অনুবাদঃ জেসি মেরী কুইয়া
………‘তােমার পােশাক খুলে ফেল।’ হুক খুলে ক্রিমরঙা পােশাক মেঝেতে লুটিয়ে পড়ল দেখতে পেলেন শাহজাহান। পুরােপুরি নিরাভরণ দেহে সুগন্ধি তেল মাখানাে উজ্জ্বল ত্বক, কোমরে ঝুলছে ছােট ছােট সােনালি পাতাওয়ালা স্বর্ণের চেন। ‘ঘুরে দাঁড়াও।’ আস্তে করে নড়ে উঠতেই কেঁপে উঠল সােনালি পাতার দল। চৌকোণা কাঁধ জোড়া মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের সাথেই মল বেশি। তেমনি পেছন দিক, গােলাকার পৃষ্ঠদেশ আর লম্বা পেশীবহুল পা দেখতে কামােদ্দীপক কিন্তু সুন্দরী নয়—অন্তত তার কাছে তাে নয়ই।
আবারাে তার দিকে ঘুরে দাঁড়াল কলিমা, আরেকটু হলেই শাহজাহান হাকে আদেশ দিতে যাচ্ছিলেন যেন পােশাক পরে নিজেকে ঢেকে নেয় । কিন্তু তার আগেই হাত দুটো তুলে মাথার পেছনে চুল হাত বুলাতে লাগল কলিমা। অসম্ভব পরিচিত এই ভঙ্গি কতবার একই ভঙ্গিমাতে তিনি দেখেছেন মমতাজকে। হঠাৎ করেই তীব্র বাসায় ছেয়ে গেল মন। ‘ওখানে শুয়ে পড়।’ নিচু ব্রোকেডের চাদরে ঢাকা ডিভানের দিকে হেঁটে গেল কলিমা। নিজের পােশাকের পাথরের বােম খুলে ফেললেন শাহজাহান। নারী দেহের উত্তপ্ত পেলেন শাহজাহান নিজের নিচে। মুহূর্তখানেক পরে ডান হাতে প্রস্তুত করে নিলেন ক্ষেত্র কিন্তু কলিমার উরু জোড়া একেবারে ভিন্ন মমতাজের নরম মাংসল দেহ থেকে আনন্দে মৃদু ডাক ছাড়তে লাগল কলিমা–ভান না সত্যি বলতে পারবেন না সম্রাট—এরপর চিৎকার করতে করতে শাহজাহানের কাঁধ ঘামচে ধরল কলিমার হাতের নখ। এবারেও তার স্বর শুনতে পেলেন না তিনি, কানে বাজতে লাগল মমতাজের মােলায়েম কণ্ঠ, শাহজাহানকে ফিসফিস করে তাড়া দিচ্ছি তাকে আরাে বেশি করে ভালােবাসতে।………
…….একটা গলার স্বর—কোন এক নারীর কণ্ঠ—ভেসে এলাে শাহজাহানের বিবশ চেতনাতে। চোখ খুলে চেষ্টা করলেন মনােসংযােগ করতে, কিন্তু তার ডিভানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গােলাপি পােশাকের দেহটা ঝাপসা হল শুধু। এমনকি কাছে এগিয়ে এসে তার পাশে হাঁটু গেড়ে বসলেও আলাদা করে চিনতে পারলেন না, মনে হল যেন কালাে চুলের আড়ালে ঢেকে আছে অর্ধেক। দ্বিধাগ্রস্তভাবে আস্তে আস্তে উঠে বসলেন। মমতাজ?
যদি মমতাজ তার পাশেই শুয়ে থাকে তাহলে এমন হবে কীভাবে? কিন্তু দেহটা তার আরাে কাছে ঝুকে আসতেই কমলার মিষ্টি সুবাস পেলেন। মমতাজের প্রিয় সুগন্ধিগুলাের একটি যা সে ব্যবহার করত। তার মানে মমতাজই। হাত বাড়িয়ে কোমল স্তনে রুক্ষ হাত রাখলেন শাহজাহান।
“থামেন। কী করছেন?…অনুগ্রহ করে এমন করবেন না…
নারীদেহ ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করতেই আরাে জোরে চেপে ধরলেন সম্রাট, ডান হাতেও কাজে লাগিয়ে উরুসন্ধিতে যেতে চাইলেন। নরম কাপড় ভেদ করে দৃঢ় মাংসপেশীর উষ্ণতা আর আবেদন টের পেলেন তার বিপরীত…মমতাজ কখনাে তাকে কোন কিছুতে বাঁধা দেয়নি। এটা শুধুমাত্র তাকে প্ররােচিত করা জন্য একটা খেলা………..