মেলুহার মৃত্যুঞ্জয়ীগণ – অমীশ ত্রিপাঠি

›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

……তিনি রথের উপরে দাঁড়িয়ে ঘােড়াগুলিকে নিপুণ হাতে চালনা করে নিয়ে আসছিলেন মন্দিরের উঠোনে—তার মহিলা সঙ্গীটি রথের উপরে লােহার বেড়া ধরে দাঁড়িয়েছিল। যদিও তার ঘনকালাে চুলের খোপাটি ছিল নিচের দিকে বাঁধা, কিন্তু অবিন্যস্ত কিছু চুল বাতাসে উড়ছিল যেন কথক নৃত্যের মনােরম ভঙ্গিমায়। তার তীব্র আকর্ষণীয় নীল নয়ন দুটি এবং তামাটে রঙের যেন দেবীদের ঈর্ষার উদ্রেক করছিলাে। তার শরীরটি সংযমীভাবে লম্বা অঙ্গবস্ত্রর দ্বারা আবৃত থাকলেও, অঙ্গবস্ত্রের ভেতরে অঙ্গপ্রত্যঙ্গের অপূর্ব সূক্ষ্ম ভাঁজগুলি শিবের কল্পনার আগুন জ্বালানাের জন্য যথেষ্ট ছিল।….

….তিনি দেখলেন সতী একটা ছােট মঞ্চের উপর নাচছেন। তিনি তাঁর হাত দুটিকে আড়ষ্টভাবে দুদিকে তুলে ধরছিলেন নাচের বিভিন্ন ভঙ্গিমাকে প্রকাশ করার জন্য। নাচের নিয়মানুসারে তিনি তার পদবিন্যাসকে প্রথমে বাঁদিকে এবং তারপর তা ডানদিকে ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। নাচের ভাবৰ্কেপ্রকাশ করার উদ্দেশ্যে তিনি তাঁর সুগঠিত নিতম্ব দুটিকে দুপাশে হেলিয়ে দিচ্ছিলেন, হাত দুটিকে বিশেষভাবে কোমরের দুপাশে রাখছিলেন শিব আবার মুগ্ধ হলেন।….

…..একটা জুটি। তারা যেন তাড়াতাড়িতে আছে। এমনকী তারা কাপড়ও পুরােপুড়ি ছাড়েনি।লােকটার গায়ে অস্বাভাবিক রকমের লােম প্রায় ভালুকের মতাে। এদিক থেকে ছেলেটি তার পেছন দিকটাই শুধু দেখতে পাচ্ছিলাে। মেয়েটার সামনেটা ছিল তার চোখের সামনে। সে ছিল অত্যাশ্চর্য রকমের সুন্দরী! ঢেউ খেলানাে লম্বা ঝকঝকে কেশরাশি। কিছুটা ছেড়া উর্ধাঙ্গের বস্ত্র থেকে উঁকি দিচ্ছিল সুডােল বক্ষদেশ। পাশবিক মৈথুনে ফুটে উঠেছে দাগড়া দাগড়া লাল গভীর ক্ষতচিহ্ন। ফালি ফালি কাপড় সরে গিয়ে দৃশ্যমান হয়েছে সুকুমার টানা টানা পা গুলি। ছেলেটি কল্পনাতীত রকমের উত্তেজিত হয়ে উঠেছিলাে। তার প্রিয় বন্ধু ভদ্রকে এ ব্যাপারটা শােনানাের জন্য তার তর সইছিলাে না। | দৃশ্যটা উপভােগ করতে করতে তার অস্বস্তি বাড়ছিলাে। কোথাও একটা গােলমাল রয়েছে। লােকটা চূড়ান্ত রকমের উত্তেজিত হলেও মেয়েটার তাে কোনরকম প্রতিক্রিয়া চোখে পড়ছে না—প্রায় মড়ার মতােই। দুপাশে হাত দুটো নিজীবভাবে পড়ে আছে। মুখ শক্তভাবে বন্ধ। তার প্রেমিকের কানে কোনরকমের উৎসাহব্যঞ্জক ফিসফিস করে সে বলছে না তাে।……….

Leave a Reply