উইন্ডমিলস অভ দ্য গডস – সিডনি শেলডন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু

………..তবে হ্যারী ল্যানজের বাইরে যাবার কোনাে ইচ্ছেই নেই। ঘরে বসেই বেশ মজা লুটছে সে। বিছানায় ন্যাংটো অবস্থায় দুই বােনের মাঝখানে স্যান্ডউইচ হয়ে শুয়ে আছে ল্যানজ। অ্যানেট লম্বা, কুচকুচে কালাে চুল; স্যালি লম্বা তবে তার চুলের রঙ সােনালি। এদের রক্তের সম্পর্ক নিয়ে হ্যারী ল্যানজের কোনও মাথাব্যথা নেই। তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে ওরা যে-কাজটা করছে তাতে দুজনেই বিশেষ এক্সপার্ট। আর তারা যা করছে তার ফলে বিছানায় শুয়ে সুখের আতিশয্যে গােঙাচ্ছে হ্যারী ।…….হ্যারী ল্যানজ হঠাৎ পিঠ খাড়া হয়ে উঠে বসল, ওর পুরুষাঙ্গে বসে গেল অ্যানেটের দাত। যেশাস ক্রাইস্ট!’ আর্তনাদ করল ল্যানজ। আরেকটু হলেই গেছিল তাে জিনিসটা কেটে! করছ কী শুনি?……

……… বিয়ের পরে ওরা উন্মাদের মতাে প্রেম করত। পরস্পরের শরীরের প্রতি তীব্র আকর্ষণ ছিল দুজনের। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনের প্রয়ােজনীয়তার তীব্রতা হ্রাস পেলেও আবেগ এবং অনুভূতিগুলাে একই রকম রয়ে গেছে। ওরা এখনও বুকভরা ভালােবাসা এবং কামনা নিয়ে মিলিত হয়।

ওরা বাড়ি ফিরে আর সময় নষ্ট করল না। দ্রুত পােশাক খুলে উঠে পড়ল বিছানায়। এডােয়ার্ড কাছে টেনে নিল মেরীকে, আদর বােলাতে লাগল শরীরে, ওর বুক নিয়ে খেলা করল, আঙুল দিয়ে মুচড়ে দিল স্তনবৃন্ত, হাত চলে গেল দুই উরুর সংযােগস্থলের নরম মখমলে।

সুখের আতিশয্যে গােঙাতে লাগল মেরী । “উহ্, দারুণ লাগছে!

এডােয়ার্ডের গায়ের ওপর গড়ান দিয়ে উঠে এল মেরী, এবার সে জিভ ব্যবহার করছে। উষ্ণ জিভের স্পর্শ এডােয়ার্ডের পুরুষাঙ্গ লৌহকঠিন করে তুলল। দুজনেই যখন প্রস্তুত হলাে, ক্লান্ত না হওয়া পর্যন্ত চালিয়ে গেল প্রেম। তারপর স্ত্রীকে শক্ত করে বাহুডােরে বেঁধে নিয়ে এডােয়ার্ড বলল, আমি তােমাকে অনেক ভালােবাসি, মেরী।’

‘আমি তােমাকে আরও বেশি ভালােবাসি। গুড নাইট, ডার্লিং।’………….

……….যে-দৃশ্যটির জন্য অপেক্ষা করছিলেন গ্রোজা এবার সেটা দেখতে পেলেন। তার স্ত্রী এবং কন্যাকে ধর্ষণ করছে একদল নরপশু। গ্যাং-রেপ। স্ত্রীকে ধর্ষণ শেষে সৈন্যরা হাসতে হাসতে চড়াও হলাে কচি মেয়েটার ওপর। সবাই উলঙ্গ, লাইন ধরে দাড়িয়ে আছে। একজনের শেষ হলে অপরজন যাচ্ছে। পিঠের ওপর শাঁই শাই নামছে চাবুক। মারিন গ্রোজা তার স্ত্রী এবং কন্যার চিৎকার শুনতে পেলেন। তারা সৈন্যদের কাছে দয়া ভিক্ষা চাইছে, তাদের মুখে পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে দিয়েছে সৈন্যরা, চুষতে বাধ্য করছে। ওরা একসঙ্গে সামনে এবং পেছন থেকে উপগত হচ্ছে। ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরিয়ে আসছে। মা-মেয়ের শরীর থেকে। তাদের আর্তনাদ এবং গােঙানি একসময় থেমে গেল।………..

