ভ্যালেন্টাইন লাভার – ভারতী এস. প্রধান

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› ১৮+  

অনুবাদঃ আবু আযহার

এক

মমম! ৭৪ কেজি ওজনের ব্যয়ামপুষ্ট দেহটা ওর দৃঢ়, সুউন্নত দুই স্তনের উপত্যকায় নেতিয়ে পড়ে আছে। একটু একটু করে দম ফিরে আসছে তার। জঘন্য! দুই ঊরুসন্ধির গভীরে একটা চাপা ব্যথার অনুভূতি। কল্পনায় নিজের দুই স্তনের সর্বত্র নীল ও লাল রঙের ছোপ ছোপ দাগ দেখতে পেলো সুস্মিতা। এক হাতে স্তনের বোঁটা ছুঁয়ে দেখল-জায়গামত আছে তো? আছে! অতন্দ্র প্রহরীর মতো খাড়া হয়ে আছে। স্বপ্নালু ভঙ্গিতে চাপা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল সুস্মিতা। ওর মৃদু নড়াচড়ায় সচকিত হলো যুবক, অলস ভঙ্গিতে মাথা তুলে মৃদু হাসল । তার মুখ এগিয়ে নিয়ে এলো, জিভ দিয়ে ওর ঠোট ফাঁক করে মুখের মধ্যে ভরে দিল। নিজের মুখ দিয়ে সুস্মিতার পুরো মুখ ঢেকে ফেলল, মৃদু মৃদু কামড় দিয়ে আবার ওকে জাগিয়ে তুলতে শুরু করল । চোখ মুদে ফেলল সুস্মিতা, নিজেকে তার হাতে পুরোপুরি সঁপে দিল। | এক হাতে ওর ডান স্তন মুঠো করে ধরল সে, আবেশে সুস্মিতার পিঠ বাঁকা গয়ে গেল। ঠোট মুক্ত করে দিয়ে অন্য হাতটা ঘাড়ের নিচ দিয়ে ধীরে ধীরে ঘুরিয়ে এনে ওর দ্বিতীয় স্তন মুঠো করে ধরল। উত্তেজিত হয়ে উঠতে লাগল সুস্মিতা, যুবকের মুখ স্তনের উদ্ধত বোঁটার উপর টেনে নিয়ে এল। বাঁধনহারা হয়ে গেল সে-খেলা করতে লাগল ও দু’টো নিয়ে। অসহ্য আবেগে চিৎকার করে ওঠার অবস্থা হলো সুস্মিতার ।
উত্তেজনার শিখরে না পৌঁছানাে পর্যন্ত খেলা চালিয়ে গেল লোকটা, তারপর দ্বিতীয়বারের মতো প্রবেশ করল ওর অভ্যন্তরে। ব্যথা আর প্রচণ্ড উচ্ছ্বাসে চিৎকার করে উঠল সুস্মিতা, বহুবার অনুশীলন করা অর্কেস্ট্রার মতো তার দেহের ছন্দের সাথে সমানতালে নিজেকেও দোলাতে লাগল। লোকটা ওকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরে রেখেছে, ক্রমে ওর গভীর থেকে আরও গভীরে ঢুকে যাচ্ছে। এক সময় গুঙিয়ে উঠল সে।……..

