এ্যাবসলিউট পাওয়ার – ডেভিড বালদাশি

›› অনুবাদ  

অনুবাদঃ মােহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

……..তারা, যখনই চাদরের নিচে ঢুকেছে সেটা জেনিফারের বাড়িতেই হয়েছে। সেই বাড়িতে বিশাল বিশাল সব কক্ষ, আর সেইসব কক্ষের ছাদে চমৎকার সব মুরাল আঁকা। জেনিফার এইসব অভিজাত ঘরে তার ওপরে উঠে শীর্ষ সুখ অবগাহন করে। তার বুকে ঝাপিয়ে পড়ে প্রবল আবেগে। জেনিফারের মা-বাবার মফস্বলের সুবিশাল বাড়িতেও তারা রতিক্রিয়ার সুখ লাভ করেছে। ঐসব বাড়ির ছাদেও মরাল আঁকা তবে সেগুলাে ধর্মীয় কাহিনীর সচিত্র বর্ণনা, অনেকটা রােমের গীর্জার ছাদের মতাে। ওখানে সঙ্গম করার সময় জ্যাকের সবসময়ই মনে হয় সে যে এক সুন্দরী নগ্নিকার উপর সােয়ার হচ্ছে ঈশ্বর সেটা চেয়ে চেয়ে দেখছে।………..

……..গ্লাস দুটো রেখে তারা ঘরের মাঝখানে দাঁড়িয়ে জড়িয়ে ধরলাে একে অন্যকে। তার হাত মেয়েটার পাছায় গিয়ে সেখান থেকে খােলা পিঠে পরিভ্রমণ করলাে। মেয়েটার কাঁধ এবং হাত দুটো রােদে পােড়া, সুন্দর ত্বকের। তার দিকে সপ্রশংস দৃষ্টিতে চেয়ে একটু কুঁকে চুমু খেলাে কাঁধে।……..মেয়েটাকে কাছে টানতেই মেয়েটা তার কোট খুলে টাইটা আলগা ক’রে ফেললাে। লােকটা দ্রুত মেয়েটার জামা খুলতে শুরু করলাে। কালাে পােশাকটা মাটিতে পড়ে গেলে মেয়েটার শরীরে দেখা গেলাে কালাে প্যান্টি আর হাটু অবধি মােজা, কিন্তু কোনাে ব্রা নেই।

যেকোনাে নারীকে ঈর্ষাকাতর করে তােলার মতােই মেয়েটার শরীর। দেহের প্রতিটি খাজ আর ভাজ যেখানে থাকার কথা সেখানেই আছে। তার কোমর এতাে সরু যে, লুথার দু’হাতের পাঞ্জা দিয়েই সেটা পুরােপুরি ধরে ফেলতে পারবে। মেয়েটা মােজা খােলার জন্যে একটু ঘুরতেই লুথার দেখতে পেলাে তার স্তনজোড়া বেশ বড়সড়, ভরাট আর গােল। পা দুটো মসৃন এবং সরু, হয়তাে নিয়মিত ব্যায়ামের ফল এটি। কোনাে পেশাদার ট্রেনারের অধীনেই যে এটা করা হয় সে ব্যাপারে লুথারের কোনাে সন্দেহ নেই। বড়লােকের বউদের নতুন ফ্যাশন এটি।

লােকটা বিছানার কোণায় ব’সে মেয়েটার প্যান্টি খােলার দৃশ্য উপভােগ করতে করতে দ্রুত নিজের পােশাক খুলতে লাগলাে। মেয়েটার শরীরের শেষ পােশাক তিরােহিত হলে লােকটার ঠোটে অশ্লীল হাসি দেখা গেলাে। তার সাদা দাঁতগুলাে বেশ সুন্দর। মদ খাওয়ার পরও তার চোখ দুটো পরিস্কার আর স্বাভাবিক বলেই মনে হচ্ছে।

