…..বৃষ্টি ভাবছে তার কপালটাই খারাপ । দাদা নানা বয়সী লোকটা তার পাশে এসে প্রথম কয়েক মিনিট একটুও নড়াচড়া করে নি, কিন্তু এখন বার বার দু’হাত সামনের সিটের উপর রাখছে আর নামিয়ে আনছে । নামিয়ে আনার সময় বুড়োর বাম কঁনুই বৃষ্টির হাত-তলপেট স্পর্শ করছে ।…..
…..পাশে বসে থাকা সত্তোর্ধ বুড়ো লোকটার দিকে ঝট করে তাকালো বৃষ্টি । “আর কোন্ কোন্ জায়গায় হাত দিতে হাত দিতে ইচ্ছা করতাছে, দাদাজান ?”
কথাটা শুনে ভিরমি খেলো বুড়ো । “এইখানে হাত দিতে ইচ্ছা করতাছে না?” নিজের বুকের দিকে ইঙ্গিত করলো সে । মুহূর্তে কাচুমাচু হয়ে দু’হাত গুটিয়ে নিলো বুড়ো লোকটা ।…..
…..তার পাশে মেয়েটা গা ঘেষে বসতেই অনেক দিন পর সুবর্ণার চুলের গন্ধ টের পেলো সে । প্রথম দিনেই এই গন্ধটা তার খুব ভালো লেগেছিল যেদিন এই মেয়েটার কাছে গিয়েছিলো সেদিনের কথা তার স্পষ্ট মনে আছে । সুখকর কোনো স্মৃতি নয় সেটা তারপরও ঘটনাটা ভালো লাগে। প্যান্ট খোলার আগেই তার পতন হয়েছিল। লজ্জায় একেবারে কুকড়ে গেছিলো সে। কিন্তু সুবর্ণা পরম মমতায় তাকে আদর করতে করতে বলেছিলো এটা কোনো ব্যাপার না। প্রথম প্রথম নাকি এরকম হয় । তারপরও সালেক নিজেকে ফিরে পায় নি । মেয়েটার হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত চলে এসেছিলো। বলেছিলো পরে আবার আসবে ।….