়গা মতো। হয়তো যখন তুমি পেচ্ছাপ করছে। তখনি আর এক ক্যাণ্ডিডেট দাড়িয়ে আছে দরজায়। লিঙ্গট। মুঠোর মধ্যে ধরা। তার যেন আর তর সইছে না। অবশ্য জার্মেইনের কথা আলাদা। তার চেহারার বিশেষত্ব বর্ণনা করার দরকার নেই। কাফে দে এলিফ্যান্ট রােজ দু’বেলা যে মেয়েদের সঙ্গে দেখা হয়, জার্মেইনের সঙ্গে তাদের তফাৎ করা মুশকিল। বলেছি, সময়টা বসন্তের এবং আমার পেেট বউয়ের পাঠানাে ফ্রগুলো ছটফট করছে। এমন সময়েই ওর সঙ্গে মােলাকাৎ। দরদস্তুর ঠিক করতে ঝামেলা হলো না। রু আমেলােয় একটা রুম নিয়ে নিলাম পাচ ফঁ। ভাড়ায়। পদ। নামিয়ে দিলাম জানালার। বাপড়চোপড় খুলে ফেললাম। এই মেয়েটিও নিবা পাট। কোনো গ্যাঞ্জাম নেই। তামার নিকার বুকারের প্রশংসা করলো সে । সম্পূর্ণ ন্যাংটো হয়ে সে আমার সামনে দাড়ানাে।

কিন্তু কথা বলছে খুব স্বাভাবিকভাবে। এক সময় সে হাতের তােয়ালেটা ফেলে দিলাে এবং অলস ভঙ্গিতে এগিয়ে এলে আমার দিকে। সে তার পুষির ওপর হাত বুলাচ্ছিলো আদরের আদলে। মৃদু মৃদু চাপড় দিচ্ছিলো থেকে থেকে। বস্তুতঃ সে যেভাবে আমার সামনে একটা গোলাপ-ঝাড় তুলে ধরলে, তা অবিস্মরণীয়। সে এমন ভাবে কথা বলছিলো যেন এই সম্পদ কিনতে হয়েছে তাকে চড়া দামের বিনিময়ে। এ এমনি এক মহার্ঘ বস্তু, যার দাম ক্রমশই বাড়ে। এবং যার দাম তার কাছে পৃথিবীতে সর্বোচ্চ। তা, বাড়িয়ে বলেছে কি মেয়েটি ? সত্যিই তার দেহখানা অমুল্য এক সস্পদই বটে একটা ধনাগার। একটা ম্যাজিক। একটি বিধি দত্ত সম্পত্তি। যার বিনিময়ে সে অর্জন করছে রূপাের টুকরাে। যাই হােক, জার্মেইন বিছানায় শুয়ে দুই পা ফাক করলাে দু’দিকে। সে তার যােনির মধ্যে কয়েকটা টোকা দিলো। সর্বক্ষন আমি শুনলাম তার যৌন গুঞ্জন। তার কণ্ঠস্বরও কী ভয়ানক কামােদ্রেককারী। একটি নাগার। সত্যি একটি দৌলতখানা। তার ছােট্ট যােনিটি কতাে সুন্দর!…….

……..আমি ওর সঙ্গলাভে এতাে বেশী তৃপ্তিলাভ করেছিলাম যে, রাতে খাওয়া দাওয়ার পর আবার ওকে হােটেলে নিয়ে আরাে একটা শট, লাগালাম। সেই জার্মেইন, সেই গােলাপের বাগান! এবারের সহবাসে ছিলো যেন ‘ভালােবাসার ছোয়া!’ আমি গােলাপ এবং জার্মেইনকে আলাদা আলাদাভাবে ভালােবাসলাম। আবার ভালােবাসলাম এক সঙ্গেও।…..

