………পাতলা নীল রঙের রাত পােশাক পরা, শিখার শরীরের বাঁধুনি এখনাে এমন চমৎকার যে তাতে অনায়াসে দিব্যি তাকে যুবতী বলা যেতে পারে। যদিও তার মেয়েরই বয়েস উনিশ, ছেলের বয়েস পনেরাে।
আলাে না জ্বেলে সে বেরিয়ে এলাে ঘর থেকে, ঢুকে পড়লাে বাথরুমে। দাঁত মাজার আগেই সে খুলে ফেললাে পােশাক। বেসিনের ওপর দেয়াল জোড়া আয়না। প্রত্যেকদিন প্রথম বাথরুমে এসেই একটা কথা মনে পড়ে। একটা ভয়। এ দেশে মাঝবয়সী মেয়েদের ব্রেস্ট ক্যানসার হয় আকছার। শিখার এক সহকর্মিণীর একটি স্তন অপারেশান করে বাদ দেওয়া হয়েছে গত মাসে। সে কথা ভাবলেই শিখার বুক কেঁপে ওঠে।
শিখা আয়নার সামনে নিজের বুকে হাত দিয়ে টিপে টিপে পরীক্ষা করতে লাগলাে । ডাক্তারের নির্দেশ, কোনাে জায়গা হঠাৎ শক্ত হয়ে গেছে কি না, তা নিজেকেই দেখতে হবে। অনীশকে দেখতে বললে সে ইয়ার্কি করে। শিখার স্তনদুটির গড়ন অনেক মেয়ের কাছেই। ঈর্ষণীয়। প্রায় মিনিট দশেক নিজের বুক পরীক্ষা করার পর শিখা আশ্বস্ত হলাে। সে আয়নাকে বললাে, থ্যাঙ্ক ইউ।……….
……..দুটো-তিনটে হুঁড়ি রাখতে হবে, তারা প্যান্টি আর ব্রা পরে কোমর দুলিয়ে নেচে নেচে দেখিয়ে যাবে। এসব না থাকলে আমেরিকানরা টিকিট কাটবে না।…..
…….সেলিম নির্নিমেষ চোখে তাকিয়ে রইলাে টিনার দিকে।
এর মধ্যে স্নান করে নিয়েছে টিনা, তার চুল এখনও ভেজা। শরীরে শুধু একটা হাউজ কোট জােননা, তার তলায় কিছু নেই। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তার স্তনের রেখা, সেদিকে তাকাতেই অনুভব করা যায় তার ভেতরের নগ্নতা। এ সময় বেসমেন্টে কারুর আসার কথা নয়, টিনা এক-একদিন বাথরুমে স্নান সেরে একেবারে নগ্ন হয়ে। বেরিয়ে এসে বাইরে জামাকাপড় পরে নেয়। এখন তাে তবু সে একটা হাউজ কোট গায়ে রেখেছে………
…….অনীশ টিনাকে চেপে ধরলাে নিজের বুকে। তার রেশমের মতন চুলে ঠোঁট ছোঁয়ালাে। টিনা একটা পােষা বেড়ালের মতন উপভােগ করলাে সেই আদর। এরপর অনীশ দুহাতে টিনার মুখখানি তুলে ধরে আলতাে চুম্বন দিল একবার। টিনার হাউজকোটে বােতাম আটকানাে নেই। সেটা একটু ফাঁক করে দেখলাে টিনার বুক।….টিনা এবার অনীশের হাতের ওপর নিজের হাত রেখে খুব নরম গলায় বললাে, শ্যালিকা হয়ে জামাইবাবুর আদর না পেলে খুব দুঃখ হয়। অনেকদিন আপনি আমাকে আদর করেননি।……..
.