…..পারভীন ক্লিপে আটকানাে চুল দুকাধে ছড়িয়ে দিল,এতে তার লম্বাটে, ঈষৎ চোয়াল-উঁচু মুখটার সৌন্দর্য বেড়ে গেল অনেক। নিবিড় কালাে, কোঁকড়ানাে আনিতম্বলম্বিত চুল পারভীনের। নিজের চোখে আজ এই স্নিগ্ধ সকালের হােটেলকক্ষে নিজেই মুগ্ধ হয়ে গেল পারভীন। আঁচল একটু আলগা করে ডান দিকে কাত হয়ে নিজের স্তনের দিকে তাকাতে গিয়ে ফরহাদের ওপর চোখ পড়ল পারভীনের। মনটা সামান্য বিষন্ন হয়ে গেল তার, মনে ও শরীরে একটু আগে যে আনন্দ সে অনুভব করছিল, যেন একটু ঘাটতি দেখা দিল।…..
….মাঝেমধ্যে পারভীন ভেবেছে—তাকে অবহেলা দেখাচ্ছে না তাে ফরহাদ! কোনাে কারণে রুষ্ট হয়নি তাে সে তার ওপর! তার শারীরিক সৌষ্ঠব, তার ত্বকের পেলবতা, তার স্তনের পুষ্টতা, তার অধরের লালিমা, তার কটাক্ষের ধার কি অবহেলা করার মতাে কমে এসেছে?
যে-রাতে ফরহাদ সত্যিকার ঘুমিয়ে পড়ে, সে-রাতে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ায় পারভীন। বুক থেকে চুল সরিয়ে নেয়। দেখে—তার স্তন এখনাে বিষফলের মতাে পুষ্ট, সন্তান হয়েছে তিনটি তার, সন্তান প্রসবের প্রভাব তার স্তনে তেমন কোনাে রেখাপাত করতে পারেনি। কালিদাসের নায়িকার মতাে স্তন দুটো ঈষৎ ঝুঁকেছে শুধু। এই ঝোকা তার স্তনযুগলের সৌন্দর্যহানি ঘটায়নি, বরং ব্যক্তিত্ব বাড়িয়েছে। পারভীন তার বাহু দুটো ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখে। সেই আধাে আলাে আধাে আঁধারের ঘরেও তার বাহুযুগল কামের আলাে ছড়ায়। একটু বেকে পিঠ দেখে পারভীন, গ্রীবা দেখে দেখে দেখে নিজেই পুলকিত হয় পারভীন। আহা! এত বয়সেও তার দেহ এত লােভনীয় থেকে গেছে!…..
…..একই টেবিলে বসেছিল ইংরেজি বিভাগের হুমায়ুন কবীর। গত মাসে বিয়ে হয়েছে তার। বউকে সাথে নিয়ে এসেছে হুমায়ুন। মুখােমুখি বসেছে দু’জনে। নিচুস্বরে কথা বলছে আর এর প্লেটের মাছ ওর প্লেটে, ওর প্লেটের মাংস এর প্লেটে তুলে দিচ্ছে। বউটির সােহাগি চাহনি। আর হুমায়ুনের চোখ ঘুরে ফিরছে বউটির গলায়, গলার নিচের খােলা অংশে, কপােল।…..
…..‘রাগ কর না লক্ষ্মীটি। ফরহাদ হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়ে পারভীনের ডান হাতটি নিজের দিকে টেনে নেয়। বাঁ হাতে জড়িয়ে পারভীনকে বুকের কাছে টানে ফরহাদ । বিছানার কাছাকাছি যায়।
তারপর উন্মাদ হয় দু’জনে, ফরহাদের তুলনায় পারভীনের উন্মাদনা বেশি।…..হারিকেনটা টেবিলে রেখে পারভীন বিছানায় এল। ফরহাদের মুখের দিকে খেয়াল নেই পারভীনের । সে আবার খেলায় মেতে উঠল। দীর্ঘদিনের ক্ষুধার্ত শরীর। আজকে তার সকল হিসেব নিকেশ কড়ায় গণ্ডায় বুঝে নিতে চায় পারভীন। অফুরান উষ্ণতা নিয়ে ফরহাদের শরীরের সঙ্গে নিজের সুর মিশিয়ে দিতে চায় আজ পারভীন। আগের আবেগ নিয়ে সে ফরহাদের শরীরে জিজে ভাঁজে হাত ঠোট বুলাতে থাকে।
কিন্তু এক সময় পারভীনের হঠাৎ খেল হয়-ফরহাদের মধ্যে একটু আগের উষ্ণতা খুঁজে পাচ্ছে না তাে সে! এক্রয়ম শিথিলতা যেন তার শরীরের আনাচে কানাচে! হাত নিষ্ক্রিয়, ঠোট নিস্তেম্ভকের স্পন্দন যেন কী কারণে থেমে গেছে! হারিকেনের মৃদু আলােয় পারভীনহাদের মুখের দিকে তাকাল। দেখল–ফরহাদ অসহায়ভাবে সিলিং-এর দিকে তাকিয়ে আছে।….
…মায়ের কথায় পারভীনের মাথা ঝাঁ ঝাঁ করে উঠল-মেয়েমানুষের সকল কিছু তাে সামনের দিকে। নিজের অজান্তে কচি স্তনে হাত উঠে এল তার। ও, তাহলে মা এই ব্যাপারটাই বােঝাতে চাইছে বারবার।….