দ্রিমি
……..মেয়েটি দৌড়ে ভিতরে গেল। দৌড়ে যাওয়ার সময়ে পেছন থেকে তার ফিগার দেখে মুগ্ধ হলাম। সরু কোমর তার সঙ্গে মানানসই নিতম্ব, মরালী গ্রীবা, কোমর সমান চুল। তার চলার ছন্দে চুলে ঝাকি পড়ছিল। শাড়ির নিচে তার শুভ্র রুপােলিরঙা সুলক্ষণা গােড়ালি আর রুপাের পায়জোর যেন একীভূত হয়ে গেছিল।……
…….ঝােপের আড়ালে লুকিয়ে বসে রইলাম। দ্রিমি একটা বেগুনি ঘাঘরা আর সাদা ব্লাউজ পরে ছিল। ওপরে চোলি। আর সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল ফিকে কমলা রঙা একটি শাড়ি, গাঢ় কমলা রঙা একটা সায়া আর ব্লাউজ। ব্লাউজের ভিতরে কাঁচুলিও ছিল, যখন রাউজটা পাথরের উপরে রাখল তখন দেখতে পেলাম।
দ্রিমি আগে ব্লাউজটা খুলে পাথরে রাখল তারপরে কঁচুলিটি খুলল। আমার। নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেল। দুটি সদ্য-ফোটা গােলাপি রঙা স্থলপদ্ম যেন। আমার মনীশ ঘটকের কবিতা মনে পড়ে গেল, ‘বঙ্কলমুক্ত তুঙ্গ স্তনদ্বয় সহসা উদ্বেল হলাে শুভ্র বক্ষময়।……..
…….তারপরে ঘাঘরাটিও খুলে ফেলল দড়িতে এক টান মেরে। আমার হৃৎপিণ্ড ধকধক করতে লাগল। হলুদ মােমের মতাে দুটি উরু আর উরুসন্ধিতে নবতৃণদল এর মতাে নরম ও উজ্জ্বল কিন্তু কালাে পশম। দ্রিমি কী একটি গান গাইতে গাইতে জলে নামল। তারপরে তার কোমর অবধি জলে ডুবিয়ে জলের মধ্যে একটি পাথরে বসে নিজের মনে একটি ভজন গাইতে লাগল গুন গুন করে।………
……চান সেরে উঠে দ্রিমি আমার দিকে পেছন ফিরে গামছা দিয়ে গা মুছল তারপর স্থলপদ্মদুটিকে কাচুলিবদ্ধ করল। চান করতে নামার আগে সে যখন সামনে ঝুঁকেছিল তখন আমার মনে হয়েছিল স্থলপদ্ম দুটি বুঝি বৃন্তচ্যুত হয়ে খসে পড়বে। সামনে শরীর ঝোকানােতে সে দুটি লম্বাটে হয়ে গেল যেন, মাংসপেশি শিথিল হওয়ার কারণে। অনাবৃত অসংবৃত নারীশরীরে যে কত গভীর নিবিড় নির্মাণ এবং অবসান তা নিজ চোখে না দেখলে জানতেও পারতাম না।
দ্রিমি ছাড়া কাপড় কেচে নিংড়ে নিয়েছিল শুকনাে কাপড় পরার আগে। সে ঝাতলি ছেড়ে চলে যাবার আগেই আমি নিঃশব্দে আমার অবস্থান থেকে সরে গিয়ে আশ্রমে ফিরে গেলাম। গিয়ে তিওয়ারীজীর কাছে বসলাম।……….
……….ও বলল, আমি কি তােমার বউ? তুমি লুকিয়ে আমার চান করা দেখছিলে কেন? মানুষে নিজের স্ত্রীর চান করাও দেখে না। চান একটা বিশেষ গােপনীয় ব্যক্তিগত ব্যাপার। কেউ কি কারও চান দেখে।
আমি ধরা-পড়া চোরের মতই বললাম, আমি তাে তােমাকে বলাৎকার করতে চাইনি।
বলাৎকারের প্রশ্ন ওঠে না। তুমি বাবার অতিথি। তুমি আমারও অতিথি। তুমি যদি আমাকে আদর করে আনন্দ পেতে তবেও আমি বাধা দিতাম না। বাধাটা ছিল তােমার নিজের বিবেকের। বিবেক না থাকলে তুমি এই আশ্রমকনাকে সম্ভোগ করতে পারতে—তােমার মতাে বিদ্বান্ বুদ্ধিমান পড়েলিখে বাঙ্গালী মেহমান। তুমি আমার উপরে চড়াও হলে আমি একটুও বাধা দিতাম না। তােমাকে বলপ্রয়ােগ করতেই হত না। তবে কী করে কী করতে হয় আমি তাে জানি না। জীবনে আজ অবধি কখনও তাে ওসব করিনি। বিয়ে করব কী না তাও জানি না।
আমিও করিনি। আমি মিথ্যা কথা বললাম। দ্রিমি হেসে বলল, বাঁচা গেছে। দুই আনপড় মিলে কী না কী করতাম।
তারপর বলল, আমার চান দেখাটার মধ্যে আমি কোনও দোষ দেখতে পাইনি। তুমি ফুল দেখ ভালবেসে, পাখি দেখ, তারা দেখ, অন্ধকার রাত দেখ, চাদের আলাে দেখ—আমাকেও দেখতে চাইলে অন্যায়ের কি আছে। তাছাড়া, মনে একটু গর্বও হয়েছিল। এমন একজন অধ্যাপক আমাকে চুরি করে দেখছে বলে। লজ্জায় আমার মাথা কাটা গেল।……..
……….তারপর ব্যাগটা কাঁধ থেকে নামিয়ে রেখে, ওকে বুকে টেনে নিলাম। চুমুতে চুমুতে ভরে দিলাম ওকে। ওর কপালের সিঁথিতে, স্তনসন্ধিতে চুমু খেলাম। ও হাসতে লাগল। হাসতে হাসতে আমার চুমুতে তার চুমু যােগ করল। অস্ফুটে বলল, আপনি এখনও বড় হননি, রােজ দাড়ি কামালে কী হয়।
তারপর বলল, যে খিদের পুরাে নিবৃত্তি না হয়, তাকে ভুলেও জাগাতে নেই। মন দুখায়। শুধুই মন দুখায়।……….