অল দি কিংস মেন – রবার্ট পেন ওয়ারেন

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ কবীর চৌধুরী

….যেখানে মেয়েরা অর্গান্তি আর বাতিস্তা আর আইলেটের এস্ট্রয়ডারি পরিধান করে, প্যান্টি পরে না আবহাওয়ার জন্যে……..

…..এ্যাডাম আমাদের দৃষ্টিপথ থেকে হারিয়ে যাচ্ছিলাে। এ্যান তার মাথা একটু সামনে ঝুঁকিয়ে, প্রায় বিষন্ন মুখে, এ্যাডামকে লক্ষ করছিলাে। কাঁধ ঈষৎ কুঁজো, হাত দুটি নিজেকেই আলিঙ্গন করার ভঙ্গিতে অপুষ্ট স্তনের উপর আড়াআড়ি করে রাখা, দেখে মনে হচ্ছে এখুনি কাঁপতে শুরু করবে সে, হাঁটু দুটি একটু বাঁকিয়ে পরস্পরের সঙ্গে শক্ত করে লাগানাে।……

…….ভদ্রলােক আমাদের একটা নৈশ ক্লাবে নিয়ে গিয়েছিলেন। অনুষ্ঠানের জায়গায় কর্তৃপক্ষ একেবারে সত্যিকার বরফের মেঝে তৈরি করে, রূপালী ধরাচড়া আর রূপালী কাঁচুলী পরিহিতা, এক দঙ্গল “নর্ডিক পরী” উপস্থিত করিয়ে ছিলেন, ওরা সত্যিকার স্কেট পায়ে বরফের উপর দিয়ে প্রচণ্ড বেগে ঘুরতে ঘুরতে নাচতে নাচতে একটা মােহময় পরিবেশ গড়ে তুলেছিলাে। বাজনা বাজছে, আলাের কারসাজিতে অরােরা বরিয়লিস সৃষ্ট হয়েছে, সেই নীলাভ দ্যুতিতে সাদা হাঁটু ঝলসে উঠছে, সাদা বাহু সাপের মতাে এঁকেবেঁকে নড়ছে, | নিরাভরণ পিঠের উপর মেরুদণ্ডের দুপাশে কঠিন-কোমল পেশী আর মাংসের ছােট্ট যুগল-স্তম্ভ চমৎকার পারস্পরিক গতিতে তরঙ্গায়িত হয়ে দুলছে, আর রূপালী কাঁচুলীর নিচে যে জিনিস তা সঙ্গীতের তালে তালে থরথর করে কাঁপছে, আর দীর্ঘ বন্ধনমুক্ত নিষ্কলঙ্ক রূপালী সুইডিশ চুল চাবুকের মতাে বাতাস কেটে কেটে ভাসছে, উড়ছে।…….

……….তার মুখমণ্ডল বড়াে ছিলাে না, যদিও একটু ভরাটের দিকে ছিলাে, মুখটা ছিলাে তেজস্বী কিন্তু ঠোট দুটি লাল, ভেজা ভেজা, ঈষৎ ফাঁক করা, অথবা এখনই যেন ফাঁক হবে সেই রকম। চিবুক হ্রস্ব, সুডৌল। দেহের ত্বক, বাতি জ্বালাবার আগে মনে হয়েছিলাে, খুব সাদা কিন্তু পরে তাতে দেখা গেলাে রঙের উদ্ভাসন। মাথায় ছিলাে প্রচুর চুল, খুবই সুন্দর, পেছনে টেনে বড়াে বড়াে বেণী করে ঘাড় পর্যন্ত নামানাে। কোমর ছিলাে সরু, আর তার স্বাভাবিকভাবে সমুন্নত, গােলাকার, ভরাট স্তনযুগল বক্ষবন্ধনীর জন্য আরাে উঁচু দেখাচ্ছিলাে। তার পােশাক ছিলাে, আমার মনে আছে, ঘন নীল সিল্কের, কাঁধের দিকে অনেকখানি নিচু করে কাটা, আর সামনের দিকে এমনভাবে যাতে করে তার স্তনযুগল দুটি বৃত্তের মতাে উঁচু হয়ে উঠেছিলাে।……..