মেয়েটা তার স্থির দৃষ্টি দেখে হেসে আস্তে আস্তে কাছে এগিয়ে এলাে। হাতের নাগালে এসে পড়লে সে দু’হাতে মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরলে মেয়েটা তার বুকে মুখ ঘষতে লাগলাে।

এমন সময় সে দেখতে পেলাে লােকটা মেয়েটার পাছায় বার বার এবং জোরে জোরে চাপর মারতে শুরু করেছে। তীব্র আঘাতগুলাের সময়ে লুথার যন্ত্রণার অনুভূতিটা টের পেয়ে চোখ কুকালাে। সাদা চামড়াটা এখন লাল হয়ে গেছে। কিন্তু হয় মেয়েটা এতােটাই মাতাল যে, যন্ত্রণাটা টের পাচ্ছে না, নয় তাে সে এটা উপভােগই করছে, কারণ তার মুখের হাসিটা অমলিনই রয়ে গেছে।

লােকটার মুখ মেয়েটার বুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মেয়েটা দু’হাতে তার চুল ধরে। নিজেকে লােকটার দু’পায়ের ফাকে স্থাপন করলাে। এবার মেয়েটা বন্ধ চোখ খুলে লােকটার ঠোটে কামড় বসালাে। এভাবেই কিছুক্ষণ দু’ঠোট আর দাঁতের যুদ্ধ চললাে। | তার শক্ত আঙুলগুলাে লাল হওয়া পাছাটাতে চাপড় মারা বাদ দিয়ে আদর করতে শুরু করেছে এখন। এরপরই সে তাকে সজোরে নিজের কাছে আরাে তীব্রভাবে টেনে নিলে মেয়েটা তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিতে চাইলাে। মেয়েটা একটু হেসে তার আঙুলগুলাে নিজের হাতে নিয়ে একটু খেললাে । লােকটা এবার সমস্ত মনােযােগ দিলাে ভরাট দুটো স্তনের দিকে। একটাকে মুখে পুড়ে চুষতে লাগলাে। মেয়েটার দু’চোখ আবারাে বন্ধ হয়ে গেলাে, তার নিঃশ্বাস একটু দ্রুত হয়ে সেটা মৃদু গােঙানীতে বদলে গেলাে যেনাে । লােকটা আবার ঘাড়ের দিকে মনোযােগ দিলাে।

অবশেষে মেয়েটা অধৈর্য হয়ে তার প্রেমিককে ধাক্কা মেরে বিছানায় ফেলে দিলাে। তার পা দুটো লােকটার পায়ের মাঝখানে থাকাতে মুক্ত হতে পারলাে না। মেয়েটা উপুড় হতেই লুথার যে দৃশ্যটা দেখতে পেলাে সেটা কেবল গাইনি ডাক্তার আর তার। স্বামীরই দেখার কথা। মেয়েটা ছাড়িয়ে নিলেও লােকটা প্রচণ্ড শক্তিতে তাকে ধরে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে তার উপর চড়ে বসলাে। পা দুটো ধরে চেপে রাখলাে নিজের শরীরের নিচে।

এরপর লােকটা যা করলাে তা দেখে লুথার আড়ষ্ট হয়ে চেয়ারে বসে পড়লাে। লােকটা দু’হাতে মেয়েটার গলা টিপে ধরেছে। আচমকা এমন আচরণে মেয়েটা গােঙাতে শুরু করলাে। তার মুখ নিজের মুখের খুব কাছে এনে অট্টহাসি হেসে হুট করে ছেড়ে দিলাে লােকটা। একটু হকচকিয়ে অবশেষে মেয়েটা উঠে বসতে সক্ষম হলাে, দুর্বল একটা হাসিও দিলাে। এক হাতে উদ্যত লিঙ্গটি ধরে আরেক হাত দিয়ে। মেয়েটাকে বিছানায় শুইয়ে দিলাে সে। কিন্তু মেয়েটা যখন তাকে গ্রহণ করতে অস্বীকার করলাে তখন সে রেগেমেগে তার দিকে চেয়ে রইলাে।

