অ্যাম্পায়ার অব দ্য মােঘল ৩ঃ রুলার অভ্ দা ওয়ার্ল্ড – অ্যালেক্স রাদারফোর্ড

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ এহসান উল হক

……..আকবর নিজের গরম হয়ে ওঠা কপালের উপর থেকে কালাে চুলগুলি পেছনে ঠেলে দিলেন। তিনি তাঁর পিঠের উপর মায়ালার নগ্ন স্তনযুগলের স্পর্শ পেলেন, সে পেছন থেকে তার গলা জড়িয়ে ধরেছে। সে আকবরের কানে ফিসফিস করে কিছু বলছিলাে-একটি নতুন রতিভঙ্গিমার কথা-সিংহের মিলন রীতি- হয়তাে তাকে সম্ভষ্টি প্রদান করতে পারবে। কিন্তু প্রস্তাবটি প্রলুব্ধকর হওয়া সত্ত্বেও তিনি মায়ালার আলিঙ্গন থেকে নিজেকে মুক্ত করে উঠে দাঁড়ালেন। তিনি তার মন্ত্রী এবং উপদেষ্টাদের নিয়ে সভা আহ্বান করেছেন আজই বিকালে এবং সভার আগে তাকে অনেক চিন্তাভাবনা করতে হবে।……….

……..রক্ষিতাদের সঙ্গে আদান-প্রদানকৃত উপভােগের তৃপ্তি তার জন্য পরিচিত আনন্দপূর্ণ একটি বিষয় ছিলাে। তাঁদের নরম পেলব হাত এবং সুগন্ধযুক্ত শরীর তাকে রাজকার্যের বােঝা থেকে সর্বদাই নিস্কৃতি দিয়ে এসেছে। কিন্তু একজন কুমারী রাজপুত রাজকন্যা শয্যাসঙ্গিনী হিসেবে তার জন্য অভিনব অভিজ্ঞতা হবে।…….

………হীরা বাঈ সম্মতিসূচক মাথা নাড়লাে। ‘তাহলে আমার স্ত্রী হিসেবে এখন তুমি তোমার প্রথম দায়িত্ব পালন করাে।’ আকবর বিছানার দিকে তাকালে হীরাবাঈ একটু সরে গেলাে এবং কোমরে বাধা মুক্তার বন্ধনটির ধর্ম খুলতেই তার মসলিনের অন্তর্বাসটি মেঝেতে লুটিয়ে পড়লাে আর’কমনীয় বাক বিশিষ্ট শরীরটি প্রলুব্ধকর দেখালাে, কিন্তু আকবর নিজের শরীরটি তার উপর স্থাপন করলেন তখন তার মনে কামনার পরিবর্তে ক্রোধই বেশি প্রভাব বিস্তার করে আছে । আকবরের দেহ আন্দোলিত হতে লাগলাে কিন্তু তার চোখ হীরাবাঈ এর মুখের উপর থেকে সরলাে না। হীরাবাঈ এর চেহারায় ব্যথা বা অস্বস্তির কোনাে অভিব্যক্তি ফুটে উঠলাে না যখন তার শরীরে আকবরের প্রবেশের গতি দ্রুত থেকে দ্রুততর হলাে। তৃপ্তিলাভের পরিবর্তে কাজটি সম্পন্ন করার জন্যই আকবর তখন উদ্গ্রীব। তাঁর কুমারী স্ত্রীর সঙ্গে বাসর রাতটি এভাবে কাটবে বলে তিনি ভাবেননি। ………

