……সংযত, গম্ভীর। তিরিশ বছরের তুলনায় বেশিই মনে হয় সেটা। কিন্তু দোতলার সিড়িতে পা দিলেই আলাদা মেয়ে। লাফিয়ে লাফিয়ে সিড়ি ভাঙে। দুলুনি খায় সারা শরীর, গালের মাংস, কানের দুল, শাড়ির আঁচল ঠেলে ভারী বুকের রেখা।…..
…রান্না শেষ করে সবিতা মিন্টুকে কোলের কাছে নিয়ে তক্তপােশে শােয়। স্তনটা একটু মুখে দিতে না দিতেই ঘুম এসে গেল তার। মিণ্ট, প্রতিদিনের অভ্যেসমতাে ঘুমােবার সময় একটা স্তনকে হাতে ছুয়ে থাকে।….
…সবিতার চোখে যেন মেঘের ছায়া নেমে এল। সুজিতের চিবুক থেকে হাতটা সরিয়ে নিয়ে একটুখানি সময় কি যেন ভেবে নিয়ে সবিতা হঠাৎ উঠে দাড়াল বিছানা থেকে। দরজার কাছে সুইচ বাের্ড। সবিতা ঘরের আলােটাকে নিভিয়ে দিলে। সুজিত প্রায় চমকে উঠেছিল। ভেবেছিল তার প্রতি অভিমান বা ক্রোধ বশতই সবিতা বােধ হয় ঘরের আলাে নিভিয়ে দিয়ে শুতে চলে গেল তার নিজের শােবার ঘরে। হঠাৎ-অন্ধকারে সুজিতের অন্ধের মতাে অবস্থা। সেই সময় কে যেন তার মাথাটাকে দুটো কোমল হাতে চেপে ধরে একটা কিছু নরম জিনিসের ওপর শুইয়ে দিলে। তার কানে এল সবিতার তরল কণ্ঠস্বর। —এবার তাকাতে পারবে তাে? ভীষণ দুষ্ট ছেলে।…..
…..সুজিত তার একটা হাত ধীরে ধীরে সবিতার ঘাড়ের উপরে রাখল। সােনার সরু হারটা নিয়ে আঙুলে নাড়াচাড়া করল কিছুক্ষণ। তারপর ঘাড়ের ওপর চাপ দিয়ে সবিতার মাথাটা নীচের দিকে নামিয়ে আনল। সবিতা কোন বাধা দিল না। অল্প টানেই পুষ্পিত কোন লতার মতো সবিতার মুখটা নেমে এল সুজিতের উচু করে থাকা উন্মুখ ওষ্ঠের দিকে। একটা প্রগাঢ় চুম্বন ওদের দুজনকে কিছুক্ষণের জন্যে একাত্ম ও আলােকিত করে রাখল, ঘরের ভিতরের নিবিড় অন্ধকারে।…..