…..সরি ম্যাম, প্লিজ আসুন। সিকিউরিটি চেকিং-এর ঘরে ডাক পড়ল রূপসার। লেডি
সিকিউরিটি গার্ড রূপসার গােটা শরীরে মেটাল ডিটেকটর ঠেকিয়ে যখন রূপসা নিরাপদ কি না বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন ওর তখন আচমকাই মনে পড়ছিল দীপুদার কথা। দীপুদা যখন ওর পুরুষযন্ত্রটি রূপসার গােটা শরীরে এইভাবে ছোঁয়াত, রূপসার মনে হত দীপুদা ওইভাবে বুলিয়ে যেন কিছু খুঁজে বেড়াচ্ছে। হাসি পেল ওর।…..
…..শরীর থেকে ওর সালােয়ার, কামিজ, ব্রা, প্যান্টি সব একে একে ছেড়ে ফেলে টানটান হয়ে দাঁড়াল রূপসা। এই স্নানাগারের আয়তন যথেষ্টই বড়। এবং তিন দেওয়ালে আয়না থাকার ফলে সব ভঙ্গিতেই নিজেকে দেখা সম্ভব। নিজের লম্বা চুল খুলে দিয়ে নিজেকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দেখতে থাকল রূপসা। ও কোনওকালেই ফর্সা নয়, বরং উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা। কিন্তু এমন মসৃণ আর উজ্জ্বল ত্বক যে একটা পিপড়ে উঠতে গেলেও পিছলে পড়ে যায়। রূপসার ঘন কালাে ঢেউ খেলানাে চুল নিতম্ব পর্যন্ত বিস্তৃত। ছােট কপাল। ধনুকের মতাে ভ্র-যুগল। আর দীঘল গভীর দুটি চোখ। রূপসা নিজেও জানে ওর চোখের মধ্যে এমন এক আবেদন, এমন এক আকর্ষণ এবং মায়া রয়েছে। যে একবার তাকাবে তার পক্ষে পরমুহূর্তে চোখ সরিয়ে নেওয়া কঠিন। তীক্ষ্ণ নাসা আর ঈষৎ পুরু ঠোট। ঠোটদুটিও যে কোনও পুরুষের কাছে একান্ত কাম্য। রূপসার গলায় তিনটি স্পষ্ট ভাঁজ। মাটির প্রতিমার যেমন থাকে। কাঁধ সামান্য ঢালু। স্তনদুটি যেন সৃষ্টিকর্তা কামনাজর্জর অবস্থায় রচনা করেছিলেন। দৃঢ়, সুডৌল, বর্তুলাকার এবং বৃন্তদুটি জাগ্রত ও তার চারিপাশে মসৃণ খয়েরি বলয়। খাজুরাহাে মন্দিরের গায়ে প্রস্তরনির্মিত নারীমূর্তির স্তনের মতােই নিটোল এবং উন্নত। রূপসার নাভি গভীর, এতটাই গভীর যে কোনও পুরুষের নাক অর্ধেকের বেশি ডুবে যায় ওই গভীরতায়। কোমরের দুইপাশে সামান্য মেদের আভাস। অতিরিক্ত নয়, আবার একেবারে আধুনিকা তন্বী বা সাইজ জিরাে বলতে যেমনটা বােঝায় তাও নয়। পিঠ থেকে কোমর পর্যন্ত ইংরেজি ভি-এর মতাে আকৃতি তারপর আবার তরমুজের মতাে স্ফীত নিতম্ব থেকে নিটোল পা দু’খানি নিম্নমুখী বল্লমের ফলার আকৃতি নিয়ে মাটিতে ছুঁয়েছে। রূপসার হাত দুটি দীর্ঘ এবং এটাই নিটোল যে অস্থির অস্তিত্ব বােঝা যায় না। মণিবন্ধে তিনটি করে ভাঁজ, করতল সর্বদা ঈষদুষ্ণ, আঙুলগুলি বাস্তবিকই চাপার কলির মতাে এবং ততােধিক কোমল। হাত এবং পায়ের প্রতিটি নখ নিয়মিত পরিচর্যায় উজ্জ্বল ও মসৃণ। বাহুমূল থেকে শুরু করে। গােটা শরীর নির্লোম। শুধুমাত্র যৌনকেশটুকু নিপুণ ও আকর্ষণীয়ভাবে কামানাে।….
…..প্যাকেটটা হাতে নিয়ে কেমন গা সিরসির করে উঠল রূপসার। ব্রেসিয়ার! হ্যা, ব্রেসিয়ার জিনিসটা খুব ভালাে করেই জানে রূপসা। এটাও বােঝে যে ফ্রকের আড়ালে থাকা ওর স্তনদুটি বন্ধুদের তুলনায় অনেক বেশি পরিণত, পুরুষ্ট। বন্ধুদের আলােচনায় এর মধ্যেই ওর জানা হয়ে গিয়েছে ব্রেসিয়ার পরার উপকারিতা। কিন্তু ক্লাসে কেউই এখনও ওটা পরা শুরু করেনি। স্কুলে ক্লাস এইট পর্যন্ত সাদা জামা আর সবুজ ফ্রক। ক্লাস নাইন থেকে শাড়ি। তখন ব্লাউজের ভেতরে সকলে ওই পরা শুরু করে। তবে ক্লাস নাইন পর্যন্ত আর পড়ার ইচ্ছে নেই রূপসার। ভালাে লাগে না।…..
…..সাপের কথা শুনতেই ‘ও মা’ বলে দীপুর বুকের কাছটা খামচে ধরল রূপসা। ওর গরম নিঃশ্বাস পড়ল দীপুর বুকে। খুব শীত করে উঠল দীপুর। আবার তাকাল রূপসার দিকে। ওর ফুলছাপ ফ্রকটা শরীরে লেপ্টে রয়েছে। কিশােরী বুকের স্তনবৃন্ত দুটি ফ্রক, টেপজামার আবরণ ভেদ করে স্পষ্টভাবে। জেগে উঠেছে জলস্পর্শে, নাভির গভীরতাও সুস্পষ্ট। দীপুর কেমন যেন করতে থাকল। রূপসাও অস্থির হয়ে যাচ্ছিল। এলােমেলাে হয়ে যাচ্ছিল সব। দীপুদার সাদা পায়জামা লেপটে গিয়ে ফর্সা সুগঠিত রােমশ পা দুটো কী সুন্দর লাগছে!
দীপু কী করবে বুঝতে না পেরে রূপসার ভিজে কাধে একবার হাত রাখল। রূপসাও যেন শুধু এই ইঙ্গিতটুকুরই অপেক্ষায় ছিল। দুই হাতে দীপুর মাথাটাকে ধরে নিজের মুখের সামনে নিয়ে এল। প্রবল বৃষ্টিতে বটগাছের দুটি ঝুরির মতােই একে অপরকে জড়িয়ে থাকল দুজনে। জীবনের প্রথম অনভ্যস্ত চুম্বনে মিশল বৃষ্টির ফেঁটা। দুটি হৃদয়ের শব্দ মেঘের ডাককেও ম্লান করে দিচ্ছিল। রূপসা আলিঙ্গনরত অবস্থাতেই বুঝতে পারল পায়জামার আড়ালে দীপুদা প্রবলভাবে জেগে উঠেছে। দীপু যেন উন্মত্ত হয়ে উঠল। রূপসার মুখে, ঘাড়ে এলােপাথাড়ি চুমু খেতে খেতে ওকে আরও সজোরে নিজের মধ্যে চেপে ধরছিল। মাতাল হয়ে উঠছিল রূপসাও। আহ! এত সুখ…এত সুখ জীবনে পায়নি কখনও… দীপুর অস্থির হাতদুটো ফ্রকের ওপর দিয়ে আছাড়িপিছাড়ি খাচ্ছিল আর শিউরে শিউরে উঠছিল রূপসা। হঠাৎই বুঝতে পারল দীপু ওর ফ্রকের ভেতরে হাত ঢােকানাের চেষ্টা করছে। গায়ের জোরে হাত ঢােকাতে গিয়ে ফ্রকের কিছুটা ফেঁসে গেল। সঙ্গে সঙ্গে দই-পা সরে এল রূপসা। কেন সরে এলো নিজেও জানে না। রূপসা সরে যেতে দীপুও থতমত খেয়ে গেল। ফ্যালফ্যাল করে গকিয়ে রইল রূপসার দিকে। তারপর বাকি বৃষ্টির সময়টুকু দুজনেই একে অপরের থেকে খানিক দূরত্বে দাঁড়িয়ে রইল।
রূপসার আবার তীব্র ইচ্ছে হচ্ছিল দীপদার শরীরের মধ্যে নিজেকে পিষে দিতে কিন্তু ভেতর থেকে কে যেন বারবার ওকে আটকে দিচ্ছিল, কিছুতেই আর পারল না কাছে যেতে। বৃষ্টির তােড় একটু কমতে দীপুকে রূপসা বলল, তুমি চলে যাও দীপুদা, বাকিটুকু আমি চলে যেতে পারব।….
