মপাসাঁ রচনাবলী – অনুবাদঃ সুধাংশরঞ্জন ঘোষ

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

তার পুত্র

…….ওখানকার মেয়েরা বেশ সুন্দরী আর স্বাস্থ্যবতী, গায়ের রং বেশ উজ্জ্বল। মেয়েদের বুকগুলো একধরনের কাঁচুলি দিয়ে এমনভাবে জোর করে বাঁধা থাকে যে ওদের বুকে স্তন আছে  তা বােঝাই যায় না। ওদের মাথার চুলগুলো চড়ার আকারে উচু করে সোনালী ফিতে দিয়ে বাঁধা থাকে আর তার উপর অদ্ভূত ধরনের এক টুপী পরে।……

গোলাকার মহিলা

……..কবদেতের পাশে ছিল একটি মোটা মেয়ে। বয়সের অনুপাতে সে খুব মােটা হয়ে পড়েছিল। তাকে সবাই বলত গােলাকার মহিলা। তার বিশাল স্তনযুগলের জন্য বুকটা খুব স্ফীত দেখাচ্ছিল বডিসের তলায়। পৃথুলাঙ্গী হলেও তাকে সুন্দরী বলা যায়। তার চেহারা সত্যিই মনোরম। মুখটা ঠিক টাটকা ফুলের মত তাজা। তার লাল ঠোট দুটো চুম্বনের ইচ্ছা জাগায়। তার দাঁতগুলো ছোট ছোট আর খুব উজ্জ্বল। …………

মিস হ্যারিয়েট

…….আমি কত সময় খালের ধারে গরুর গোয়ালের পিছনে ও খড়ের গাদার উপরে শুয়ে বিশ্রাম করেছি। মোটা কাপড়ে ঢাকা কত বলিষ্ঠ মেয়ের নিটোল অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দেখে মগ্ধ হয়েছি। আজও তাদের কত চুম্বনের স্মৃতি অনািগোনা করে আমার মনকে।তাদের সেই অকুণ্ঠ অকপট চুম্বনের সহজ সরল ও স্থল আনন্দ শহরে সন্দরীদের। | চুম্বনের সক্ষম আনন্দের থেকে অনেক ভাল।………

প্রেমাসক্তি

…….আমাদের ভালােবাসতে দাও রমণী-দেহের সেই মাংসল অংশ, যা সুন্দর, শুভ্র ও বতুলাকার, যা চুম্বন করতে অথবা, হাত দিয়ে স্পর্শ করতে অনাবিল সুখ আর সুখ! …….

………মাদাম দ্য গ্ৰাথারি কাদছে। স্ফটিকের মতন অশ্রুর বিন্দুতে তার রমণমুখ আরাে রমণীয়। চোখ না মুছেই সে বলে, বন্ধু, আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমার ভীষণ ক্ষতি হয়েছে। 

সব বলছি। আগে আমার বুকে হাত রেখে দেখ, হৃদপিণ্ডটা ধক ধক করছে।’ বলেই বেরােনেস মারকিউসের একখানা হাত এনে তার বুকের ওপর চেপে ধরে। যুবতীর সুরক্ষিত পুরুষ্ঠু পরিপূর্ণ বুক, যা অধিকাংশ পুরুষ শুধু কামনাই করে থাকে, একবার ভাবেও না-ঐ বুকের তলায় কি লুকিয়ে আছে। বেয়ােনেসের হৃদপিণ্ড সত্যি চঞ্চল, অতি দ্রুত ওঠা-নামা করছে।……….

জনক

এই সময় তাদের মধ্যে কি যে হলাে। তারা জাগতিক বাধা নিষেধ, সংস্কার ভুলে যাচ্ছে। ক্রমশঃ ঘনিষ্ঠ হতে হতে এক সময় ওরা একে অপরকে স্পর্শ করে, তারপরই আলিঙ্গন-সেই বাধন ক্রমেই নিবিড় হয়, দৃঢ় হয়, এটি দেহ সমান্তরাল হয়ে ঘাসের বুকে আশ্রয় নেয়, ঠোটের মধ্যে ঠোট ডুবিয়ে অজস্র চুম্বন…আর কিছু চিন্তা করৰার শক্তিও তাদের নাই। এখন সমর্পণের অপ্রতিরােধ্য। লুসি নিজেই ফ্রানসােসকে বুকের ওপর টেনে এনেছে, তার অনাবৃত বুকের মধু স্বাদ’মেলে ধরেছে। কোথায় উবে গেল লুসির সেই ভয়, যুক্তি ও সকত। উত্তপ্ত কামনার দাবদাহে অলে-পুড়ে খাক হয়ে যাচ্ছে সে। ফ্রানসোস তাকে নিশেষে উপভােগ করছে।…….

