লেডি চ্যাটালির লাভার – ডি. এইচ. লরেন্স

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ সুধাংশরঞ্জন ঘােষ 

…………দীর্ঘ অন্তরঙ্গ রসালাপের পর তাদেব সত্তার গভীরে যদি কোন দেহগত এক জৈব কামনা জেগে উঠত আর সেই কামনার তাড়নায় অপরিহার্য হয়ে উঠত তাদের দেহসংসর্গ, তাহলে সে দেহসংসর্গে কোন আপত্তি থাকত না তাদের। যেন একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি সূচিত হত এ সংসর্গে।

এ সংসর্গের সঙ্গে জড়িয়ে ছিল এক বিশেষ রােমাঞ্চকর অনুভূতি। সারা দেহ জুড়ে অনুভব করত তারা এক অদ্ভুত উত্তেজনার স্পন্দন, আত্মপ্রতিষ্ঠার এক অদম্য আবেগ। কোন এক অনুচ্ছেদের সমাপ্তিসূচক কতকগুলি তারকা চিহ্নের মত এ স্পন্দন এ রােমাঞ্চ এ আবেগ যেন এক অভিজ্ঞতার অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘােষণা করত।

১৯১৩ সালের গ্রীষ্মের ছুটির সময় যখন হিলদা আর কনি বাড়ি এল তখন হিলদার বয়স কুড়ি আর কনির বয়স আঠারাে, তখন তাদের বাবা বেশ বুঝতে পারল তারা প্রেমের অভিজ্ঞতা লাভ করেছে।……..

………মাইকেলিস এমনই একজন প্রেমিক, দেহসংসর্গের সময় যার চরম উত্তেজনার কম্পমান ক্ষণ আসে আর তাড়াতাড়ি চলে যায়। তার উলঙ্গ দেহটার মাঝে কেমন যেন এক শিশুসুলভ অসহায়তার ভাব আছে। অবশ্য রতিক্রিয়ার ব্যাপারে তার কিছু কলা-কৌশল ও চাতুর্য জানা আছে। কিন্তু সে কৌশল ও চাতুর্যের ভূমিকা শেষ হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে তার উলঙ্গতা দ্বিগুণ হয়ে ওঠে। চরম পুলকলাভের আগে সে তখন তার শিথিল ও অশক্ত পুরুষাঙ্গটি নিয়ে অসহায় ও অর্থহীনভাবে লড়াই করে যেতে থাকে।

এইভাবে সে কনির মধ্যে একই সঙ্গে তার প্রতি এক করুণা আর এক দুর্বার দেহগত কামনা জাগিয়ে তােলে, কিন্তু সে কামনা সে পরিতৃপ্ত করতে পারে না। সব রতিক্রিয়ার সময় তার কাজ শুরু হতে না হতে তার সব উদ্যম ও উত্তেজনা ফুরিয়ে যায়। সে তখন কনির বুকের উপর নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকে। কিছু পরে সে যখন তার কিছুটা শক্তি ফিরে পায়, আবার একটা উৎপরতার ভাব দেখায় তখন দেখে কনি হতাশ হয়ে পড়ে আছে।

পরে ব্যাপারটা শিখে নিল কনি। মাইকেলিসের উত্তেজনা স্তিমিত বা শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে কনি তাকে জড়িয়ে ধরে নিজে তৎপর হয়ে তার পুরুষাঙ্গটি নিজের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে নিয়ে মেতে উঠত এক বিপরীত রতিক্রিয়ার আশ্চর্য আবেগে। তখন মাইকেলিসও হঠাৎ আশ্চর্যভাবে সক্রিয় হয়ে উঠত। মাইকেলিস যখন দেখল তার শক্ত, উখিত অথচ নিস্ক্রিয় পুরুষাঙ্গটি নিয়ে কনি তার পূর্ণ দেহতৃপ্তির জন্য উন্মত্ত হয়ে উঠেছে তখন সে এক অদ্ভুত গর্ব আর তৃপ্তি অনুভব করত।

এক কম্পিত পুলকাবেগে কনি ফিস ফিস করে বলল, আঃ কী আরাম। এই বলে মাইকেলিসকে জড়িয়ে ধরে স্থির হয়ে শুয়ে রইল। মাইকেলিস তখন মনে মনে একটা নিঃসঙ্গতা অনুভব করলেও সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা গর্বও বােধ করত।

সেবার মাইকেলিস মাত্র তিন দিন ছিল ওদের বাড়িতে। কিন্তু এই তিন দিনের শেষেও সে প্রথম দিনের মত পরবাসী রয়ে যায় তাদের দুজনের কাছেই। তাদের অন্তরের দ্বারপ্রান্তে এসে বহিরাগত অতিথির মতই চলে যায়।………

………..টমি বলল, হে সুন্দর কিশাের আমার, মােটেই না, দশভাগের ন’ভাগও না। আজকাল প্রেমও হচ্ছে আধবুদ্ধিসম্পন্ন একটা ব্যাপার। কতকগুলাে তােক ছেলেদের মত পাছাওয়ালা কতকগুলাে নাচিয়ে মেয়ের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে সঙ্গম করে। | এটাকে তুমি সঙ্গম বল? ঠিক যেন সঙ্গমরত দুটো ঘােড়া। প্রেম মানে ‘আমার স্বামী’, ‘আমার স্ত্রী এই ধরনের যৌথ সম্পত্তিমূলক এক অবিকারগত মনােভাব। না, আমি এসবে মােটেই বিশ্বাস করি না।…….

……..সেদিন রাতে মিকের যৌন উত্তেজনার পরিমাণটা বেশী মনে হলাে আগের থেকে। তবু তার নগ্ন দেহটা ছােট ছেলের মতই কেমন যেন অপুষ্ট ও অশক্ত মনে হচ্ছিল কনির। তাদের সঙ্গম শুরু হলে কনি তার অন্তানন্দ পাওয়ার আগেই অর্থাৎ ভাব চরম মুহুর্তটা আসতে না আসতেই মিকের কাজ শেষ হয়ে গেল। শায়িত হয়ে পড়ল,তাব শক্তোত্থিত লিঙ্গটি অথচ মিকের গােপনাঙ্গের এই নগ্নতা ও তার অনুত্থিত লিঙ্গের মেদুরতা কনির কামনা ও যৌন ক্ষুধাকে দুর্বারভাবে জাগিয়ে তুলল। সে ক্ষুধা তৃপ্ত করার জন্য তার পাছা দুলিয়ে এক আদিম উদ্দামতায় সক্রিয় হয়ে উঠল কনি আর মিক তার তলায় নিজেকে | বিলিয়ে দিয়ে বীরের মত পড়ে রইল। তার চরম মুহুর্ত না আসা পর্যন্ত এইভাবে এক বিপরীত রতি যৌনক্রিয়ায় মেতে রইল কনি। পরে সে তার আকাঙ্ক্ষিত | যৌনতৃপ্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মুখে এক তৃপ্তিসূচক শব্দ করল।……..