…. রূপসা অবাক হয়ে তাকিয়েছিল পঞ্চাশাের্ধ্বা মহিলার দিকে। বয়সটা মােটের ওপর আন্দাজ করা গেলেও রূপ যেন চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। মিস রেহানার মতাে কি তার থেকেও অধিক সুন্দর বললে অত্যুক্তি হবে না। চোখে যেন ধাঁধা লেগে যায়। কাজল পরা দীর্ঘ চোখ, বেণীতে ফুলের মালা জড়ানাে, নানারকমের সােনার C গয়না যেগুলাের নামই জানা নেই রূপসার।) একটা ঘনসবুজ রঙের তসরের শাড়ি এবং মসলিন কাঁচুলি পরে রয়েছেন তিনি। অনাবৃত পেটে একটিমাত্র ভঁজ, কিন্তু সেই ভাঁজে তার অসামান্য নাভিটি ঢাকা পড়ে যায়নি।…..
……এই রূপনগরে তৈরি করা হচ্ছে প্রাচীন ভারতের আদলে এক নগর। যার কিছুটা অংশ হবে আবার গ্রাম। এবং সেখানে এমন এক গণিকালয় তৈরি করা হবে যার গণিকারা হবেন ভারতীয় কামকলায় শিক্ষিত। শুধু কামকলা নয়, চৌষট্টি কলার মধ্যে বিবিধ কলায় তারা পটিয়সী হবেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বাছাই করে আনা হবে তাদের যারা আগ্রহী এবং যােগ্য। কারণ, সমীক্ষা বলে ভারতের আধুনিক গণিকাদের প্রায় কেউই ভারতের প্রাচীন কামকলায় শিক্ষিত নয়। তারা হয় আনাড়ি অথবা পাশ্চাত্যের অনুকরণ করে। কামের মধ্যে প্রেম না মিশলে সেই মিলন সুখকর হয় না। সঙ্গমকে প্রেমময় করে তােলার মধ্যেই রয়েছে জীবনের প্রকৃত আনন্দ।……
……কিন্তু শহরের যে নামী পাঁচতারা হােটেলটিতে রূপসার ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছিল সেটা যথেষ্ট কঠিন। ইংরেজিতে কথা বলার ধরন, ভারতবর্ষের ইতিহাস সম্পর্কে কেমন জ্ঞান থেকে কারেন্ট ইস্যু এবং তারপর সেক্স সম্পর্কে জ্ঞান, কতরকমের পশ্চার জানা রয়েছে তা প্র্যাকটিক্যাল দেখানাের জন্য ঐ হােটেলেই কোম্পানির আনা দুটি পুরুষের সঙ্গে সারাদিনে চারবার নানা ভঙ্গিতে সেক্স করতে হয়েছিল আর পুরােটাই ভিডিও শুট হয়েছিল। তিনজন ইন্টারভিউয়ার ছিলেন যার মধ্যে দুজন মহিলা এবং একজন পুরুষ। টানা দুদিন থাকতে হয়েছিল ওই হােটেলে। রূপসার হাঁটাচলা, খাওয়া, স্নান, লােকের সঙ্গে কথা বলা, ঘুমােনাে, সুইমিংপুলে সাঁতার কাটা সবকিছু ওয়াচ করেছিলেন তাঁরা। ব্যাপারটা নেহাত সহজ ছিল না। রূপসাকে জানিয়েই ওর রুমে বসানাে হয়েছিল ক্যামেরা যাতে ওর প্রতিটি মুহূর্তের মুভমেন্ট খেয়াল করা যায়।…..
…..অপালা ওদের তিনজনের দিকে তাকিয়ে বলল, ঘুরতে যেতে বলছে, যাবে নাকি সান্ধ্য নৌকাবিহারে ?
বাকি তিনজন কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই দেখল এক মধ্যবয়সী দীর্ঘ পুরুষ একটি মেয়েকে পাঁজাকোলা করে তুলে নিয়ে এল ঘাটে। মেয়েটি নিজের অনাবৃত পা দুটি | দোলাচ্ছে, এবং নিজের দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে রয়েছে সেই পুরুষের কণ্ঠ। রূপসা দেখল। লােকটার বয়স যথেষ্ট, টাক মাথা, ফ্রেঞ্চকাট, খালি গায়ে, পরনে শুধু একটি ধুতি, মেয়েটির গায়ে অনেকরকম গয়না, বুক অনাবৃত। পুরুষটি বার বার মুখ ঝুঁকিয়ে মেয়েটির ঠোটে, বুকে গভীরভাবে চুমু খাচ্ছে। আর ওহ বেবি উমম…হ! বলে উঠছে। | একঝলক দেখেই বােঝা যায় খাঁটি ইউরােপিয়ন। লােকটা ওদের দিকে দেখলও না, মেয়েটিকে ওই কোলে নিয়েই সােজা। উঠে পড়ল নৌকোতে। ছেড়ে দিল নৌকো, খুব ধীরভাবে ভাসতে শুরু করল সরােবরে। মেয়েটির খিলখিল হাসি আর গয়নার শব্দ মিশতে থাকল হাওয়াতে। খুব বেশিদূর গেল না নৌকো। পুরুষটি নৌকোর ছাউনির ভিতরে ঢুকল না, বাইরেই চিত হয়ে শুয়ে পড়ল, মেয়েটি চেপে বসল পুরুষটির ওপর। শুরু হল ফোরপ্লে। দুজনের শীৎকার এবং উদ্দামতায় নৌকো দুলতে থাকল। মাঝি নির্বিকার ভাবে বৈঠা বাইছে, কখনও থামছে। ( চিরশ্রী বলল, ওয়াও! এ তাে পুরাে শ্রীকৃষ্ণের নৌকাবিলাস! দারুণ তাে!…..
……মাথা নেড়ে হ্যা বলল বিশাখা—আমি জও বছর তিনেক ওই কোম্পানিতে লম। ক্লায়েন্ট বলতে সব বুড়াে ভাম, মনি রিলেশনই পারে না তাে আবার কান্ড.একদিকে ভালাে, খুব বেশি পরিশ্রম বতে হত না আমাকে। অল্পেই দম বেরিয়ে যেত ওদের। শুধু একবার পুনাতে যেতে হয়েছিল এক ক্লায়েন্টের কাছে। ওরে ব্বাবা আমার জীবন প্রায় বার করে দিয়েছিল, এই কহাত লম্বা পেনিস। দেখলেই ভয় লাগত, কাজ করব কী? আর তেমনি গায়ে ষাঁড়ের মতাে শক্তি, কী খেয়ে বড় হয়েছে কে জানে, আধঘণ্টা পেরিয়ে যেত শালার বীর্যপাত হত না। ভালাে পেমেন্ট পেয়েছিলাম ঠিকই কিন্তু ওখান থেকে ফিরে তিনদিন বিছানায় শুয়েছিলাম, সারা গায়ে ব্যথা। বেশ কয়েকদিন কাজে বেরােতে পারিনি।…..