…….আমি কৌচে বসে অলসভাবে মাথা হেলিয়ে মােমবাতিগুলিতে তার আগুন ধরানাে দেখছিলাম। আমাদের দুজনের মাঝখানে শুধু ছােটো একটা টেবিল। সে ঝুঁকে দাঁড়িয়েছিলাে, আমি দেখতে পাচ্ছিলাম কেমন করে তার বক্ষবন্ধনী তার স্তনদুটিকে তুলে ধরেছিলাে, কিন্তু ঝুঁকে দাঁড়াবার ফলে চোখের পাতাগুলি তার চোখের উপর নেমে এসেছিলাে, সে জন্য আমি তার চোখ ভালােভাবে দেখতে পাই নি। তারপর সে তার মাথা সামান্য উঁচু করে, সদ্য প্রজ্জ্বলিত মােমবাতিগুলির উপর দিয়ে, সােজা আমার দিকে তাকালাে, আর তখনই আমি অকস্মাৎ লক্ষ করলাম যে তার চোখ কালাে নয়। সে চোখ নীল, কিন্তু এতো গাঢ় নীল যে আমি তাকে শুধু স্বচ্ছ পরিষ্কার আবহাওয়ায় শরতের নৈশাকাশের। রঙের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। যখন আকাশে কোনাে চাঁদ নেই, আর তারাগুলি সবে উঠতে শুরু করেছে। আর ওই চোখদুটি যে কতাে বড়াে তাও আমি আগে বুঝতে পারি নি। আমার স্পষ্ট মনে আছে আমি মনে মনে কয়েকবার বলেছিলাম, ওই চোখ দুটি যে কতাে বড়াে তা আমি আগে বুঝতে পারি নি, কথাটা বলেছিলাম ধীরে ধীরে, একটা ভীষণ অবাক হয়ে যাওয়া মানুষের মতাে, তারপরই আমি টের পেলাম যে আমি লাল হয়ে গেছি, আমার মুখের মধ্যে জিভ শুকিয়ে এসেছে, আমার পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে উঠেছে।………..

………কাস আর ডানকানের স্ত্রী পাশাপাশি বসে ছিলাে। কাস মল্লিকার মিষ্টি গন্ধ সম্পর্কে কি একটা মন্তব্য করে। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড আবেগভরে মহিলা বলে ওঠে (কাস্ লিখেছে, তার কণ্ঠস্বর ছিলাে নিচু গ্রামের, প্রায় আবেগরুদ্ধ, ভাঙা ভাঙা, ওই কণ্ঠস্বরের তীব্রতায় আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম), ……..বড়াে বেশি মিষ্টি। দম বন্ধ হয়ে আসে। আমি দম বন্ধ হয়ে মরে যাবাে। সে নিজের ডানহাতটি, আঙ্গুলগুলি ছড়িয়ে দিয়ে, তার বক্ষবন্ধনীর চাপের উর্ধ্বে তার বুকের নিরাভরণ ডৌলটির উপর স্থাপন করেছিলাে।……..

………..শােলার হ্যাট মাথায় একটা সাদামাটা লােককে সে দেখলাে। তাকে সে মিঃ সিমস বলে ধরে নিলাে। তার ওপাশে একটি মেয়ে, অল্প বয়সের। উনিশ কুড়ি হবে, ক্ষীণাঙ্গী, গায়ের রঙ গজদন্তের চাইতে একটু ময়লা, চুল যতখানি কোঁকড়া তার চাইতে বেশি মুচমুচে, চোখ দুটি গাঢ় কালাে। স্বচ্ছ, ঈষৎ রক্তোচ্ছ্বাসভরা, সে ফরাসী লােকটির মাথার উপর দিয়ে একটা বিন্দুর দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। মেয়েটির পরনে বিক্রীর জন্য ক্রীতদাস মেয়েদের পরনে যেরকম প্রচলিত পােশাক ও রুমাল থাকে সে রকম কিছু ছিলাে না। সে পরেছিলাে সাদা ঢােলা একটা কাটা পােশাক, পােশাকের হাত কনুই পর্যন্ত। শার্ট মেঝে ছুঁয়ে আছে, মাথায় কোনাে রুমাল নেই। শুধু একটা ফিতা দিয়ে তার চুল বাঁধা।………দরজার কাছ থেকে একজন চেঁচিয়ে জানতে চাইলাে, গােল আর নরম অন্য কিছু নেই ওর? প্রশ্নটা শুনে আর সবাই হেসে উঠলাে।