কিন্তু মেয়েটার দু’পায়ের ফাকে লিঙ্গ প্রবিষ্ট না করে সে দু’হাতে তার স্তন জোড়া ধরে প্রচণ্ড জোরে মােচড়াতে লাগলাে। অবশেষে তীব্র যন্ত্রণা সইতে না পেরে তার গালে সজোরে চড় মেরে বসলাে মেয়েটা। লােকটা তাকে ছেড়ে দিয়ে রেগেমেগে তার গালে প্রচণ্ড জোরে থাপ্পর মারলাে। লুথার দেখতে পেলাে মেয়েটার ঠোটের কোণে লাল রক্ত ঝরছে।………

…………দরজার দিকে তাকালাে রাসেল, রুমালটা বের করে দরজাটার হাতল ধরে লক করে দিলাে সেটা। ফিরে এসে আবার প্রেসিডেন্টের দিকে তাকালাে। তার হাতটা উঠতেই লুথারের মনে হলাে অন্য রকম কিছু হতে যাচ্ছে, কিন্তু সে কেবল হাত দিয়ে প্রেসিডেন্টের মুখে আলতাে করে চাপড় মারলে লুথার স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাে, কিন্তু পরক্ষণেই হাতটা প্রেসিডেন্টের বুকে রাখলে আড়ষ্ট হয়ে গেলাে সে, ঘন লােমের মধ্যে হাত চালিয়ে তার পেটের দিকে গেলাে। গভীর ঘুমে থাকা সত্ত্বেও পেটটা নিঃশ্বাসের সঙ্গে সঙ্গে উঠছে নামছে।

এরপর নাভির নিচ থেকে চাদরটা ধরে একটানে সরিয়ে মাটিতে ফেলে দিলাে। তার হাত লিঙ্গের দিকে গেলাে। মুঠোতে ধরে রাখলাে সেটা । আবারাে দরজার দিকে তাকিয়ে প্রেসিডেন্টের দিকে হাটু গেঁড়ে ঝুঁকে পড়লাে সে। এবার লুথারকে দু’চোখ বন্ধ করতেই হলাে। সে এই দৃশ্যটা দেখতে চাচ্ছে না।

কয়েক মুহূর্ত কেটে গেলে লুথার চোখ খুললাে। গ্লোরিয়া রাসেল তার প্যান্টিটা খুলে ফেলে সুন্দরভাবে চেয়ারের উপর মেলে রাখলাে। এবার সে খুব সাবধানে অচেতন প্রেসিডেন্টের ওপর উঠে বসলাে।

লুথার আবারাে চোখ বন্ধ করলাে । সে ভাবলাে তারা কি বিছানার ব্যাখ্যা শব্দটা নিচ থেকে শুনতে পাচ্ছে কিনা। সম্ভবত না, যেহেতু বাড়িটা খুবই বড়। আর যদি শােনেও তারা করবেটা কী? দশ মিনিট পরে, লুথার লােকটার একটা ছােট্ট এবং অনিচ্ছাকৃত গােঙানী আর মহিলার কণ্ঠে শিকার শুনতে পেলাে। কিন্তু লুথার তার চোখ বন্ধই রাখলাে । কেন, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবে না। তার কাছে মনে হলাে এটা বন্য ভয় আর তিক্ততার সংমিশ্রন যা মৃত মহিলাকে অসম্মান করছে।

লুথার যখন চোখ খুললাে দেখতে পেলাে রাসেল তার দিকেই চেয়ে আছে। তার হৃদস্পন্দন থেমে গেলাে কয়েক মুহুর্তের জন্যে, তারপরই তার মস্তিষ্ক তাকে বললাে, ভয়ের কিছু নেই । মহিলা খুব দ্রুত তার প্যান্টিটা পরে নিলাে। এরপর, দৃঢ়তার সঙ্গে তার লিপস্টিকটা লুকিংগ্লাসে ঠিক করে নিলাে।………