……. তার বুকের স্তনগুলাে কেমন ছোট খাট, ঠিকমত পুষ্ট হয়ে ওঠেনি। একটু ঝুলন্ত ভাব আসেনি। সেই জার্মান ছেলেটার সঙ্গে যখন তার দেহসংসর্গ ছিল, যার সঙ্গে তার একটা দেহগত প্রেম বেশ জমে উঠেছিল তখন তার পেটের মধ্যে একটা মাংসল ও নধর ভাব ছিল, এখন সেটা নেই। তেমন মাংস না থাকায় সেটা পাতলা ও শক্ত কাঠ-কাঠ দেখাচ্ছে। আগেকার মত যৌবনসুলভ চকচকে ভাব নেই। কেমন যেন থলথলে হয়ে গেছে বুড়ীদের মত। তার জানুগুলােও আগে বেশ কেমন সুবহুল ছিল, কেমন গােলগাল দেখাত। এখন। সেগুলাে সরু হয়ে গেছে।……..এবার পিছনের দিকের আয়নাটার পানে তাকাল কনি। সে আয়নায় প্রতিফলিত তার দেহের পিছনটা দেখতে লাগল খুটিয়ে। তার কোমর, পাছা প্রভৃতি যতই দেখতে লাগল সে ততই তার মনে হতে লাগল এগুলো সব যেন ক্লান্ত ও বিষাদম্লান হয়ে উঠেছে।…..

……….তবু তার মনে হলাে তার পিঠের যে দিকটা ঢালু হয়ে পাছার দিকে নেমে গেছে সেইখানেই কিছুটা সৌন্দর্য অবশিষ্ট আছে। কিন্তু তার দেহের সামনের দিকটা দেখে একেবারে হতাশ হয়ে উঠল সে। তার পেট বুক যেন সব যৌবনসুলভ পুষ্টতা, পবিণতি আর উজ্জ্বলতা পাবার আগেই বার্ধক্যসুলভ এক জড়তা আর বিশুষ্কতায় নিঃশেষিত হয়ে যাচ্ছে। সে ভাবতে লাগল যে সন্তানের কথা ভাবছে সে সন্তান কি করে গর্ভে ধারণ করবে সে? তার এই দেহ কি সন্তান ধারণের যােগ্য ?…………

………..লােকটা তখন তার হাতটা এবার আলতভাবে কনির ঘাড়ের উপর প্রথমে রাখল। তারপর আস্তে আস্তে তার পিঠের উপর এক অন্ধ সহানুভূতির অপ্রতিরােধ্য আবেগে হাতটা বুলিয়ে যেতে লাগল। পিঠ থেকে হাতটা তার ক্রমশই কনির পাছা আর পাজরের মাঝখানে নরম অংশটায় নেমে এল।

স্বপ্নপরিবৃত এক তন্দ্রার ঘােরে স্থির হয়ে শুয়ে রইল কনি। তারপর যখন সে অনুভব করল লােকটার হাতটা এক নগ্ন নির্লজ্জতায় তার পােষাকটা সরিয়ে দিচ্ছে তখন একটু কেঁপে উঠল সে। লােকটা এক নীরব নিরুচ্চার আনন্দের তরল উত্তেজনায় গলে গিয়ে কনির কোমরের পােষাকগুলাে খুলে নামিয়ে তার পায়ের কাছে চাপিয়ে রাখল। তারপর তার যােনিটাকে চুম্বন করল। এর পর কনির নরম দেহটার মধ্যে তাকে প্রবেশ করতে হবে। দীর্ঘদিন পর নারীদেহের মধ্যে প্রবেশ করাটা এক পরম আনন্দের ব্যাপার বলে মনে হলাে তার। নিথর নিস্পন্দ হয়ে শুয়ে রইল কনি। যেন সে ঘুমিয়ে গেছে। ঘুমিয়ে আছে। তা থাক। এ ব্যাপারে তার কোন কাজ নেই, চেষ্টা বা তৎপরতার কোন প্রয়ােজন নেই। সমস্ত কর্মতৎপরতা তার। সেই সব কিছু করছে। সেই তার শক্ত হাত দিয়ে কনির দেহটাকে জড়িয়ে আছে। কনির দেহের উপর তার দেহটাকে দ্রুত সঞ্চালিত করছে। তারপর সে-ই তার গর্ভদেশে বীর্যস্থলন করছে। এই সব কিছুই এক সুখনিদ্রার মধ্যে অভিভূত হয়ে এক সুখস্বপ্নের মত উপভােগ করল কনি। অবশেষে লােকটা যখন তার সব কাজ শেষ করে কনির বুকের উপর ঢলে পড়ল তখন ঘুমটা ভেঙ্গে গেল তার।

সহসা নিজে নিজেই বিস্মিত হয়ে গেল কনি। এক অপার রহস্যময় বিস্ময়ের ঘােরে ভাবতে লাগল কনি, কেন, কেন? এ সবের কি প্রয়ােজন ছিল? কেন এই রতিক্রিয়া তার মনের উপর থেকে তার অন্তরের আকাশ থেকে এক যুগান্ত সঞ্চিত মেঘভারকে অপসারিত করে দিল নিঃশেষে? আর তার সঙ্গে সঙ্গে কেনই বা তার অন্তরের আকাশ জুড়ে শান্তির অমৃত ঝরে পড়তে লাগল? এসব কি সত্যি? এই মুহূর্তে যা ঘটে গেল তা কি সত্যি?……………

……….কনি বলল, আমি বেশীক্ষণ থাকতে পারব না। সাড়ে সাতটায় রাতের খাওয়া হবে।
লােকটা তার হাতঘড়িটা দেখে বলল, ঠিক আছে।
এই বলে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে দেওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা লণ্ঠনটা জ্বলিল। বলল, একবার আমরা অনেকক্ষণ থাকব।