…..বিগত কয়েক ঘন্টা তিনি দিল্লী থেকে আগত এক সুন্দরী বাঈজীর কোমল স্পর্শে কাটিয়েছেন যার দীর্ঘ, জেসমিনের মুক্ত চুল নিতম্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। যদিও আকবরের বয়স এখন কিঙ্গি এবং চল্লিশের মাঝামাঝি তবুও তার যৌন ক্ষমতা এখনাে যে কোর্তেরুণ বয়সের পুরুষের তুলনায় কম নয়। এই জন্য তিনি তাঁর বিয়ে প্রতি কৃতজ্ঞতা অনুভব করেন। স্পষ্টতই তার জন্য হেকিমের কাম উদ্দীপক দাওয়াই এর প্রয়ােজন ছিলাে যার নাম ‘অশ্ব বীর্য শক্তি এটি বিভিন্ন উপদানের মিশ্রণে তৈরি গাঢ় সবুজ বর্ণের একটি দুর্গন্ধসুতরল, ধারণা করা হয় যা পান করলে একজন কাহিল মানুষ একটি স্ট্যালিয়ন ঘােড়ার মতাে যৌন শক্তি লাভ করতে পারে। হেরেমে এমন গুজব প্রচলিত ছিলো যে, রাজসভার কিছু বয়স্ক সদস্য এই দাওয়াই এর প্রতি আসক্ত। তবে আকবর আনন্দ লাভের নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবন করতে পছন্দ করেন। মাঝে মাঝে তিনি তাঁর রক্ষিতাঁদের আদেশ করেন শতাব্দী প্রাচীন হিন্দু কামসূত্রের গ্রন্থ থেকে তাঁকে পড়ে শােনাতে। এতে রতিকর্মের বহু বিস্ময়কর প্রক্রিয়ার উল্লেখ রয়েছে। অনেক বছর আগে বালক অবস্থায় মায়ালার সঙ্গে তাঁর যে সব অভিজ্ঞতা হয়েছিলাে সেগুলি মনে পড়ে যাওয়ার তিনি হাসলেন। তিনি তখন কল্পনাও করেন নি যে একদিন তার হেরেম এতাে বিশাল আকৃতি ধারণ করবে।…….

…….সেলিমের মুখ লজ্জায় আরক্ত হলাে। সে এতােদিন মনে করত তার গােপন অভিযান সম্পর্কে কেউ অবগত নয়। কাশশী থকে ফেরার পথে সে এবং সুলায়মান বেগ রাতের বেলা তাঁদের অন্ত্র থেকে বের হয়ে সহযাত্রীদের মধ্যে ইচ্ছুক কোনাে মেয়ে পাওয়া যায়কি না তার সন্ধান করতাে। এক রাতে তাঁদের অনুসন্ধান সফল হয় এবং সেলিম এক দারুচিনি দ্বাণ বিশিষ্ট তুর্কি রমণীর কাছে তার কৌমার্য হারায়। জায়গাটি ছিলাে ঠাণ্ডা বায়ু প্রবাহিত এক গিরিপথ জহাৈরে ফিরে এসে তারা দুজন রাতের বেলা গােপনে রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে একই রকম অভিযান চালাতে থাকে লাহাের শহরে। একটি নির্দিষ্ট সরাইখানায় সে গীতা নামের নধর দেহের অধিকারী এক নর্তকীর সন্ধান পায়। তার বক্ষযুগল উঁচু এবং সুগােল এবং সে মিলনের কলাকৌশল সম্পর্কে বিশেষ পারদর্শী। আর সুলায়মান বেগও তার বােনের তত্ত্বাবধানে ভালােই সময় কাটাতাে। পরে কঠিন গােপনীয়তায় প্রাসাদে ফিরে তারা নিজেদের শৌর্য সম্পর্কে অতিরঞ্জিত গল্প বলে একে অন্যকে নিজের তুলনায় দুর্বল প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করতাে। কিন্তু বাজারের কোনাে মেয়েকে নাড়াচাড়া করা এবং একজন স্ত্রী গ্রহণ করার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে।……