……এতাে টাকা আর প্রতিপত্তি যা ক্রিস্টিন সুলিভান আশা করতে পারে না। সে এটা অর্জন করেছে তার বিশাল বক্ষ, চিত্তাকর্ষক পাছা আর লালসাপূর্ণ মুখের সাহায্যে। যার জন্যে ওয়াল্টার সুলিভান বাধ্য হয়েছিলাে তাকে বিয়ে করতে ।……

…….জ্যাক তার ফিয়ান্সের দিকে তাকালাে। তার পাতলা কিন্তু দামি কোটটা স্ফীত বুকটা আড়াল করতে পারেনি। তার মাথার সিল্কি চুল দারুণ। খােপা করা আছে সেটা। সাধারণত সে চুল খােলাই রাখে। তাকে দেখে সুপার মডেলদের মতাে মনে হচ্ছে।…….

……হােয়াইট হাউজের গার্ডরা তাদেরকে নিয়মানুযায়ী চেক করলাে । আশেপাশে যতাে নারী পুরুষ আছে তারা সবাই জেনিফারের দিকে দু’বার তিনবার করে তাকাচ্ছে। সে যখন উপুড় হয়ে জুতার হিলটা ঠিক করতে গেলাে তখন তার পাঁচ হাজার ডলার দামের পােশাকের গলা দিয়ে শরীরের সবচাইতে আকর্ষণীয় অংশটা প্রায় বের হয়ে এলাে। হােয়াইট হাউজের সব পুরুষ স্টাফরা কৌতুহলী হয়ে উঠলাে। তারা সবাই নিঃসন্দেহে জ্যাককে ঈর্ষা করছে।……..

………কেইট দাড়িয়ে আছে পাইয়ের কোণায়, তাকে দেখছে সে। বাতাসে তার লম্বা স্কার্টটা দুলছে। লম্বা চুলগুলাে। মুখের উপর এসে পড়ছে। ঢিলেঢালা ব্লাউজের ফাক দিয়ে তার কাধের জন্মদাগটি উকি মারছে। সঙ্গমের পর ঘুমন্ত কেইটের দিকে, বিশেষ করে তার এই জন্মদাগটির দিকে তাকানাের অভ্যাস ছিলাে জ্যাকের।……

……..অতি সংক্ষিপ্ত পােশাক, তাও আবার শরীরের সঙ্গে সেঁটে থাকা, যন্ত্রণাদায়কভাবেই উত্তেজনাকর এক মেয়ে এসে তাকে একটা নােট দিয়ে গেলাে।……

……..মেয়েটা তার দিকে হাসলে সেও একটু হাসলাে কিন্তু তার হাসিতে একটু উদ্বিগ্নতা দেখা গেলাে। মেয়েটা সিক্সটিন্থ স্টুট এসােসিয়েশনের একজন কংগ্রেশনাল লিয়াজো। এমন নয় যে, সে মেয়েটার পেশা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে। বিছানায় সে দারুণ হবে, এটাই কেবল তার আগ্রহের বিষয়।……….

…….স্যান্ডির চোখ ডাইনিং রুমের দিকে গেলাে। সে দামি বিজনেস সুট পরা এক মেয়েকে দেখতে পেলাে, কিন্তু এর নিচে যে সে কিছুই পরেনি সেব্যাপারে তার বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।…. লর্ড আঙুল তুলে কংগ্রেশনাল লিয়াজোর দিকে ইঙ্গিত করলাে। “গত ছয় মাসে তাকে আমি পাচ বার করেছি।” জ্যাক মুচকি হাসলে লর্ড না হেসে পারলাে না।

“এবার নিজেকে জিজ্ঞেস করাে এরকম একটা সুন্দর প্রাণী আমার মতাে মােটাসােটা বুড়াের সঙ্গে কেন শুতে যাবে?”