এরপর সে কনির দেহটা এক হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে আর এক হাত দিয়ে তার পােষাকটা খুলে দিল। একটা পেটিকোট ছাড়া আর কিছুই রইল না কনির সারা দেহের মধ্যে। কনির কোমর আর পাছার উপর হাত বােলাতে বােলাতে সে বলল, এই জায়গাটা ছুতে কী মজা। তারপর মাথা নত করে কনির পেট আর দুটো কার উপর তার গালটা ঘষতে লাগল। তার এই আনন্দ দেখে আশ্চর্য হয়ে গেল কনি। কনি বুঝতে পারল না, তার এই ঐ সব গােপনাঙ্গের মধ্যে লােকটা কী এমন সৌন্দর্যের সন্ধান পেয়েছে যা আনন্দের এমন এক গভীর আবেগ জাগাতে পারল তার মধ্যে। তার এই ধরনের শৃঙ্গারে কনি। মধ্যেও কামনার আবেগ জেগে ওঠে। দুর্বার কামনার এই আবেগ যেখানে মরে যায় অথবা অনুপস্থিত থাকে কোন কারণে, যেখানে দুটি দেহের নিবিড় পর্শ ও ঘৰণজনিত উত্তাপের মধ্যে লুকিয়ে থাকা এক মধুর সৌন্দর্য দুর্বোধ্য ও অননুভূত রয়ে যায়। এ সৌন্দর্য যে কোন দৃশ্যমান সৌন্দর্যের থেকে গভীর। যতই সে তার গালটা কনির পেট জানু আর জমার উপর ঘষতে লাগল ততই এক অনাস্বাদিতপূর্ব পুলকে কেঁপে কেঁপে উঠতে লাগল কনির হাটু দুটো। তার অনাবৃত নিম্নাঙ্গের মধ্যে এক অদ্ভুত কম্পন অনুভব করছিল সে। লােকটার এই ধরনের শৃঙ্গারের আতিশয্যে সত্যিই ভয় পেয়ে যাচ্ছিল কনি। এই ধরনের শৃঙ্গারের মধ্য দিয়ে তার নারীদেহের এক অতলান্তিক রহস্যকে উদ্ঘাটিত করতে চাইছে যেন সে। তবু কনি যেন কিসের জন্য প্রতীক্ষা করছিল।

অবশেষে লােকটি যখন কনির উপর উপগত হলো, একই সঙ্গে এক শ্রম ও তৃপ্তিসূচক অসঞ্চালনের মধ্য দিয়ে তার দেহের রহস্যে ডুবে গেল, কনি তখনাে কিন্তু কিসের জন্য যেন প্রতীক্ষা করছিল। তখনাে সে একটা বিচ্ছিন্নতা, একটা ব্যবধান অনুভব করছিল লােকটার সঙ্গে। লােকটা তার সারা অঙ্গে অঙ্গ দিয়ে এমনভাবে জড়িয়ে থাকলেও সে একাত্ম হয়ে উঠতে পারছে না তার সঙ্গে। হয়ত এই নিবিড় দেহসংসর্গের অন্তরালে এক মানসিক বিচ্ছিন্নতাই সে চায়। এইটাই হয়ত তার বিধিনির্দিষ্ট। কনি এ ব্যাপারে একেবারে নিষ্ক্রিয় হয়ে নিথর হয়ে শুয়ে রইল। শুয়ে শুয়ে সব কিছু অনুভব করতে লাগল কনি। লােকটার দ্রুতগতি অজসঞ্চালন, তার যৌনাবেগের গভীরতা, বীর্যস্থলন এবং তার সঙ্গে সঙ্গে এক প্রবল বিকম্পন আপন অঙ্গের মধ্যে একে একে সব অনুভব করল কনি। সহসা লােকটার অঙ্গসঞ্চালনের গতিটা মন্থর হয়ে যায়। সব পুরুষেরই তাই হয়। যে কোন রতিক্রিয়াকালে বীর্যস্থলমের সঙ্গে সঙ্গে সব পুরুষেরই যৌন তৎপরতা কেমন যেন স্তিমিত হয়ে আসে। আর তখন তাদের সেই স্তিমিতপ্রায় তৎপরতা হাস্যাস্পদ মনে হয় কনির কাছে। তখন যে নারী সেই রতিক্রিয়ায় তাদের সঙ্গিনী হয় তার কাছে তাদের পাছার ক্লান্তস্তিমিত ওঠানামা আশ্চর্য রকমের হাস্যকর বলে মনে হয়। ঠিক এই সময় যে কোন নারীর কাছে যে কোন পুরুষ হাস্যাস্পদ হয়ে ওঠে।

কনি ও কোনরূপ সক্রিয়তা দেখাল না। লােকটার যৌন তৎপরতা একেবারে শেষ হয়ে গেলেও কনি তার চরম তৃপ্তিলাভের জন্য কোনরূপ তৎপরতা দেখাল না। মাইকেলিসের সঙ্গে সঙ্গমকালে যা সাধারণতঃ সে কত। তার দুচোখ জলে ভরে এল এবং চোখ থেকে জল ঝরে পড়তে লাগল।

কনি আবার বলল, আমাকে এবার যেতে হবে ।…….

……এবার সে উঠে পড়ল কনির বুক থেকে। তার জাদুটোর মাঝখানে নরম জায়গাটায় একবার চুম্বন করল। তারপর তার পােষাকটা টেনে ঠিক করে দিল। এবার নিড়িয়ে কনির সামনেই পােষাকটা পরল।…….

…………লােকটা কনির খুব কাছে এসে তার কোমরে হাত রাখল। এমনভাবে সে কনির গা ঘেষে দাড়াল যে তার উখিত যৌনাঙ্গের জারজ উচ্ছাসটা কনি বেশ অনুভব করতে পারল।

কনিকে যে ফাকা জায়গাটায় নিয়ে গেল সেখানে কতকগুলাে শুকনাে গাছের ওড়ি পড়ে ছিল। এক জায়গায় তার থেকে দুটো ভাল ফেলে তার উপর নিজের কোট আর ওভারকোটটা পেতে তার উপর ইয়ে দিল কনিকে। কনিকে ঠিকমত শুইয়ে দিয়ে তারপর তার নিষাঙ্গটা অনাবৃত করে দিল লােকটা। তার পর নিজের সামনের দিকটা অনাবৃত করল।

মুহূর্তমধ্যে লােকটার অনাবৃত দেহের নরম মাংসটা নিজের অঙ্গের মধ্যে অনুভব করল কনি। কনি আরও অনুভব করল লােকটার শক্তোখিত যৌনাঙ্গটা তার গর্ভদেশে অনুপ্রবিষ্ট হয়ে প্রথমে, নিশ্চল হয়ে থাকল এক মূর্ত। তারপর সজোরে অঙ্গ সঞ্চালন করতে লাগল লােকটা। এক সুনিবিড় রতিতৃপ্তির পুলকিত রােমাফের অসংখ্য ঢেউ খেলে গেল কনির সারা অলে। নিক্ষিভাবে কাে, পড়ে থাকলেও তার অনানিতেই তৃপ্তিচক এক শীৎকারধ্বনি বেরিয়ে এল তার কণ্ঠ থেকে।