……দুই ঘন্টা পরের ঘটনা, সেলিম আকবরের প্রদান করা নতুন ভবনের হেরেমের শয়ন কক্ষে পরিচারকদের সহায়তায় বিয়ের পােশাক এবং অলঙ্কার খুলছিলাে। সবুজ কিংখাবের পর্দার অন্যপাশে নববধূ নিজস্ব পরিচারিকাদের তত্ত্বাবধানে গােসল করে সুগন্ধি মেখে বাসর শয্যায় স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছিলাে। সেলিম সম্পূর্ণ নগ্ন হওয়ার পর পরিচারক তার মাথার উপর দিয়ে একটি সবুজ রেশমের ঢিলে জামা পড়িয়ে দিলাে এবং এর গলা ও বুকের পান্নার কজা এটে দিলাে। এরপর পরিচারকরা সেখান থেকে বেরিয়ে গেলাে।……….হঠাৎ পর্দার অন্যপাশে তার জন্য অপেক্ষারত নারীটির কথা মনে হতেই সেলিমের দেহে কামনার ঢেউ আছড়ে পড়লাে এবং দার্শনিক চিন্তা গুলি মন থেকে উবে গেলাে। সে পর্দা সরিয়ে শয়ন কক্ষে পা রাখলাে। মান বাঈ বিছানায় বসে ছিলাে, তার স্তন যুগলের আকৃতি জামরঙের প্রায় স্বচ্ছ মসলিন পােষাকের মধ্যদিয়ে স্পষ্ট বােঝা যাচ্ছিলাে। তার লম্বা ঘন কালাে চুল কাঁধের উপর ছড়িয়ে আছে এবং কনের চুনি পথরের দুল গুলাে দ্যুতি ছড়াচ্ছে। গলার চিকন সােনারংরটিও চুনি পাথর খচিত। কিন্তু যা সেলিমের দৃষ্টি কাড়লাে তা হলো মেয়েটির লম্বা লম্বা পাপড়ি বিশিষ্ট কালাে চোখের উত্তেজিত চাহনিকতার দুর্দান্ত আত্মবিশ্বাস সমৃদ্ধ মৃদুহাসি। সেলিম কল্পনা করেছিলাে তার বাসর ঘরে প্রবেশের সময় নববধূটি লাজুক ভঙ্গীতে মাথা নত করে থাকবে-সুলায়মান বেগ বিষয়টি নিয়ে তার সঙ্গে ঠাট্টাও করেছে, তাকে সতর্ক করেছে যাতে গণিকাগৃহের অশালীন আচার প্রদর্শন করে অনভিজ্ঞ মেয়েটির মনে ত্রাসের সঞ্চার না করে। কিন্তু সেলিম অনুভব করলাে যা ঘটতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে মান বাঈ এর মধ্যে কোনাে সংশয় নেই বরং সে বিষয়টি সম্পর্কে কৌতূহলী। নিজের পােশাকের বন্ধনীগুলি আলগা করে সেলিম সেটাকে মেঝেতে পড়ে যেতে দিলাে এবং বিছানার দিকে এগিয়ে গেলাে। মনে মনে ভাবছে সে বহু যুদ্ধে লড়াই করেছে ফলে নিজের স্ত্রীকে সম্ভষ্ট করতে বেশি বেগ পেতে হবে না। সেলিম বিছানার ধারে মান বাঈ এর কাছাকাছি বসলাে কিন্তু তাকে স্পর্শ করলাে না এবং হঠাৎ কিছুটা অনিশ্চিত বােধ করলাে। কিন্তু মান বাঈ কোমলভাবে সেলিমের কাঁধ ধরে নিজের পাশে শুইয়ে দিলাে।

