………. তােমাকে চিনি, আবার চিনিও না। তুমি ভাঙার কেউ নও, ছেন কেউ নও। তুমি সত্যিকারের, নাকি মিথ্যেকারের বুঝি না। ডান হাতের মধ্যমাটি নস্নিকার অলিতে-গলিতে | ঘোরে । যেন শরীরের ক্যানভাসে ছবি আঁকছে সে। কপাল থেকে নাক বেয়ে গলায় নেমে দু বুকের চুড়োয় উঠে আবার নেমে গিয়ে মাঝখান ধরে সােজা পেট তলপেট উরুসন্ধি থেকে বা উরুতে উঠে হাঁটু বেয়ে পা বেয়ে পা হয়ে পায়ের বুড়াে আঙ্গুল থেকে ডান পায়ের বুড়াে আঙ্গুল ধরে উল্টো পথে একই রকম ভাবে ফিরে আসে কপালে। কপাল থেকে আঙুল যখন বােলা চোখের পাতা স্পর্শ করে, তখন চোখ খােলে জুলেখা।
একসময় এই খেলাটি, বিছানায় প্রেমটি জুলেখার বাড়িতেই হত, যখন স্বামী চলে যেত কাজে, বাচ্চা স্কুলে। সুরঞ্জন উপগত হতে নিলেই পাড়ার একটা বেয়াড়া কুকুর জানালার সামনে দাঁড়িয়ে চিৎকার করতাে। কেন করতো কে জানে। শেষের দিকে কুকুরের চিৎকার শুনে সুরঞ্জনকে খেলা থামিয়ে বিদেয় নিতে হয়েছে।………..
………আর তিনটে জলের বােতল। ঢুকেই ইয়াও হু বলে চাপা চিৎকার তিনজনের। সবার চোখ জুলেখার দিকে । জুলেখা একটা চেয়ারে পেছন ফিরে বসা। হঠাৎ বিশ্ব পেছন থেকে দাড়িয়ে জুলেখার স্তন খামচে ধরলাে। সুরঞ্জন অনুমান করে, জুলেখা দাঁতে দাঁত পেতে বসে আছে। অচিন্ত জোরে হেসে উঠে বললাে আমার মালে আমায় আগে হাত দিচ্ছিস যে বড়!……
……..আজ ভালাে দিন। ভালাে খাবার-দাবায়ের দিন । আজ উৎসব। সুন্নগুন লক্ষ করে, চেয়ার থেকে একটানে জুলেখাকে বিছানায় ফেললে সুব্রত ময়লা তােশক-বালিশের মধ্যে। সুব্রতর মাথাও কোথাও গড়াচ্ছে। শরায় টলছে তার। টেনে খুলে নিল জুলেখার শাড়ি। সায়া-ব্লাউজও টেনে টেনে খুললাে। উলঙ্গ একটা নারী পাঁচজন পুরুষের চোখের সামনে। সুরঞ্জন অপলক তাকিয়ে থাকে জুলেখার শরীরের দিকে। সুদেষ্ণার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সুরন্তন কোনও উলঙ্গ নারী দেখেনি। তরুণী একটা শরীর। ভরাট স্তন।
বাচ্চা জন্ম দেওয়া স্তন বলে মনে হয় না। তলপেটে কিছু মেদ। মেয়েদের ওই মেদটুক সুরঞ্জনের ভালাে লাগে । প্রাকৃতিক বলে মনে হয় । না খেয়ে খেয়ে দৌড়ে শহরে মেদ ঝরিয়ে ফেললে বড় কৃত্রিম লাগে। সুনের কি তৃষ্ণা জাগে! জাগে। উরুসন্ধির অঙ্গ ফুসে বেরােতে চায়। চোখ চেন্নায় সুরঞ্জন অন্যদিকে। ‘অচিন্ত টিপ টিপ করে মদ ঢালছে জুলেখার গায়ে । ঢালছে আর হা হা করে হাসছে। মেয়েটি, আশ্চর্য, কাদছে না। শাড়ি নিয়ে মুখ ঢেকে রেখেছে। চোখও ঢাকা পড়ে আছে। কিন্তু সে দেখতে পাচ্ছুে না। জুলেখা চিৎকার করতে পারে, এই আশঙ্কায় অচিন্ত্য তার মুখের ভেতর কাপড় গুঁজে দেয়। সে কাপড় মেয়েটি যেই না সরাতে নেয়, পালে কয়ে থাপ্পর খায় । কিন্তু সরায় শেষ পর্যন্ত, কোনও চিৎকার করে না। হাত-পা ছোড়ে না, শুধু নিজের চোখ দুটো ঢেকে রাখে। ……….হঠাৎ তিড়িং তিড়িং নাচতে শুরু করে বিশ্ব । নাচতে নাচতে জুলেখায় গায়ের ওপর উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ে। বিশ্বকে টেনে সরিয়ে ‘অচিন্ত্য ‘আমি আগে’ বলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অচিন্ত্যকে ধাক্কা দিয়ে সুব্রত ।……..
……..সুব্রত টেনে মেয়েটাকে উঠিয়ে টেবিলে শুইয়ে দিল চিত করে। উক দুটো দুদিকে ছড়িয়ে। মেয়ে এবার জোর খাটাচ্ছে। উঠে পড়তে চাইছে। কিন্তু সক্ত শক্ত শক্ত চড় তাকে নিশ্বর করে দিল। সুতর ধর্ষণ গায়ের চামড় মুচড়ে মুচড়ে, পুন কামড়ে কামড়ে। সুরঞ্জন ধাক্কা দিয়ে সরাতে চায় সুতকে। সুত বদলে এমন জোরে ধাক্কা দেয় সুরঞ্জনকে যে দেয়ালে গিয়ে উল্টে পড়ে। মাথায় আঘাত লাপে জেরে । এবার সুরঞ্জন ছুটে এসে সেই হাতটাকে শক্ত করে ধরে, যে হাতটা চামড়া মোচড়াচ্ছিল। রেপ করছে। করো, বাড়তি কষ্ট দিচ্ছ কেন- সুরঞ্জন বােধহয় তা-ই বলতে চেয়েছিল। হাতটা ধরাই থাকে। সুব্রত এক ঝটকায় লিঙ্গ উঠিয়ে নিয়ে পতটা ঘটালাে সুরঞ্জনের শরীরে। সারা বীর্য তার নীল জামাকাপড়ে তীরের মতাে এসে বিধলাে। ……….