“হয়তাে আপনার জন্যে তার খুব মায়া হয়, তাই।” জ্যাক হেসে বললাে।

লর্ড হাসলাে না। তুমি যদি এটা বিশ্বাস করাে তবে তুমি একটা বােকা। কি মনে হয় এ শহরের মেয়েরা পুরুষের চেয়ে বেশি বিশুদ্ধ? কেন তারা হবে? ত স্কার্ট আর স্তনবৃত্ত আছে, সেগুলাে তারা কেন ব্যবহার করবে না।

“সে এটা করে কারণ সে যা চায় আমি তাকে তাই দিতে পারি । সেও তা জানে আমিও জানি। এ শহরের খুব কম মানুষই আমার মতাে দরজা খুলতে পারে । টা সব। এজন্যেই সে আমাকে তার পােঙ মারতে দেয়। এরকম দ্রঘরের মেয়েরাও এটা করে কেবল টাকাপয়সার জন্যে, বুঝলে?”………

……..“আপনার স্ত্রী কি কখনও গাইনিকোলােজিক্যাল পরীক্ষা করতে গিয়েছিলাে?” “অবশ্যই, সব মেয়েই তাে যায়।”

“আপনি খুব অবাক হবেন, এক্সামিনার একটু থেমে আবার বলতে লাগলাে । “আপনি সেখানে গেলে, গাইনি যতাে ভালােই হােক না কেন, ভালােভাবে দেখতে হলে আপনাকে আঙুল ঢােকাতে হবেই। আর তাতে যৌনাঙ্গ অল্পবিস্তর স্ফীত হবেই। এটাই শারীরিক প্রকৃতি।”……..

……..বিছানার পাশে দাঁড়িয়ে কাপড় তুলে নিচ্ছে। তার চোখের সামনে চিফ অব স্টা গ্লোরিয়া রাসেল সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে আছে। দৃশ্যটা তার সারা দেহে কাঁপন ধরালাে যদিও কলিন এরকমটিই আশা করেছিলাে। অথবা এরকম কিছু।…….

……..আয়নাটা ক্রিস্টিনের আইডিয়া ছিলাে। তবে এটাও ঠিক, সেটাকে সে অনুমােদন করেছিলাে। এখন এটাকে একেবারেই আপদ বলে মনে হচ্ছে। অশ্লীল আর হাস্যকরও বটে। প্রথমে এটা তাকে আনন্দ দিয়েছিলাে। নিজের বউকে অন্যের সঙ্গে এসব করতে দেখে অন্যরকম আনন্দ লেগেছিলাে। বউকে সন্তুষ্ট করার বয়স বহুদিন আগেই পেরিয়ে গেছে সে। কিন্তু অন্যভাবে শারীরিক আনন্দ পাওয়াটা বাদ দিতে পারেনি।……

……..সােফার এক কোণে রাসেল হাটু মুড়ে বসলাে, তার পরনে ঢিলেঢালা একটা সূতির। গাউন, সেটা হাটু অবধি উঠে আছে। তার প্রশস্ত উক্ত কাপড়ের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারলাে। কলিন আরাে দুটো বিয়ার নিলাে।…….আরাে বিয়ারের জন্যে উঠে দাঁড়ালে সে খেয়াল করলাে গ্লোরিয়া আরাে ঘনিষ্ঠভাবে কাছে এসে পড়লে তার হাটু এবং উক্ত কলিনের শরীরের সাথে লেগে গেলাে। সে পা দিয়ে কলিনের পায় ঘষতে শুরু করলাে। মাখনের মতাে তার উরুর রঙ। বয়স্ক মহিলার পা বলে মনেই হচ্ছে না। বরং দারুণ আকর্ষণীয় লাগছে। কলিন চোখ দিয়ে। তার দেহটা চষে বেড়ালাে।………