…..চলাে, এবার ফেরা যাক।
হ্যা, চলাে। চারজন হেঁটে ফিরতে থাকল। একটি ঘােড়া মৃদুমন্দ ছন্দে ওদের পাশ দিয়ে গেল। ঘােড়ায় চড়ে বসে থাকা পুরুষটি সম্পূর্ণ উলঙ্গ এবং তার দিকে মুখ করে কোলে বসে থাকা যুবতীটিও পােশাকহীন। মেয়েটি জড়িয়ে রয়েছে পুরুষটিকে। ঘন ঘন চুমু খাচ্ছে।
ওরেব্বাস! যা বুঝছি ঘােড়ায় চড়েও কাজ করতে হবে আমাদের। হা হা হা! সেটাই মনে হচ্ছে। পুরাে আর্মি ট্রেনিং।…..
….আমাদের ঘরগুলাে কিন্তু দারুণ তাই না? বলল চিরশ্রী।
হু, মিলনকক্ষ, স্নানকক্ষ দুটোই জব্বর। কেন, ছাদটা দেখােনি? বিশাখার প্রশ্নে রূপসা অবাক হয়ে বলল আবার ছাদেও যাওয়া যায় নাকি?
হ্যা, খুব সুন্দর ছাদ তাে। বারান্দার এক কোণে দেখাে একটা সিঁড়ি রয়েছে। ছাদেও বেশ সুন্দর একটা খাট, আরও সব টুকটাক জিনিস রাখা রয়েছে। মানে নাগরের ছাদে করার ইচ্ছে হলে ওখানে উঠেও পক পক করতে হবে বলে হাত দিয়ে সঙ্গমের ইঙ্গিত করল বিশাখা।
কর্তার ইচ্ছেয় কর্ম। বলল রূপসা। এবং সেটাও শাস্ত্রীয় পদ্ধতিতে।….
…..একটু আগেই ভাের হয়েছে। সূর্যের সােনালি আলাে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে। পৃথিবীতে। পাখির কলকাকলিতে শুরু হতে চলেছে একটি দিন। ওই সােনাগলা নরম * আলােতে সবুজ ঘাসে মােড়া এক প্রশস্ত মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে চার তরুণী রূপসা, অপালা, বিশাখা এবং চিরশ্রী, চারজনেই সম্পূর্ণ পােশাকহীন, একটি সুতােও তাদের শরীর স্পর্শ করে নেই। মন্দিরগাত্রে খােদিত পাথরের নারীমূর্তির মতাে স্থির প্রত্যেকে। সূর্যের প্রথম আলাে স্পর্শ করছে তাদের খােলা চুল, গলা, স্তন, জঘা, উরু, নিতম্ব, পায়ের প্রতিটি আঙুলকে। তাদের চারজনই স্থির হয়ে রয়েছে নৃত্যের ভিন্ন চারটি মুদ্রায়। আর তাদের খুব খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন চিত্রলেখা। কখনও খুব কাছে এসে, কখনও একটু দূরে গিয়ে। মাঝে মাঝে নির্দেশ দিচ্ছেন মুদ্রা বদলের। তার পরনে রেশমের সাদা শাড়ি ধুতির মতাে করে পরা, বুকের কঁাচুলিটিও সাদা। নানা অলংকারে সজ্জিত তিনি। চারজনের মধ্যে একমাত্র রূপসাই উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা, বাকি তিনজনই যথেষ্ট ফর্সা, বিশেষ করে অপালার গায়ের রঙ যেন দুধে-আলতায়, বিশাখার ত্বক কাঁচা হলুদের মতাে উজ্জ্বল। স্বর্ণাভ সূর্যালােকে এই চার রমণীকে অপ্সরার মতাে সুন্দর লাগছে। চিত্রলেখা ঘুরে ঘুরে দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে তাদের কাঁধ, স্তন, উরু, করতল স্পর্শ করছেন, কিছু বুঝতে চাইছেন।…..
…..চারজনকেই চিত্রলেখা নগ্ন অবস্থায় ওই মাঠের ওপরে বসতে নির্দেশ দিলেন। নিজেও বসলেন। তারপর বললেন, আমি তােমাদের প্রকৃতি বুঝে নিলাম। আচার্য বাৎস্যায়ন বলেছেন রূপ, শীল ও গুণ অনুযায়ী নারী চারকার। হস্তিনী, পদ্মিনী, চিত্রিণী এবং শঙ্খিনী। তােমাদের গুণ আমার এখনও জানা হয়নি, বাহ্যিক রূপটি দেখলাম। তবে আমার এতদিনের অভিজ্ঞতায় তােমাদের বাহ্যিক রূপ দেখেই তােমাদের চরিত্র এবং রতির প্রকৃতি আন্দাজ হয়ে গিয়েছে। প্রথমে তােমরা খেয়াল করাে অপালাকে। বলে উনি অপালাকে উঠে দাঁড়াতে বললেন।
উঠে দাঁড়াল অপালা।
তােমরা খেয়াল করাে ওর শরীরের দিকে। ও দীর্ঘাঙ্গিনী। ওর দুই হাত এবং পা যথেষ্ট লম্বা,, কপাল ছােট, স্তনের আকৃতিও বড় নয়। হাতের এবং পায়ের পাতার শিরা স্পষ্ট, ওর হাতের তালু এবং শরীর ছুঁলে তােমরা বুঝতে পারবে । উষ্ণ অর্থাৎ পিত্তপ্রধান। আচার্য বাৎস্যায়ন এই আকারের নারীকে চিহ্নিত করেছেন শঙ্খিনী রুপে। বােসসা তুমি। বিশাখা আর চিরশ্রী এবার দাঁড়াও।
বিশাখা আর চিরশ্রী উঠে দাঁড়াল।
চিত্রলেখা বললেন, রূপসা আর অপালা তােমরা এই দুজনকে খেয়াল করাে। দেখাে বিশাখার ও চিরশ্রীর ত্বক যেমন শুভ্র ততােধিক কোমল। এতটাই কোমল যে তােমাদের শরীরের যে কোনও অংশ একটু চেপে ধরলেই সেখানে আঙুলের ছাপ পড়ে যায়, লাল হয়ে ওঠে। তাই তাে?
