আলাের গন্ধ – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

পৃ-২১ঃ

……..ফুলশয্যার পরের দিন খুব ভােরবেলায় ঘুম ভেঙে গিয়েছিল জিয়ানার। শরীরের নরম জায়গায় বুকুর দাঁতের দাগের ওপর হাত বুলিয়ে গত রাতের রােমাঞ্চ মনে এসেছিল ওর। শরীরে পদ্মফুল ফুটেছিল যেন। …….

পৃ-৩১ঃ

……..ক্লাস ইলেভেনের মহুল ভুরু কুঁচকে বলেছিল, ‘কেন? পেনের কালি | ফুরিয়ে গিয়েছিল? না যাত্রা দেখছিস আজকাল বেশি? ইউ বয়েজ আর ইনকরিজ। তাে বল, আমায় তাের জন্য কী করতে হবে? চুমু খাবি। নে খেয়ে যা। বুকে হাত দিবি। দে। তারপর আমায় রেহাই দে। এসব মেলােড্রামা আমার সামনে আনবি না।…….

পৃ-৩৮ঃ

………ভুলে গেলি আমি বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলাম বলেই রিনাকে প্রথমবার লাগাতে পেরেছিলি?…….

……দশ সেকেন্ড পর মহুল বলল, নাউ টক, হি ইজ আউট। কেন ফোন করেছিস? ওয়ান্না ফাক টুডে ?

বড় কাঠ-কাঠ কথা বলে মেয়েটা। আরে যেখানে শরীরী মিলনের কথা হচ্ছে, সেখান একটু ভালভাবে তা বলবে। না, যা ইচ্ছে তাই বলছে। মহুলকে নিয়ে আর পারা যায় না। … আজ কি তােমার…’ ‘ঝেড়ে কাশ না। লাগাবি তার জন্য কত ন্যাকামাে! মহুলের হুল বড় বেশি।…….

………রায়নার প্রতি নিজের মনােভাব বদলেছে ও। তবু আজ শরীর ভায়া একটু গণ্ডগােল করছে বলেই বােধহয় রায়নার বুকের দিকে দু’-এক পলক বেশি তাকিয়ে ফেলল আদি। বুকের বােতাম দুটো কি ভেসে উঠছে টপের ওপর দিয়ে?……

……..মালিনীর কান ভাঙানাে হয়ে গেছে তাহলে! রায়না তাে হেভি খিটকেল। আচ্ছা, অমন ভারী বুক নিয়ে, বিপজ্জনক কাটের ড্রেস পরে আসার পরও যদি কোনও ছেলে সেই দিকে না তাকায়, তাহলে সে কি ছেলে?……..

পৃ-৮৮ঃ

…….আজও শুধু ব্রা আর প্যান্টি পরে সামান্য সময় নিয়ে নিজেকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখল। নাহ্, ফ্যাট, প্রােটিনের বাড়াবাড়ি একটুও কমেনি। থাইতে স্ট্রেচমার্কস এসেছে। জঘন্য। একদম জঘন্য। নিজের ওপর খুব রাগ হল রাহির। একটুও সংযম নেই ওর। থাকলে এমন দুর্ভিক্ষের কারণ ধরনের চেহারা হত না!……

পৃ-১০৪ঃ

……….সুমেধা টাইটা দরজার পাশে রাখা একটা স্ট্যান্ড ল্যাম্পের দিকে ছুড়ে দিয়ে দাঁড়িয়ে উঠেছিল আচমকা। বাথরােবের কোমরবন্ধটা একটা ঝটকায় খুলে ফেলে রােবটা নামিয়ে দিয়েছিল শরীর থেকে। তারপর গভীর গলায় বলেছিল, “লেট মেক ইট ইজি ফর ইওর আইজ।

গােলাপি! ভেতরের অন্তর্বাসদ্বয়ও গােলাপি ! আদি হাঁ করে তাকিয়ে দেখেছিল। গােলাপি ব্রেসিয়ারের ভেতর থেকে উদগ্রীব হয়ে তাকিয়ে আছে। বান রুটি। পারদ তার নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছে জানান দিচ্ছিল উপস্থিতি।

সুমেধা আদির চোখে চোখ রেখে এগিয়ে এসেছিল ওর দিকে। তারপর। হঠাৎ হাঁটু গেড়ে বসে পড়েছিল আদির সামনে। অস্ফুটে বলেছিল, ‘ওয়ান্ট মি?”…….

পৃ-১৬৯ঃ

………গাড়ির ভেতর বসে, সত্যিই দিঘির বুক ধরতে চাইছিল আর্য। আজকাল দেখা হলেই আর্য দিঘির গায়ে হাত না দিয়ে কথা বলতে পারে না যেন। একটু একা পেলেই বুকে হাত দেয়। মুখে জিভ ঢুকিয়ে চুমু খেতে চায়। এমনকী একদিন তাে নীচেও হাত দিতে গিয়েছিল। বিরক্তিতে সেদিন ছিটকে দূরে চলে গিয়েছিল দিঘি। আর্য রাগ করেছিল খুব। বলেছিল, আমার সব বন্ধুরা, ওদের গার্লফ্রেন্ডদের সঙ্গে শুয়েছে। আর আমিই শালা নিরামিষ হয়ে আছি। এখন কত রকম সুবিধে হয়েছে। শুলে কোনও রিস্ক নেই। ……..

পৃ-১৮৮ঃ

…..‘বাজে বকছি! খবরদার তুমি আদিত্যর কাছে যাবে না। ও এক নম্বরের মাগিবাজ। লাগিয়ে পেট করে দেবে। আর তুমি তাে মাল ঢলানি আছই। শােনাে, আমার সঙ্গে শােবে তুমি। আমিই তােমায় লা……

Leave a Reply