মিঃ সিমস বললাে, আছে, আছে। সে ঝুঁকে পড়ে তার পােশাকের নিম্ন প্রান্তদেশ ধরে একটা চটুল রমণীয় ভঙ্গিতে সেটা তার কোমরের উপরে তুলে আনলাে, তারপর নিজের অন্য হাত দিয়ে কাপড়টা ওর কোমরের চারপাশে জড়িয়ে ধরলাে। ওই ভাবে সেটা তার হাতে ধরে রেখেই সে মেয়েটির চারপাশে ঘুরলাে, মেয়েটিকেও তার সঙ্গে সঙ্গে ঘুরতে বাধ্য করলাে (কাস লিখেছে, মেয়েটি কোনাে | বাধা দিলাে না, সে যেন একটা স্বপ্নের ঘােরের মধ্যে ছিলাে), যতক্ষণ পর্যন্ত না তার নিতম্ব দরজার মুখ থেকে স্পষ্টভাবে দেখা গেলাে। মিঃ সিমস বললাে, দেখে নাও, বাপুরা, গােল আর নরম। সে সজোরে মেয়েটির নিতম্বে একটা চাপড় মারলাে, সেখানকার মাংস থরথর করে কেঁপে উঠলাে। সিম জিজ্ঞাসা করলাে, কি বাপুরা? এর চাইতে গােল আর নরম কোনাে কিছুর উপর জীবনে কখনাে হাত বুলিয়েছাে? এ্যা? এতাে একটা কুশান। মিষ্টি জেলির মতাে। | একটা লােক বলে উঠলাে, কী কাণ্ড? পায়ে আবার মােজা পরে আছে দেখছি! | অন্য লােকগুলি যখন হাসাহাসি করছিলাে তখন ফরাসী ক্রেতাটি দুপা সামনে এগিয়ে এসে মেয়েটির নিতম্ব যেখান থেকে স্ফীত হয়ে উঠতে শুরু করেছে ঠিক তার উপরে ছােট্ট বর্তুলাকার চাপা জায়গায় তার চাবুকের মাথাটা স্থাপন করলাে। এক মুহূর্তে সে সূক্ষ্ম কোমলতার সঙ্গে সেটা ওখানে চেপে ধরে রাখলাে, তারপর ধীরে ধীরে সেটাকে টেনে নামিয়ে আনলাে, দুটি নিতম্বের উপর দিয়ে সমান গতিতে, বঙ্কিম ডৌল দুটি যেন স্পষ্ট বােঝা যায় সেজন্য। বিদেশী কণ্ঠে সে বললাে, ঘুরিয়ে দেখাও।………

…….মিঃ সিমস নিজের হাতে ধরা কাপড়টি ঘােরালাে। মেয়েটিও অর্ধবৃত্তাকারে ঘুরে গেলাে, আর দরজার কাছে দাঁড়ানাে একটি লােক সঙ্গে সঙ্গে শিস দিয়ে উঠলাে। ফরাসীটি তরুণীর পেটের উপর তার চাবুক স্থাপন করলাে, যেন সে একটা কাঠমিস্ত্রী, একটা জিনিস মেপে দেখছে, কি রকম সমতল তা পরীক্ষা করছে, তারপর আবার ধীরে ধীরে আগের মতাে তার কাঠামােটা চিহ্নিত করলাে তার চাবুক দিয়ে। অবশেষে চাবুক যখন মেয়েটির ত্রিভুজের ঠিক নিচে উরু দুটির মাঝামাঝি এসে পৌছুলাে তখন সে একটু থামলাে, তারপর চাবুকসহ নিজের হাত পাশে নামিয়ে মেয়েটিকে লক্ষ করে বললাে, মুখ হাঁ করাে।……