ঘাড় নেড়ে সায় দিল দুজনেই। চিত্রলেখা রূপসা আর অপালাকে বললেন, এবার ওদের মুখমণ্ডলের দিকে তাকাও। দেখাে, দুজনেরই মুখের গড়ন গােলাকার, চোখ দীঘল এবং অক্ষিগােলক হরিণের মতাে চঞ্চল। ওদের দুইজনের শরীর থেকে সবসময় সুগন্ধ বের হয়। ঘামের গন্ধটিও সুন্দর। গায়ের রং যেমন চাপা ফুলের মতাে, চোখের পাতাও – পদ্মের পাপড়ির রঙের। ওদের দুজনেরই নাক টিকালাে এবং স্তন উন্নত, কটি ক্ষীণ এবং চলন রাজহাঁসের মতাে ধীর। কণ্ঠস্বর মধুর। এই প্রকৃতি হল পদ্মিনী। আমি নিজেও পদ্মিনী। এবার রূপসা এসাে।
উঠে দাঁড়াল রূপসা। অনেক আগে একবার। এসব শঙ্খিনী, পদ্মিনী শুনেছিল কিন্তু সেসব কী তা নিয়ে মাথা ঘামায়নি। আজ মায়ের কাছে এমন ব্যাখ্যা শুনে বেশ মজা লাগছে। দেখা যাক মা কী বলে।
রূপসাকে কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়াতে বললেন চিত্রলেখা। রূপসা তেমনই দাঁড়াল। চিত্রলেখা বললেন, তােমাদের মধ্যে একমাত্র শ্যামাঙ্গী হচ্ছে রূপসা। কিন্তু কী আশ্চর্য রূপময়ী দেখাে! প্রকৃতির যে কোনও কিছুকে সর্বোত্তম দেখার শ্রেষ্ঠ সময় হল এই ভাের। সূর্যের প্রথম আলােতে তুমি যাকে দেখবে সেটাই তার প্রকৃত রূপ। সেই কারণেই। সূর্যদেবের এই প্রথম রশ্মিতে তােমাদের দেখ রি আয়ােজন। এই রূপমঞ্জরীতে যে গণিকারাই এসেছে তাদের প্রকৃতি নির্ধারণের জন্য আমি এই স্থান এবং এই সময়ই নির্বাচন করেছি।
বলে চিত্রলেখা বললেন, রূপসার কণ্ঠ দেখাে। শঙ্খের মতাে সুন্দর এবং তিনটি ভাজবিশিষ্ট। চুল কোচকানাে, ওর স্তন, নিতম্ব, জঘা সবই পুরুষ্টু এবং আকর্ষণীয়। তনুখানি নির্মেদ অথচ । অতীব কোমল। এই প্রকৃতি হল চিত্রিণী।। বলে চিত্রলেখা ডানহাতটি সামান্য তুলে বলে। ……চিত্রলেখা বললেন, আরও একপ্রকার নারী রয়েছে হস্তিনী। এদের দেহ স্থূল, রােমশ এবং ৰ দাঁত বড়, এবং গাত্রবর্ণ রক্তাভ। এরা স্বভাবে বাচাল, অতিরিক্ত কামুক এবং ক্রোধী হয়। ঝাল-মশলা দেওয়া খাবার খেতে ভালােবাসে। আমাদের রূপমঞ্জরীতে তিনজন গণিকা রয়েছে। হস্তিনী গােত্রের।….. এখন তাে শুধু শরীরের গঠনগত দিক বললাম, যােনির গভীরতা ভেদেও মৃগী, বড়বা ইত্যাদি। আসলে নারীর যেমন এমন ভেদ রয়েছে ঠিক তেমনই প্রকারভেদ রয়েছে পুরুষদের ক্ষেত্রেও। এমন প্রকারভেদের কারণ হল, এক এক প্রকার পুরুষের সঙ্গে এক এক প্রকার নারীর রতিসুখ সর্বাপেক্ষা সুখকর হয়।
পুরুষেরও বিভাগ?
নিশ্চয়ই। কাম কি শুধুমাত্র নারীর একক? নারীর যেমন চারপ্রকার ভেদ, পুরুষের রয়েছে তিন। শশক, বৃষ এবং অশ্ব। পুরুষের শিশ্নর আকৃতি, দেহসৌষ্ঠব এবং স্বভাব দ্বারা এই প্রকারভেদ তৈরি করেছিলেন বাৎস্যায়ন। আচার্য বলছেন শশক জাতীয় পুরুষের সঙ্গে পদ্মিনী নারীর মিলন সুখের হয়, তেমনই বৃষজাতীয়র সঙ্গে শঙ্খিনী এবং অশ্বজাতীয়র সঙ্গে হস্তিনীর সঙ্গম সর্বাপেক্ষা সুখদায়ক। তােমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে আমরা হলাম গণিকা, আমাদের আবার বাছাবাছি কীসের? অর্থের বিনিময়ে নীরােগ যে প্রকার পুরুষই মিলনেচ্ছুক হবে তাকেই সঙ্গ দেব। সেটাই গণিকার ধর্ম। কিন্তু বলি, আমাদের এই রূপমঞ্জরীতে এমনও মক্কেল আসেন যিনি আমাদের ওপর দায়িত্ব দেন তার উপযুক্ত সঙ্গিনী বাছাই করে দেওয়ার জন্য। তখন আমরা সেই মক্কেলের রূপ ও প্রকার বিচার করে তার সঙ্গে রমণে সর্বোচ্চ সুখপ্রদানকারী সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে নির্বাচন করে দিই।
সঙ্গী?
হ্যা, রূপমঞ্জরীতে পুরুষ এবং নারী উভয়প্রকার বেশ্যাই রয়েছে। পুরুষদেরও প্রশিক্ষণের কিছু অংশ আমিই দিয়ে থাকি। তােমাদের আগামী পনেরাে দিন হবে শুধুমাত্র তত্ত্বগত শিক্ষা। এরপর ব্যবহারিক শিক্ষার সময়ে পুরুষদেরও প্রয়ােজন হবে। রূপমঞ্জরীতে মােট নয়জন পুরুষ এবং যােলােজন নারী বেশ্যা রয়েছে। ভারতবর্ষের নানা প্রান্ত থেকে তাদের এখানে কাজে যােগ দেওয়ানাে হয়েছে। তােমাদের চারজন সমেত মােট সাতজন এই মুহূর্তে প্রশিক্ষণ পর্যায়ে। তারা অবশ্য এখন তত্ত্বগত শিক্ষা শেষ করে ব্যবহারিক শিক্ষা নিচ্ছে। বাকিদের শিক্ষা শেষ। তারা নিয়মিত কাজ করছে। একটা কথা মনে রাখবে রূপমঞ্জরীর প্রশিক্ষণ শেষ করার পর তােমরা কিন্তু কেউই আর সাধারণ নারী থাকবে না। প্রত্যেকে হয়ে উঠবে পুরাকালের উর্বশী, মেনকা, রম্ভার মতাে বিদুষী গণিকা।…..
…..রূপমঞ্জরীতে যােগদানের সুযােগ পেয়েছ মানেই তােমাদের রূপ এবং গুণ অনন্যসাধারণ, এবার তাকে চূড়ান্ত উৎকর্ষ দেওয়ার দায়িত্ব আমার এবং তােমাদের নিজেদের। সবার প্রথমে একটা কথা ভালাে করে মাথায় গেঁথে নাও, সেটা হল একজন আদর্শ বেশ্যা হল সে, যার অন্তরে প্রেম না থাকলেও প্রেমকলায় ‘ পটু। পুরুষ তার কাছে আসবে শুধু রতিসুখ নয়, প্রেম পেতে। শুধু যৌনতার জন্য নয়। পশুর সঙ্গে মানুষের রতিক্রিয়ার পার্থক্য। এখানেই। মানুষ রতির সময় শুধু নিজ সুখে। র কথা ভাবে না, তার সঙ্গীকে সুখ দেওয়াও তার কর্তব্য বলে মনে করে। কিন্তু পশু শুধুমাত্র । নিজ সুখের কারণেই রমণে লিপ্ত হয়, সে ( তার সঙ্গী সুখ পাচ্ছে কি না তা নিয়ে ভাবে এবং রেতঃপাত হওয়া মাত্রই সে সঙ্গীকে ছেড়ে চলে যায়। রমণে এই যে অপরের ৩ সুখের কথা ভাবা তাই প্রেম যা পশুর মধ্যে নেই। এবং পশুর অভিনয় ক্ষমতাও নেই। তাই সে ভান করতে জানে না। মানুষ প্রেমহীন হলেও প্রেমের অভিনয় করতে জানে, আর এই ত অভিনয়ে সর্বাপেক্ষা পটু হল একজন বেশ্যা। তােমরা কামসূত্রের নাম শুনেছ?…..
…..দীপু রান্নাঘর থেকে জলের গ্লাস হাতে নিয়ে ওই ঘরে আসতেই, থমকে দাঁড়িয়ে পড়েছিল। জানলা দিয়ে আধাে অন্ধকার ঘরে সদ্য বিকেলের রােদ ঢুকছে।
একটা জিনিস পরেছি দীপুদা, দেখবে? বলে ঠোট চেপে হেসেছিল রূপসা।
দীপু কিছু বলেনি। পাথরের মূর্তির মতাে দাঁড়িয়েছিল এক জায়গায়।
ঘামে ভেজা ফ্রকটা চামড়া ছাড়ানাের মতাে। করে গা থেকে নামিয়ে রূপসা বলেছিল, এই। দেখাে ব্রেসিয়ার পরেছি। কেমন লাগছে আমাকে?
দীপু কঁপছিল। শীত করছিল ওর। হাফ প্যান্ট পরা পা দুটো কাপতে শুরু করেছিল।
কী হল দীপুদা, আমাকে ভয় করছে? এসাে, দেখাে কেমন লাগছে এটা পরে?
