মার্ডার অন দি হাইওয়ে – জেমস হ্যাডলী চেজ

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  

অনুবাদঃ পৃথ্বীরাজ সেন

…….সে আবার বলতে থাকে, তবে যাই বল ভায়া নীনা মালটা দারুণ খুবসুরৎ, টাইট বুক, ভারী নিতম্ব।……

…….মেয়েটি সােলাে ডােমিনিকোর মেয়ে নীনা ডােমিনিকো। তার আবির্ভাবে হ্যারী যেন ধাক্কা খেল, যেন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হল তার নগ্ন হাত দিয়ে। সে যেন শক খেল। রেন্ডির কথা মনে পড়ে গেল তার। অপরূপ সুন্দরী নীনা। না দেখলে ওর রূপ ঠিক বিচার করা যায় না। বয়স একুশ-বাইশ, তবে তেইশের বেশি নয়। মেয়েটির উচ্চতা গড়পড়তা হলেও দেখলে মনে হয় বেশ লম্বা, বােধ হয় স্লিম ফিগার বলে। পুরুষ্ট বক্ষ যুগল, সুডৌল পা। ঘন কালাে চুল ছড়িয়ে পড়েছে কাঁধের ওপরে। তার চোখে মুখে সাড়া জাগান একটা বন্য লাবণ্য উপছে পড়ছে যেন। তবে এই মুহূর্তে নীনাকে খুবই উত্তেজিত দেখাচ্ছিল।……..

……দরজা পেরিয়ে বাইরে বেরিয়ে এল নীনা এবং হ্যারীর মুখখামুখি এসে দাঁড়াল। তার ভারী নিঃশ্বাস পড়ছিল হ্যারীর বুকে। ম্যাজেন্টা হল্টার নেক ব্লাউজের আড়াল থেকে নিটোল বক্ষযুগল ফেটে বেরিয়ে পড়তে চাইছে। সাদা স্ট্রেচ প্যান্টের আড়ালে ভারী পাছা আর দীঘল পা দুটো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে এখন। ………

…….হঠাৎ নীনা একটা অদ্ভুত কাজ করে বসল, হ্যারীর গালে চড় মারতে যায়, হ্যারী সময় মত একটু সরে দাঁড়াতেই নীনা ব্যালান্স হারিয়ে তার বুকের ওপর আছড়ে পড়ল। আঁটো ব্লাউজের আড়ালে নিটোল বক্ষযুগল হ্যারীর বলিষ্ঠ বুকের ওপরে চেপে বসে। হ্যারীর খুব আরাম লাগছিল। দুহাত দিয়ে তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল, নীনার পাখীর মত নরম বক্ষযুগল হ্যারীর বুকের পেষণে নিষ্পেষিত হতে থাকে।………

…….রেন্ডি কিংবা ম্যানুয়েল কারাের প্রতিই হ্যারীর লক্ষ্য ছিল না, তার একমাত্র লক্ষ্য তখন নীনা। এক সময় তার চোখের সামনে ভেসে উঠল নীনার শরীর। লাল হল্টার নেক ব্লাউজের আড়াল থেকে ওর নিটোল গােল বক্ষযুগল ফেটে বেরিয়ে পড়তে চাইছে, সাদা প্যান্টের আড়ালে ভারী পাছা আর দীঘল পা দুটো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।……….

………নীনার পরনে লাল বিকিনি, হাতে তােয়ালে। একটু জোরে পা চালিয়ে সী-বীচের দিকে নীনাকে এগিয়ে যেতে দেখে হ্যারীর বুকটা কেমন মােচড় দিয়ে উঠল। দৃশ্যটা সত্যিই বড় স্পর্শ করে। ব্রা-বিহীন নীনার স্তনজোড়া এবং ভারী নিতম্বের দোলদোলানি দেখে তার দেহের উত্তাপ হঠাৎ যেন বেড়ে গেল। অনিচ্ছা সত্ত্বেও নীনার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিয়ে হ্যারী এবার কেবিনে গিয়ে প্রবেশ করল পােষাক পরিবর্তন করার জন্য। ……..

……..ওদিকে নীনা একটি টেবিলের সামনে চারজন পুরুষের সঙ্গে হাসিঠাট্টা করতে মশগুল। ওর পরনে ছিল স্কারলেট পাজামা স্যুট, পুরুষদের দৃষ্টি পড়েছিল ওর উদ্ধত যৌবনের প্রতীক স্তনজোড়ার ওপরে। তাদের চোখের তারায় সেই ভাবই ছিল।………..

