…..বিয়ের মাত্র ছয়মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখনও পূবালীর গা থেকে নতুন বউয়ের গন্ধ যায়নি। নিশান আচমকা ওকে জড়িয়ে ধরেছে। তলপেটের শাড়ি সরিয়ে হাত বোলাচ্ছে নাভির কাছে। শিউরে উঠল পূবালী। এমন আচমকা আদরে হাঁসফাঁস করে বলল, “ছাড়ো ছাড়ো। তুমি না এত জ্বালাও …
নিশান বলল, “আমার বউ, আমি কখন আদর করব তা কি কারোর পারমিশন নিয়ে করব?” দ্রুত হাতে পূবালীর ব্লাউজের হুকগুলো খুলে মুখ ঘষতে শুরু করল নিশান। দুটো পায়রা একসঙ্গে যেন ঝাঁপিয়ে পড়ল নিশানের ঠোঁটের সামনে। পুরুষ মানুষের বন্য আবেদনের সঙ্গে পারবে কেন পূবালী! শুধু এদিক- ওদিক তাকিয়ে দেখে নিল জানলাগুলো বন্ধ আছে কিনা । নিশানের আদরে ওর শরীরেও উষ্ণতা ছড়াচ্ছে। হাতের নুনের কৌটাটা গ্যাসের টেবিলে রেখে দিয়ে নিজেই দুটো হাত দিয়ে আঁকড়ে ধরল নিশানকে। নিশান ওর কানের লতিতে চুমু খেয়ে কানে কানে বলল, “ঘরে চলো। উঁহু ব্লাউজটা খোলা থাক।” পূবালীকে টেনে নিয়ে গেল বিছানায়।
দুটো শরীরে সুতোর অস্তিত্ব নেই। মিশে যাচ্ছে দুটো শরীর। আচমকা চমকে উঠল নিশান। আলতা! আলতা এল কোথা থেকে পূবালীর পায়ে! তাছাড়া পূবালীর গায়ের রং তো বেশ ফর্সা। এই শ্যামলা, নিটোল, আলতা আর নূপুর পরা এ দুটো কার পা?
নিশান পূবালীর পায়ের পাতায় চুমু খেতে গিয়েই শিউরে উঠল। ঘরের লাইটটা জ্বালতেই পূবালী বলল, “লাইট জ্বাললে কেন? ইস্ লজ্জা করছে বন্ধ করো।”
নিখুঁত ছিপছিপে একটা শরীর। গায়ে কোনও পোশাকের চিহ্ন নেই। না, পা দুটোও তো নিরাভরণ। আলতা বা নূপুরের চিহ্ন নেই সেখানে! তাহলে নিশান তখন কার পা দেখল?
শরীরের উত্তেজনা ক্রমশ প্রশমিত হয়ে গেল নিশানের। সেই উষ্ণতা আর নেই। কেমন যেন ঝিমুনি আসছে। বিছানায় ছটফট করছে পূবালী। নিশানের আদরে তার শরীর জেগে উঠেছে। নিশানকে টেনে কাছে নিয়ে এল ও। ঠোঁটে ঠোঁটটা ডুবিয়ে বলল, “কী হল? আদর করতে ইচ্ছে করছে না? সম্পূর্ণ করো প্লিজ।”
নিশান আবারও ভয়ে ভয়ে তাকালো ওর পায়ের দিকে। না আলতা নেই ওর পায়ে। পূবালীকে চুমুতে চুমুতে পাগল করে দিচ্ছিল নিশান। আবারও নিজের শরীরে উষ্ণতা ছড়ানোর আয়োজন। নাভিতে ঠোঁট ঠেকানোর আগেই দেখল একটা লালচে জড়ল। এ জড়ল তো পূবালীর শরীরে নেই! চিৎকার করে উঠল নিশান। “জড়ল কোথা থেকে এল? কে তুমি?”…..