কিন্তু সে তৃপ্তি শুধু ক্ষণিকের জন্য। পুলকিত নােমাঞ্চের সে তরঙ্গের বেগ বড় ক্ষণভঙ্গুর। কনির মনে হলাে, শিথিল হয়ে আসছে সেই যৌনাঙ্গের সকল উচ্ছ্বসিত কাঠিন্য। শুধু কনি তৎপর হলাে না মােটেই। নিজের চরম থিলাভের জন্য একটুখানি সক্রিয় হয়ে উঠতে পারত সে। তৎপর হয়ে উঠতে পারত কিছুটা। কিন্তু কিছুই করল না কনি। শুধু এক তৎপরতাহীন নিষ্ক্রিয়তায় নীরবে শুয়ে থেকে সে তৃপ্তির জন্য প্রতীক্ষা করে যেতে লাগল। অবশেষে কনি অনুভব করল লােকটা হয়ত উঠে পড়বে এখনি; চরম তৃপ্তি পাবার আগেই হতাশ হতে হবে কনিকে আর সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তটি আসার দেরী নেই। আর এই কথাটা ভাবতে ও অনুভব করতেই তার সমগ্র অন্তরাত্মা বেদনায় হিম হয়ে উঠল। তবু সে কিছুই করল না। একটুও তৎপর হল। শুধু তার রসসিক্ত উন্মুক্ত গর্ভদ্বার তাকে চরম তৃপ্তিদানের জন্য নীরবে আহ্বান জানাতে লাগল লােকটার পুরুষাঙ্গটিকে। সে পুরুষাঙ্গটি যেন আবার নতুন উদ্যমে এক চরম রতিক্রিয়ায় মেতে উঠুক কনি এটা চায়। সহসা কনি লােকটাকে নিজের অজ্ঞাতসারেই আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ধরল এবং সঙ্গে সঙ্গে অনুভব করল লােকটার শিথিল হয়ে আসা পুরুষাঙ্গটি ধীরে ধীরে আবার শক্ত হয়ে উঠছে তার মধ্যে। আবার সেই পুরুষাঙ্গটি এক উচছুসিত ও উদ্বেলিত কাঠিন্যে এক ছায়িত গতিশীলতায় সঞ্চালিত হতে লাগল তার জঠরাভ্যন্তরে। কনির জৈবচেনার সব ফাক পূরণ করে দিয়ে, তার মনের মধ্যে মধুর সংবেদনের এক ঘূর্ণিচক্র সৃষ্টি করে, তার সমস্ত অনুভূতিকে নিঃশেষে বিগলিত করে তার গর্তের গভীর হতে গভীরতর প্রদেশে সঞ্চালিত হতে লাগল সেই জীবন্ত পুরুষাঙ্গটা। চুপচাপ শুয়ে রইল কনি। তার অস্তিত্বের গভীর হতে এক অব্যক্ত ধ্বনি গুঞ্জরিত হয়ে উঠল অস্ফুটভাবে। যেন কোন সাধারণ শব্দ নয়, ধবনি নয়, নিথর নিস্পন্দ প্রাণহীন কোন রাত্রির গভীর হতে উঠে আসা এক নবজাত প্রাণের উল্লাস। এদিকে কনির গর্তে লােকটার প্রাণবীর্য খলিত হবার সঙ্গে সঙ্গে সেও যেন তার এক অশ্রত ধ্বনি শুনতে পেল। বীর্য স্খলনের সঙ্গে সঙ্গে লােকটা শিথিল হয়ে ঢলে পড়ল কনির বুকে আর কনি যে বাহবন্ধনে লােকটাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরেছিল সে বাহুবন্ধন শিথিল হয়ে গেল। কনিও লােকটার মতই স্থির হয়ে পড়ে রইল। অবশেষে লােকটা হঠাৎ তার নয় সম্বন্ধে সচেতন হয়ে উঠল। সে উঠে পড়ল। কনি বুঝতে পারল তার বুকটা খালি আর শূন্য হয়ে পড়েছে। তার মনে হলাে লােকটা যেন তার বুক জুড়ে মুগ যুগ ধরে শুয়ে থাকে, কোনদিন কখনাে উঠে না যায়।……..

…….লােকটা কিন্তু সত্যি সত্যিই উঠে গেল। কনিকে চুম্বন করে পােষাকটা তার উপর টেনে দিল। তারপর নিজে পােষাক পরল।……….

…….কনি চুপ করে রইল। মেলস বলল, এস তাহলে।

তার সঙ্গে ঘরটার ভিতরে গিয়ে ঢুকল কনি। মেল ঘরের দরজাটা বন্ধ করে দিতেই একেবারে অন্ধকার হয়ে উঠল ঘরখানা। আগের মত লণ্ঠনের আলােটা আলল। তারপর কনিকে বলল, তােমার নিম্নাঙ্গের পােষাকগুলাে খুলেছ ?

কনি বলল, হ্যা, খুলেছি। আমিও তাহলে খুলে ফেলছি।

মেলস কম্বলটা মেঝের উপর পাল। কনি তার মাথার টুপীটা খুলে মাথার চুলটা হাত দিয়ে সরিয়ে বসল তার উপর। মেলও বসে তার জুততা ও পােষাক খুলতে লাগল।

মেলস বলল, এবার শুয়ে পড়।

সে উলঙ্গ হয়ে দাড়িয়ে রইল আর কনি নীরবে তার কথামত শুয়ে পড়ল। মেল শুয়ে পড়ে ওদের দুজনের উপর একটা কম্বল টেনে দিল। তারপর কনির জামা সরিয়ে তার বুকটা খুলে ফেলল। এক লঘু শৃঙ্গারের ভঙ্গিতে তার স্তনাগ্রভাগদুটো মুখ দিয়ে চেপে ধরল। কনির পেটের উপর মুখটা ঘষতে ঘষতে বারবার বলতে লাগল মেল, বড় সুন্দর, বড় চমৎকার।

কনিও এবার মেলএর জামাপরা গাটা জড়িয়ে ধরল। কিন্তু তার শক্ত পেশীবহুল নগ্ন গাটার কথা ভেবে ভয় পেয়ে উঠল কনি। মেলস যখন ছােট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, কী সুন্দর’ তখন কনির মধ্যে তার অন্তরাত্মার গভীরটা কেঁপে উঠল, এক অব্যক্ত প্রতিবাদে কঠিন হয়ে উঠল। লােকটা তার দেহটা যতই পাক দিয়ে জড়িয়ে ধরতে লাগল ততই কঠিন হয়ে উঠতে লাগল তার মনের ভিতরটা। শত তীক্ষ্ণতা সত্ত্বেও তার কামাবেগ তার মনের এই বিচ্ছিন্নতাকে জয় করতে পারল না। সে স্থির হয়ে জড়বস্তুর মত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ল আর মেলএর দেহটা এক তীব্র সক্রিয়তার সঞ্চালিত হতে লাগল তার উপর। এই সঞ্চালনকালে তার ধনুকের মত বাঁকা পিঠটা দেখে হাসি পাচ্ছিল কনি। আবার তার যােনিগর্ভ হতে তাড়াতাড়ি কাজ সেরে বেরিয়ে আসার জন্য তার জননাঙ্গের যে উত্তপ্ত প্রয়াস সেটাও সমান হাস্যাস্পদ। কনির সহসা মনে হলাে হাস্যাস্পদ হলেও এই উত্তেজিত দেহসঞ্চালন, এই লালারসসিক্ত পুরুষাঙ্গের ক্ষণকালীন উচ্ছ্বাসই হলাে প্রেম। ভালবাসা বলে যদি কোন জিনিস থাকে তবে তার সকল রহস্য নিহিত আছে এর মধ্যে। এই তুচ্ছ, অসহায় ক্ষণােচ্ছ্বাসসৰ্বস্ব পুরুষাঙ্গই হচ্ছে স্বর্গীয় প্রেম। অথচ আধুনিককালের বুদ্ধিজীবীরা এই রতিক্রিয়ার এই ব্যাপারটাকে ঘৃণার চোখে দেখে। তারা এই কাজটাকেই ঘৃণা করে। কোন কবি বলেছেন, ঈশ্বরের রসিকতাবােধ আছে। তিনি মানুষকে যুক্তি বা বুদ্ধি দিয়েছেন, কিন্তু তার মধ্যে এমন এক অন্ধ কামাবেগ সঞ্চারিত করেছেন যা পরিতৃপ্ত করার জন্য তাকে রতিসুখসারসম্বলিত এই বিশেষ ভঙ্গিমায় একবার করে বসতেই হবে। মানুষ এই সঙ্গমের কাজটাকে মুখে ঘৃণা করলেও এর থেকে প্রতিনিবৃত্ত করতে পারে না নিজেকে কিছুতেই। কনির দেহটা লােকটার দেহের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলেও তার মনটা দূরে সরে গিয়েছিল। সে স্থির ও অনড়ভাবে শুয়ে থাকলেও তার মন তাকে ছিনিয়ে নিয়ে লােকটাকে ঠেলে সরিয়ে দিতে চাইছিল। লােকটার কুৎসিত দেহের স্পর্শ আর তারুবাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হতে চাইছিল সে। যেন দেহগত পূর্ণতা লাভ করতে পারেনি লােকটা। অন্য সব লােকের মতই সে কোন নারীদেহের সঙ্গে সঙ্গম ছাড়া থাকতে পারে না। আর অপূর্ব বলেই কুৎসিত তার দেহটা।

