উত্তরপূর্বের নির্বাচিত বাংলা গল্প – সম্পাদকঃ অনুপ ভট্টাচার্য – শুভব্রত দেব

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

দেবীপ্রসাদ সিংহ

….সেদিন রাত্রে সিরিয়াল, ইরির দেখা শেষ, আলাে নিবিয়ে শুয়ে আছে, হঠাৎ অনন্তর মনে হলােশরুর কি তাকে গিয়েছে, না কি সে-ই শরীরকে ভুলে থেকেছে এতােঙ্গি তার স্ত্রী পাশ ফিরে শুয়েছিল, অনন্ত বাহুতে হাত রেখে আত্নোভাব্রে টানল নিজের দিকে স্ত্রী র আমেজ-লাগা গলায় বলল- উ অনন্ত বিছানায় কনুই-এর ভর দিয়ে উঁচু হয়ে স্ত্রীর মুখ চুম্বন করল। স্ত্রীর ঘুম চটে গিয়েছিল, বিরক্তির গলায় বলল- কি হচ্ছে, পাশের ঘরে ছেলেমেয়েরা আছে ! – থাকুক। অনন্ত স্ত্রীর ব্লাউজে হাত দিল। – ব্যাপার কি ! হঠাৎ যে আজ এতাে সােহাগ উথলে উঠল বলল স্ত্রী।….

…..অনন্ত স্ত্রীর স্তন দুহাতে চটকাচ্ছিল। পুরনাে বিদ্যুচ্চমক তাে ফিরে এল না ! হাতের মুঠোয় মাংস উঠে আসছিল শুধু, শরীর কোথায়, শরীর? শরীর খুঁজতে পৃথিবী তােলপাড় করে ফেলল অনন্ত। তার স্ত্রীর শরীরের প্রতি ইঞ্চি জায়গা তন্নতন্ন করে খুঁজল। আসলে সে কি খুঁজছিল? তার বিস্মৃতির ভেতর, তার অবসাদের ভেতর, তারপর হয়ে আসা দিন ও রাতের ভেতর ছায়া গােপন হয়ে আছে যে জলকল্লোল, মিছিলের মুখ আর হাতে হাত রাখার উজ্জ্বল উত্তাপ, হয়তাে অনন্ত আশা করছিল তার দুহাতের মুঠোয় উঠে আসবে তার হারিয়ে যাওয়া ইচ্ছার, ভালাে লাগার, ঘৃণার তীব্রতা। কিছুই ফিরে আসে না, কিছুই ফিরিয়ে দেয় না সময়, এমন কি আশাও নয়। তার স্ত্রী বলল- যা করার তাড়াতাড়ি করাে আমার ঘুম পাচ্ছে!

স্ত্রীর ছড়ানাে, আলুথালু, চেষ্টাহীন শরীরের পর হাপরের মতাে উঠছিল আর নামছিল অনন্ত, নামছিল আর উঠছিল। কিন্তু কিছুতেই পেরােতে পারছিল না দুই শরীরের মাঝের সহস্র যােজন দূরত্ব। বাইরে বৃষ্টি কাচের জানালায় ধাক্কা দিচ্ছে, এদিকে সমস্ত শরীর বেয়ে ঘাম পড়ছিল অনন্তের। কিন্তু কোথায় সেই আগুন ? চুল সাদা হয়ে গেল অনন্তের, কপালে দীর্ঘ বলিরেখা, হাড়গুলাে একে একে খুলে পড়তে থাকল কিন্তু ঘামে স্যাতসেঁতে দুই শরীরের মাঝখানে আগুন জ্বলে উঠল । অনন্ত তাকিয়ে দেখল তার স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েছে।…..

মনুসংহিতা – মলয়কান্তি দে

…..মেয়ে ছিলাে তাে মেয়ের বাবাও ছিলাে। কাকা ছিলাে। মা, কাকীমা ছিলাে। ছিলাে খুড়তুতাে মিলিয়ে সাতটি ভাই বােন। মানে পাঁচ বােন আর দুই ভাই। মেযেটি ছিলাে ভাই বােনদের মধ্যে বড়াে। বয়স তার পনেরাে ষােলাে। তবে পনেরাে ষােলাের সিটিয়ে থাকা হাড্ডিসার চেহারা নয়। শরীর তার বেশ ভরন্ত, ফুলন্ত।….