দীপুঅপলক তাকিয়েছিল সাদা ব্রেসিয়ারের আড়ালে থাকা বুক দুটির দিকে। যেন দুটি শখ। অপেক্ষা করছে কেউ তাকে ঠোট ছুঁয়ে ধ্বনিত করবে বলে।
এসাে, আমার কাছে। বলে হাত বাড়িয়েছিল রূপসা। নিটোল ভরাট, হাতদুটি সাপের শরীরের মতাে মসৃণ এবং পেলব এবং সুন্দর। ওই আহ্বান আর অস্বীকার করতে পারেনি দীপু। জলের গ্লাসটা মাটিতে রেখে ধীরে ধীরে এগিয়ে এসেছিল রূপসার দিকে। রূপসার গলা দিয়ে ঘাম নামছিল দুই বুকের মাঝের গভীর পিচ্ছিল পথে। দুই হাত দিয়ে রূপসার বুক স্পর্শ করেছিল, প্রথমে ধীরে তারপর অনভ্যস্ত সজোরে।
আচমকা বেদনায় আহ করে উঠেছিল রূপসা। দীপুর ততক্ষণে আর হুঁশ নেই। কখনও রূপসার কাধে কামড় বসাচ্ছে, কখনও নাভিতে চমু খাচ্ছে, কখনও ঠোটে। ব্রায়ের ওপর দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ হাত বােলানাের পর ব্রায়ের হুক খােলার চেষ্টা করেছিল দীপু। পারল না। রূপসা টের পাচ্ছিল, ও নিজে মােটেই এই শরীরী সুখে আত্মহারা হয়ে যাচ্ছে না। বরং এক অন্যরকমের তৃপ্তি পাচ্ছে। সাদা ব্রায়ের ওপরে ওর নরম স্তনদুটিকে যত দুমড়ে মুচড়ে দিচ্ছে দীপু, তার আনন্দমেশানাে যন্ত্রণার থেকে এক অন্যরকমের তৃপ্তি পাচ্ছিল ও। আচমকাই রূপসা দীপুর পরনের স্যান্ডাে গেঞ্জিটা এক টানে মাঝ বরাবর ফরফর করে ছিড়ে দিল। তারপর দীপুর পিঠে নিজের দুই হাতের নখ বসিয়ে চিরে দিল। * আআআ করে কঁকিয়ে উঠল দীপু। তারপর ব্রা খুলতে ব্যর্থ হয়ে ওর ভেতরেই হাত ঢােকাতে গেল। তখনই দীপুকে হঠাৎ এক ঠেলা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছিল রূপসা। তারপর আবার কাছে এনে দুই হাত দিয়ে ওর হাফপ্যান্টটা নামিয়ে দিয়েছিল। কাঁচা তেঁতুলের মতাে দেখতে দীপুর পৌরুষটি তখন কঠিন, লালায়িত।
দীপু রূপসাকে শুইয়ে দিয়েছিল মেঝেতে। তারপর পেটে, নাভিতে, থাইয়ে নিজের জেগে ওঠা অস্থির পুরুষাঙ্গটি ঘষছিল। কী করবে বুঝতে না পেরে রূপসার শরীরটাকে নিয়ে হাঁচোড়-পাঁচোড় করছিল কিন্তু মুখে কোনও কথা ছিল না। দু-একবার রূপসার প্যান্টিটা টেনে নামাতে গিয়ে রূপসার থেকে বাধা পেয়ে দুই হাত দিয়ে খামচে ব্রেসিয়ারটাকে যে মুহূর্তে সরাতে যাবে তখনই রূপসা দীপুর
হাতদুটো ধরে বাঁকা হেসে বলেছিল, তােমার মায়ের দেওয়া ব্রেসিয়ার, দীপুদা। আজ প্রথম পরলাম, কাকিমার ব্রেসিয়ার। কী ভালাে, না, পরে দারুণ আরাম লাগছে।
কথাটা শােনার পর যেন চাবুকের আঘাত পেয়ে শিউরে উঠেছিল দীপু। চোখ দুটো বিস্ফারিত হয়ে উঠেছিল। ছিটকে সরে গিয়েছিল রূপসার ওপর থেকে।
বিশ্বাস হচ্ছে না তােমার, দেখে, পুরােনাে ব্রেসিয়ার। সামান্য একটু ঢিলেও হয়েছে। এই আগের দিনই কাকিমা দিয়েছিল কয়েকটা। দেখাে সামনে থেকে। | দীপু আর তার বুকের দিকেও তাকাচ্ছিল না। দুই হাত দিয়ে নিজের মুখ ঢেকে বার বার বলছিল, তুই চলে যা…যা…! গােঙাতে শুরু করেছিল দীপু। অদ্ভুত শব্দ করে কঁদতে শুরু করেছিল।…..
প্রেমকুঞ্জ যৌনতার মুক্তাঞ্চল। গণিকারা ও তাদের নায়ক বা ক্লায়েন্টদের সঙ্গে ব ইচ্ছেমতাে প্রেমলীলা করে। কোনও নিষেধ নেই। নায়কের নির্দেশেই সবকিছু চলে। তার জন্য দিন প্রতি এক একজন নায়ক প্রায় লক্ষাধিক টাকাও ব্যয় করে। অবশ্য প্রেমকুঞ্জে যারা নায়ক হয় তাদের কাছে এক লক্ষ টাকা তের ময়লা ছাড়া আর কিছুই নয়। নায়ক যদি ইচ্ছে করে তবে সে এখানেও তার ঈপ্সিত সখু নিতে পারে অথবা তার ইচ্ছে হলে নায়িকা তাকে নিজের নামাঙ্কিত কক্ষেও নিয়ে যেতে পারে। রূপসা ও তার তিন সখী চিত্রলেখার কাছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করার পর যখন প্রেমকঞ্জে কাজ করার অধিকার পেল, পুরাে হতবাক হয়ে গিয়েছিল অন্দরমহলে গিয়ে।…
……বৃষ শ্রেণির পুরুষের কপাল উঁচু এবং . চওড়া। গলা এবং পেট মােটা। দেহ গৌরবর্ণ, হাত এবং পা লম্বা হয়। হাত-পায়ের তালু রক্তাভ। মধুরভাষী, লজ্জা খুব কম এবং সিংহের মতাে এদের বিক্রম হয়। প্রায় সবকটি লক্ষণই ফিলিপের সঙ্গে মেলে। ফিলিপের শিশ্নটি অন্তত নয় ইঞ্চি দীর্ঘ এবং দৃঢ়। মিলনের সময়ে প্রবল বিক্রম।
অবশ্য দীর্ঘকাল আগে থেকেই সব পুরুষের শরীর রূপসার কাছে একইরকম লাগে। কোনও আলাদা অনুভূতি নেই। চিত্রলেখা অভিজ্ঞ, ঠিক চিনেছেন রূপসাকে। বলেছেন, তােমাকে নিয়ে আমার বেশ চিন্তা। তুমি পুরুষকে তীব্র, ঘৃণা করাে, তােমার সঙ্গমের মধ্যেও সেই ঘৃণা প্রকাশ পায় অথচ কামকলায় তুমি পটু। পুরুষকে ভালােবাসতে শেখাে। তােমার কাজকে উপভােগ করাে।……
….বাজারে ঘুরতে ঘুরতে ফিলিপ মাঝে মাঝেই রূপসাকে আলিঙ্গন, চুম্বন করছে। স্তনে, পিঠে, নিতম্বে ইচ্ছেমতাে হাত বােলাচ্ছে। রূপসাও সাপের মতাে প্রায় জড়িয়ে রয়েছে ফিলিপকে।
বাজার ছেড়ে বেরিয়ে এল দুইজনে প্রেমকুঞ্জের স্নানাগারে। পাথরে বাঁধানাে চৌকো একটি জলাশয়। বুক সমান সুগন্ধী জল। নানা রকমের ফুল ছড়ানাে রয়েছে। সেখানে। জলকেলিতে ব্যস্ত কয়েকজন গণিকা তাদের নায়কদের নিয়ে। খিলখিল হাসির রব উঠছে থেকে থেকে। কেউ আবার জলেই সঙ্গমরত। কারও পরনে নামমাত্র বস্ত্র, কারও সুতােটি নেই। ফিলিপ আগেই রূপসাকে নিরাবরণ করে ফেলল তারপর নিজের বস্ত্রটি খুলে ফেলে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে রূপসাকে পাজাকোলা করে জলে নামল, স্নানবিলাস চলল বেশ কিছুক্ষণ। তারপর ফিলিপ জল থেকে উঠে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ল। রূপসা ফিলিপের গােটা শরীরে চন্দনবাটা লেপে দিতে থাকল। চন্দন, কুমকুম, নানারকমের ফুল, মালা, তাম্বুল, সুরা, সুগন্ধী ইত্যাদি সব রাখাই থাকে প্রেমকুঞ্জের বিভিন্ন স্থানে। রূপসার নিজের ঘরেও এইসকল উপাচার সাজানাে থাকে। পরিচারক এসে সাজিয়ে দিয়ে যায়। বৃষ প্রকারের পুরুষের যা গুণ থাকে তার প্রায় সবই ফিলিপের রয়েছে। কিন্তু ফিলিপ সেই প্রকারের পুরুষ যারা সঙ্গম-এর সময় সঙ্গীকে যন্ত্রণা দিতে এবং নিতে ভালােবাসে। রূপসার এই অত্যাচার সহ্য হয় না। কিন্তু ওর কপালে অধিকাংশই জোটে এমন। শরীরের নানা জায়গায় কালশিটে, দংশন, নখের আঁচড়ের দাগ তাে রয়েছেই তার সঙ্গে ফিলিপের পাশবিক শক্তির ঝাঝ সহ্য করা কোনও ভারতীয় মেয়ের পক্ষে খুব কঠিন। গােটা শরীরে ব্যথা করে দিয়েছে। কিন্তু উপায় নেই, ক্লায়েন্টকে কোনওভাবেই নিজের অপছন্দ জানানাে যাবে না। পুরাে কাহিল হয়ে পড়েছে রূপসা। আজ সন্ধেবেলায় ফিলিপ নিজের দেশে ফিরে যাবে। বিকেলেই এখান থেকে চলে যাবে ও। তারপর টানা একদিন রেস্ট নিতে হবে।
চন্দন মাখাতে মাখাতেই ফিলিপ চিত হয়ে শুল। ওর পুরুষ অঙ্গটি আবার জেগে উঠেছে। অপরিসীম শক্তি। আজ সকাল থেকে এই দুপুরের মধ্যে তিনবার মিলিত হয়েছে ফিলিপ। কিন্তু ক্লান্তি নেই। ফিলিপ উঠে বসে রূপসাকে চিত করে শুইয়ে দিল তারপর রূপসার পা দুটিকে জড়াে করে সােজা ওপরে তুলে দিয়ে নিজেকে প্রবেশ করাল রূপসার মধ্যে। চোখ বন্ধ করে আহ করে উঠল রূপসা। মিলনের এই আসনটির নাম বেণুদারিতক। গতকাল ফিলিপকে শিখিয়েছিল রূপসাই। অনেকগুলাে আসনের মধ্যে এটাই ওর পছন্দ হয়েছে। অনেকবার বলেছে রূপমঞ্জরীতে আবার আসবে, এত অসাধারণ জায়গা আগে কখনও দেখেনি, ওর মতে ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ কলা নাকি কামকলা। শুনে বেশ হাসিই পেয়েছে। রূপসার। এত কিছু থাকতে শেষে কামকলা! অবশ্য যার যা ভালাে লাগে।
আধঘণ্টা ধরে নানা ভঙ্গিতে সঙ্গম চলল দুজনের। কখনও ফিলিপের ওপর উঠে বসে। পীড়িতক আসনে, কখনও ফিলিপ উঠে দাঁড়িয়ে রূপসাকে নিজের লিঙ্গে গেঁথে কোলে নিয়ে ফিররত আসনে। ফিলিপ যেন একটা ঝড়। মিটে যাওয়ার পর ক্লান্ত রূপসা শরীর এলিয়ে দিল ফিলিপের কোলে।…..
…..রূপসার তখন আলাদা ঘর। এক রাতে রূপসার বিছানায় তুমুল দাপাদাপির সময় সুশান্ত চার করল সেদিন রূপসার মন ভালাে নেই। খুনখুন করে কাঁদছে।….
…..বিকেলে বাড়িতে তালা দিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল কলকাতার পথে। সেখান থেকে কখনও মুম্বই, কখনও দিল্লি, এলাহাবাদ, গােয়া আবার কলকাতা। এক অদ্ভুত জীবন। যত দিন গিয়েছে নিজেকে আরও শাণিত করেছে রূপসা। নিজের শরীরকে করে তুলেছে। আরও ঐশ্বর্যময়ী। এসকর্ট সার্ভিস, প্লেজার ট্রিপে রােজগার বেশি। সেগুলােই প্রেফার করত রূপসা। দুই-তিনটে সফট পর্নোতে কাজ করে বুঝেছিল অতি অখাদ্য। ইউরােপআমেরিকান পর্নোর ধারে-কাছ দিয়েও যায় না ইন্ডিয়ান পর্নো অ্যাক্টররা। সস্তায় বাজিমাত করার চেষ্টা। কয়েকটা এজেন্সিতে নাম লেখানাে ছিল রূপসার। তাদের কলে যতবার শহর ছেড়ে ক্লায়েন্টের সঙ্গে শহরের বাইরে যেতে হয়েছে, বেশ ভয়ই করত। দুই-একবার প্রাণে মরতে মরতে বেঁচেছিল। তবে শেষবার যখন এক ক্লায়েন্ট ব্যাঙ্গালােরের এক হােটেলের রুমে রূপসার ওপরে অনেক নির্যাতন করার পরে ওর ভেতরে বােতল ঢােকানাের চেষ্টা করছিল তখন ওই বােতল কেড়ে নিয়ে ক্লায়েন্টের মাথায় বাড়ি দিয়ে তাকে আহত করে ওই রাতেই হােটেল ছেড়ে পালিয়েছিল।…..
…..বিশ্রাম পাবে এই ভাবনার আনন্দেই ফিলিপকে গিয়ে জড়িয়ে ধরল রূপসা। ফিলিপও ওকে চেপে ধরে চুমু খেল। দুই স্তনে কঠোরভাবে মর্দন করে নিজের শিশ্নটি ঠেসে ধরল রূপসার পেটে। | এই রে, আবার শিশ্ন শক্ত হয়ে উঠছে। কিন্তু ভয় বা বিরক্তি দেখালে চলবে না। রূপসা ফিলিপের দৃঢ় ও দীর্ঘ লিঙ্গটি ধরে ঝুঁকে একটি চুমু খেল। তারপর খিলখিল করে হেসে ফিলিপকে পরিয়ে দিল সাদা সিল্কের ধুতি।…..
….. পলিনের উদ্দামতা আরও বেড়ে যায়। দুই হাতে উজাড় করে ঢালতে থাকেন ধনসম্পদ, যৌনতার প্রতীক হয়ে ওঠেন তিনি। বলে একটু থামলেন চিত্রলেখা। তারপর আবার বললেন, এতটাই কামুক প্রকৃতির এবং নিজের শরীরী ঐশ্বর্য দেখানাের জন্য লালায়িত ছিলেন। পলিন যে প্রাসাদে তার অতিথিদের সঙ্গে দেখা করতেন স্নানরতা অবস্থায়। প্রতিদিন কুড়ি লিটার দুধে স্নান করতেন তিনি। এবং সেই অতিথিদের সামনেই স্নান সেরে গা মুছে পােশাক পরতেন। যে পুরুষ অতিথিকে তার মনে ধরত তার সঙ্গে সঙ্গম করতেন। এইভাবেই চলতে চলতে পলিন একদিন নিজেকে আয়নার সামনে আবিষ্কার করলেন তাঁর গলার চামড়ায় বয়সের ভাঁজ দেখা যাচ্ছে। ….
…..শুধু তাই নয়, পলিন যৌনতার সময়ে পুরুষের শারীরিক অত্যাচারকে উপভােগ করতেন, ধর্ষকামী পুরুষ ছিল তাঁর প্রিয়, কিন্তু তার ফলে শরীরে যে নানাবিধ ক্ষত তৈরি হত সেটা আবার তার না-পসন্দ। তাই দিকে দিকে পলিনের বার্তা ছড়িয়ে গেল এমন কোনও ঔষধ প্রয়ােজন যা পলিনের যৌবনকে যেমন অনন্তকাল ধরে রাখবে তেমনই সঙ্গমকালীন কোনওপ্রকার ক্ষতচিহ্ন তাঁর শরীরে সঙ্গমশেষে স্থায়ী হবে না। কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্রে এমন কোনও ওষধি ছিল না, ফলে বৈদ্যরা ব্যর্থ হলেন, পলিন মনমরা হয়ে পড়লেন। নাওয়াখাওয়া প্রায় বন্ধ। তখন তার এক বিশ্বস্ত দাসী খোজ আনল এক পিশাচসিদ্ধের। সে জানে এই ওষধির সন্ধান। পলিন পালকি চেপে গেলেন তার কাছে। গভীর অরণ্যের মধ্যে সেই পিশাচসিদ্ধের বাস। পলিনের কথা শুনে তিনি তাকে আহ্বান করলেন সঙ্গমে। সেই বিকটদর্শন পুরুষকে দেখেই বিবমিষা হচ্ছিল পলিনের, কিন্তু তিনি তখন নিজের রূপ-লাবণ্য এবং নিজেকে অক্ষত রাখার চেষ্টায় মরিয়া। কাজেই তার সঙ্গেও সঙ্গমে লিপ্ত হলেন পলিন। দীর্ঘক্ষণ সেই সঙ্গম চলার পর তৃপ্ত হলেন সে পিশাচসিদ্ধ। পলিনকে বললেন, তােমাকে এমন জিনিস দেব আমি তাতে তুমি অনন্তকাল রূপ-যৌবনকে ধরে রাখতে পারবে। , তােমার শরীরে পুরুষের তৈরি কোনও সঙ্গম শেষে আর স্থায়ী হবে না, মিলিয়ে বা বলে তিনি ছােট একটি শিশি পলিনের গাতে দিয়ে বললেন, এই ওষধিতে স্বয়ং পিশাচ অবস্থান করে। উষাকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে এই শিশি থেকে মাত্র একফোটা হাতে নিয়ে নিজের গােটা শরীরের সর্বত্র ভালাে করে মালিশ করবে। পায়ু, যােনি, নাক-কানের ফটোর ভেতরেও আঙুলের সাহায্যে এই ওষধি স্পর্শ করাবে। জীবনে আর কখনও সঙ্গমকালীন কোনও আঘাত তােমাকে আহত করবে না, রূপ এবং যৌবন অটুট থাকবে। কিন্তু তুমি হয়ে উঠবে পিশাচিনী।
পলিন শিশিটি পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে উঠলেন। ফিরে আসতে যাবেন তখন পিশাচসিদ্ধ বললেন, কিন্তু সাবধান, জীবনে যদি কখনও কোনও পুরুষের স্পর্শ অনুভব করাে তাহলে কিন্তু ভয়ংকর বিপদ নেমে আসবে তােমার জীবনে।
মানে? এ আপনি কী বললেন? আমি সম্ভোগ করতে পারব না?
সে কথা বলিনি। ইচ্ছেমতাে সম্ভোগ করাে কিন্তু পুরুষ যেন তােমাকে না ছোঁয়। তাহলেই সর্বনাশ।
আপনার কথা আমি কিছুই বুঝতে পারলাম না। পুরুষ না ছুঁলে মিলন কী করে হবে? জিজ্ঞাসা করলেন পলিন।
তার উত্তর দিলেন না পিশাচসিদ্ধ। বললেন, এর উত্তর ব্যবহারকারীকে নিজেকেই বুঝতে হবে।
পলিন আবার জিজ্ঞাসা করলেন, পুরুষকে সম্ভোগে কোনও সমস্যা নেই তাে?
না। উত্তর দিলেন পিশাচসিদ্ধ। . ব্যাস, আর কিছু আমার জানার দরকার নেই।…..
….পলিন ঘাড় নেড়ে খুশি হয়ে ফিরে এলেন। আর এই পুরাে ঘটনার সাক্ষী থাকল পলিনের বিশ্বস্ত পরিচারিকা রুসভেলা। সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী রুসভেলাই খবর এনেছিল এই পিশাচসিদ্ধের। তারপর যা হওয়ার তাই হল ওই ওষধি হাতে পেয়ে পলিন যেন স্বর্গলাভ করলেন। একের পর এক পুরুষ সঙ্গী। উদ্দাম যৌনাচার। নেপােলিয়ন খুবই বিব্রত হতেন তার বােনের এমন আচরণে, কিন্তু অতিরিক্ত স্নেহের কারণে বােনকে কড়াভাবে কিছু বলতে পারতেন না। পলিন নিজে একটি প্রসােদশালাও খুলে ফেলেছিলেন, সেখানে তিনি অবাধে চালাতেন নিজের স্বেচ্ছাচার। পুরুষের দল পতঙ্গের মতাে ঝাপিয়ে পড়ত তাঁর শরীর-আগুনের আকর্ষণে। কিন্তু ওষধির গুণে পলিন ক্লান্তিহীন, অক্ষত, বয়ঃবৃদ্ধি থেমে গেল তাঁর। এমনই চলতে থাকল দিন-মাস-বছর। তারপর একদিন পলিনের শখ হল তিনি গান শিখবেন। সঙ্গীত শিক্ষক নিযুক্ত হলেন ফেলিস ব্লানজিনি। কিন্তু সঙ্গীতের পাঠ নেওয়ার থেকে প্রেমের পাঠেই আগ্রহ তার বেশি। ফলে ফেলিসের সঙ্গেও শুরু হল শরীরী সম্পর্ক।…..
…..শুধু রূপসা আর রূপসা। দেশ-বিদেশ থেকে ক্লায়েন্টরা যেন অকস্মাৎ ঝাপিয়ে পড়তে থাকল রূপমঞ্জরীতে। ত্বরিৎগতিতে চারদিকে ছড়িয়ে গেল রূপনগরের কথা। রূপমঞ্জরীতে এমন এক গণিকা রয়েছে যার নাম রূপসা, পুরুষের শত অত্যাচার, সে সহাস্যে গ্রহণে সক্ষম। ধর্যকাম, মর্যকাম, যৌনতায় আরও যতরকমের যন্ত্রণাদায়ক বিকৃতি রয়েছে পুরুষের তাই নিয়ে তারা ছুটে আসতে থাকল রূপসার কাছে। দিনরাত শুধু পুরুষের নানাবিধ লালসাকে চরিতার্থ করতে রূপসা তৎপর। তার ক্লান্তি নেই, ঘুম নেই, প্রতি মুহূর্তে সে উচ্ছ্বাসময়ী, উত্তরােত্তর বাড়তে থাকল তার লাস্যময়তা। সকল নায়কই প্রশংসায় পঞ্চমুখ। শুধু একক নায়ক নয়, একাধিক নায়কের সঙ্গে সঙ্গমেও রূপসা একইরকম সাবলীল, সকলকে সুখ দিতে সক্ষম। রূপমঞ্জরীর ম্যানেজমেন্ট আবার নজর করল অম্বালিকার পর আবার এই রূপসার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণে ইনসেনটিভ জমা পড়ছে। রূপমঞ্জরীর নামও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে। সকলেই রূপসাকে বুক করতে চায়। একদিনের জন্যও ফুরসত নেই রূপসার। সকলেই খুশি। শুধু চিত্রলেখা মাঝে মাঝে ভাবেন আবারও তিনি ভুল করলেন না তাে? পুরুষমানুষের ছোঁয়া—এই শব্দের মানে কী তিনি নিজেও জানেন না, একমাত্র যে টের পেয়েছে সে জানে…গণিকার শরীরকে শত শত পুরুষ ছোঁয়, তার মধ্যে আবার পুরুষের ছোঁয়া মানে কী তা বােঝা বড় কঠিন!……..