…….নিঃসন্দেহে ও এসেছিলাে।

তার সাদা পােশাকের পেছন দিকের হুকগুলি আমি খুলতে আরম্ভ করি। ও স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাে, সুবােধ ও ভারী বাধ্য, পিঠের দু’পাশ দিয়ে দুটি বেণী নেমে গেছে। হাল্কা কাপড়ের ভেজা পােশাক আমার কাজটা মােটেই সহজ করে দিলাে না। আমি আনাড়ির মতাে হাতড়ে হাতড়ে হুকগুলি খুললাম, তারপর ওর কটিবন্ধনীর কাছে এসে পৌছুলাম। আমার মনে আছে, ওটা বাঁধা ছিলাে তার বাঁ পাশে। আমি সেটা খুলতেই মেঝের উপর পড়ে গেলাে। দুবাহু পাশে ঝুলিয়ে দিয়ে, স্থির হয়ে, ও দাঁড়িয়ে ছিলাে, যেন আমি দর্জি, তার জন্য তৈরি পােশাক ঠিক হয়েছে কিনা সেটা দেখছি। সে একটি কথাও বলে নি, শুধু একবার, যখন অপটু ও বিভ্রান্ত আমি ওর পােশাকটা তার নিতম্বের উপর দিয়ে নিচে টেনে খুলবার চেষ্টা করছিলাম তখন সে আগের মতাে নিচু গলাতে বলেছিলাে, না, না, এদিক দিয়ে, বলে তার নগ্ন বাহু দুটি নিজের মাথার উপর তুলে ধরেছিলাে। আমি লক্ষ করি যে তখনাে সে তার হাতের আঙ্গুলগুলি হাল্কা ও স্বাভাবিকভাবে না রেখে কাছাকাছি সন্নিবদ্ধ করে রেখেছিলাে, খুব ঋজু, যেন সে তার দু’বাহু উর্দ্ধে তুলছে ডাইভ দেবার জন্য, এবং প্রাথমিক ভঙ্গিটা সম্পূর্ণ করবার আগে এক মুহূর্তের জন্য থেমেছে মাত্র। আমি মাথার উপর দিয়ে তার পােশাকটা খুলে প্রথমে সেটা হাতে নিয়ে বােকার মতাে দাঁড়িয়ে রইলাম, তারপর বুদ্ধি খুললাে, তখন চেয়ারের গায়ে সেটা ঝুলিয়ে রাখলাম।…..

…..তখনাে সে দু’বাহু উপরে তুলে দাঁড়িয়ে ছিলাে, আমি বুঝলাম যে অন্তর্বাসটিও পােশাকের মতাে উপর দিক দিয়ে খুলতে হবে। সেইভাবেই আমি ওটা খুললাম, আমার অস্থির চঞ্চল অপটু হাতে, অস্বাভাবিক যত্নের সঙ্গে, আমি সেটাও চেয়ারের গায়ে ঝুলিয়ে দিলাম, যেন তাড়াহুড়া করলে ভেঙে যাবে। ও আবার শান্তভাবে তার দুটি হাত পাশে নামিয়ে দিলাে। আমি বাকী কাজটুকু শেষ করলাম। আমি ওর ব্রেশিয়ারের হুক খুলে সামনের দিকে টেনে উচু করতেই সেটা তার নিশ্চল বাহুর উপর দিয়ে নিচে পড়ে গেলাে। তারপর আমি হাঁটু মুড়ে মেঝেতে বসে তার ডুয়ারস খুলে পায়ের উপর দিয়ে টেনে নামালাম। অসম্ভব সতর্কতার সঙ্গে আমি এসব করলাম যেন আমার আঙ্গুলের ছোঁয়া তার ত্বকে না লাগে। আমার নিঃশ্বাস দ্রুত হয়ে উঠেছিলাে, আমার গলা আর বুকে কেউ যেন ফাঁস লাগিয়েছে, কিন্তু আমার মন যতােসব অদ্ভুত জিনিসের দিকে ছুটে যাচ্ছিলাে……..

………আমি উবু হয়ে তার পাশে বসেছিলাম, তার নরম হাল্কা অন্তর্বাসটি তার পায়ের কাছে ফেলে দেবার পর সে ওর পাম্প থেকে একটা পা তুলে নিলাে, মেয়েরা যেভাবে করে, প্রথমে গােড়ালীতে শক্ত করে একটু চাপ দিলাে যেন পা সহজে বেরিয়ে আসে, প্রথমে এক পা বার করলাে, তারপর দ্বিতীয় পা। আমি উঠে ওর পাশে দাঁড়ালাম, হীলছাড়া মেঝের উপর সমভূমিতে দাঁড়াবার জন্য, আমি অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, ও কতাে ছােটখাটো। আমি ওকে হাজার বার সাঁতারের পােশাক পরা এই ভাবে সমতলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি, বেলাভূমিতে বালির উপরে কিংবা ফ্লোটে, কিন্তু কখনাে সেটা এই রকম করে উপলব্ধি করি নি। | আমি উঠে দাঁড়ালাম। সেও দাড়িয়ে থাকলাে, তার হাত আগের মতােই শিথিলভাবে দুপাশে ঝােলানাে, তারপর সে তার হাত দুটি বুকের উপর ভাঁজ করলাে, সামান্য কেঁপে উঠে কাঁধ ঈষৎ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিলাে, আর তার ফলে হঠাৎ আমার চোখে পড়লাে তার কাঁধের হাড় কি রকম শীর্ণ ও ধারালাে, আর। তার দু’পাশ দিয়ে নেমে গেছে দুটি বিনুনি।