স্বাগতম ফুফাতাে ভাই, সে ফিসফিস করে বললাে। সেলিমের আর বেশি উৎসাহের প্রয়ােজন হলাে না, মান বাঈকে টেনে নিজের পাশে শুইয়ে সে তার উন্মুক্ত অধরে ঠোট ছোয়ালাে। তারপর তার দেহের স্বচ্ছ মসলিন পােশাকটি ধীরে খুলে ফেললাে এবং সেলিমের হাত মান বাঈ এর নরম দেহের স্পর্শকাতর অংশগুলিতে ঘুরে বেড়াতে লাগলাে। মান বাঈ এর কোমর খুব চিকন কিন্তু তার বক্ষযুগল গীতার চেয়েও বড়, সেলিম চট করে তুলনামূলক সিদ্ধান্তে পৌছে গেলাে। এখন মান বাঈ এর হাত দুটি সেলিমের দেহে বিচরণ করতে লাগলাে, গীতার মতাে দক্ষ এবং নিশ্চিত ভঙ্গীতে না হলেও যথেষ্ট আগ্রহী এবং দ্বিধাহীন ভাবে। মান বাঈ এর উরু যুগল কিছুটা ফাক করে নিয়ে সেলিম সেখানে তার প্রণয়স্পর্শ প্রদান করা শুরু করলাে। মান বাঈ এর সমগ্র দেহ প্রকম্পিত হলাে এবং তার শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বেড়ে গেলাে। কয়েক মুহূর্ত পর তার পিঠ ধনুকের মতাে বেঁকে গেলাে এবং সে সেলিমকে এত দৃঢ়ভাবে জড়িয়ে ধরল যে সেলিম তার শক্ত হয়ে আসা বােটা দ্বয়ের স্পর্শ অনুভব করতে পারলাে। যদিও সে তরুণ, তবুও সেলিমের এটা বােঝার মতাে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে যে মান বাঈ মিথক্রীয়া আর দীর্ঘায়িত না করে এখনই চূড়ান্ত উপলব্ধি পেহেইছে। সেলিম নিজেকে তার উপরে স্থাপন করলাে এবং কোমল ভাবে তার মাঝে প্রবেশের চেষ্টা করলাে। কিন্তু প্রবেশ পথটি সেলিমের কাছে অত্যন্ত আঁটসাঁট মনে হলাে। সে ইতােপূর্বে কোনাে কুমারী নারীর সঙ্গে মিলিত হয়নি এবং সে বুঝতে পারছিলাে তাকে যথেষ্ট সতর্কতাগুলম্বন করতে হবে যাতে মান বাঈ ব্যথা পায় । কিন্তু পুনরায় সেবার নববধূর মাঝে ব্যাগ্রতা প্রত্যক্ষ করলাে। তার চাপা আর্তনাদ ক্রমশুদ্ধি পাচ্ছে, হাতের আঙ্গুলগুলি সেলিমের কাঁধের মাংসে চেপে বসেছে এবং সর্বশক্তিতে তাকে নিজের দিকে আকর্ষণ করছে। সেলিমের উথান পতন আরাে তীব্রতর হলাে। মান বাঈ এর আর্তচিৎকার এখন গােঙ্গানিতে পরিণত হয়েছে, তবে সেটা কষ্টের জন্য নয় সুখানুভূতির জন্য। হঠাৎ সেলিম অনুভব করলাে মান বাঈ কিছুটা উন্মুক্ত হয়ে এলাে এবং সে সম্পূর্ণ গভীরে প্রবেশ করতে পারলাে। দুটি ভিন্ন দেহ সম্পূর্ণ একত্রিত হয়ে গেলাে এবং তারা এখন একক অস্তিত্ব নিয়ে উঠা নামা করছে। সেলিম তাঁদের মিলনটি আরেকটু দীর্ঘায়িত করতে চাইলাে, কিন্তু পারলাে না । চূড়ান্ত মুহূর্ত উপস্থিত হলাে, এবং নিজের পরমতৃপ্তিময় গােঙ্গানির পাশাপাশি সে মান বাঈ এর সুখানুভূতি সূচক ঘন ঘন শ্বাস টানার শব্দ পেলাে।

সেলিম তার স্ত্রীর পাশে ঘনিষ্ট হয়ে শুয়ে আছে, তার একটি হাত মেয়েটির | নরম নিতম্বের উপর স্থাপিত, সে কোনাে কথা বলছে না। মেয়েটির যৌন ক্ষুধা তাকে সামান্য অবাক করেছে তবে সে এ কারণে খুশি যে তার স্ত্রী বিয়ের প্রথম রাতে কোনাে সংকোচ প্রকাশ না করে অত্যন্ত আগ্রহীভাবে | মিলনক্রিয়া উপভােগ করেছে। বিছনায় উঠে বসে নিজের ঘামসিক্ত চুল মুখের উপর থেকে সরাতে সরাতে মান বাঈ প্রথম কথা বললাে ।
তুমি কি ভাবছাে ফুপাতাে ভাই?’
‘ভাবছি আমার স্ত্রী ভাগ্য খুব ভালাে।’……..