……….সে গ্লোরিয়ার উরুতে হাত বােলাতে লাগলাে। গ্লোরিয়া একটুও বাধা দিলাে না বরং আরাে একটু কাছে এগিয়ে আসলাে। তার হাতটা আস্তে করে গাউনের নিচে ঢুকে গেলাে। তার পেটে হাতটা ঘুরে বেড়ালাে, সেখান থেকে স্তনের ঠিক নিচে । অন৷ হাতটা গ্লোরিয়ার কোমর জড়িয়ে ধরলাে। একটু টেনে তাকে আরাে কাছে নিয়ে এলাে। একটা হাত গ্লোরিয়ার গােপনাঙ্গে চলে গেলাে। চিফ অব স্টাফ ঘন ঘন নিঃশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে। শরীরের সাথে শরীরটা লেপ্টে যাচ্ছে। কলিনের উদ্যত লিঙ্গে হাত রাখলাে গ্লোরিয়া, সেটা হাতের মুঠোয় পুরে মােচড়াতে শুরু করলাে। এরপর পুরাে জিনিসটা মুখে পুরে নিলে কলিনের উত্তেজনা তুঙ্গে উঠে গেলাে। | শরীরের কাপড়টা খুলে ফেলতে লাগলাে। ব্রার হুকটা খুলে একেবারে বিবস্ত্র হয়ে গেলাে। দুটো স্তনের মাঝখানে তার মাথাটা চেপে ধরলাে। একমাত্র যে পােশাকটি তার শরীরে ছিলাে, কালাে লেশের প্যান্টি, সেটাও তিরােহিত হলাে অবশেষে। তার দিকে চেয়ে চোখের ভাষায় আমন্ত্রণ জানালে কলিন তাকে কোলে তুলে নিয়ে শােবার ঘরে চলে গেলাে।………

………রাসেল এজন্যেই অপেক্ষা করছিলাে। তার দিকে মাদকতা নিয়ে তাকিয়ে এক হাত দিয়ে নিজের শরীর থেকে রােবটা খুলে মাটিতে ফেলে দিলাে। এখনও অনেক সময় প’ড়ে আছে। বিশেষ করে সাইত্রিশ বছর বয়সের এক মহিলার বেলায় যে কিনা। এ জীবনে কোনাে পুরুষের সঙ্গে সেভাবে কোনাে সম্পর্ক তৈরি করেনি।…….

……..”আমার জন্যে তােমার কিছু করার আছে। তবে সেটা তােমাকে সকালে বলবাে।” সােফায় শুয়ে মিষ্টি করে হেসে হাত বাড়ালাে সে। বাধ্য ছেলের মতাে উঠে তার কাছে এগিয়ে গেলাে সে। কিছুক্ষণ বাদে কেবল শিকার আর উল্লাসধ্বনি শােনা গেলাে। সােফাতে দুটো শরীর ব্যাকুলভাবে একে অন্যকে পেতে উদগ্রীব হলাে।……..

……….এক মুহুর্তের জন্যেও সে বিশ্বাস করে না রাসেল কেবল তার পার্টনারের জিপারের পেছনের মূল্যবান বস্তুটির জন্য আগ্রহী । সে ঐরকম মেয়ে নয়। সে যা কিছু করে তার একটা উদ্দেশ্য থাকে। একজন তরতাজা যুবকের কাছ থেকে অতি উত্তম সঙ্গমের স্বাদ পাওয়া কোনাে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নয়।…….

…….সেই রাতে প্রবল উচ্ছ্বাস নিয়ে জেনিফার বন্ডউইনকে সব খুলে বললাে। এরপরই ঠাণ্ডা শ্যাম্পেইন আর চিংড়ি মাছ ভাজা খেয়ে তারা দু’জন পরিচয় হবার পর সবচাইতে উদ্দামপূর্ণ সঙ্গমটি উপভােগ করলাে।……..