ছয়

……ওকে বুকের সঙ্গে পিষে ফেলার জোগাড় করল জয়, ওর চুলের মধ্যে আঙুল চালিয়ে দিয়ে খেলা করতে লাগল। সুসু টের পেল ওর দু’ গাল ক্রমে লাল হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এক হাতে সুসুর থুতনি উঁচু করে ধরে ওর মুখের কাছে মুখ নিয়ে এল জয়, খুব কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করছে। আঙুল বোলাচ্ছে ওর ঠোটের কিনারায়।….
….কলেজ জীবনের কোন আনাড়ী সহপাঠী নয়, সত্যিকারের এক অভিজ্ঞ পুরুষ জীবনে এই প্রথম চুমু খাচ্ছে ওকে, কাজেই সুসুও সাড়া দেয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করল। অনাবিল এক আনন্দে পাগল হওয়ার দশা হলো ওর।
জয়ের হাত দুঃসাহসী হয়ে উঠতে লাগল, সুসুর ড্রেসের বড় গলার ফাঁক গলে ঢুকে গেল ভেতরে। সুসুর উদ্ধত স্তন ও কামনায় দৃঢ় হয়ে ওঠা একজোড়া বোঁটার ছোঁয়া পেয়ে গুঙিয়ে উঠল ও। ও মাই গড, সুস। তুমি এত সুন্দর! ওকে একটা কর্নার সীটে বসিয়ে ক্ষুধার্তের মত ঝাপিয়ে পড়ল জয়। ওর মুখে ঘাড়ে চুমো খেতে খেতে এক হাতে ওর স্তনের বোঁটায় মৃদু চাপ দিল, অন্য হাত ভরে দিল ওর স্কার্টের মধ্যে। টের পেল দুই উরুর মাঝখানটা ভিজে উঠেছে। গাড়িতে চলো!’  হাত ধরাধরি করে এগোল দু’জন। সুসুর মনে হলো ও কোন স্বপ্নের ঘঘারে ভাসছে যেন। দ্রুত রিজেন্টস পার্কের কাছে পৌছে জীপ পার্ক করল জয়। সঙ্গে সঙ্গে সুসুকে অবাক করে দিয়ে সিডি প্লেয়ারে বেজে উঠল ওর প্রিয় “ক্যাহনা কেয়া হ্যায় | ‘তোমার প্রিয় “বম্বে” নাম্বার,’ বলে হাসল জয়। একটা ডায়মন্ডের আংটি সুসুর অনামিকায় পরিয়ে দেয়ার ফাঁকে আবার বলল, এটা আমার বধূর জন্য।’
আংটি পরানাে শেষ হতে ওকে দু’হাতে তুলে নিয়ে এসে পিছনের ফুটবোর্ডে শুইয়ে দিল জয়। ওর চোখে-ঠোটে চুমো খেতে লাগল ব্যাগ হয়ে। “ক্যাহনা কেয়া হ্যায়,” সিডিতে বাজছে তখন, “ইয়ে নায়ি এক আনজানসে জো মিলে ” সুসু চিত হয়ে শুয়ে আবছাভাবে সাদা রঙের কয়েকটা উঁচু বিল্ডিং দেখতে পেল, প্রহরীর মত অনড় দাঁড়িয়ে নীরবে ওদের ভালবাসা অবলোকন করছে। | ব্যাস্ত হাতে সুসুর ব্লাউজ খুলল জয়, পলকহীন চোখে ওর দুধসাদা, উদ্ধত স্তনজোড়ার দিকে তাকিয়ে থাকল। সুস, মাই লাভ,’ গুঙিয়ে উঠে ওর গোলাপী বোঁটায় চুমো দিল। সুসুও হাত বাড়িয়ে জয়ের কোট ও শার্ট খুলে ফেলল যাতে ওর রোমশ বুকে মুখ ডলতে পারে। | “আরমান নায়ে অ্যায়সে দিল মে খিলে,” গেয়ে চলেছে গায়িকা, “জিনকো কাভি ম্যায় না জার্ন | দুই উরুর মাঝখানে জয়ের ঠোট ও জিভের ছোঁয়া পেয়ে শিউরে উঠল সুসু, ওর মনে হলো নতুন এক জগতে ভেসে চলেছে। কিছুক্ষণ পর আনন্দে চাপা কণ্ঠে চেঁচিয়ে উঠল ও, পিঠ বাঁকা হয়ে গেল।
“কেয়া নাম পুঁ, ক্যায়সে উনহে ম্যায় পুকারু গাইছে গায়িকা। এদিকে জয় ওকে দু হাতে জড়িয়ে ধরে একের পর এক চুমো দিয়ে চলল, একই সঙ্গে ঢুকে পড়ল ওর ভেতরে। আরেকবার চেচিয়ে উঠে জয়কে সজোরে আঁকড়ে ধরল সুসু, ওর তীক্ষ্ণ নখ গেঁথে গেল জয়ের পিঠের মাংসে। গড, ব্যথা এত আনন্দের হয় কি করে? ভাবল ও।
শেষ মুহূর্তে ক্লান্তি আর প্রচণ্ড উচ্ছাসে গলার ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরেকবার চিৎকার করে উঠল সুসু। জয়ও নেতিয়ে পড়ল ওর বুকের ওপর। একটু পর আবার তৎপর হয়ে উঠল জয়, সুসুও বিনা বাধায় ওকে গ্রহন করল। ঝড় শান্ত হলে জয় বারবার বলতে লাগল, আই লাভ ইউ, মিসেস জয় কুমার রেড্ডি। আই লাভ ইউ।’
বেশ কিছু সময় পর উঠে বসে ওকে ড্রেস পরতে সাহায্য করল জয় । কাপড় পরা শেষ হতে সুসুর দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবল ও। জানতে চাইল, এই প্রথমবার, ডার্লিং?
মাথা দোলাল সুসু, জয়ের বুকে মুখ লুকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদতে শুরু করে দিল। “ঠিক আছে, ডার্লিং, ঠিক আছে, ওর মাথায়-পিঠে হাত বুলিয়ে নিশ্চয়তা দেয়ার সুরে বারবার স্বান্ত্বনা দিতে লাগল, আমি বুঝতে পেরেছি, সুস। আমি বুঝতে পেরেছি। কিন্তু এ নিয়ে তোমার ঘাবড়বার কোন কারণ নেই, ডার্লিং। আমি তো তোমার স্বামীর মতই। খুব শীঘি বিয়ে করব আমরা, আই প্রমিজ। | সুসু শান্ত হতে দু’হাতে ওর মুখ তুলে ধরল জয়। তুমি খুব সুন্দর, ডার্লিং। এবার হাসাে দেখি!’ ওর স্বান্তনায় নিশ্চিত হয়ে হাসল সুসু।
‘জয়, মনে হয় ব্যাকসীটের অবস্থা খারাপ করে ফেলেছি। ‘সেসব নিয়ে তোমাতে ভাবতে হবে না, আমি দেখব।’ ……..