……জীবনে বহু বিচিত্র রকমের পুরুষ দেখেছে রূপসা। আলী হায়দরের মতাে এমন ভয়ঙ্কর পুরুষ দেখেনি। এত বিপরীত বৈচিত্র্য যে কোনও মানুষের মধ্যে থাকতে পারে তা স্বপ্নেরও অতীত ছিল রূপসার। গত কয়েকদিনে আলীসাহেবকে যত দেখছে ততই বিস্মিত হচ্ছে। সত্তর বছরের বৃদ্ধের কাধ পর্যন্ত সাদা চুল কিন্তু এখনও দুজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের শক্তি ধরেন। সঙ্গমেও তার ক্ষমতা অসামান্য। শিশ্নের দৃঢ়তা এবং সঙ্গমের সময়কাল যে কোনও যুবকের কাছে ঈর্ষার কারণ হতে পারে।…..
…..যে কেউ মনে করবেন না জানি আলীসাহেবের মন কী কোমল! কিন্তু এই মানুষটাই রমণের সময়ে যে কী ভয়ংকর পাশবিক হয়ে ওঠেন তা নিজে চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। গতকাল রাতেও রমণের সময়ে উনি তামাকের জ্বলন্ত টিকে চিমটে করে তুলে রূপসার দুই স্তনে, নাভিতে, জঙ্ঘায় ছুঁয়ে ছুঁয়ে ফোস্কা ফেলছিলেন আর রূপসা উহ! আহ! করে কাতর শব্দ করছিল। তাতে তার শিশ্ন আরও প্রহর্ষিত হচ্ছিল। দুই হাতের লম্বা ধারালাে নখ দিয়ে রূপসার পিঠে, পেটে, কাধে আঁচড়ে রক্ত বার করে পিশাচের মতাে সেই রক্ত নিজের জিভে ঠেকাচ্ছিলেন আলীসাহেব। রূপসা | দেখছিল বৃদ্ধের জিভ তার রক্তে লাল হয়ে। উঠছে। সঙ্গমের সময়েও’রূপসাকে নানাভাবে যতটা শারীরিক নিগ্রহ করা দরকার কোনওটারই কসুর করছিলেন না তিনি। রূপসার যন্ত্রণাবােধ সেই ওষধির কারণে না হলেও সে জানে এই ধরনের ধর্ষকামী পুরুষেরা চায় তাদের দেওয়া যন্ত্রণায় নারী কাতর হােক, বেদনায় জর্জরিত হয়ে আর্তনাদ করুক, এতেই তাদের সুখ।……
……আলীসাহেব বেদনার অনুভব ভালােবাসেন। সারেঙ্গি তার হৃদয়ের অন্তঃস্থলকে এমনভাবে মােচড় দেয় যে সেই বেদনায় তিনি অপুর্ব এক তৃপ্তি পান। যন্ত্রণাতেই আলীসাহেব আনন্দ পান। নারীর সঙ্গে সঙ্গমের সময় তিনি সাহিলকে ঘরের এককোণে বসিয়ে সারেঙ্গি বাজাতে বলেন। সুর যত বেশি বেদনায় ঝরে পড়ে ততই তিনি সঙ্গমের সঙ্গিনীকে নিপীড়ন করে পরম তৃপ্তি পান। এই অভ্যাস তার আজকের নয়। সাহিলের আব্বাকেও একসময়ে করতে হয়েছিল, তারপর সাহিলকে। কিশাের বয়স থেকে সাহিল তার প্রভুর এমন অদ্ভুত স্বভাব দেখে প্রথমে শিহরিত হত, ভয় লাগত, বিবমিষা আসত, কিশাের চোখে নগ্ন নারী অথবা সঙ্গম দেখলে তার শরীরে যে উত্থান হওয়ার কথা সেই স্বাভাবিকতার বদলে সাহিল দেখতে থাকল রাতের পর রাত ধর্ষণ, নির্যাতন, গণিকা, রূপজীবী অথবা মনিবের স্ত্রীদের যন্ত্রণার আর্তনাদ। কখনও চাবুক, কখনও ছােরা, কখনও হাতের ছড়িটি দিয়েও গণিকাদের আঘাত করে আনন্দ পান। আলীসাহেব। আজ পর্যন্ত তিনজন গণিকা। আলীসাহেবের অত্যাচারে সঙ্গমকালে নিহত হয়েছে, শুধু অঢেল অর্থের বিনিময়ে রেহাই পেয়েছেন তিনি। এই সব বীভৎস মুহূর্তের নীরব সাক্ষী সাহিল। নারীদের এমন যন্ত্রণা ত দেখতে, তাদের আর্তনাদ শুনতে ; আর হাতের সারেঙ্গিটিও যেন ছড নােমাত্র বেদনায় ককিয়ে ওঠে। বুকের ঘন ছিড়ে যায় সেই কারুণ্যে। সাহিলের বসন্দরী নগ্নিকার প্রতি কোনও বয়সসাচিত ইচ্ছে তৈরি হয় না, যেটা হয় তা নেহাতই বেদনা, সহমর্মিতা। মালিক আলীসাহেবের সঙ্গে ভারতবর্ষের বহু জায়গায় ঘুরেছে সাহিল, নামী-দামি তওয়াইফ, বেশ্যা, বাইজির শরীর দেখেছে, তাদের কোঠা দেখেছে। দেখতে দেখতে একসময়ে তার মনে হয়েছে জগতের রনারীর শরীরই আসলে একইরকম। বছরের পর বছর আলীসাহেবের বিকৃতি দেখতে দেখ তে একজন পুরুষ হিসেবে নারীশরীর ভােগ করার যে স্বাভাবিক বাসনা সেটাই সমূলে বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে সাহিলের। কিন্তু জীবনে এই প্রথম রূপমঞ্জরীতে এসে ও পুরাে হতভম্ব হয়ে গিয়েছে। এমনও হয়! এ যেন প্রাচীন ভারতবর্ষের এক নগরী। জলজ্যান্ত এক ইতিহাসের মধ্যে ঢুকে পড়েছে ও।…..
……আর মালিক এবার যাকে সঙ্গিনী করেছেন সেই রূপসা নামের মেয়েটিকে দেখেও জীবনে হয়তাে প্রথমবারের জন্য অবাক হয়ে তাকিয়েছে সাহিল। সে যেন পাথর কুঁদে তৈরি করা এক ভাস্কর্য, সহসা প্রাণ পেয়ে জেগে উঠেছে। ত্বক শ্বেতশুভ্র নয়, বরং শ্যামলবরণ। কিন্তু কী তার দীপ্তি! আলাে যেন পিছলে যায়। আর তার থেকেও যা দেখে রীতিমতাে চমকে গিয়েছে সাহিল তা হল রূপসার সঙ্গমকালীন শীৎকার, মালিকের দেওয়া প্রতিটি আঘাতের যে করুণ আর্তনাদ রূপসা প্রতিবার ফিরিয়ে দিয়েছে তা যেন হৃদয়ের উৎস থেকে উৎসারিত। কী নিদারুণ সেই আর্তনাদ অথচ..অথচ কী সুরেলা! ……. মালিক এবং রূপসা যখন সঙ্গমে উত্তাল তখন সাহিল চোখ বুজে সারেঙ্গির তারে মারু বেহাগের আরােহী-অবরােহীতে বিভাের। নিজের শরীরে ঠেস দেওয়া সারেঙ্গির তিলক থেকে সওয়ারি পর্যন্ত যে তারগুলি বিস্তৃত তারা সকলে সাহিলের প্রথম বন্ধু, প্রতিটি স্পর্শকে তারা মেনে চলে।…..