অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু
………মেয়েরা একে অন্যের দিকে অস্বস্তি নিয়ে তাকাল । একজন সাহস করে জানতে চাইল, ঠিক কতটা কাপড়
কাপড় খুলে ফেলার মানে বুঝতে পারনি? ল্যাংটা হওঁ- পুরােপুরি।’
ধীরে ধীরে মেয়ে এবং মহিলারা গায়ের কাপড় খুলতে শুরু করল। এদের কেউ নিজের সম্পর্কে সচেতন, কেউ রাগে ফুলছে, কারওবা আচরণ অন্যমনস্ক । ট্রেসির বামে উত্তর চল্লিশের এক মহিলা কাপড় খােলার সময় রীতিমতাে কাঁপছিল। ওর ডানপাশে দাঁড়ানাে ভীষণ রােগা একটি মেয়ে, চেহারা দেখে মনে হয় সতেরাে বছরের বেশি হবে বয়স। গা ভর্তি কালাে আঁচিল ।
লাইনে দাঁড়ানাে সারির প্রথম নারীটির দিকে এগিয়ে গেল ডাক্তার। টেবিলে শুয়ে পা ওপরে তুলে দাও।’
ইতস্তত করছে মহিলা। ‘জলদি। তুমি অন্যদের দেরি করিয়ে দিচ্ছ।
নির্দেশ মাফিক কাজ করল মহিলা। ডাক্তার মহিলার যৌনাঙ্গে একটি স্পেকুলাম ঢুকিয়ে দিল। জিজ্ঞেস করল, “তােমার কোনাে যৌন রােগ আছে?
না।’ ‘আচ্ছা, আছে কী নেই তা পরে দেখা যাবে।’
ওই মহিলাকে পরীক্ষার পরে আরেকজনকে শুইয়ে দেয়া হলাে টেবিলে । ডাক্তার আগের স্পেকুলাম এই মহিলার যােনীতে ঢােকাতে যাচ্ছে, চেঁচিয়ে উঠল ট্রেসি, ‘দাঁড়ান! দাঁড়ান!
থেমে গেল ডাক্তার, বিস্ময় নিয়ে মুখ তুলে তাকাল। কী?
সবাই তাকিয়ে আছে ট্রেসির দিকে। ট্রেসি বলল, ‘আমি… আপনি তাে যন্ত্রটা বীজাণুমুক্ত করে নেননি।’
ট্রেসিকে ধীর, শীতল একটি হাসি উপহার দিল ডা. গ্লাসকো।
‘বেশ! এ বাড়িতে আমরা একজন গাইনােকোলজিস্টকে পেয়ে গেছি। তুমি জীবাণু নিয়ে শংকিত, তাই না? লাইনের শেষ মাথায় গিয়ে দাঁড়াও।’
জী?’ ইংরেজি বােঝো না। লাইনের সবার শেষে গিয়ে দাঁড়াতে বলেছি।’ ওকে কেন একথা বলা হলাে বুঝতে না পারলেও হুকুম তামিল করল ট্রেসি ।
‘এখন আবার শুরু করব কাজ,’ বলল ডাক্তার । টেবিলে শােয়া মহিলার শরীরে সে স্পেকুলাম ঢুকিয়ে দিল। সহসা ট্রেসি বুঝতে পারল কেন তাকে লাইনের সবার শেষে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। লােকটা একই স্পেকুলাম দিয়ে সকলকে পরীক্ষা করবে যন্ত্রটা না ধুয়েই এবং সবশেষে ওটা ওর ওপর ব্যবহার করা হবে। রাগে গায়ে আগুন ধরে গেল ট্রেসির। লােকটা এভাবে সবাইকে গণহারে ন্যাংটো না করে প্রত্যেককে আলাদাভাবে পরীক্ষা করতে পারত। কিন্তু ইচ্ছে করে ওদেরকে অপমান করছে। অথচ কেউ কোনাে প্রতিবাদও করছে না। সবাই যদি প্রতিবাদ করত- এবারে ট্রেসির পালা এলাে।
‘টেবিলে শুয়ে পড়াে, মিস ডাক্তার।’
ইতস্তত করছে ট্রেসি কিন্তু ওর তাে কোনাে উপায়ও নেই। সে টেবিলে উঠে চিৎ হয়ে শুয়ে চোখ বুজল। টের পেল তার দুই পা ফাঁক করে ধরা হয়েছে, তারপর শরীরের ভেতরে ঠাণ্ডা স্পেকুলামের স্পর্শ পেল, ওটা নির্দয়ভাবে ঢােকানাে হলাে, ঘাঁটাঘাঁটি করতে লাগল ডাক্তার নিষ্ঠুরের মতাে। ব্যথায় দাঁতে দাঁত চেপে রইল ট্রেসি । ‘তােমার সিফিলিস বা গননারিয়া আছে?’ জিজ্ঞেস করল ডাক্তার?