নয়

…..ওর কুর্তার বোতাম খুলে রোমশ বুকে হাত বোলাতে লাগল সুসু। এক অদ্ভুত অনুভূতি জাগল। জায়গাটাকে অনেক নিরাপদ, অনেক উষ্ণ মনে হতে তার মধ্যে মুখ লুকাল। জয় তার ড্রেসের বোতাম খুলতে শুরু করেছে টের পেয়ে আবেশে চোখ বুজে মুখ উঁচু করে এগিয়ে দিল। লোকটার চুমো ভারি অদ্ভুত। প্রথমে নিচের ঠোট মুখে নিয়ে চুষতে শুরু করে, তারপর ওপরের ঠোট। সবশেষে পুরো মুখ, জিভ চুষে ওর সম্পূর্ণ বোধশক্তি অবশ করে ফেলে। ধীরে ধীরে ওকে পাগল করে তোলে লোকটা।
হঠাৎ ডােরবেল বেজে উঠতে বিরক্ত হয়ে উঠে বসল জয়। এই অসময়ে কে এল ঝামেলা বাধাতে? ……
…….পুরো এক গ্লাস এইভাবে খেল সে। তারপর সুসুর বিয়ের চোলি খুলে ফেলল। ওর দুই সুন্দর, অনাবৃত স্তন ঠাণ্ডা শ্যাম্পেনে ভিজিয়ে পানীয়টুকু চুষে খেতে লাগল। একটু পর অস্থির হয়ে উঠল সুসু। বারবার বলতে লাগল, কি করছ তুমি, জয়? কি করছ তুমি?’ | মানুষটা ওর মধ্যে ঢুকে পড়েছে বুঝতে পেরে গলা দিয়ে তীব্র শিকার বেরিয়ে এল।…….

বার

……..সুসুর কোমর ধরে লিফটের দিকে চলল ও। ভেতরে ওরা ছাড়া আর কেউ নেই দেখে দরজা বন্ধ হওয়ামাত্র সুসুকে টান মেরে বুকের ওপর এনে ফেলল। বুভুক্ষের মত চুমো খেতে লাগল। ড্রেসের নিচে হাত ভরে দিয়ে জোরে চাপ দিল ওর বুকে। কিন্তু দরজা খােলা শুরু হতেই সম্পূর্ণ ভদ্রলোক বনে গেল সে। …..। জয়-সুসু ফ্লোরে পা রাখতেই তাদের একজন এসে একটা কাচের এনক্লোজারে পৌছে দিয়ে গেল ওদের। এনক্লোজারে ওরা ছাড়া আর কেউ নেই বুঝতে পেরে সুসুর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল জয়। ……ড্রেসের মধ্যে এক হাত ভরে দিয়ে সুসুর বুকে চাপতে লাগল সে, অন্য হাত স্কার্টের মধ্যে ভরে দিয়েছে। হাঁপাচ্ছে শব্দ করে। সুসুর প্যান্টি টেনে নামিয়ে ফেলল সে, সুসুকে দেয়ালে পিঠ দিয়ে দাঁড় করাল, এবং সেখানে দাঁড়িয়েই মিলিত হলো। আবেশে চোখ বুজে এল, একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে জয়কে আরও কাছে টেনে নিয়ে ঠোট দিয়ে ওর মুখ খুঁজতে লাগল।
‘ওহ, জয়!’ প্রচণ্ড আবেগ আর উচ্ছাসে চিৎকার করে উঠতে ইচ্ছা করছে সুসুর, মনে হলো বোধহয় পাগল হয়ে যাবে ও। আগে কখনও নিজেকে এত সেক্সি মনে হয়নি। সেদিন অনেক রাতে হােটেল সুইটে ফিরল জুয় আর সুসু। কিন্তু জয়ের মধ্যে বিশ্রাম নেয়ার কোন লক্ষণ নেই, ও বরং আবার মিলিত হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেখে ওকে ঠেলে দূরে সরিয়ে দিতে চাইল সুসু। আমাদের খুব সকালের ফ্লাইট ধরতে হবে। ভুলে গেলে? | ‘ভুলিনি,’ এক টানে ওর ড্রেস খুলে ফেলল জয়। সন্ধ্যায় ফোন করে টিকেট বদলে ফেলেছি। কাল বিকেলে যাচ্ছি আমরা।’। ‘ও!’ বলে চোখ মুদল সুসু। ফাসফেঁসে গলায় জিজ্ঞেস করল, তুমি এত সুন্দর করে চুমো খেতে শিখেছ কোথায়, জয়?’
‘তোমার ভালো লাগে?……….

……‘আর আমি ছাড়া আর কেউ তোমার মধ্যে ঢােকেনি জেনেও আমি খুশি।’ নিজের মুখ দিয়ে সুসুর মুখ চেপে ধরে ওর কথা থামিয়ে দিল জয়, ওকে বুