পৃষ্ঠা: ৯৪
…. চাঁদু, আমাকে তুমি ভালোবাসো না?
ধরা গলায় চাঁদু বললো, বৌদি, তোমার চেয়ে আমি কারুকেই ভালোবাসি না। আমি অধম, আমি তোমার যোগ্য নই!
দীপা হাত বাড়িয়ে চাঁদুকে বুকে টেনে নিল। চাঁদু পাগলের মতন মাথা ঘষতে লাগলো সেখানে। দীপার দুই স্তন-বৃন্তে বার বার লাগছে চাঁদুর নাক। চাঁদু তাকে শক্ত করে চেপে ধরে আছে।
দীপা আবার ভাবলো, কিছু তো দিতে হবে।
একটু পরে সে চাঁদুর কানের কাছে মুখ নিয়ে বললো, চাঁদু, আমায় নিয়ে কবিতা লিখবে না?………..
পৃষ্ঠা:-৯৭
….লাথি মেরে সে দীপার ঘরের দরজা খুলে দিল।
তারপরেই সে দেখলো ক্লাসিকাল মাতৃমূর্তি। কোমর পর্যন্ত লেপ দিয়ে ঢাকা, দীপা ব্লাউজের বোতাম খুলে তার সন্তানকে স্তন্য পান করাচ্ছে।
একেবারে হাড়-পোড়া শয়তান ছাড়া এমন দৃশ্যে সবাই অভিভুত হয়। এ পাড়ার মাতাল নেতাটি তো চুনোপুঁটি। প্রথার থেকে মুখ ফেরাবার সাহসও তার নেই।
সে জিভ কেটে বললো, এ মা ছি ছি বৌদি, আপনাকে ডিসটার্ভ করলুম। মাপ করবেন।
তারা চলে গেল, চাঁদু গেল নিচ পর্যন্ত তাদের পৌঁছে দরজা বন্ধ করতে। দীপার গা শিরশির করছে। রোগা পাতলা কুশ লেপের তলায় লুকিয়ে আছে। ওরা বুঝতে পারেনি। কিন্তু ওরা চলে যাবার পরও দীপা স্বস্তি বোধ করতে পারছে না। তার বুক কাঁপছে।
লেপের তলায় কুশ জড়িয়ে ধরে আছে তার উরু। কুশের স্পর্শে তো সেরকম কোনো লোভ নেই, কিন্তু শুধুমাত্র ন’মাস পরে ঐ গোপন স্থানে কোনো পুরুষের ছোঁওয়ার জন্যই দীপার একরকম তীব্র সুখানুভুতি হচ্ছে। দীপা কিছুতেই তা অস্বীকার করতে পারছে না। শুধু দেওয়া নয়, তারও তো কিছু পাওয়া দরকার।
খোকনকে দোলনায় শুইয়ে দিয়ে সে হাত বাড়িয়ে কুশকে ওপরে তুলে এনে বললো, এসো, ওরা চলে গেছে।
কুশ উঠে দু’হাতে জড়িয়ে ধরলো বৌদিকে।
দীপার খুব ইচ্ছে করলো, বুকের বোতাম খোলাই আছে-এখনও টনটনে ভাব যায়নি, কুশ যে-কোনো একটি স্তনে মুখ দিক। অতি কষ্টে ইচ্ছেটা দমন করে সে কুশমের চুলে বিলি কাটতে কাটতে বললে, কুশ, কেন আমাদের এমন দুশ্চিন্তায় ফেলো।
কুশ বললো, আমি আর কোনোদিন যাবো না বৌদি।
-তুমি জানো না, তোমার জন্য আমার কতটা চিন্থা হয়?
-জানি। তুমি এইবার থেকে দেখো!
-তোমার লজ্জা করে না, তুমি মেয়েদের আঁচলে মুখ লুকিয়ে পলিটিক্স থেকে পালাচ্ছো? ওরা যদি আ বুঝতে পেরে যেতো….
এ কথার উত্তর না দিয়ে কুশ দীপার তলপেটের কাছে মাথা ঘষতে লাগলো।
দীপা কোনো বাধা দিল না। তার ভালো লাগছে। সে কুশকে অনেকখানি তরল করে দিল শরীর।
চাঁদু ওপরে ফিরে এসেছে, সেই শব্দ পেয়েই দীপা ডাকলো, চাঁদু, এদিকে এসো!
চাঁদু দরজার কাছে এসে কুশকে দীপার বাহুবন্ধনে দেখে মুখটা ফিরিয়ে নিল।
দীপা বললো, চাঁদু, এখানে এসো, তুমি আমার পাশে একটু শোও!
চাঁদু বললো, এখন থাক বৌদি। আমি ভাবছি….
-চাঁদু, এসো।
মন্ত্রমুগ্ধের মতন চাঁদু এসে শুয়ে পড়লো। দীপার এক হাত কুশের মাথার চুলে। অন্য হাত সে রাখলো চাঁদুর বুকে। চাঁদুর বুকটাই বেশি খাঁক হয়। সে বললো, চাঁদু, সেই গানটা গাও তো, চাঁদের গায়ে চাঁদ লেগেছে…
গানটা করুণ সুরের। গানটা শেষ হওয়া মাত্র কুশ বিশানা থেকে নেমে বললো, চল চাঁদু, আমরা রান্নাটা শেষ করি। ততক্ষণে বৌদি খোকনকে দুধ খাইয়ে নিক।
তারপর ওরা দু’জনেই খোকনকে আদর করতে করতে দীপার দিকে তাকিয়ে হাসলো।