সন্তানের কথা ট্রেসি লােকটাকে বলবে না। অন্তত এ দানবকে নয় । ওয়ার্ডেনকে পরে বলবে।
ঝট করে ভেতর থেকে টেনে বের করা হলাে স্পেকুলাম । চোখ মেলে চাইল ট্রেসি । ডা. গ্লাসকো একজোড়া রাবারের গ্লাভস হাতে পরছে । সবাই সার বেঁধে দাঁড়িয়ে উবু হয়ে থাকো। তােমাদের পোঁদ পরীক্ষা করা হবে।’
সামলাতে না পেরে প্রশ্নটা করেই ফেলল ট্রেসি, এসব কেন করছেন আপনি?
ডা. গ্লাসকো কটমট করে তাকাল ট্রেসির দিকে। কেন করছি তা বলছি, ডাক্তার । কারণ পোঁদ হলাে জিনিসপত্র লুকিয়ে রাখার উৎকৃষ্টতম স্থান। তােমাদের মতাে মহিলাদের পাছার ভেতর থেকে আমি মারিজুয়ানা আর কোকেনের প্যাকেট উদ্ধার করেছি। এখন উবু হও।’ লাইন ধরে এগিয়ে চলল ডাক্তার, একের পর এক নারীর নিতম্ব ফাক করে দেখছে। অসুস্থ বােধ করল ট্রেসি। টের পেল বমি উঠে আসছে গলায় । ওয়াক ওয়াক করতে লাগল ও। …….….
………..মুখটা কেউ চেপে ধরেছে হাত দিয়ে, একজোড়া হাত ওর বুক দুটো নির্দয়ভাবে টিপছে, ব্যথা নিয়ে জেগে গেল ট্রেসি । উঠে বসে চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করল, টের পেল ওর নাইটগাউন এবং আন্ডারপ্যান্ট ছিড়ে ফেলা হয়েছে। ওর দুই উরুর মধ্যে ঢুকে গেছে হাত, দুই পা জোর করে ফাঁক করা হলাে। প্রাণপণে ধস্তাধস্তি করল ট্রেসি, উঠে বসতে চাইছে।
‘আস্তে’, অন্ধকারে ফিসফিস করল একটি কণ্ঠ । তাহলে ব্যথা দেবাে না। কণ্ঠ লক্ষ্য করে লাথি ছুড়ল ট্রেসি। মাংসের সঙ্গে বাড়ি খেল পা । ‘Carajo! মাগীকে ধরাে।’ কাতরে উঠল কণ্ঠটি। মেঝেতে শুইয়ে দাও!’
ট্রেসির মুখে আছড়ে পড়ল প্রচণ্ড মুষ্ঠাঘাত, আরেকটা ঘুসি লাগল পেটে । কেউ উঠে এল ওর গায়ের ওপর, ওকে চেপে ধরল, অশ্লীল কতগুলাে হাত কিলবিল করছে ওর শরীরে।।
এক মুহুর্তের জন্য বাঁধন আলগা করতে পারল ট্রেসি, কিন্তু এক মহিলাকে খপ করে ধরে ফেলল, বারের সঙ্গে ঠুকে দিল মাথা। নাক দিয়ে দরদরিয়ে বেরিয়ে এল রক্ত । কংক্রিটের মেঝেতে ছুড়ে ফেলা হলাে ওকে, হাত পা যেন পেকেক দিয়ে গেঁথে দেয়া হলাে। উন্মাদের মতাে যুঝছে ট্রেসি কিন্তু তিনজনের বিরুদ্ধে একা পেরে উঠছে না। টের পেল ঠাণ্ডা হাত আর গরম জিভ ওর শরীরে ঘুরে বেড়াচ্ছের দুই দিকে টেনে ছড়িয়ে দেয়া হলাে, শক্ত, ঠাণ্ডা একটা জিনিস ঢুকে গেল ভেতরে। অসহায়ভাবে মােচড় খাচ্ছে ট্রেসি, সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে চাইছে। একটা হাত চলে এল ওর মুখের ওপর। দাঁত বসিয়ে দিল ট্রেসি সমস্ত শক্তি দিয়ে ।……….
……….সে রাতে, বাতি নিভে যাবার পনেরাে মিনিট আগের সতর্ক ঘণ্টা বাজার পরে ট্রেসি বাঙ্ক থেকে নেমে পড়ল, কাপড় ছাড়ছে। পুরাে নগ্ন হলাে ও। ট্রেসির ভরাট দুই বুক, লম্বা, সুগঠিত পা এবং দুধের সরের মতাে উরু যুগল দেখে মেক্সিকান মহিলার মুখ দিয়ে শিস বেরিয়ে এল । দ্রুত নিশ্বাস পড়তে লাগল লােলার । নাইটগাউন গায়ে চড়িয়ে নিজের বাঙ্কে ফের শুয়ে পড়ল ট্রেসি। নিভে গেল বাতি। সেল ডুবে গেল অন্ধকারে।…….