………আকবরের কাছ থেকে ইঙ্গিত পেয়ে আরেক দল পরিচারক এগিয়ে এসে উঠানে প্রজ্জ্বলিত সকল মােমবাতি নিভিয়ে দিলাে। হালকা সুগন্ধে আচ্ছাদিত অন্ধকারে কেউ টু শব্দ করছে না। তারপর পূর্বের আকস্মিকতাতেই মােমবাতিগুলি আবার প্রজ্জ্বলিত করা হলাে এবং উঠানের কেন্দ্রে ফিকে হয়ে আসা ধোঁয়ার মাঝে আনারকলিকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেলাে। একটি অর্ধস্বচ্ছ ওড়নায় তার দেহ কোমরের নিচ পর্যন্ত আচ্ছাদিত যা তার পূর্ণস্তন যুগল এবং সমৃদ্ধ নিতম্বকে আড়াল করার পরিবর্তে আরাে দর্শনীয় করে তুলেছে। তার ঋজু মস্তকে একটি মুক্তাখচিত বৃত্তাকার সােনার অলঙ্কার শােভা পাচ্ছে যা ওড়নাটিকে আটকে রেখেছে। নর্তকীটি তার দুবাহু উপরে তুললাে এবং সমগ্র দেহ দোলাতে আরম্ভ করলাে। তার দেহের সর্পিল গতির সঙ্গে কোনাে বাদ্যযন্ত্রের সহযােগীতা নেই। কেবল দুহাতের কজিতে পড়া ভারি চুড়িগুলির সংঘর্ষে সৃষ্ট মূর্ধনা এবং নুপুরের কিন্নরই তার সঙ্গী। তার নড়াচড়া আরাে মুক্ত এবং বুনাে রূপ ধারণ করতে লাগলাে। তার মস্তক এক অপরিচিত শৈল্পীক ভঙ্গীমায় এদিক ওদিক কাত হতে লাগলাে এবং এক সময় সেই শুরু করলাে; স্তনযুগল প্রকম্পিত হচ্ছে, নগ্ন পা দুটি তীব্র বেগে শহতে আঘাত করছে। সেলিম অন্য অতিথিদের মতােই মন্ত্রমুগ্ধ হুতোকিয়ে রইলাে। প্রথমে তার বিপরীত দিকে বসে থাকা একজনেরপর আরেকজন, হাত মুষ্টিবদ্ধ করে টেবিলে আঘাত করে তাল দি৪েরু করলাে। টেবিল চাপােনাের শব্দ আরাে ব্যাপকতা লাভ করুষেখন আনারকলি আরাে দ্রুতবেগে ঘুরতে লাগলাে, তার দুবাহু দুর্দিকে প্রসারিত। তারপর একটি চিষ্কারের সঙ্গে সে তার ওড়নাটি খুলে ছুড়ে ফেললাে। সেই মুহূর্তে সম্মিলিত শ্বাস টানার শব্দ পাওয়া গেলাে। সেটা কেবল তার নিখুঁত গড়নের আকর্ষণীয় দেহের জন্যেই নয় যা এই মুহূর্তে প্রায় নগ্ন । বর্তমানে তার দেহে অবশিষ্ট রয়েছে আটসাট রত্নখচিত একটি কাঁচুলি ও প্রায় স্বচ্ছ মসলিনের পাজামা। দর্শকদের শ্বাস টানার আরেকটি উপলক্ষ্য তার চুল। চুলগুলি ফ্যাকাশে সােনালী বর্ণের এবং কোমর পর্যন্ত লম্বিত। চুল গুলি একরাশ সােনালী উজ্জ্বলতা নিয়ে চার দিকে উড়তে লাগলাে যখন তার ঘুর্ণন অব্যাহত থাকলাে। হঠাৎ নাটকীয় ভাবে মেয়েটি থেমে গেলাে। তার ঠোটে মিষ্টি হাসি লেগে রয়েছে, যে উত্তেজনা তার নৃত্যকলা দর্শকদের মাঝে সৃষ্টি করছে সে বিষয়ে সে সম্পূর্ণ অবহিত। তারপর মেয়েটি মঞ্চের দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে আকবরের সামনে হাঁটু গেড়ে বসলাে এবং দুবার মাথা ঝাঁকালাে। এর ফলে প্রথমে তার ভুবন ভুলানাে চুলের গুচ্ছ তার দেহের সম্মুখে আছড়ে পড়ে তার বক্ষযুগল আবৃত করলাে এবং পুনরায় পিছনে পিঠের উপর ছড়িয়ে পড়লাে। তারপর সে সম্রাটের দিকে দুবাহু প্রসারিত করে পিছন দিকে ঝুঁকতে লাগলাে, এতে তার নমনীয় মেরুদণ্ড ধনুকের মতাে পিছন দিকে বেঁকে গেলাে এবং এক সময় তার মাথাটি শতরঞ্জি স্পর্শ করলাে।……….