…..বারবার নতুন নতুন খদ্দরকে সঙ্গ দেবার শক্তি ও সাহস সঞ্চয়ের জন্যে জার্মেইন অনবরত পান করতাে যতো ছাইপাশ। কিন্তু ক্লদের কারবার সম্পূর্ণ উল্টো। যখন তুমি তাকে আকড়ে ধরে শুয়ে আছে—তখনাে তার সঙ্কোচ। একবার ন্যাংটো হবার সময় যখন সে সলজ্জভাবে আমাকে অন্য দিকে তাকাতে বললো, আমি তাে হতভম্ব! কিন্তু একজন বেবুশ্যের জন্যে এটা মারাত্মক ভুল। খরিদ্দার যখন মাল কেনে, তার মন ভালো ঠিকঠাক বাজিয়ে দেখে। সব ঠিক মতে তলিয়ে দেখে। এমনকি একটা নটির যৌনাঙ্গ কীভাবে ভিজে ওঠে, তা-ও অনেক মক্কেল দেখতে চায়। কিন্তু বিছানার ব্যবসাতে কোনাে বেশ্যার মূখে নীতিবাক্য সম্পূর্ণ বেমানান। যেন লাশের মুখে জীবনের জয়গান ! তবে জার্মেইনের ব্যাপার আলাদা। দেহ-ব্যবসাতে সে সমর্পন করেছিলাে তার দেহমনপ্রাণ!…..

…..যে বারবনিতাদের দেখা যায়, ভ্যান তাদের সব্বাইকে করেছে। একটাও বাদ নেই। বারে দাড়িয়ে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেখিয়ে সে আমার কাছে বিভিন্ন বেশ্যার বিশেষত্ব বর্ণনা করে। কার কোন দিকটা ভালাে, কার কোন দিকটা খারাপ। বলবে : সব বস্তাপচা মাল। আর সেই সঙ্গে কোনাে কুমারী মেয়ের কচি রসালো যােনির কল্পনা করে সে বিনীত ভঙ্গিতে হাত কচলাতে থাকে ! যেন ওই যযানিগুলাে এ-মুহূর্তে কোনাে কিছু পাবার জন্যে এখন ছটফট করেছে। একটা বিশাল পাছাঅলা মেয়েকে দেখিয়ে ভ্যান বললাে, “ওই দ্যাখাে, আমার ড্যানিশ যােনিটা। মাজাটা দেখেছাে? হ্যা, ড্যানিশ পাছা! এই দিকে এসো, হা, হ্যা এখান থেকে তাকিয়ে দ্যাখাে। দ্যাখো একবার পাছাটা দেখতে পাচ্ছাে ? দুর্দান্ত, না? যখন সে আমার ওপর চড়ে, তখন ওর পাছার বেড় পাওয়া দায়। যেন সারাটা দুনিয়া ঢেকে দিয়েছে। ও আমাকে মনে করতে বাধ্য করে যে, ওর যােনির ভেতর দিয়ে একটা ছারপোকা যাচ্ছে। জানি না, ওর কথা এতো ভাবি কেন ? ওই মাজাটার জন্যেই কি? তা হবে ! কী ধারালো পাছা। এ-রকম পাছার কথা কখনো ভােলা যায় না। এটা সত্যি এটা বাস্তবিক! যেন একটা মনুমেন্ট কঁাধে নিয়ে শুতে যাচ্ছি।…..