ঝিনুক ফেটে মুক্তো এবার – দেবরাজ ভট্টাচার্য

…..কদিন ধরেই কেমন যেন অন্যরকম লাগছে সবকিছু। অসময়ে ঠোট কাপে থরথর, স্বত্ত্বা জুড়ে শাদা ধোঁয়া স্বপ্নের মতাে। মাথার মধ্যে রিমঝিম আব বুকের ভিতর সরগম। হৃদপিণ্ডে সুখসুখ অনুভূতি সারাদিন সারারাত এই তাে সেদিন সন্ধ্যায় প্রথমবার বুক কেঁপে উঠেছিল পায়রা নরম আতঙ্কে। ভীষণ অসহায় মনে হয়েছিল নিজেকে। এমা, কি লজ্জা, কি লজ্জা! কি হবে এখন। শেষ পর্যন্ত কেঁদে ফেলেছিল দু’হাতে মুখ ঢেকে। কান্না শুনে মা ছুটে এসেছিল। সব দেখে কিন্তু মা একটুও ভয় পায়নি। মাথায় হাত বুলিয়ে মা বলেছিল, ‘ও কিছু না, এরকম হযই। আর তখনই একবাশ লজ্জা জড়িয়ে ধবেছিল তার মুখ-বুক-নাভী-নিতম্ব। তাই মার কাছ থেকে পালিয়ে এসে আড়াল খুঁজেছিল সেদিন। মাখনের মতাে নরম মুখে আবীরের রঙ ছড়ায় এই প্রথমবার, মাংসল বুকের কালাে বােটায় চিনচিন ব্যথা, গােল নাভীতে মাকড়সা চক্কর খায় বেসামাল, আর উরুসন্ধি জুড়ে শুধু লজ্জা, লজ্জা আর লজ্জা। ঠিক তখন থেকেই ভাললাগার শিথিল শিহরণ মুখ-বুক-শরীর বেয়ে।….

তিনজন অবিনাশ এবং শিম্পাঞ্জী – মানিক চক্রবর্তী

…..মাইজি, আপনাকে আরাে দেব-ফুচকাওয়ালার বিনীত আব্দার। সলজ্জ মাথা নাড়ে পাশের থলথলে ভারী দেহ অবাঙ্গালী মেয়েমানুষটা। অবিনাশ দেখলাে মেয়ে মানুষটার নাভির নিচের অনেকদূর থেকে বুকের প্রান্ত পর্যন্ত কোন আবরণ নেই। বিরাট শরীর ফুচকা চিবােনাের তালে তালে নড়ছে, কাপছে। মাথায় এক হাত ঘােমটা। মাগী ঘােমটার নিচে খেমটা নাচ দেখাচ্ছে। ভড়ং দেখে বাঁচি না। অবিনাশের মুখ পিছলিয়ে মনে মনে বেশ কয়েকটা দারুণ খিস্তি বেরিয়ে এলাে।….

…..দুরে মেয়েদের বাসকেটবল খেলা হচ্ছে। অবিনাশ সেখানে গেল। পাঞ্জাবী, বাঙ্গালী, অ্যাংলাে সব আছে। অবিনাশ ওদের শরীর দেখছে। অবিনাশ মাংস দেখছে। শরীর নাচছে। মাংস নড়ছে। এক দুই তিন। দ্রিমি দ্রিমি দ্রিম—এক দুই……।…..

…..ওরা চলে যাবার পর ভেতর দিকের দরজার পর্দাটা সরিয়ে একটা বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে একজন মেয়েমানুষ ঘরে ঢুকলাে। মেয়ে-ছেলেটার কাপড়ের ফাক দিয়ে ওর শবারের প্রতিটি ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। অবিনাশকে দেখে ওরা ফিক ফিক করে হাসছে।…..

আঁতুড় – দুলাল ঘােষ

…..লােকটা ফাক পেলেই আমার শরীরে খামকা খোঁজাখুঁজি করত। আমিও ভাবি বুড়া তুই খুঁজতে খুঁজতে কি পেয়ে যাস দেখি!…..একটা গাছের নিচে শুয়ে গল্প করার মত তিনি আমার পাছায় হাত বাখলেন, বললেন-তুই কিন্তু ইণ্ডিয়ায় গিয়ে, সাবধান কোন ক্যাম্পে উঠবি না।……

…..টক্কার মুখেব ভাষাও বড় অপবিচিত লাগে। তবু, তবু মিছিমিছি এই পিছু ডাক তাব ভাল লাগে। তালেব রসের মত ভাবি হয়ে ক্রমশই বুক বাড়ছে তার। বাচ্চাকে দুধ দেযার মত উন্মুক্ত হতে ইচ্ছে করছে।…..

…..একাই সে তার ঈশ্বব এখন। একবাব, অন্তত একবার একটা মানব জন্মেব কল বানাবে সে। কোনবকমে অতি ধর্ষিত একটি যােনি জোগাড় কবতে পেবেছে। আবেকটি ক্রীতদাসের লিঙ্গ। শালাব শালা নিবার্য কিনা তাও জানি না। ঐসব যৌনরােগী বনজবভূমিব কাছ থেকে তুমি কী ফল কামনা কব?

-বিস্তাব পােকারা শশান! কোন কামনা বাসনা নয়—আমি একটি পুরুষ বানাব। পূর্ণ দৈর্ঘ লিঙ্গ ঢাই আমাব। একটি বীজ। প্রকৃত বীর্যবান।……

Leave a Reply