অ্যাম্পায়ার অব দ্য মােঘল ২ঃ ব্রাদার্স অ্যাট ওয়ার – অ্যালেক্স রাদারফোর্ড

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ সাদেকুল আহসান কল্লোল

……..তিন ঘন্টার পরে, হারেমে সালিমার কক্ষে রেশম-আবৃত একটা তাকিয়ায় হেলান দিয়ে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায় হুমায়ুন শুয়ে থাকে। তার পেষল শরীর, পােড় খাওয়া পরীক্ষিত একজন যােদ্ধর পক্ষে মানানসই চিহ্নে অলঙ্কৃত, বাদাম তেলে সিক্ত হয়ে দীপ্তি ছড়ায় মেয়েটা তার ত্বকে ভঙ্গিতে সেটা মালিশ করেছে যতক্ষণ না এক মুহূর্তও অপেক্ষা করাটা অসম্ভয়ে উঠে, হুমায়ুন তাকে বুকে টেনে নেয়। সালিমার ধুসর হলুদ বর্ণের মূলির স্বচ্ছ আলখাল্লা- হুমায়ুনের সদ্য অধিকৃত ভূখণ্ডের একটা সামগ্রী, যেখলের তাঁতিরা এতাে সূক্ষ আর কমনীয় কাপড় বয়ন করে তারা যার নাম রায়েরায়ুর হৃৎস্পন্দন’ বা ‘ভােরের শিশির- ফুলের নক্সা তােলা কার্পেটের উপর অবহেলায় পড়ে রয়েছে। সালিমা যদিও তাকে পরিতৃপ্ত করেছে এবং তারপ্রতি মেয়েটার সাড়া বরাবরের মতােই প্রবল আর হুমায়ুনের উত্তেজনা শিথিল হয়েছে, তার মনে তখনও বাবা ইয়াসভালের ফাস করা কথাগুলােই ফিরে ফিরে আসে, তাঁর ক্রোধ আর হতাশাকে পুনরায় জাগরিত করে। সালিমা, কষ্ট করে আমাকে পান করার জন্য একটু গােলাপজল এনে দেবে।’……

……সম্রাট…দয়া করেন…’

আরেকটা দুর্বল কণ্ঠস্বর কোথাও থেকে তার মনােযােগ আকর্ষণ করতে চায়। কণ্ঠস্বরটা নিঃশ্বাস নেবার জন্য হাঁসফাঁস করছে। সে চোখ খুলে তাকায় এবং নিজের প্রসারিত তারারন্ধ্রের ভিতর দিয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে, হুমায়ুন হিংস্র কোনাে বাঘের বদলে সালিমাকে দেখতে পায়। সালিমার দেহ, তাঁর নিজের দেহের মতােই ঘামে চুপচুপে হয়ে ভেজা যেন চুড়ান্ত মুহূর্ত নিকটেই উপস্থিত। কিন্তু যদিও সে আসলেই তার মালিক, হুমায়ুনের পেশল হাতের তালু সালিমার পেলব স্তন প্রচণ্ড জোরে আকড়ে রেখেছে যেন সালিমাই সেই হিংস্র জন্তু যাকে পরাভূত করতে সে লড়াই করছিল। সে তার হাতের মুঠি শীথিল করে কিন্তু রমণের বেগ বাড়িয়ে দেয় যতক্ষণ না তারা দু’জনেই সুখানুভূতির শীর্ষে পৌছে এবং অবসাদে ভেঙে পড়ে।……

…….গুলরুখের দু’জন পরিচারিকা তাকে পথ দেখিয়ে তাবুর ভিতরে নিয়ে যায় যেখানে সে অপেক্ষা করছে, পরণে গাঢ় বেগুনী রঙের আলখাল্লা এবং একই রঙের শাল সেটাতে আবার রূপার জরি দিয়ে কারুকাজ করা যা তার মাথা আর কাঁধ ঢেকে রেখেছে। কিন্তু গুলরুখের তরুণী পরিচারিকার দল অর্ধ-স্বাচ্ছ মসলিনের পােষাক পরিহিত। দপদপ করতে থাকা আলাের মাঝ দিয়ে তারা এগিয়ে যাবার সময়, হুমায়ুনের দৃষ্টি তাদের নমনীয় কোমড়ের বাঁক, সুগঠিত স্তন আর ইন্দ্রিয়সুখাবহ গােলাকৃতি উরু আর নিতম্ব আটকে যায়। তাঁদের নাভিমূলে মূল্যবান পাথর ঝলসে উঠে এবং তাদের ঘন কালাে চুল হিন্দুস্তানী রীতিতে সাদা জুই ফুল দিয়ে বেণী বাঁধা।………

Leave a Reply