……….এদিকে নীনা তাকে কাছে টেনে নিয়ে তার ঠোটে ওর ঠোট দুটি চেপে ধরে। চুম্বন অতি দীর্ঘায়ত হয় হ্যারীর শত আপত্তি সত্ত্বেও। তারপর হঠাৎ হ্যারীকে ছেড়ে দিয়ে নিজের পায়জামা টপ এবং ট্রাউজার খুলে ফেলে সম্পূর্ণ বিবস্ত্র হয়ে দাঁড়াল হ্যারীর সামনে। তারপর হ্যারীর দিকে ঝুঁকে পড়ে নিজের হাতে তার জামা এবং ট্রাউজারেব বােতাম খুলে দিয়ে তাকে বিবস্ত্র হতে বাধ্য করল। হ্যারী বাধা দেবার চেষ্টা করেও সফল হতে পারে নি। নীনা তখন হ্যারির মুখটা ওর পাহাড়ের চূড়ার মত সুউচ্চ একজোড়া স্তনের মাঝে চেপে ধরেছিল আর তখনি হ্যারীর সব বাধাআপত্তি ভেঙে রেনু রেনু হয়ে খুঁড়িয়ে পড়েছিল। হ্যারী শেষ পর্যন্ত নীনার কাছে নিজেকে সমর্পণ করতে বাধ্য হয়েছিল। তার উষ্ণ নম্র হাতের ছোঁয়ায় নীনা বার বার শিউরে ওঠে। নীনা ধীরে ধীরে সুডৌল পা দুটো ভালাে করে দুপাশে ছড়িয়ে দেয় যাতে ওর নগ্ন শরীরে সে তার হাতের ছোঁয়াটা আরও স্পষ্ট অনুভব করতে পারে। নীনা বুঝতে পারে হ্যারী আর নিজেকে ধরে রাখতে পারছে না। নীনা ওর স্তনবৃন্তের চারপাশে অনুভব করলাে তার দাঁতের নিষ্পেষণ, সমস্ত শরীর ছেয়ে ধীরে ধীরে ছলকে ওঠে উষ্ণ রক্তস্রোত। নীনা অনুভব করলাে তার রক্তের স্পন্দন, হ্যারীর নগ্ন দেহটা তখন ওর নগ্ন দেহতটে প্রতিটি কুলে উপকূলে আছড়ে পড়ছিল। হ্যারীর সমস্ত শরীরটাকে শক্ত করে আঁকড়ে কয়েক মুহূর্তের জন্যে ও অনুভব করলাে বিপুল শিহরণ, তারপর সবকিছু ধীরে ধীরে কেমন যেন শিথিল হয়ে গেল।………

…… ঠিক সেই মুহূর্তে নীনার ডাক শুনে চমকে ফিরে তাকায় হ্যারী। নীনা তখন ওর দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। পরনে এক চিলতে ব্রা, হ্রস্ব নাইলনের স্বচ্ছ প্যান্টি, দুই উরুর সন্ধিস্থলের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উদ্ভাসিত, প্রতিফলিত। নীনাকে দেখে হ্যারীর দেহের রক্ত যেন চমকে উঠলাে। নীনার আহ্বান সে অস্বীকার করতে না পেরে পায়ে পায়ে কখন যে সে নীনার ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল সে খেয়াল তার ছিল না। সম্বিৎ ফিরে পেলাে সে নীনাকে ওর দেহের ওপর থেকে পােষাকগুলাে এক এক করে তার চোখের সামনে খুলে ফেলতে দেখে। নীনা তখন সম্পূর্ণ নগ্ন। হয়ে দু’হাত বাড়িয়ে আহ্বান জানাচ্ছে তাকে ওর কাছে যেতে।

হ্যারীর ইচ্ছা হলাে নীনার আহ্বানে সাড়া দিতে কিন্তু দারুণ ভয় পেলাে একটু আগে সােলার হিংস্র চাহনির কথা মনে করে। হ্যারী চোখ ফিরিয়ে নিল নীনার দিক থেকে। তারপর কৃত্রিম অনীহা প্রকাশ করে বললাে, আমি বরং বাইরে অপেক্ষা করছি। তুমি সাঁতারের পােষাক পরে বেরিয়ে এসাে। সী বীচে তােমার জন্য অপেক্ষা করবাে।

একটু পরে নীনা এসে সমুদ্রে হ্যারীর সঙ্গে যােগ দেয়। জলের তলায় হ্যারী নীনার স্তনবৃন্তে মৃদু চাপ দিয়ে বলল, ‘গতকালের মিলনের দৃশ্য তােমার বাবা দেখেছে। তার কথার ঝাঝ শুনে মনে হল, ভীষণ চটে গেছে সে। অতএব ‘তাহলে আবার কখন আমরা …’ আগামী রবিবার তােমার সঙ্গে শেলডন দ্বীপে গেলে কেমন হয়?

চমৎকার আইডিয়া। ঘন্টার পর ঘণ্টা আমরা মিলনে প্রবৃত্ত হতে পারব সেখানে। বাবার রক্তচক্ষু আর আমাদের দেখতে হবে না। আগামী রবিবাব…..শেলডন দ্বীপ, তুমি আর আমি কেবল সেখানে।…………..

……..নক্ করতেই দরজা খুলে যায়। সামনে দাড়িয়ে গােলডি হােয়াইট। বেহায়া মেয়েটা কমলা রঙ এর সােয়েটার-এর নীচে ওর বেঢপ স্তনজোড়া তার নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুলে উঠছিল, উরু দেখানাের জন্য মিনিস্কার্ট পরেছে। চোখে বিলােল কটাক্ষ হেনে গােলডি বলে, বিজনেসের কথা পরে হবে, তােমাকে দেখে ভীষণ ঘেমে গেছি। এসাে আমাকে একটু ঠাণ্ডা করে দাও। সােয়েটার খােলার সঙ্গে সঙ্গে তার বেঢপ স্তন দুটি ঝুলে পড়ে। লেপস্কি আর স্থির থাকতে না পেরে গােলডির বাম গালে একটা চড় কষিয়ে দেয়। ………

……..হ্যারীকে দেখে ক্যারল ভাবে, কি সুন্দর লম্বা চওড়া শক্ত সমর্থ চেহারার পুরুষ। ওকে আজ আমার বিছানার সঙ্গী করলে কেমন হয়। ক্যারল নিজের মনে ভাবতে থাকে, একটু পরেই হ্যারী আমার গা থেকে পােষাক ব্রা, প্যান্টি সব কিছু টেনে খুলে ফেলবে, তার পরেই ও আমার দেহটা খুশী মতাে ব্যবহার করবে। আমি সেই উত্তেজনায় আনন্দে চীৎকার করে উঠবাে।……..

Leave a Reply