…..জলি হাই তােলে। হাত বাড়িয়ে শিমুলকে হাত ধরে চৌকিতে টেনে নেয়। পাতলা চাদরটা যত্ন কোরে শিমুলের গায়ে টেনে দেয়। একাংশ নিজের কোমর পর্যন্ত টেনে জলি হেরিকেনের সলতা কমাতে কমাতে শেষ পর্যন্ত হারিকেনটা একদম নিভিয়ে ফেলে। অমনি ঘন অন্ধকারে ঘরটা তলিয়ে যায়। সুন্দর একটা গন্ধ। মিষ্টি আর ভারী। শিমুল বুঝতে পারে, গন্ধটা জলি’পার গায়ের। গন্ধটা লেবু ফুলের, না আতা ফুলের, শিমুল মেলাতে পারে না। ওর ভেতরটা সেই মিষ্টি গন্ধে শিরশির কোরে ওঠে। | ঘুমিয়ে পড়েছিল, নাকি ঘুমের আবেশে জড়িয়ে যাচ্ছিল, শিমুল ঠিক কোরে ধরতে পারে না।
সে এখন একদম জেগে আছে অথবা জেগে গেছে। জলির গায়ে কখন আর কি কোরে যে শিমুলের গা মিশে গেছে! ওর পেটের উপরে জলির হাত। শিমুল ভাবে, জলি’পা ঘুমের ভেতরে হাত তুলে দিয়েছে। সে জলির হাত সরিয়ে দিতে চায়। পারে না। আরাে জোরে দেবে বসে সেই হাত। আলতাে কোরে শিমুলের পেট চুলকিয়ে দেয় জলি, আদর কোরে হাত বােলায়। শিমুলকে সেই ফাকে আরাে বেশি কাছে টেনে নেয়। শিমুলের সুড়সুড়ি লাগে। কিন্তু সেই সুড়সুড়িতে ওর এখন হাসি উঠছে না, বরং বিরক্তি আর এক ধরনের রাগ ফুসে উঠতে থাকে ওর ভেতরে।
জলি আচম্বিতে শিমুলকে বুকে চেপে ধরে; ঠোটে, গালে, গলায় চুমাে খায়। ওহ, নি:শ্বাস কি গরম! শিমুলের হৃদপিন্ড ধক কোরে লাফিয়ে ওঠে। জলির বুকের নরম মাংস ওর মুখে এসে চেপে বসে। জলি নিজের বুকে শিমুলের মাথা চেপে ধরে জোরে। শিমুলের দম আটকে আসে। থরথরিয়ে কাপে সে। হঠাৎ ওর কি যে হলাে ! যেনাে গােটা শরীরের ভেতরে একটু একটু কোরে বিদ্যুৎ তরঙ্গ উন্মাতাল ঢেউ হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। জলির পা ওর পায়ের উপরে, হাতটা পেট থেকে নাভি, নাভি ছাড়িয়ে একদম লজ্জা স্থানে এসে যায়। মনে প্রচণ্ড ধাক্কা খায় শিমুল। চেচিয়ে উঠতে গিয়েও পারে না। ঠিক হবে না ধরনের একটা বােধ ওর ভেতরে লতিয়ে ওঠে। ওর শরীর থরথরিয়ে কাপে, শুকিয়ে যায় গলা, ঠোট। সেই শুকনাে ঠোটে জলির তৃষ্ণিত ঠোট। জলি সেই শুকনাে ঠোট কি ভীষণ ভাবে চুষছে! হঠাৎ কোরে শিমুলের ভয় ভয় লাগে। অদ্ভুত অচেনা এক আতংকিত আবেশের ভেতরে ডুবে থাকা অবস্থায় ওর খুব তেষ্টা লাগে। সাথে হিসি। কিন্তু প্রথম দিকের খারাপ লাগা বোধটাও ওকে আর আগের মতাে কোরে খামচায় না।…..