কাজটা শেষ হয়ে যাবার সঙ্গে সঙ্গে সে স্থির হয়ে শুয়ে রইল কনির বুকের উপর। নীরব নিশ্চল হয়ে রইল একেবারে। কনির মনে হলাে লােকটা তার গায়ের উপর শুয়ে থাকলেও আসলে সে অনেক দূরে চলে গেছে।……….

………মেলস আবার দুহাত দিয়ে কনিকে জড়িয়ে ধরে তার বুকের উপর টেনে নিল তাকে। তার নিবিড় আলিঙ্গনের মধ্যে খুব ঘােট দেখাচ্ছিল কনিকে। সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত প্রতিরােধবাসনাটা দূর হয়ে গেল অন্তর থেকে। আর তার সমগ্র সত্তাটা গলে গিয়ে যেন সহ শন্তির সমুদ্র হয়ে উঠল। মেলএর গুপ্ত আলিঙ্গনের মধ্যে কনির দেহটা যখন গলে নরম হয়ে গেল আশ্চর্যভাবে তখন | তার খুব ভাল লাগল। সঙ্গে সঙ্গে তার আলিঙ্গনাবদ্ধ দেহের মেদুর মর্মভেদী কমনীয়তার প্রতি শান্ত অথচ নিবিড় এক কামনার অসহনীয় উত্তাপে তার দেহের প্রতিটি শিরার রক্ত টগবগ করে ফুটতে লাগল যেন। সেই অদম্য অথচ শান্ত কামনার এক মেদুর তাড়নায় মেলস তার হাতটা কনির পাছায় বােলাতে লাগল। ক্রমে হাতটা তার তলপেটের উপর দিয়ে যােনিদেশ পর্যন্ত চলে গেল। কনির মনে হলাে লােকটা যেন কামনার এক জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হয়ে উঠেছে সহা। লন্ত হলেও সে কামনা বড় শিশী, তার ছোঁয়া পাবার সঙ্গে সঙ্গে সে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারল না নিজের মধ্যে। নিঃশেষে গলে গেল তার সমগ্র নারীসত্তা।

এদিকে আবার জেগে উঠেছে লােকটার রতিক্লান্ত ও অবনতমুখী পুরুষাঙ্গটা। তার কঠিন আঘাতের আশ্চর্য শক্তি দেখে মৃত্যুভয়ে ভীত কোন প্রাণীর মত | কেঁপে উঠতে শুরু করেছে কনির সর্বাঙ্গ। নিজেকে নিঃশেষে উন্মুক্ত ও অনাবৃত করে দিল সে লােকটার কাছে। তবে মনে মনে বলল তার এই অকুণ্ঠ উন্মােচনে ও নিঃশেষিত সমর্পণে যেন খুব বেশী নির্মম না হয় লােকটা।

কিন্তু তার পুরুষাঙ্গটা সত্যিই বড় ভয়ঙ্কর। বড় ভয়ঙ্করভাবে নিষ্ঠুর। তার মধ্যে তার অপ্রতিরােধ্য অনুপ্রবেশের দুর্দমনীয় দৃঢ়তায় কনির মনে হলাে যেন একটা তীক্ষ তরবারি ভেদ করল তার দেহটাকে। কিন্তু পরক্ষণেই বড় শান্তি পেল কনি। ……..

…….বিশ্বকে সেই আদিম প্রশান্তির এক প্রাণবন্যা ঢেউ খেলে বেড়াতে লাগল তার বুকের মধ্যে। সে বন্যার উত্তাল ব্যাপ্তি আর সচঞ্চল প্রসারতায় নিজের সব কিছু ভাসিয়ে দিল কনি নিঃশেষে। কোন কিছুই ধরে রাখল না নিজের মধ্যে।

কনির মনে হলাে তার গােটা সত্তাটা যেন সহসা একসমূদ্র হয়ে উঠেছে। এক অন্ধকার সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠেছে তার বুকের মাঝে। শুধু অসংখ্য উত্তাল তরঙ্গমালার সর্পিল খেলা ছাড়া আর কিছু নেই তার মধ্যে। তার মনে হলাে, তার সেই অতল অন্ধকার সমুদ্রের তল খোজার জন্য ক্রমশই সে তার মধ্যে নেমে চলেছে। সে যতই নামছে ততই সে সমূদ্রটা ফাক হয়ে যাচ্ছে, ততই উন্মােচিত হয়ে যাচ্ছে তার অতলান্তিক গভীরতা। তারপর অবশেষে এক প্রবল আলােড়ন আর কম্পনের মধ্য দিয়ে সে যখন সত্যি সত্যিই তার তল খুজে পেল, সে সমুদ্রের গভীরতম প্রদেশে শায়িত সত্তার অদৃশ্য প্রান্তভূমিটিকে স্পর্শ করল তখন সে স্পর্শের বিরল অনুভূতির অতলে কনি নিজেও তলিয়ে গেল। সে আর নিজের মধ্যে নিজে রইল না। এ অভিজ্ঞতা অভূতপূর্ব, এ পুলক অনভূতপূর্ব। এই অভূতপূর্ব অনাস্বাদিতপূর্ব অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে সে যেন নবজী লাভ করল। সত্যিকারের নারী হয়ে উঠল।

