এসো, নীপবনে – সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

………আমার বয়স উনিশ আর লােকেশের পঁয়ত্রিশ। যখন যেদিন জোকার রিসর্টে প্রথম অর্গ্যাজম, ভেতরে-বাইরে কেঁপে সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে যখন ও কিছু না দিলে আমার আর ওকে ফিরে দেওয়ার মতাে কোনও সম্বলই নেই। (আমি রবীন্দ্রনাথের ‘ওগাে কাঙাল’ গানটির কথাই এখানে ভাবছি)—সেই সময় ও আমার এক রিল ন্যুড তুলে ছিল। মৃদু প্রতিবাদ যে করিনি আমি, তানয়। কিন্তু তখন আমার শরীর ন্যাতা, মনেও নেই জোর। ফ্ল্যাশের ওপর ফ্ল্যাশ দিয়ে আমাকে উল্টে পাল্টে, শুয়ে, বসিয়ে, দাঁড় করিয়ে পুরাে এক রিল রঙিন ছবি সেতুলে ছেড়েছিল। লােকেশ পরে দেখিয়েও ছিল আমাকে ছবিগুলাে। খুব আপত্তিকর মনেও হয়নি তখন। ঠিক ন্যুড বলতে যা, তা তাে নয়। ওগুলাে ছিল আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বা অংশের ছবি— আমার চোখ, আমার চুল, আমার বাহু, হাতের পাতা, আমার ঠোট, আমার পা (জাস্ট ঊরু পর্যন্ত), আমার স্তন এবং আমার মুখ। সব আলাদা আলাদা। মূলত নান্দনিক প্রয়াস। আর ফটোগ্রাফিতে ওর হাত যা দুর্দান্ত! শুধু জোড়া দিলেই ও থেকে আমার নড বলতে যা পাওয়া যেতে পারে।……..

………রাখলে, ও তাে আমাকে মিস্ট্রেস হিসেবে আজীবন রাখতে পারত। আমার সম্পূর্ণ ন্যুড কি ওর কাছে আমৃত্যু থাকতে পারত না? কিন্তু কী রেখেছিল সে কাছে? শুধু স্মৃতি। আমার চোখ, চুল, ঠোঁট, হাত ও পায়ের পাতা— আমার গ্রীবা, আমার স্তন (বলত, ওর হাতের তালুর মাপে তৈরি)— এই সব। বিশেষত দ্বিতীয় ভুলটির জন্যেই আমার এক জীবনের ভুলচুক হয়ে গেল, হায়!………..

Leave a Reply