আয় মন বেড়াতে যাবি – সুব্রত মুখোপাধ্যায়

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……….কিন্তু এই সর্বাণী, স্বয়ং ভােগের আগুন জ্বেলে দিয়ে কেমন করে নাছ দুয়ার দিয়ে পালিয়ে গেল! কিন্তু এ কথা তাে সার যে, মৈথুনেন বিনা মুক্তিৰ্নেতি-মৈথুন ভিন্ন মুক্তি লাভ ঘটে না। তাই তাে আগমে বলে বসে আছে, জগন্ময়ী আদ্যাশক্তি হলেন যােনিরূপা। তাঁরই অপর নাম কালীকা।

কিন্তু যিনি কালী, তিনিই ত্রিপুরা, যােড়শী, ভুবনেশ্বরী, ছিন্নমস্তা, তারা, মহালক্ষ্মী, মাতঙ্গী, কমলা, সুন্দরী, ভৈরবী—ইত্যাকারময়ী। তাহলে প্রসাদের কাছে যদি কবিতা ও কালীকা সমান হয় তাহলে ওই ইত্যাদি সকলের শেষতমে কেন পাগলী সর্বাণী সাব্যস্ত হবে না।
সর্বাণী হাসি মুখে বলে, কি হল খােকার! বুঝি নতুন দেখছে গা !
বিমােহিত রামপ্রসাদ রমণীরতনের স্তনে মুখ রাখেন। দুই সুচারু বিশ্বফলের উপত্যকায় ঠোট পেতে দেন।
সর্বাণী বাইরের বজ্রপাতের অনুষঙ্গে দু’হাতে সাপটিয়ে ধরেন বীর সন্তানের কঁকড়া মাথা। রামপ্রসাদ ক্ষুধার্ত স্বরে বলে যান, মাটির মূর্তি। মেটে পিতিমে। জ্যান্ত পিতিমে।…..

…..এই কালী প্রকৃতই করালবদনা, ত্রিলােচনা, ঘােরদংষ্ট্রা, শবের কর পঙতির গহনাময়ী এবং দিগম্বরী। তিনি মহাকালের উপর বীরাসনে সমাসীনা, তার ওষ্ঠের প্রান্তভাগ আকর্ণ টানা এবং তিনি ঘাের নাদিনী। তিনি মুণ্ডমালা চ্যুত রক্তের দ্বারা চর্চিত, তার স্তনদ্বয় অতি বৃহৎ। মদিরাপানে প্রমত্তা হয়ে তিনি সমগ্র মেদিনীকে প্রকম্পিত করছেন।….

……গীত শুনে পান সাজুনি সর্বাণী মনে মনে শিউরে ওঠে। তার নাগ্রে স্বেদবিন্দু আরও বিচলিত হয়। গুরুস্তনী বুকের ভিতরে টেকি পাছাড় দেয়। দিয়েই চলে।……

………মহাদেব কহিলেন, নটী কাপালিকা, বেশ্যা, রজকী, নাপিতাঙ্গনা, ব্রাহ্মণী, শুদ্রকন্যা, গােপযুবতী, মালাকার কন্যা এই নবজাতীয় যুবতি শুভযানী। অথবা সর্বজাতীয় বিদগ্ধা এবং লােললােচনা কুলযুবতি এই উদ্দেশ্যে প্রশস্তা।

মহাদেব বলছেন, তৎপরে সাধক ওই কুলযুবতিকে স্বীয় বাম উরুর উপরিভাগে স্থাপন করে কুলাচারানুযায়ী তার পূজা করবেন। তারপর শকুন্তলা সেই যুবতির যােনি বা শক্তিপীঠে পূজা করবেন।
সাধক ওই কুলযুবতিকে কারণবারি পান করিয়ে তার কপালে সিন্দুর দিয়ে অর্ধচন্দ্র আঁকবেন।
তৎপর কুচদ্বয়মর্দনপূর্বক তিনি যুবতির গণ্ডদেশে চুম্বন করবেন এবং যােনিমণ্ডলে অষ্টোত্তর শত বা অষ্টোত্তর সহস্র মূলমন্ত্র জপ করবেন।
কেবলমাত্র মাতৃযােনি পরিত্যাগ করে অন্য সমস্ত কুলযুবতির যােনিতেই তাড়না প্রশস্ত।
যােনৌ লিঙ্গ, সমাক্ষিপ্য তাড়য়েদ্বহুযত্নতঃ।
আদপে এ হল আদ্যাশক্তিরূপা জগন্মাতার পূজা। শক্তিরূপা সেই দেবী যদি বিপরিতরতিতে প্রবৃত হয় তাহলে কোটিকূল সহ সাধকের জীবন ধন্য হয়।

শেষতঃ মহাদেব পার্বতীকে বলছেন, যােনিপূজা ভিন্ন আর সকল পূজাই নিস্ফল। যােনিপূজা ভিন্ন মন্ত্র সিদ্ধ হয় না। অতএব অন্য যাবতীয় পূজা পরিত্যাগ করে যােনিপূজা বা শক্তিপূজা সম্পন্ন করবে। হে পার্বতি, এই সাধনায় গুরুপদেশ ভিন্ন আমার ভক্তও সিদ্ধিলাভ করতে পারে না। অতএব, পুনরপি, সর্বাং পূজাং পরিত্যজ্য যযানিপূজাং সমাচরে।

বাতাসের প্রবল তাড়নায় এই যােনিতত্নচার ঘটে যাওয়ার পরেও এই স্বল্পালােকিত ঘরে কিছু অবশেষ থেকেই যায়—প্রসাদ ও সর্বাণীর জন্য। বিশেষতঃ প্রসাদ যেহেতু এখন পূর্ণমাত্রায় কারণ নিমজ্জিত তাই, অভাবে গন্ধপুষ্পভ্যাং কারণেনাপি পূজয়েৎ। পূজায় গন্ধপুষ্পের অভাব হলে কেবলমাত্র সুরা দ্বাবা পূজা সম্পন্ন করবে।

প্রসাদের জন্য আরও একপ্রস্থ নিদান, যিনি কালী, তিনিই ত্রিপুরা, ষােড়শী, ভুবনেশ্বরী, ছিন্নমস্তা, তারা, মহালক্ষ্মী, মাতঙ্গি, কমলা, সুন্দরী, ভৈরবী প্রভৃতি বিদ্যারূপে প্রকাশিতা। তাহলে কি এখানে ওই সর্বাণী রমনীর নামটি যুক্ত হতে পারে না। সে কি কম মেয়ে!

রাত্রির গভীর প্রহরে বাইরের তাণ্ডবময় প্রকৃতির বিপরীতে এই মেটে ঘরের নিপ্রদীপ এলাকায় আজ এক মহাসমর দাখিল হয়েছে। উন্মত্ত প্রসাদের শায়িত শরীরের উপর যথার্থ ভৈরবী রূপিনী স্বয়ং সর্বাণা সঘন শ্বাস সমেত নৃত্য করে চলেছে অনিবৰ্চনীয়, অভিরাম। সেই বিপরীত বিহারি নৃত্যের দাপটে প্রায় ত্রিকাল লুণ্ঠন। অহং মৃত্যুঞ্জয়া দেবি তব যােনিপ্রসাদতঃ। তব যােনিং মহেশানি ভাবয়ামি অহর্নিশম। দে দেবী, তােমার যােনি অর্থাৎ শক্তি প্রভাবেই আমি মৃত্যুঞ্জয়ী। তােমাকে আমি অহর্নিশি চিন্তা করি, হে মহেশানি।………

Leave a Reply