কী সুন্দর। কী সুন্দর। যতই স্তিমিত হয়ে আসতে লাগল রতিক্রিয়ার সমস্ত তৎপরতা, যতই কমে আসতে লাগল আবেগের প্রচণ্ডতা ততই আরও ভাল লাগল তার। কনি তখন তার দেহের সমস্ত নিবিড়তা দিয়ে মনের সমস্ত ভালবাসা দিয়ে সেই অচেনা অজানা লােকটার দেহটাকে জড়িয়ে ধরল, এক প্রচণ্ড প্রমততার পর তার যােনিগর্ত থেকে বেরিয়ে আসা শিথিল হয়ে যাওয়া তার পুরুষাঙ্গটাকেও জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছা হলাে কনির। কত সুন্দর এই সুন্দু চেতনাসম্পন্ন নরম মাংসপিণ্ডটি কনির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটা তীব্র শূন্যতা ক্ষতির এক বেদনা অনুভব করল সে। সে তার প্রাণের সব ভালবাসা উজাড় করে ঢেলে দিল যেন এই গােপন পুরুষাঙ্গটির উপর।

এক সুকোমল কুসুমকোরকের মত এই পুরুষাঙ্গটির গােপন সৌন্দর্যের প্রতি আজ প্রথম সচেতন হয়ে উঠল কনি। এক অব্যক্ত বিস্ময়ের অস্ফুট একটা বনি স্বতঃস্ফুর্তভাবে বেরিয়ে এল তার নারীমনের গভীর থেকে। বহু রমণক্ষম এই বস্তুটি কত প্রচণ্ড শক্তির অধিকারী হয়েও কত দুর্বল, কত শিথিল, কত সংকুচিত হয়েও কত প্রসারণপটু। | অনুচ্চ স্বরে বলে উঠল কনি, কী সুন্দর, সত্যিই কি সুন্দর।

কিন্তু মেলস কিছুই বলল না। শুধু তার বুকের উপর নীরবে শুয়ে থেকে তার মুখটাকে চুম্বন করল। সদ্যজাত এক প্রাণীর মত তার কণ্ঠ থেকে বিস্ময়বিমিলিত আনন্দের এক অস্ফুট ধ্বনি বেরিয়ে এল।………

……….তার সর্ব অঙ্গের প্রতিটি জীবকোষে অনুভব করেছে। এখনাে তার গায়ে জড়িয়ে আছে তার হাতদুটো। এখনাে ভয় করছে। ভয় করছে তার সেই ছােট্ট পুরুষাঙ্গটাকে যা সহসা এক প্রচণ্ড পৌরুষে ফেটে পড়ে আঘাতে আঘাতে এক তীব্র আলােড়ন তােলে তার দেহাভ্যন্তরে গিয়ে।

কনি এবার তার হাতদুটো লোেকটার পিঠ থেকে নামিয়ে তার পুরুষাঙ্গটাকে স্পর্শ করল। এই উত্তপ্ত ও প্রাণবন্ত বস্তুটাকে স্পর্শ করার মধ্যে যে এমন অনির্বচনীয় সৌন্দর্য ও আনন্দ আছে কনি তা আগে বুঝতে পারেনি। অথচ আগে এই বস্তুটাকেই কত ঘৃণা করেছে সে। জীবনের মধ্যে এ যেন আর এক জীবন। কী মনােম আর প্রাণবন্ত সৌন্দর্য। দুটো উরুর মাঝখানে ও পুরুষাঙ্গটার দুপাশে গােলাকার অণ্ডকোষদুটোকেও হাতে নিয়ে দেখতে লাগল কনি। কত নরম অথচ ভারী। সকল সৌন্দর্যের উৎসম্বরূপ সকল প্রাণের অপার রহস্য যেন ভরে আছে ছছাট্ট এই গােলাকার বহুদুটোর মধ্যে।

সহসা ভয়ে আবার দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরল লােকটাকে। লােকটা কোন কথা বলছে না, শুধু তাকে নিবিড় হতে নিবিড়তরভাবে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে | ধরছে। তার এই নিবিড়তা দেখে ভয় পেয়ে গেল কনি আবার। কনিও তাকে আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে ধরল। সহসা অনুভব করল কনি লােকটার স্থির হয়ে থাকা দেহের আপাততব্ধতার অন্তরালে তার পুরুষাঙ্গটা আবার জেগে উঠেছে। সঙ্গে সঙ্গে তার সমস্ত অন্তরটা ভয়ে গলে গেল।

ঠিক এই সময় কনির সমস্ত সত্তাটা এমন নরম ও অশক্ত হয়ে পড়ল যে কোন চেতনা তাকে ধারণ করতে পারল না। তার মধ্যে যেন কোন চেতনা নেই। তার সমগ্র অন্তরাত্মা চেতনাহীনভাবেই কাপতে লাগল। কিন্তু সে মােটই বুঝতে পারল না কেন সে কাঁপছে। কিন্তু সে যাই হােক, তার বড় ভাল লাগছিল। কেবলি মনে হচ্ছিল এ কম্পন পুলকের রােমাঞ্চ। এ কম্পন এ রােমাঞ্চ কতক্ষণ স্থায়ী হয়েছিল তা সে বলতে পারবে না। শুধু জানল কিছুক্ষণ পরেই ও স্থির হয়ে গেল। তার সঙ্গে সঙ্গে স্তব্ধ হয়ে গেল লােকটা। অপরিমেয়ভাবে গভীর এক নীরবতায় ও স্তব্ধতায় বিলীন হয়ে গেল ওরা দুজনেই।

আমার স্ত্রীর মত এক ধরনের মেয়ে আছে যারা যৌন ব্যাপারে সমস্ত কর্মতৎপরতা নিজেরাই দেখাতে চায় ; সব তৃপ্তিটুকু নিজেরাই পেতে চায়। আর এক ধরনের মেয়ে আছে যারা যৌন ক্রিয়াকালে মরার মত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে থাকে। আর এক ধরনের শয়তান প্রকৃতির রমণী আছে যারা রমণকালে পুরুষদের রমণক্রিয়া শুরু করার কিছু পরেই তার বিপরীত বুতিতে পুরুষদের উপরে চেপে পুরুষদের উপর অঙ্গ সঞ্চালন করতে থাকে। সমকামী পুরুষদের মতই ওরা ভয়ঙ্কর।

আপন চিন্তার অর্থহীন শূন্যতার অতলে হারিয়ে গেছে সে। তার মধ্যে সে যেন আর নেই। সহসা একটা দমকা হাওয়ায় মাথাটা ঘুরে গেল মেলর্সের। একটা পায়ে জুতাে পরা অবস্থাতেই সে কনিকে বুকের মাঝে জড়িয়ে ধরল। তার জামার তলায় হাতটা ঢুকিয়ে দিয়ে তার তলপেটের তলায় নরম উত্তপ্ত জায়গাটা বারবার পর্ণ করতে লাগল। আদরের ভঙ্গিমায় বলতে লাগল, আমার সােনা মেয়ে, আমি তােমায় ভালবাসি।

কনি তার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, থাম, আবেগে বিচলিত হয়ে । আগে বল সত্যিই তুমি আমাকে চাও কি না, সত্যিই সঙ্গম চাও কি না।………

……..মেলস তার পুরুষাঙ্গটাকে লক্ষ্য করে বলতে লাগল, কী ছােকরা, তােমার | খবর কি জন টমাস? তুমি কিন্তু আমার থেকে সাহসী, স্বল্পভাষী। তােমাকে লেডি জেন চাইছে, সে তােমাকে ভালবাসে। তােমার মাথাটাকে | সে আদর করে। কি চাও তুমি ? বলে দাও লেডি জেনকে, বলে দাও তুমি তার যৌনাঙ্গটি চাও।….