মানােকা

……..বুক অব্দি জলে ডুবিয়ে স্নান করছে এক নগ্ন দীর্ঘাঙ্গী সুন্দরী। এই জ্বালাময় নির্জন সময়ে ঐ দৃশ্য ! সুন্দরীর সামনেটা সমুদ্রের দিকে, আমাকে সে এখন দেখতে পায়নি, গােটা দেহটাকে ঢেউয়ের তালে তালে দোলাচ্ছে, স্বচ্ছ জলের নীচে তার হিপ্পোলিত নগ্ন দেহ—পুলকে রোমাঞ্চিত আমি উপভােগ করছি এই বিরল দৃশ্য। পাথরে ক্ষোদিত এ এক অনুপম দেহলতা।……….

….মারােকা তার স্নানের সময় বদলে প্রতি দুপুরে দিবানিদ্রার সময় আমার আস্তানায় আসতে শুরু করে দিল। সেও নাকি এখানে ঘুমােবে! আর সেই ঘুমের কী বাহার! বড় ছটফটে মেয়ে, কামের তাগিদে পশুপ্রায়। চোখ দুটো কামনায় জ্বল জ্বল করে, ঈষৎ উন্মুক্ত মুখগহ্বর, তীক্ষ দাত, শাণিত হাসি, প্রেমে ডগমগ। স্তনযুগল অতুলনীয়, শব্দের মতন তীক্ষ্ণমুখ, কামনায় পাশবিক শক্তির বহিঃপ্রকাশ, মিলন পদ্ধতিতে অনেকটা নিকৃষ্ট রুচির, কিন্তু বড় আনন্দদায়ক, স্বৈরিণী কার্যকলাপের জন্যই বুঝি ওর এমন অটুট যৌবন। ওর সঙ্গে তুলনা করা চলে কামনার দেবীদের, মনে কোন জটিলতা নেই, সরল অঙ্কের মতন মানসিকতা, প্রাণ খুলে হাসতে পারে, অবলীলায় চোখের সামনে নগ্ন হয়ে দাড়ায়, নিজের গর্বের যৌবন দেখিয়ে তার উল্লাস, আমাকে নিয়ে সে ঘরময় গড়াগড়ি খায়, লাফালাফি ঝাপাঝাপি করে, তারপর এক সময় শ্রান্তি এলে ঘুমের অতলান্তে নিশ্চিন্তে তলিয়ে যায়, তার বাদামী চামড়ার ওপর ফোটা ফোটা ঘামের দিকে আমি চেয়ে থাকি।

কোন কোন সন্ধ্যায় তার স্বামী বাড়ি থাকতাে না, সেই সুযােগে সে ছুটে আসত আমার কাছে, ন্যাড়া ছাদে আমরা শয্যা পাততুম। আমরা দুজনেই তখন পােষাকে আদম ও ইভ। রাত যদি হতাে পূনিমা, আমরা চাঁদের থৈ থৈ আলােতে ভাসতাম ; দেখতে পেতাম, অন্যান্য বাড়িগুলির ছাদেও দলে দলে লােক উঠে আসছে, শুয়ে পড়ছে আকাশ ও চাদের দিকে চেয়ে। চাদের আলাে স্পষ্ট। আফ্রিকার পূর্নিমারাত অত্যন্ত উজ্জ্বল। অথচ সেই উজ্জ্বল আলােকে মায়ােকার বিচিত্র বায়না, আমি তাকে নিজের হাতে ধীরে ধীরে বিবস্ত্র করি। অথচ, এ কাজ ঐ ছাদে শুয়ে করতে গেলে ভয়ের কারণ ছিল,—চাদের আলােতে যে কেউ আমাদের ঐ নগ্নরূপ ও স্বৈরাচার আবিষ্কার করে ফেলতে পারতাে।………

……এই অজানা ঘরে ঢুকে উলঙ্গ হতে কোথায় যেন একটা সংকোচ ও ভয়, কিছুতেই উত্তেজনায় পৌরুষ আমার জেগে উঠতে পারছে না। কিন্তু মানােকা তাকে না জাগিয়ে ছাড়বেই না, আমাকে এক রকম জোর করে নগ্ন করে, নিজেও বিবস্ত্র হয়, তারপর পােষাকগুলি দলা পাকিয়ে পাশের ঘরে রেখে আসে। ক্রমশ সাহস ও উত্তেজনা ফিরে পেলাম। বহুক্ষণ ধরে আমার বলিষ্ঠ পৌরুষ মায়ােকার ওপর নিজের সক্ষমতা প্রমাণ করলাে। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চললাে আমাদের এই দৈহিক উল্লাস। আশ্চর্য এই যে, এরপরও কিন্তু আমর ক্লান্ত হয়ে পড়লাম না।…….. চুমু খাচ্ছে ওরা বুঝতে পারলুম। মায়ােকার নগ্ন দেহটাকে খুব চটকাচ্ছে, বুঝতে পারছি।……..