…..তার ঘরটা যেন একটা ক্লিনিক। তার হাতে যদি সামান্য একটু আঁচড় লাগে–ব্যাস—সাংঘাতিক অবস্থা। ওষুধ আনাে, পথ্য আনন—এটা খাবো না, ওটা ছোবো না, কতাে বাহানা বাপরে বাপ। শােনাে জো—সব কিছু ঠিক হয়ে যেতাে, যদি তার বয়েসটা••• !একটা কম বয়েসী যােনির সাত খুন মাফ করা যায়, বুঝলে? কাচা মেয়েদের মাথার বুদ্ধিও থাকে কঁাচা। কেননা এ-সময় পাকা বুদ্ধির দরকার ও পড়ে না। কিন্তু একটা পুরনো যােনি—যদি সে বুদ্ধিমতীও হয়, যদি সে পৃথিবীর অন্যতম সুন্দরী হয়—সবই নিরর্থক। নবীন যােনি হচ্ছে একটা বিনিয়ােগ। আর প্রাচীন যােনি হচ্ছে নিরেট গচ্চা! ডেড লস্। বুড়ীরা তােমাকে এটা ওটা কিনে দিতে পারবে ঠিকই। কিন্তু তাতে তাদের শুকনাে হাতে মাংস গজাবে না; কিংবা রস ঝরবে না দুপায়ের ফাঁক দিয়ে।…..

…..ভাবো একবার, সে হাঁটু মুড়ে তার পাশে বসে আঙুল দিয়ে তার যােনিটা ফাক করলাে ! তােমার মনে আছে নিশ্চয়ই। যাই হােক, সে বেশ কয়েকবার লাগালো ওকে। তারপর আবার অঙল দিয়ে ফাক করলো যােনিটা। সঙ্গে সঙ্গে শব্দ হলােঃ ফিস ফিস। ঠিক এই রকম আঠালাে আর মৃদু একটা শব্দ ! যীশু হে! ফিস ফিস্ ফিস! সারারাত যেন এই আওয়াজটা আমাকে কুরে কুরে খেয়েছে। আমাকে পাগল করে ফেলেছে। তারপর যযানির ঘন চুলের মধ্যে সেই মুখ ডােবানাের ব্যাপারটাই ভাববা না একবার। ওহ, হােতখন মেয়েটি ওর ঘাড়ের ওপর দিয়ে পা তুলে দিয়ে ওকে এমন ভাবে আকড়ে ধরেছে, যাতে ছেড়া নিজেকে ছাড়তে না-পারে। যেন ইদুর পড়েছে যাতা কলে। এই বর্ননায় আমি তাে একেবারে যাকে বলে শেষ। ভাবে তো একবার। অমন সম্পদ শালানী, সুন্দরী ও বুদ্ধিমতী মহিলা আর কারো নয়, ওই কালের ঘাড়ের ওপর পা দিয়ে চেপে ধরে আছে আর তড়পাচ্ছে।…..

…..একটা ছবি হাতে তুলে নিয়ে সে লাথি মেরে ছিড়ে ফেললাে। বললো, “কুত্তী! জানা গেলো, তার এই ছবিটা একে দিয়েছিলো এক লেসবিয়ান মেয়ে। যে মেয়েটিকে লাগাবার সময় সে ভ্যানকেই বলেছিলাে, তােমার যােনি ফাক করাে।’…..

……অবশ্য এদের মধ্যে একটি মেয়েকে সে খানিকটা তৈরী করে | নিতে পেরেছে। ওদের প্রথম পরিচয় আমেরিকায়। এখন তো দু’জনেই আছে প্যারিসে। সম্ভবতঃ মেয়েদের মধ্যে এক মাত্র ওর সঙ্গেই ভ্যানের ভাবের আদান প্রদান একটা উল্লেখ যােগ্য স্তরে। সম্পর্কটা বেশ ঘনিষ্ট এবং বিচিত্র তো বটেই। | দেখতে সে খারাপ নয়। আবার ভালােও তাকে বলা যায় না। তবে হ্যা, শরীরটা বেশ শাসালাে। নাম বেসি। তাদের মধ্যে কী চমৎকার সমঝোতা, তার একটা প্রমাণ দিই। একদিন দুপুর দেড়টায় গেছি ভ্যান নর্ডেনের কাছে। দেখলাম, বেসিও বসে আছে বিছানায়। চাদরটা নিচে পড়ে আছে | এবং ভ্যান নর্ডেন তাকে বলছে, নুনুটায় ক’টা টোকা দাও তাে—সামান্য ক’টা টোকা! তাহলেই আমি শয্যাত্যাগ করবার সাহস পাবে। অথবা কখানা ঘুষিই লাগাও না ব্যাটাকে। কিন্তু হয়তাে আমাকে দেখেই নিষ্কিয় রইলো বেসি। তখন নর্ডেন নিজেই খপ করে নিজের শিশ্নটা হাতের মুঠোয় পুরে এমনভাবে নাড়াতে লাগলাে, যেন ডিনার-বেল বাজাচ্ছে।…..