……….‘আপনার আকুলতা আমাকে তৃপ্ত করেছে। আমার অবস্থানে থাকা কোনাে নারী কি একজন যুবরাজকে প্রত্যাখ্যান করতে এসে সেলিমের কাছ থেকে কোনাে উত্তরের প্রেক্ষায় না থেকে আনারকলি নিজেকে বিবস্ত্র করতে লাগলাে। সে তার কুৎসিত পােশাকের আবরণ ছেড়ে এমন ভাবে বেরিয়ে এলো  যেনাে একটি সুন্দর সাপ পুরানাে খােলস ছেড়ে নবরূপ ধারণ করেছে। তার শরীরের মােহনীয় ত্বক থেকে মুক্তার মতাে নরম দীপ্তি ঝড়ে এবং তার নীল শিরা উপশিরা বিশিষ্ট পূর্ণ স্তনযুগলের শীর্ষে অবস্থিবোটাটি উজ্জ্বল গােলাপি বর্ণের, সেগুলি। সামান্য দুলতে থাকলো যখন সে সেলিমের দিকে এগিয়ে এলাে। আনারকলি সেলিমের একটি হাত নিজ হাতে নিয়ে সেটাকে তার চিকন এবং রেশমের মতাে মসৃণ কোমরে ছোয়ালাে। তারপর, নিজ দেহকে সেলিমের দেহের উপর সজোরে চেপে ধরলাে, সেলিম তার রেশমের জোব্বার উপর দিয়ে তার বোঁটা দ্বয়ের স্পর্শ অনুভব করতে পারলাে। এবারে সেলিমের হাতটি সে নিজের সমৃদ্ধ নিতম্বে নামিয়ে আনলাে। তার ত্বক, সেলিম যেমনটা অনুমান করেছিলাে হুবহু তেমনই-উষ্ণ এবং নমনীয়। এক অনিয়ন্ত্রণযােগ্য পৌরুষেয় শিহরণ সেলিমের শরীরে বয়ে গেলাে এবং সে আনারকলির কাছ থেকে একটু পিছিয়ে গিয়ে সজোরে টান মেরে নিজের পােশাক খুলতে আরম্ভ করলাে, তার অস্থিরতার কারণে নমনীয় বস্ত্রটি ছিড়ে যেতে লাগলাে। ‘আপনি আপনার পিতার মতােই যােদ্ধাসুলভ দেহের অধিকরী এবং তার মতােই দ্রুত সক্রিয় হয়ে উঠেন…’……..

Leave a Reply