……….গাঢ় কালাে রঙের ভুরু। গাছ থেকে পেড়ে আনা সদ্য টাটকা নিটোল আপেল বা পেয়ারা হাতে নিলে যেরকম ভালাে লাগে, যমুনার মুখ দেখে আমার সেই রকম মনে হতে লাগলাে। ধরিত্রীর যা-কিছু শ্ৰেষ্ঠতা যেন আমি ওর মুখে দেখতে পাচ্ছি। সমস্ত শরীরটাই নিখুত, কোথাও একটুও অতিরিক্ত বা কম নেই, একটা বাচ্চা ঘােড়া কিংবা একটা বাজপাখির শরীরের প্রতিটি অংশ যেমন সুষম আর ছন্দোময়, ঠিক সেই রকম, এমন কি আকাশে একটি এরােপ্লেন উড়ে যাবার মধ্যে যে স্মার্টনেস আছে, যমুনাকে দেখে একবার আমার সে-কথাও মনে হলাে। মসৃণ গলার নিচে সদ্য জেগে ওঠা বুক, একটা হাত ধরে আছে বুকের কাছে গানের খাতা। স্তন কথাটার মানে— যা শব্দ করে যৌবনকে আগমন ঘোষণা করে— এই রকমই যেন কোথায় শুনেছিলাম। আমি যমুনার মুখ ও বুকের দিকে তাকিয়ে যৌবনের জেগে ওঠার শব্দ শুনতে পাচ্ছি স্পষ্ট।………..
……..আমরা হাওয়ার বিপরীত দিকে যাচ্ছি বলে মনীষার শরীরের সবক’টি নিখুঁত রেখা ও আয়তন আমার চোখে পড়ে। আমি পাশাপাশি চোখে মনীষার গ্রীবা ও স্তন এবং উরুর দু’ভাঁজ দেখে নিয়ে ইচ্ছে করে একটু পিছিয়ে এসে ওর পশ্চাৎ শরীরটাতেও চোখ বুলিয়ে নিই। আর যাই হােক, মনীষাকে ত্রুটিহীন রূপসী বলা যাবে না, কোমরটা আরও আরও সরু হওয়া উচিত ছিল। তম্বুরা দু’টি তেমন গুরু নয়। চুলের গুচ্ছও কম চওড়া। কিন্তু দু’একটা ত্রুটি না থাকলে রূপ কখনাে মােহিনী হয় না। মনীষার বাঁ চোখের পাশে একটা কাটা দাগ আছে, আমার বারবার ঐ কাটা দাগটায় চুমু খেতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে ওর মুখের ঐ কাটা দাগের ছাপ আমার মুখে তুলে নিতে। মনীষার মুখখানাই দেখার জন্য আমি আবার পাশাপাশি এগিয়ে এলাম।………..
………..এখনও মনীষার কথা ভাবলেই আমার চোখে ভাসে ওর মেরুন-রঙা সিল্কের শাড়ি পরা মূর্তি। সিল্ক পরলে মেয়েদের শরীরটা আরও নরম মনে হয়, নরম মুখ, নরম বুকের ডৌল, নরম উরুদেশ। ঐ নরম শরীরে খুব মাথা রেখে শুতে ইচ্ছে করে। ঐ রকম শরীর হাতের কাছে এলে—একবার অন্তত বুকে জড়িয়ে ধরতে না পারলে, বুকের মধ্যে কঠিন অসুখ হয়ে যেতে পারে।………
…….মনীষা আমারই পাশে, ভিড়ের মধ্যে আমার সম্পূর্ণ শরীরে ওর সম্পূর্ণ শরীরের ছোঁয়া, তবু চোখে চোখ রাখে না।… দোলের দিন রং দেবার আবেগে আমি মনীষার বুক ছুঁয়ে দিলাম, মুখ ও গলা ছাড়িয়ে আমার হাত মুহূর্তে ঢুকে গেল ওর ব্লাউজের মধ্যে, গরম, পরিপূর্ণ দুই বুক—তবু মনীষা থমকে তাকালাে না আমার মুখের দিকে, অথবা ভৎসনা ও ধিক্কার দিল না, নিমেষে ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়ে পরমুহূর্তে ফিরে এসে এক গাদা কয়লার গুঁড়াে আমার মুখে মাখিয়ে ভূত সাজিয়ে দিল। বললাে, এবার কেমন লাগে ?……….
……..কী ধাতুতে গড়া এ জিনিস ? মেয়ে না ডাকিনী ? এই চব্বিশ বছরের শরীরবাহী জীবন নিয়ে ও কি চায় ? মনীষার শরীর তাে ঠাণ্ডা নয়, আমি ওর বুক ছুঁয়ে দেখেছি, শীতকালের বিড়ালের মতন ওর বুক নরম ও গরম। দোলের দিন আচমকা আমি ওর বুক ছুঁয়ে দেবার পর, ওর মুখের রেখায় কোনাে লজ্জা ছিল না, কিন্তু ওর উদ্যত বুক লজ্জা ও আবেগ অনুভব করেছিল, আমি সেই মুহুর্তেই টের পেয়েছি। আজ চুমু খাবার সময়ও আমি ওর তপ্ত জিভ ছুঁতে পেরেছিলাম। তবু কেন……….
…….আমার পাশে এসে ঝুকে সরস্বতী অ্যালবাম দেখাচ্ছে, বারবার ওর বুক থেকে আঁচল খসে যাচ্ছে। এ কথা কে না জানে, মেয়েদের বুক থেকে কখনাে এমনি এমনি আঁচল খসে পড়ে না। যদি মেয়েরা ইচ্ছে না করে, তবে কালবৈশাখীতেও বুকের আঁচল ওড়াতে পারবে না।……
……..সাধনার রূপের ছটা ছিল, একটু ঘষামাজা রূপ ও ব্রেসিয়ার-রাউজ পরার ফলে সেই রূপকে অনেকে ভেবেছিল দুর্লভ। এ রকম রূপ তিলজলার এঁদো গলির একতলা বাড়িতে আটকে রাখা যায় না।…….
…….খাটের ওপর হাত-পা ছড়িয়ে একটু মুচড়ে পড়ে আছে সাধনা। এখন অজ্ঞান কিংবা গভীরভাবে ঘুমন্ত, তা ঠিক বােঝা যায় না। ব্লাউজের বােতামগুলাে খােলা, কালাে রঙের ব্রেসিয়ার দেখা যাচ্ছে, একটা হাত নিচে, আর একটা হাত নিজের বাম বুক ছুঁয়ে আছে। শােওয়ার ভঙ্গিটা কেমন যেন অসহায়, কারুর উচিত ছিল ওকে একটু সােজা করে শুইয়ে দেওয়া।……….
………এর মধ্যে আমি যমুনার হাত ধরেছি শুধু, শরীর ধরি নি। ব্যারাকপুরে রেলের নির্জন ফার্স্ট ক্লাস কামরায় উঠেও চুম্বন করি নি। ম্যাজিশিয়ানের মতন আমি ওর বুকের সামনে হাত ঘুরিয়েছি, কিন্তু দুই নি। ওর তপনদা ওকে চুমু খাক, ওর তপনদা সাঁতার শেখাবার নাম করে লেকের সুইমিং ক্লাবে নিয়ে গিয়ে ওর নবীন শালগমের মতন বুক দেখুক একদিন না একদিন।……….
………আমিও তাে রানী থেকে মেথরানী কারুকেই না দেখে ছাড়ি না, প্রথমে মুখ ও সঙ্গে সঙ্গে দুই বুক, তারপর সর্বাঙ্গ ও আবার মুখে চোখ রাখি যদি পছন্দ হয়, রিপিট, যেরকমভাবে মেয়ে দেখা নিয়ম। সরস্বতীর বুক ও নাক উদ্ধত, অনাবশ্যক গর্ব ওর বাহুর ভঙ্গিতে ও চিবুকের নিচে। ব্লাউজটা স্বচ্ছ, ভিতরে ব্রেসিয়ার দেখা যায়। আমি ওর বুকের দিকে চোখ ফেলেছি লক্ষ করে ও ঈষৎ শরীর ফিরিয়ে আমাকে অপর বুকটা দেখালাে। এই রকমই একটা মেয়েকে মেট্রো সিনেমার সামনে সুবিমল উচিত কথা বলেছিল।…….
…..ঈষৎ ছােটাছুটিতে রঙিন মেয়েলি ছাতার মতন ফুলে উঠছে ওর স্কার্ট, আমি যমুনার উরুর কিয়দংশ দেখতে পাচ্ছি। এতদিন যমুনার শরীরের দিকে একটুও লােভ করিনি, এখন হঠাৎ ইচ্ছে হলাে, খেলা থামিয়ে যমুনাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরি। ইচ্ছে হলাে, বিনা লােভে খুবই শান্তভাবে আস্তে আস্তে ওর ঠোঁটে চুমু খাই, খুবই আস্তে আস্তে ওর উরুর ওপর দিয়ে আমার ঠোঁট দুটো ঘষে নিয়ে যাই, থার্মোমিটারের খাপ খােলার মতন সন্তর্পণে ওর বুকের জামা সরিয়ে ওর দিকে তাকিয়ে বলি, তুমি কি সুন্দর যমুনা ! ভর্তি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে এক ঘর থেকে আরেক ঘরে যাবার সময় মানুষ যেমন একাগ্র হয়ে পড়ে, আমি যমুনাকে সেইরকম প্রবল একাগ্রতায়, ইচ্ছে হয় আদর করি। স্লো মােশান ছবির মতন, যমুনাকে বুকে তুলে নিয়ে আলতােভাবে ঘর থেকে বেরিয়ে যাই। ………..
………..সরস্বতী দেরাজ থেকে বার করে গােলাপি রঙের পাউডার মুখে বুলােতে লাগলাে, তারপর ঘাড়ে ও গলায়, কানের লতির পিছনে, বুকে অনেকটা ব্লাউজের মধ্যে পাউডারের পাফ ঢুকিয়ে দিল আমার দিকে পিছন ফিরে—কিন্তু আমি যে আয়নায় ওকে দেখছি, ও সেকথা জানে। আবার একটা তােয়ালে দিয়ে মুখ ও গলার সেই পাউডার মুছতে লাগলাে।…….
……….আলস্য ভাঙার ভঙ্গিতে সরস্বতী বিছানায় অর্ধেক হেলান দিল। ওর গ্রীবার নিচে একটা ছােট্ট কাটা দাগ এখন চোখে পড়ে, সূর্যমুখী ফুলের মতন ছড়িয়ে পড়ে দুই বুক, ব্লাউজ ও শাড়ির মাঝখানে ফর্সা পেট উন্মুক্ত, সদ্য টিন কাটা মাখনের মতন উজ্জ্বল, প্রায় নাভি দেখা যায় আর কি। এ মেয়েটা একেবারে পাগল হয়ে গেছে দেখছি। ওর জন্য আমার মায়াই হলাে। …….
….একমাত্র অবিনাশ নিরেট মুখে বসে আছে। নূরজাহান সমানভাবে দাপাদাপি করতে লাগলাে, পাগল হয়ে যাবার চিহ্ন পুরাে ফুটে উঠছে। ব্রেসিয়ার পরা তীক্ষ্ণ বুক দুলে দুলে উঠছে প্রতিটি নিঃশ্বাসে, যেন দম টানতে ওর খুব কষ্ট হচ্ছে। ………