……কনি বলল, ওকে তুমি বকো না। | এই বলে বিছানার উপর হাঁটু গেরে বসে মেলর্সের সামনের দিক থেকে তার পাছাটাকে দুহাত দিয়ে জড়িয়ে ধরল। এমনভাবে যাতে তার উখিত লিঙ্গের মমধুর কঠিনতাটা তার বুকের উপর ঝুলন্ত স্তনদুটোকে ঘা দিতে পারে, যাতে তার সেই লিজাগ্রভাগনিঃসৃত লালারসে তার স্তনযুগল সিক্ত হতে পারে।

মেলর্স ব্যস্ত হয়ে উঠল। বলল, শুয়ে পড়, শুয়ে পড়।

ওদের সঙ্গমের কাজ শেষ হয়ে গেলে ওদের দেহদুটো যখন স্থির হয়ে গেল একেবারে তখন কনি মেলসের নিন্মাঙ্গে হাত দিয়ে তার পুরুষাঙ্গটির আর এক রহস্য উদঘাটিত করতে লাগল। | কনি বলল, দেখ দেখ, এখন কত ছােট, কত নরম, যেন সকল জীবনের সকল প্রাণের এক স্ফুটনােম্মুখ ফুল । | মেলর্সের পুরুষাঙ্গটি নিজের হাতের মধ্যে তুলে নিয়ে আবার বলতে লাগল, দেখ দেখ, কত সুন্দর। ওকে যেন তুমি অপমান করাে না। ও শুধু তােমার নয়, ও আমারও। এখন ও কত সুন্দর কত নির্দোষ দেখ! যেন কিছুই জানে না।

মেলর্স হাসল। হেসে বলল, যে বস্তু আমাদের দ্বৈত প্রেমের দুস্ত পশুটাকে ঠিকমত শাসনের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে পারে সে বস্তুকে ধন্যবাদ, তা যেন ঈশ্বরের আশীর্বাদে ধন্য হয়।

কনি বলল, নিশ্চয়। ও যখন এত ছােট আর নরম তখনাে আমি বেশ অনুভব করছি আমার সমগ্র অন্তরাত্মাটা ওর কাছে বাঁধা পড়ে আছে। কত সুন্দর। তােমার এ জায়গার চুলগুলাে আলাদা।

মেলস বলল, ওটা হচ্ছে জন টমাসের চুল, আমার নয়।

কনি বলল, হ্যা হ্যা, সেন্ট টমাস, সেন্ট টমাস। এই বলে মেলর্সের পুরুষাঙ্গটাকে আদরের সঙ্গে চুম্বন করল। ছােট নরম লিঙ্গটা তখন আবার ধীরে ধীরে জেগে উঠতে শুরু করেছে। | মেল পা ছড়িয়ে শুয়ে বলল, ও সত্যিই আমার থেকে আলাদা। আমার মনের সঙ্গে ওর কোন যােগ নেই। এক এক সময় আমি খুঁজে পাই না ওকে নিয়ে আমি কি করব। ওর যেন নিজস্ব এক ইচ্ছাশক্তি আছে। ওকে খুশি করা সত্যিই মুস্কিল। তবু ওকে আমি মারতেও কখনাে পারব না।

কনি বলল, পুরুষরা ওকে যে ভয় করে তাতে কোন সন্দেহ নেই। ও সত্যিই ভয়ঙ্কর।

মেলর্সের দেহটা আবার কেঁপে উঠল। সে কাপন জড়িয়ে পড়ল সব শিরা উপশিরায়। তার জৈব চেতনার সমস্ত প্রবাহ এক দুরন্ত আবেগে ছুটে গিয়ে একটি বিশেষ জায়গায় কেন্দ্রীভূত হতে লাগল।

মেলস দেখল তার পুরুষাঙ্গটি আবার উত্থিত ও শক্ত হয়ে দাড়িয়েছে। এখন তার ইচ্ছা না থাকলেও তার এই উদ্ধত উখানের কাছে সে অসহায়। তাকে নিয়ন্ত্রিত করার কোন ক্ষমতাই তার নেই।

তার সেই উদ্ধত মাথাটা দেখে সত্যিই বেশ কিছুটা ভয় পেয়ে গেল কনি। মেল বলল, এই নাও, ওকে গ্রহণ করাে। ও তােমার।

কনির দেহটা একবার কেঁপে উঠল। এক কম্পিত বিহ্বলতায় তলিয়ে যেতে লাগল কনি। তবু সেই উখিত উদ্ধত পুরুষাঙ্গটি তার সমস্ত মেদুর কঠিন নিয়ে তার যােনিদেশের গভীরে যখন প্রবেশ করল তখন এক অব্যক্ত অনির্বচনীয় পুলকের এক তীক্ষ্ণ প্রবাহ ঢেউ খেলে বেড়াতে লাগল তার দেহ-মনের উপরে। সে প্রবাহের মধ্যে যে এক প্রাণবন্ত উত্তাপ প্রচ্ছন্ন ছিল তার আঘাতে কনির সমস্ত সত্তাটা গলে গেল মুহূর্তে। কনির মনে হলাে সে যেন ভেসে যাচ্ছে। অন্ধ অজানা এক আনন্দের মহাসমুদ্রের প্রান্তসীমার দিকেও যেন দুর্বার বেগে এগিয়ে চলেছে।……..

……….কনি তখন তার গালটা আলতােভাবে মেলর্সের পেটের উপর ঘষছিল। তার লিঙ্গসংলগ্ন অণ্ডকোষ দুটিকে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে লাগল। তার | লিঙ্গের কিছুটা উত্তেজনা সে প্রত্যক্ষ করলেও লিঙ্গটা উত্থিত বা শক্ত হলাে না।

অবশেষে এক চড়াইএর কাছে গিয়ে কনিকে ধরে ফেলল মেলস। সঙ্গে সঙ্গে হাতদুটোকে বাড়িয়ে কনির কোমরটা জড়িয়ে ধরে তাকে সজোরে টেনে নিল নিজের বুকের উপর। তার নরম সুন্দর স্তনদুটো দুহাতে নিয়ে চাপ দিতে লাগল। কনির নারীদেহের নাম ভিজে মাংস শর্শ করার সঙ্গে সঙ্গে সেটা আগুনের মত গলিয়ে দিল মেলকে। সে সঙ্গে সঙ্গে কনিকে পথের উপর ফেলে দিয়ে পশুর মত তার উপর উপগত হয়ে সঙ্গম করল কয়েক মুহূর্তের জন্য।…..