……আসলে মেয়েটার হাড়-সবস্বতাই তাকে বিমুখ করে তুলেছিলো পরবর্তী সময়ে। তখন সে বলতো, যেন তুমি একটা কঙ্কাল পাশে নিয়ে শুয়েছে, বুঝলে?’ বলতো, একদিন রাতে, অনেকটা দয়ার বশেই ওকে এনেছি। সে কি করেছে, জানােজায়গাটাকে পরিপাটিভাবে শেভ করে ফেলেছে। যােনির ওপর একটা লোমও নেই। কী ভয়ঙ্কর ব্যাপার, একবার ভাবো তাে? যােনিটাকে যােনি বলেই মনে হচ্ছে না আর। আরে মিয়া, চুলই তাে যোনিকে সুন্দর, রহস্যময় আর আকর্ষণীয় করে রাখে। আর শেভ করলে ? ঠিক যেন একটা স্ট্যাচুর যোনি। অবশ্য একবার একটা স্ট্যাচু দেখেছিলাম, যার যােনি বাস্তবতাসম্মত। রদার ভাস্কর্য সেটি–তােমাকে এক সময় দেখাবােখন। মুতিটার বোধ হয় কোনাে মাথা ছিলাে না। কেবল যােনি, হা ওই যােনিটাই। যীশু—যা ভৌতিক মনে হচ্ছিলো যােনিটকে। অথচ, আসলে দু’পায়ের মাঝখানে একটা চিড়-খাওয়া জায়গা ছাড়া ওটাতাে আর কিছুই নয়। আমরা যা নিয়ে মাথা কুটি, তাতে একটা কাল্পনিক ব্যাপার। এটা এতাে বেশী অর্থহীন, যে আমি দশ মিনিট টর্চ জ্বেলে দেখেও এর মধ্যে কোনাে রহস্যময়তা খুঁজে পাইনি। একটা ফাক ছাড়া ওটা আর কিছুই নয়। যদি ওর ভেতর একটা মাউথ-অর্গান কিংবা ক্যালেণ্ডার পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্য অন্য কথা। কিন্তু ওর ভেতরে কিসসুটি নেই হে। কিসসু নেই! এ এক বিরক্তিকর জিনিস। যাই হােক, কোনাে মতে ওই অবস্থাতেই ওকে চট করে একটু লাগাবার পর আমি ওর দিকে পিঠ ফিরিয়ে একটা বই পড়তে শুরু করলাম যােনি?—ধেৎসময়ের অপচয়!…..

…..ভ্যন নডেন যখন তাকে নিয়ে কাজে লিপ্ত হলাে, আমার কাছে দু’জনকে দুটো যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই মনে হচ্ছিলো না। মনে হলাে যন্ত্রটি হাতল ঘুরিয়ে না-থামালে অনবরত চলতেই থাকবে। দু’জনই যেন দুটো ছাগল, যাদের আবেগ বলতে কিছু নেই। আবেগ না থাকলেও হিসেব তাদের ঠিকই আছে। ওই পনেরো ফ্রর হিসেব। আর কোনাে কিছুই ধর্তব্য নয়— ধর্তব্য ওই পনেরো ফাঁ। মেয়েটি দু’পা ফাঁক করে চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। ভ্যা নডেন সওয়ার হয়েছে তার ওপর। তার পা দুখানা যেন মেঝের মধ্যে গাছের মতো বুনে দেয়া হয়েছে। আমি ও এই দৃশ্য উপভােগ করছি যান্ত্রিক ভাবে।…..

