অব লাভ অ্যান্ড আদার ডেমনস – গেব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ

›› অনুবাদ  

এডিথ গ্রসম্যানের ইংরেজি থেকে অনুবাদঃ অশােক দাশগুপ্ত

……..সারা দিন ওয়ার্ডারের সেলে ঢােকা ঠেকাতে হাজারাে প্যাচ কষতে হলাে মারিয়াকে! বিচিত্র ছেলে মানুষিতে দিন কাটানোর পর গভীর রাতে মনে হলাে, তারা যেন অনাদিকাল একজন অন্যজনকে ভালােবাসে । তারপর দেলাওরা মারিয়ার ব্রার ফিতা আলগা করে দু হাতে নিজের দু স্তন চেপে ধরে মরিয়া। দু চোখে ক্রোধ সহসা লাল একটা ছােপ দপদপ করে জ্বলে উঠে কপালে। মারিয়ার দু হাত যেন দাউদাউ করে জ্বলছে। বুড়াে আঙুল ও তর্জনীর নিয়ে আলগােছে তার হাত দুটাকে বুকের ওপর থেকে সরায় দেলাওরা। বাধা দেয়ার চেষ্টা করে মারিয়া। কিন্তু দেলাওরা কোমল কিন্তু দৃপ্ত এক শক্তি প্রয়ােগ করে বলে তােমার হাতে এলাম শেষে পরাজিত হয়ে।

তার কথা শােনে মারিয়া : ‘সেখানেই হবে মরণ আমার জানি।’ হিমশীতল আঙুলে ব্রা খুলতে খুলতে বলে চলে দেলাওরা : ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে ফিসফিসিয়ে যােগ করে মেয়েটা : ‘শুধু আমার কাছেই প্রমাণ আছে, কত গভীরে বিধেছে সে তলােয়ার, পরাজিত এ দেহে । তারপর এই প্রথম তার ঠোটে চুমু খায় দেলাওরা । কেঁপে উঠে মারিয়ার গা। সাগর থেকে উঠে আসা মৃদু হাওয়ার পশলা সে শরীরে। তারপর নিয়তির হাতে ছেড়ে দেয় নিজেকে! প্রায় না ছুঁয়েই তার সারা গায় আলতাে আঙুল বােলায় দেলাওরা। নিজেকে অন্যের গায় অনুভব করার অলৌকিক অভিজ্ঞতাটা এই তার প্রথম যেন অশ্রুত এক কণ্ঠ বলে গেল : জীর্ণকুটিরে বাস, ল্যাটিন ও গ্রিকে বিনিদ্র রাত, ধর্মবিশ্বাসের আনন্দ, কুমারের বিরানভূষি, সেখানে শয়তান তার থেকে ছিল কতই না দূরে ! অন্ধকারে হাতড়ে চলসে। মারিয়ার হাতে ছেড়ে দিল নিজেকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে অনুশােচনা নীতিবােধের প্রবল ধাক্কায় তলহীন এক গহ্বরে তলিয়ে যায় সে চোখ বন্ধ করে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে। তার নীরবতা আর নিথর হয়ে পড়ে থাকায় ঘাবড়ে যায় মারিয়া। আঙুল দিয়ে ছুঁয়ে দেখে তাকে : ‘কী ব্যাপার?

‘এভাবেই থাকতে দাও। আমি প্রার্থনা করছি।’…….

Leave a Reply