…………হঠাৎ কনি কম্বলটা সরিয়ে দিয়ে মাটির উনােনটার কাছে সরে গেল। তখনাে ওদের দেহ ছিল সম্পূর্ণ উলঙ্গ। কনির নগ্ন দেহের বিভিন্ন অবয়বসংস্থানের সন্ধিস্থানগুলাে দেখতে লাগল মেল। সে কনির পাছাটায় হাত বোলাতে শুরু করল। ধীরে ধীরে সে তার হাতটা কনির নরম গােপনাঙ্গের মধ্যে সঞ্চালিত করে দিল।

কনির পাছাটায় হাত বােলাতে বােলাতে বলল, অন্য সব মেয়ের থেকে তােমার পাছাটা বড় নরম বড় সুন্দর। কমে পাছার গােলাকার তলদেশ দুটোয় হাতটা বােলাবার সময় কিসের যেন এক আগ্নেয় আকর্ষণ তার হাতটাকে টেনে নিল। মেল তখন তার সেই হাতের আঙ্গুলের অগ্রভাগটা কনির যােনিদেশের মধ্যবর্তী অংশটায় অনুপ্রবিষ্ট করে দিল। বলল, আমি এইরকম নারীই চাই। তুমিই হচ্ছ যথার্থ নারী। যে সব নারী দুদণ্ড স্থির হয়ে বসে পুরুষকে শান্তি দিতে পারে না নেই সব নারীকে আমি দেখতে পারি না।

কনি আশ্চর্য হয়ে হেসে উঠল।। মেলস বলে চলল, তুমি হচ্ছ সত্যিকারের নারী। তােমার যােনিদেশ সত্যিকারের নারীর যােনিদেশের মত সুন্দর। নিজের রুপে নিজেই গর্বিত সে। ও কখনাে লজ্জা পায় না; সমস্ত লজ্জাভয় হতে মুক্ত।

মেল তার হাতটা কনির গােপনাঙ্গের উপর আরও জোরে চাপ দিতে লাগল। বলল, সত্যিই এটা আমার বড় ভাল লাগে। তােমার এই সুন্দর যােনিদেশের উপর হাত বােলাতে বােলাতে আমার মনে হয়, আমি আবার বাঁচব। নতুনভাবে জীবন শুরু করব, এই যন্ত্রসভ্যতার যতই বিস্তার হােক কেন।

কনি এবার হঠাৎ ঘুরে মেলর্সের কোলের উপর উঠে পড়ল। তাকে জড়িয়ে ধরে বলল, আমাকে চুম্বন করাে।

কিন্তু ভুলাে না আমায়’ ফুল নিয়ে মেলর্স কনির যােনিদেশ আর তার চারপাশের চুলের উপর রেখে দিল। বলল, এই সব ফুলের এটাই হচ্ছে আসল জায়গা।

কনি তার যােনিদেশে বাদামী চুলের উপর দুধের মত সাদা ফুলগুলাের পানে একবার তাকাল। বলল, ভাল দেখতে লাগছে না ?

মেলর্স উত্তর করল, জীবনের মতই সুন্দর।……….

……….মেলর্স কনির যােনিদেশের দিকে লক্ষ্য করে বলে উঠল, একবার জেনে দিকে তাকাও। ফুলে ফুলে ঢাকা। বল জেনি, আগামী বছর কে তােমার উপর ফুলের অঞ্জলি দেবে, আমি না অন্য কেউ? ‘বিদায় হে রুবেল ফুল।” এ সেই যুদ্ধের দিনের প্রথম দিকের কথা। এই গানটা আমি ঘৃণা করি। এই বলে বসে মােজা পরতে লাগল মেলস। কনি তখন পির হয়ে দাড়িয়ে ছিল। বসে বসে কনির তলপেটের তলায় ঢালু জায়গাটায় হাত দিয়ে বলল, কী সুন্দর তুমি লেডি জেন, হয়ত ভেনিসে তুমি এমন আর একজনকে পাবে যে তােমার চুলের উপর দেবে যুই ফুলের অঞ্জলি। আর তােমার নাভিকুণ্ডলিতে দেবে ডালিম ফুল। হায় বেচারী লেডি জেন।…..

……..মেলস মাথাটা নিচু করে তাদের দেহাতী ভাষায় বলতে লাগল, হয়ত আমি তােমাকে আঘাত করছি। আঘাত করছি তােমাকে। আমি আর একথা বলব না। কিন্তু তুমি ভুলে যেওনা, তুমি এই সঙ্গে তােমার ইংল্যাণ্ডের বাড়িতে যাচ্ছ। কত সুন্দর সে জায়গা। যাই হােক, হে লেডি জেন, হে স্যার জন, তােমাদের জাগার সময় হয়ে গেছে। কিন্তু তুমি ফুলের গয়না পরে আছ। হে যােনিদেশসংলগ্ন কেশগুচ্ছ, আমি তােমাদের পুপালঙ্কারের দুঃসহ পীড়ন থেকে মুক্ত করব ।

এই কথা বলে সে সেই সিক্ত কেশগুচ্ছকে চুম্বন করল। তারপর তার স্তনযুগল, নাভিদেশ ও আবার যােনিদেশের উপরিস্থিত কেশদামকে চুম্বন করল।…….

………তারপর কনির যোনিদেশের উপর থেকে সব ফুলপাতা সরিয়ে পরিষ্কার করে দিয়ে বলল, এবার তুমি মুক্ত হলে লেডি জেন। এবার তুমি পােষাক পররা। এবার লেডি জেন তার বাড়ি ফিরে বিলম্বিত ভােজসভায় যােগদান করবে।

মেল কেঁপে উঠল। কনির কথাটাই সত্যি। কনি ঠিকই বলেছে, ওর প্রতি একটু মমতা দেখাও, এই মমতাই ওর ভবিষ্যৎকে গড়ে তুলবে।-মুহর্ত মধ্যে কনির প্রতি এক গভীর প্রেমাসক্তি অনুভব করল মেলস। সঙ্গে সঙ্গে কনির পেটটাকে চুম্বন করল। তার স্তনযুগল থেকে শুরু করে তলপেট পর্যন্ত সব চুম্বন করে গেল।

কনির মুখ থেকে অস্ফুট স্বরে বেরিয়ে এল, আমাকে ভালবাস, আমাকে ভালবাস তুমি। মেল অনুভব করল তার জঠরাভ্যন্তর থেকে একটা মমতা আর আসক্তির হােত বেরিয়ে এসে কনির জঠরাভ্যন্তরে অনুপ্রবিষ্ট হচ্ছে।

কনির সঙ্গে সঙ্গমকালে মেলস বুঝতে পারল এ সঙ্গমের প্রয়ােজন ছিল।………

Leave a Reply