……….বার্টন রাসেল সম্পর্কে যা বলেছে সম্ভবত সেটা সত্য। নরম মাংস আর যৌনতার স্বাদ পেলেও কলিনের যুক্তিবুদ্ধি একেবারে লােপ পায়নি।……

……..নিজের শরীরের সবটুকু পােশাক খুলতে গিয়ে রাসেল ভাবলাে সে কেন কলিনের মতাে যুবককে প্রলুব্ধ করছে। এ মূহুর্তে তার মনে হলাে সে টিম কলিনকে তার জীবনের বাকি সময়টুকুর প্রতি রাতেই ভােগ করতে পারবে, কখনও ক্লান্ত হবে না; প্রতিটি সঙ্গমে তার যে অনুভূতি হয়, শরীরে সুখের বন্যা বয়ে যায়, সেটা তাকে আরাে বেশি ক্ষুধার্ত করে তুলছে। এসব খেলা বন্ধ করার জন্যে তার মস্তিষ্ক হাজার বার বললেও তার শরীর এসব কিছুই শুনছে না।………..

……..বার্টন দেখতে পেলাে চিফ অব স্টাফ এখন তার শরীরের লােভনীয় অংশগুলাে ঢাকতেই বেশি ব্যস্ত আর সেই সঙ্গে পরিস্থিতিটা সামলে নেবার জন্য সময়ও নিচ্ছে। কোনােটাতেই সে সফল হলাে না।……

……..সে তার দিকে তাকালাে। “তুমি কি সব সময় এমন পােশাক পরে দরজা খােলাে নাকি?” কলিনের এতাে আগ্রহ কেন সেটা এবার বােঝা গেলাে। পাতলা নাইট গাউনটা চিফ অব স্টাফের উদ্দাম শরীরের কিছুই চোখের আড়াল করতে পারছে না। মহিলাকে দেখে তারও উত্থান ঘটতে শুরু করেছে। এমন জিনিস চোখের সামনে থাকলে বয়স কি বাধা হতে পারে, না, পারে না।……….

……..বেশ্যাদের পােশাক ছেড়ে অন্য পােশাক পরে আসসা। তুমি যদি তােমার নাদুসনুদুস পাছাটা বাঁচাতে চাও তবে আমি যা বলবাে ঠিক তাই করতে হবে। বুঝেছাে?………

………নক করতেই দরজাটা খুলে গেলাে। ভেতরে ঢুকে দেখলাে গ্লোরিয়া রাসেল দরজার পাশে দাড়িয়ে আছে। সে দরজাটা বন্ধ করে দিলাে। তার মুখে হাসি। খুবই পাতলা আর সংক্ষিপ্ত একটা সাদা গাউন পরে আছে। পােশাকটা এতাে আঁটোসাঁটো যে শরীরের সবগুলাে বাঁকই স্পষ্ট ফুটে উঠেছে। তার পা খালি। কাছে এসে পায়ের পাতায় ভর দিয়ে কলিনের ঠোটে চুমু খেলাে। তারপর তার হাত ধরে তাকে শােবার ঘরে নিয়ে গেলাে।

কলিনকে বিছানায় শুয়ে পড়ার ইঙ্গিত করলাে। তার সামনে দাড়িয়ে সংক্ষিপ্ত পােশাকটিও খুলে ফেললাে। এরপর অর্ন্তবাসটাও খসে পড়লাে। সে উঠতে গেলে গােবিয়া তাকে আলতাে করে ধাক্কা মেরে শুইয়ে দিলাে।

ধীরে ধীরে তার ওপর উঠে বসলাে সে। তারপর জিন্সের উপর দিয়েই তার | লিঙ্গটাকে খামচে ধরলাে। কলিন প্রায় আর্তনাদ করতে যাচ্ছিলাে। আবারাে মা গ্লোরিয়াকে স্পর্শ করার চেষ্টা করতে গেলেই সে তাকে ধাক্কা মেরে শুইয়ে দিলাে। তার প্যান্টের বেল্ট খুলে প্যান্টটা খুলতে লাগলাে। এরপর আন্ডারওয়্যারটাও খুলে ফেললে উদ্যত লিঙ্গটা বেরিয়ে পড়লাে । দু’হাতে ধরে মােচরাতে লাগলাে সেটা।

তার কানের কাছে মুখ আনলাে গ্লোরিয়া। “টিম, তুমি আমাকে চাও, তাই না? আমাকে করার জন্য খুব মরিয়া, তাই না?”

সে গােঙাতে গােঙাতে তার পাছায় হাত দিতে গেলে গ্লোরিয়া হাতটা সরিয়ে দিলাে।

“চাও না?” “হ্যা, চাই।”

“আমিও চাই; সেই রাতে ভীষণ ইচ্ছে করছিলাে তােমাকে আমার ভেতরে নিতে। তারপরই তাে ও এসে পড়লাে।”……….

………কেইট উঠে এসে তাকে বিছানায় টেনে নিয়ে গেলে কিছুক্ষণ বাদে তা সেও সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে গেলাে। গাঢ় চুম্বনের বদলে সে তার শরীরের আদর করতে লাগলাে, অনেক দিন পরে। কেইট চোখ বন্ধ করলাে না। ৭ নেই, কাপুনি নেই। কেবল চোখে-মুখে আবেদনের ইশারা। জ্যাক কে জড়িয়ে ধরলাে যেনাে সারাজীবন এভাবেই থাকবে তারা।……….

……….রাসেল চাদরের নিচে শুয়ে আছে। এইমাত্র রিচমন্ড তার ওপর উঠে সমস্ত লালসা চরিতার্থ করেছে। কোনাে কিছু না বলেই কাজ শেষ করে ঘর থেকে চলে গেছে। তার একমাত্র উদ্দেশ্যটি বন্যভাবেই পূর্ণ হয়েছে। তার হাতের কজি দুটো ঘষলাে সে। এই কজি দুটো আঁকড়ে ধরেই লােকটা উপগত হয়েছিলাে। তার স্তন দুটোতে ব্যাথা করছে।

দু’হাত আর মুখ দিয়ে ওগুলাে একেবারে পিষে ফেলেছে। বার্টনের সর্তকতাটি তার মনে পড়লাে, মনে পড়লাে ক্রিস্টিন সুলিভানের কথাও। দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরলাে। সে রিচমন্ডের সঙ্গে সঙ্গম করার জন্যে ব্যাকুল ছিলাে। আজকে অবশেষে সেটা পেয়েও গেলাে। কিন্তু সে ভেবেছিলাে এটা হবে দারুণ রােমান্টিক আর দু’জন বুদ্ধিমান, ক্ষমতাশালী লােকের দ্বৈরথ । কতাে দারুণই না হােতো সেটা । কি রিচমন্ড, কোনাে আবেগের ধার না ধেরে, পশুর মতােই তাকে ছিড়ে খুবলে খেলাে । যেনাে একা একা হস্তমৈথুন করছে। তাকে একটা চুমুও খায়নি। এমনকি একটা কথাও বলেনি । বিছানায় আসতেই তার কাপড় চোপড় খুলে ফেললাে। ঝাপিয়ে পড়লাে বাঘের মতাে। এখন চলে গেছে। কাজটা করতে মােটে দশ মিনিট লেগেছে। সে নাকি চিফ অব স্টাফ। মানে স্টাফদের প্রধান। খানকিদের প্রধান। সে চিৎকার করতে চাইলাে। ওয়ােরের বাচ্চা, তােকে আমি পােশ মেরেছি। কুত্তার বাচ্চা! সেই রাতে ঐ বাড়িতে তােকে আমি ধর্ষণ করেছি, তাের কিছুই করার ছিলাে না।………..

Leave a Reply