এখন বাইরে দমকা হাওয়ার সাথে প্রবল বর্ষণ শুরু হয়ে গেছে। তাও আমার নজরে পড়লাে।

ওর মাথা সামান্য সামনের দিকে ঝুঁকে ছিলো। হঠাৎ বােধহয় সে দেখলাে, কিংবা তার মনে পড়লাে, যে এখনাে সে মােজা পরে রয়েছে। তখন আমার দিক থেকে একটু ওপাশে ঘুরে, সামনের দিকে ঈষৎ ঝুঁকে, প্রথমে এক পায়ের উপর ভারসাম্য রেখে, পরে অন্য পায়ের উপর, সে তার মােজা দুটি খুললাে, তারপর তার সামনে মেঝেতে পড়ে থাকা জামাকাপড়ের উপর সেগুলি রাখলাে। তারপর সে আবার সামনের দিকে ঈষৎ কুঁজো হয়ে, হয়তাে একটু কাঁপা কাঁপা শরীর নিয়ে, হাঁটু দুটি অল্প একটু বাঁকিয়ে কাছাকাছি চেপে ধরে চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাে।….

……..এ্যান বিছানার উপর একটা হাত রাখলাে, তার উপর সামান্য দেহভার রেখে সে মেঝের উপর থেকে তার পা তুললাে, পাদুটি এখনাে কাছাকাছি চেপে রাখা, তারপর সুন্দর সাবলীল ভাবে বাঁকা হয়ে শুয়ে পড়লাে। তারপর সে অত্যন্ত ভদ্র সুবােধ ভঙ্গিতে সােজা হয়ে শুলাে, আবার হাত দুটি বুকের উপর জড়াে করে রাখলাে, তারপর চোখ বন্ধ করলাে।

একজন স্বাস্থ্যবান অর্ধনগ্ন তরুণ একটা বিছানার পাশে হাঁটু গেড়ে বসে একটি সম্পূর্ণ নগ্নদেহ সুন্দরী তরুণীর হাত নিজের হাতের মুঠোয় টেনে নেয় তখন, একটু আগে হােক বা একটু পরে হােক, ঘটনার গতিধারা তার স্বাভাবিক বিকাশের পথ ধরে অগ্রসর হবেই। আর ওর যাবতীয় কাপড়জামা খুলবার সময় আমি যদি তাকে একবারও স্পর্শ করতাম, কিংবা ও যদি আমার সঙ্গে কোনাে একটা কথা বলতাে, জ্যাকি সােনামণি বলে আমাকে সম্বােধন করতাে, কিংবা বলতাে যে সে আমাকে ভালােবাসে, কিংবা খিলখিল করে শুধু হেসে উঠতাে, আমার কথার জবাবে যদি যা কিছু একটা বলে উঠতাে, ও বিছানায় শুয়ে ছিলাে আর আমি প্রথম যখন নাম ধরে ওকে ডাক দিই, তখন যদি সে এসবের একটা কিছু করতাে তা হলে সব কিছু সেই মুহুর্ত থেকেই, এবং তার পর থেকে, চিরকালের জন্য অন্য রকম হয়ে যেতাে।

লুসি সেখানে এমনভাবে বসেছিলাে যেন আমি আসিই নি, আমার উল্টো দিকে সে লাল কাপড়ে মােড়া ঋজু, খােদাই করা, বাদাম কাঠের চেয়ারে বসেছিলাে, সামনে প্রসারিত, এখনাে সুন্দর দেখতে, এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে দিয়ে, কোমর আর এখন আগের মতাে ছােট নয়, তবে এখনাে সােজা, বুক ভরাট, কিন্তু গরমের দিনের হাল্কা নীল পােশাকের নিচে বেঢপ নয়। তার মুখের কোমল স্নিগ্ধ প্রান্তরেখাগুলি আর আগের মতাে তরুণীসুলভ নেই।…..

………এরপর মেয়েটি তার সত্যি সুন্দর ভুট্রারঙের চুলের মধ্য থেকে সরে আসা একটা কেশগুচ্ছ খুঁজে দেবার জন্য তার গােলগােল লাল নখ বিশিষ্ট সাদা হাত উঁচু করে তুলে ধরলাে। ফলে মিঃ বার্ডেনের পরিদর্শনের জন্য তার বুক একটু উত্তোলিত হলাে।…….

Leave a Reply