কত পাপ হে! – কাবেরী রায়চৌধুরী

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

…..কন্ডােম ও আমি।।

কন্ডােম; একটি মাত্র ছিল প্যাকেটে। অফিস রুমের টেবিলের ড্রয়ার যে কেন আকর্ষণ করল আমাকে হঠাৎ!

কন্ডােমের প্যাকেটটা হাসতে হাসতে বেরিয়ে এল। অবাক! সে তাে কন্ডােম ইউজ করে না। প্রকৃতপক্ষে বিরােধী! নৈরঞ্জনা! | নৈরঞ্জনা হাসছে দেখি। কালাে মসৃণ হকের মেয়েটি। মাথায় ঝাকড়া চুল। হাসতে হাসতে শ্রাবণের বিছানায় শুয়ে পড়ল। শ্রাবণের বিছানা জুড়ে বই। সে কয়েকটি বই একপাশে সরিয়ে রেখে হাসতে হাসতে বলল, এই বইগুলাের সঙ্গে তুমি আমাকেও রেখাে তােমার পাশে। কন্ডােমের প্যাকেটটা জুড়ে দল শ্রাবণের দিকে। চোখে ইশারা। | এসাে। উপভােগ করি। | নৈরঞ্জনা বেশ পাকা খেলােয়াড়। শ্রাবণ তাকে খেলিয়ে খেলিয়ে তুলছে। হঠাৎই শ্রাবণ নস্তেজ হয়ে গেল! নৈরঞ্জনার শীৎকার! আহ! আহ!… একী করলে! শ্রাবণ! একী করলে? আহ…! আহ…!’ শ্রাবণ কেমন উন্মাদ হয়ে গেল। মাথার চুলগুলাে দু’হাতে খামচে টেনে ধরে ঋকাচ্ছে। | কী হল? কী হল? নগ্ন নৈরঞ্জনা ততক্ষণে বিছানায় উঠে বসেছে। কী হল তােমার? এই নয়ে দু’দিন…দুদিনই!

স্যরি!

স্যরি? না না আবেগে ফুটন্ত নৈরঞ্জনা গলা জড়িয়ে ধরেছে শ্রাবণের। আদুরে অস্ফুট কণ্ঠস্বর, তুমি ডাক্তার দেখাও, দোস্ত। আমার হল না আর তুমি আগেই! মেয়েদের যে কী কষ্ট বুঝবে না!….

…..কান গরম কিশােরের। শরীর ফেটে যাচ্ছে যেন! ভাতের গরাস গলা দিয়ে নামছে না।

বল না আমি কি একটুও সুন্দরী না? আমার তাে সবই আছে যা যা মেয়েদের থাকা দরকার। নেই? শাড়ির আঁচল খসিয়ে দিয়েছে সে। উন্মুক্ত স্তন বিভাজিকা। না, খারাপ ছবির বইতে দেখা মেয়েদের মতাে বুক নয় সর্বাণীদির –’ এমনই মনে হল কিশােরের।…..

Leave a Reply