………..গােটা ব্যাপারটাই দিন দিন আরও বেশি অদ্ভুত হয়ে উঠছে,’ বলল বেন কোহন। বিছানায় ন্যাংটো হয়ে বসে আছে সে। পাশে তার তরুণী রক্ষিতা, আকিকো হাদাকা । টিভিতে মেরী অ্যাশলিকে দেখছে মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে।……….বেনকে ধাক্কা মেরে শুইয়ে দিল সে, চড়ে বসল ওর গায়ের ওপর। তারপর মেতে উঠল শরীর নিয়ে। লম্বা মখমলের মতাে চুল ছুঁইয়ে দিল বেনের বুক, পেট এবং কুঁচকিতে। দেখল শরীর জেগে উঠছে বেনের। পুরুষাঙ্গে হাত বুলাল আকিকো ।

‘হ্যালাে, আর্থার।’ “আর্থার তােমার ভেতরে ঢুকতে চায়।’ ‘এখনই না। সে ব্যবস্থা পরে হবে।’

বিছানা থেকে নামল মেয়েটা, নিতম্বে ঢেউ তুলে অদৃশ্য হয়ে গেল কিচেনে। টিভিতে চোখ ফেরাল বেন। ওই মহিলাকে দেখলেই আমার গা শিরশির করে। ওর চোখের মধ্যে যেন কী আছে।

আকিকো!’ হাঁক ছাড়ল বেন কোহন। ‘করছ কী তুমি? আর্থার তাে ঘুমিয়ে পড়ছে..

‘ওকে ঘুমাতে নিষেধ করাে,’ সাড়া দিল আকিকো। আমি আসছি এখুনি।’

কিছুক্ষণ পরে ফিরল মেয়েটা, হাতে একটা প্লেট। ওতে সাজানাে আইসক্রিম, ফেটানাে ক্রিম এবং একটি চেরি।

‘ফর গডস শেক,’ বলল বেন। আমার পেটের খিদে লাগেনি। শরীরের খিদে লেগেছে।’

‘শুয়ে থাকো,’ বেনের শরীরের নিচে একটি তােয়ালে পেতে দিল আকিকো। প্লেট থেকে এক খাবলা আইসক্রিম নিয়ে ওর অণ্ডকোষে মাখাতে লাগল।

চেঁচিয়ে উঠল বেন। অ্যাই! ঠাণ্ডা লাগছে তাে!’

‘শশ!’ আকিকো আইসক্রিমের ওপর ফেটানাে ক্রিম ছড়াল। তারপর বেনের পুরুষাঙ্গ মুখে পুরে নিল। দেখতে দেখতে ওটা অস্বাভাবিক স্ফীত হয়ে উঠল।

“ওহ, মাই গড,’ গুঙিয়ে উঠল বেন। থেমাে না।

আকিকো লৌহদণ্ডের মতাে দাঁড়িয়ে থাকা লিঙ্গের মাথায় বসাল চেরি। আমি ব্যানানা স্পিট খুব পছন্দ করি।’ ফিসফিস করল সে।

চেরি খেতে শুরু করল আকিকো, অদ্ভুত পুলকে আর উত্তেজনায় শরীরের প্রতিটি রােমকূপ দাঁড়িয়ে গেল বেনের। উহু, এত সুখ! আর যখন সহ্য করতে পারল না, আকিকার ওপর চড়াও হলাে সে, প্রবেশ করল ওর ভেতরে।…………

………..মেরী মনে মনে বলল, নিজেকে আমার সতেরাে বছরের মেয়ের মতাে মনে হচ্ছে যে প্রথম ডেট করতে যাচ্ছে। আমি নার্ভাস।

লুই ওকে শক্তহাতে আলিঙ্গন করল । ওর বুকে মাথা এলিয়ে দিল মেরী, লুই’র ঠোট খুঁজে পেল ওর অধর, আবিষ্কার করছে ওর শরীর, মেরীর হাত ধরে নিজের শক্ত হয়ে ওঠা পৌরুষে ছোঁয়াল লুই। মেরী ওর চারপাশে কী ঘটছে ভুলে গেল সব।

ওর ভেতরে প্রবল একটা কামনা জেগে উঠেছে যা ছাড়িয়ে গেছে যেীন বাসনাকেও। ও চাইছে ওকে কেউ শক্ত করে জড়িয়ে ধরে থাকুক, ওকে আশ্বস্ত করুক, নিরাপত্তা দিক, ওকে জানিয়ে দিক ও আর একা নয়। লুই ওর ভেতরে প্রবেশ করুক, ও-ও লুই’র ভেতরে ঢুকে যেতে চায়, দুজনে মিলে এক হয়ে যাবে। | প্রকাণ্ড, ডাবল খাটে শুয়ে পড়ল ওরা। মেরীর নগ্ন শরীরে আদর করছে লুইয়ের জিভ, ওর দুই উরুর ফাকের নরম মাংসখণ্ডে চলে যাচ্ছে, তারপর সে মেরীর শরীরে প্রবেশ করল। চিৎকার দিল মেরী প্রবল সুখে, ও যেন সুখের আতিশয্যে ভেঙে হাজারটা। মেরী হয়ে গেল। আবার। আবার! উহু, এত সুখ যে মেরী সইতে পারছে না!

লুই লাভার হিসেবে দারুণ, আবেদনময় এবং তার খিদে প্রচণ্ড। তবে একই সঙ্গে সে সংযত এবং কেয়ারিং। অনেকক্ষণ, অনেকক্ষণ পরে থেমে গেল ঝড়, পরিতৃপ্ত, শান্ত। হয়ে শুয়ে থাকল দুই মানব-মানবী।………

Leave a Reply