অনুবাদঃ তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
………আশ্চর্য। গােবিন্দ কোথায় ? মিলিয়ে গেছে সে। আলিঙ্গনাবদ্ধ এ যে এক ভরা যৌবনা রমণী। রমণীর ঢিলে ঝলমলে ওপরের পােশাকের অভ্যন্তর হতে আত্মপ্রকাশ করছে তার পুরু স্তন দুটি। স্তন থেকে নিঃসত হচ্ছে নারী-পুরুষ, সুর্য-অরণ্য, প্রাণীকুল………
………গ্রামের শেষে নদীর পাশ দিয়ে পথ গিয়েছে বেকে। হাঁটু গেড়ে বসে একজন যুবতী কাপড়জামা কাচছিল। সিদ্ধার্থ তাকে সম্ভাষণ জানালে তরুণীটি সিদ্ধার্থের দিকে তাকাল। স্মিত হাসিতে তার মুখটি উজ্জ্বল হয়ে উঠল। তার চপল চোখ দুটি ঝকঝক করছিল। সিদ্ধার্থ তার কাছে নগরের পথ জানতে চাইল। যুবতী কাপড় কাচা ফেলে রেখে সিদ্ধার্থের সামনে এসে দাঁড়াল। তার রমণীয় অধরােষ্ঠে অদ্ভুত একটা মাদকতা রয়েছে। সিদ্ধার্থের সঙ্গে তার আলাপ-পরিচয় হলো। সিদ্ধার্থ কি অনাহারে রয়েছে, না কি কিছু খেয়েছে—মেয়েটি জানতে চাইল। সে প্রশ্ন করে, সন্ন্যাসীদের কি নারীর সান্নিধ্য এড়িয়ে রাত কাটাতে হয়। যুবতী তার কোমল যৌবনােঞ্জল বা পাটি সিদ্ধার্থের ডান পায়ের ওপর স্থাপন করে কামসূত্র বর্ণিত বৃক্ষারােহন পদ্ধতিতে দাঁড়াল। দেহকামনায় ব্যাকুল নারী এভাবে পুরুষকে যৌন মিলনের নিমন্ত্রণ জানায়। সিদ্ধার্থের সারা শরীরে দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল কামনার আগুন, নিশীথ রাতের স্বপ্নের কথাও তার মনে হলো। এর আগে নারীর ললিত যৌবনের স্পর্শটুকুও সে পায়নি। আর একটুও এগিয়ে না’—অন্তরাত্মা নির্দেশ দেয়। কামতপ্ত যুবতীকে ফেলে সিদ্ধার্থ চলে গেল।………