….স্বপ্ন দেখছিলাম আমিও—অবশ্য জেগে জেগে। তানিয়ার স্তনের ওপর আমার হাত। আমি বোটার মধ্যে আঙুল দিয়ে টিপছিলাম।….

…..এটুকুই ছিলো আমার জন্য যথেষ্ট। সঙ্গে সঙ্গে আমি মাসে লাের দিকে ঘুরে তার পাছায় চিমটি কেটে ইয়াকি মারতে শুরু করলাম। আমরা পরস্পরকে টিপতে আরম্ভ করছিলাম, যা দেখে দুর থেকে চোখ টিপে সম্মতির ইশারা দিলাে জিমি।…..

….আমি ভাবলাম, এবার আমার ফিরে যাবার পালা। নিচতলায় যখন কোনো মেয়ের মা মারা যাচ্ছে-তখন সেই মেয়েটির সঙ্গে সঙ্গমরত হওয়া কতােটুকু বাস্তবতা সম্মত? আমি উঠে দাড়াতেই সে মৃদু কণ্ঠে মনে করিয়ে দিলাে টাকাটার কথা। মায়ের, চিকিৎসার জন্যে টাকাটার তার সত্যি দরকার এবং হঠাৎ সে বিছানায় চিৎ হয়ে শুয়েই কিমােনাে উচু করলাে। অগত, আমাকেও তৎপর হতে হলে যথারীতি। যৌনলীলা চলছিলো যে রকম চলে। অন্যান্য ফরাসী মেয়ের মতো এ মেয়েটাও আমাকে জড়িয়ে ধরেছে গভীর আবেগে। মুখে তার ফরাসীচীৎকার। কিন্তু এ অবস্থাতেও আমি আমার টাকা গুলোর কথা ভুলিনি। বিছানার পাশে রাখা প্যান্টের পকেটে হাত বুলিয়ে বারবার তার নিরাপত্তা সম্পর্কে খোজ খবর নিতে হচ্ছিলাে। অবশ্য মেয়েটির দৃষ্টি এড়িয়ে। লাগাবার সময় সুইচ টিপে বাতি নিভিয়ে দিয়েছে মেয়েটি। এ ব্যবসায়ে এটি আমার কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা। কাজেই আমাকে সতর্ক থাকতে হচ্ছিলো প্রতি মুহুর্তে।…..

…..এমন সময় বিছানায় শুয়ে থাকা মেয়েটি উঠে বসে চোখ কচলাতে লাগলাে। এ-মেয়েটিও খুব কম বয়েসী। দেখতেও খারাপ নয়। কিন্তু বদ্ধ কালা। জিজ্ঞেস করলো, তােমরা কি বলাবলি করছে গাে? সে এই হােটেলেই—চার তলায় থাকে। কাল জিজ্ঞেস করলো, আমি একে এনজয় করতে চাই কিনা। সে ব্যবস্থা করে দেবে। কি জবাব দেবাে বুঝতে পারছিলাম না। কিন্তু কাল আবার যখন মেয়েটিকে উলাই মলাই করতে শুরু করলাে, আমি আমার সম্মতির কথা জানিয়ে দিলাম ওকে। জিজ্ঞেস করলাম, মেয়েটি খুব ক্লান্ত কি না। অপ্রয়ােজনীয় প্রশ্ন। একটা বেশ্যা দু’পা ফাক করবার বেলায় কখখনাে ক্লান্ত হয় না। অনেকে ঘুমের মধ্যেও শ নিতে অভ্যস্ত। যাই হােক, কথাবার্তা ঠিক করে ওর রুমেই চলে গেলাম। পয়সাটা কাল আগেই মিটিয়ে দিয়েছি। সারা রাত ওর সঙ্গেই কাটাবাে আজ।…..

Leave a Reply