বিপদ

…….আস্তে আস্তে কাউন্টেস তার শরীর থেকে একে একে পােশাকগুলিকে মুক্তি দিতে থাকে। দেখা গেল অনাবৃত তার দীর্ঘ বাহু ও মসৃণ কাধ তারপর চুল খুলবার জন্য মাথায় হাত দিতেই লােভনীয় একজোড়া স্তন-বৃত্ত দৃষ্ট হয়। তপ্ত শরীর নিয়ে কাউণ্ট তার দিকে এগিয়ে এলাে এক পা ।………

বিদায়

……..জলের ধারে গিয়ে বসলে সুন্দরীদের স্নান দেখা যায়। কিন্তু ঐ ঢালু জায়গায় নেমে স্নান করা নেশ দূহ। এর জন্য আলাদা এলেম থাকা দরকার। ঢেউয়ের উত্থান পতনে সুন্দরীদের অবয়ব স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ভীষণ ঠাণ্ডা লােনা জলের তলায় তাদের পাসের ডিম থেকে শুরু করে ঠোট অব্দি দেখা যায়।

আমি প্রথম ঐ জলে যুবতীটিকে আবিষ্কার করেছিলাম এবং তার শারীরিক লালিত্য, দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। সে দাড়িয়েছিল বিজয়িনীর ভঙ্গীতে । এই এক নারী, যার জন্মই বুঝি ভালােবাসা আদায়ের জন্য। মুহুর্তে আমার বুকের ভেতরটা কেঁপে ওঠে, আমি আবেগে আপ্লুত।………..

যােশেফ

………“হাঁ, দারুণ মজার খেলা এটি, দারুণ মজা ! লােকেরা বলে থাকে, চাকরবাকররা এসব দেখে না। সেও দেখতাে না। কিন্তু আমি তাকে রেহাই দেইনি। প্রত্যেকদিন সকালে আমার চাকরাণী যখন আমাকে কাপড় পরাত, আমি বেল বাজিয়ে তাকে সেখানে হাজির করতাম, কিছু নির্দেশ দিতাম। আবার প্রতি রাতে যখন চাকরাণী একে একে আমার শরীর থেকে জামাকাপড় গুলি খুলে ফেলতো, আমি ওকে আমার ঘরে ডেকে এনে নিজের নগ্নরূপ দেখাতাম ”……….

…….আমি খালি তাকে বললাম, আমি অসুস্থ বােধ করছি এবং সে যেন আমাকে কোলে করে নিয়ে ঘাসের বুকে শুইয়ে দেয়। সে শুইয়ে দেবার পর শ্বাসকষ্টের হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য তাকে বললাম, আমার পােশাকের ফিতাটা আলগা করে দিতে। ফিতাটা আলগা হবার সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞান হারালাম।”…………

দানবদের মাতা

তবু শস্যকাটার এক মরশুমী রাতে, এই সব ভাগ্যহীন অসহায় মেয়েদের কপালে যা ঘটে থাকে, তারও তেমন এক অভিজ্ঞতা হলাে। আকাশে তখন ঝড়ের পূর্বাভাষ, নিথর বাতাসে হলকা, মেয়েটিকে শুইয়ে ফেলা হয়েছে পাকা শস্যের গাদায় এবং সে প্রথম অসহ্য যৌনস্বাদ অনুভব করছে ; তার এবং পুরুষটির ঘন ঘন আন্দোলিত শরীর ঘামের বন্যায় টস টসে।……..

মডেল

……পিয়ের তার লাল গালটা চুলকাতে চুলকাতে বললাে, “কাল আমি শিগালে যাবে। বিশ্বাস কর, ওখানকার মডেলরা যে কী সুন্দরী ! পাকা আপেলের মতন বুক আর নেসপাতির মতন পাছা।”……

মার্টিনের মেয়েটি

………..শেষে মেয়েটি তার চোখে পড়ল। দুটি আপেল গাছের ওপরে টাঙানাে একটা দড়িতে সে কাচা জাম। শুকোবার জন্যে ঝুলিয়ে দিচ্ছিল। | বেশ গরম থাকায় মেয়েটি একটা শ্যেমিজ আর ছােট পেটিকোট ছাড়া আর সব খুলে ফেলেছিল। সেই অর্ধনগ্ন অবস্থায় সে জামাগুলি ক্লিপ খুলে-খুলে | টেনে তুলছিল বলেই তার দেহের বেশ কিছুটা অনাবৃত অংশ বাইরে থেকে দেখা যাচ্ছিল।………..

শেলী

……..“ঘরে ঢুকে দেখি দেওয়ালে হেলান দিয়ে সার বেঁধে দাড়িয়ে আছে ছােট ছােট ছ’টি মেয়ে—যেন ছয় টুকরাে মাংস কাবাব করবার জন্য শিকের গায়ে গেঁথে রাখা হয়েছে। সব চেয়ে বড়টি খুব সম্ভব বছর দশেকের, এবং সবচেয়ে ছােটটির বয়স আট বছর হবে। আমার ঘরে কেন এই বালিকা বিদ্যালয় বসে গেল, প্রথম চোটে ধরতে পারি নি, তারপরই অবশ্য রাজার সূক্ষ্ম বিবেচনাশক্তি উপলব্ধি করলাম। তিনি আমাকে একটি হারেম উপহার দিয়েছেন, এবং চরম উদারতার বশে কচি বয়সই পছন্দ করেছেন। ওদেশে ফল যত কঁচা, তার কদর তত বেশি।……..

Leave a Reply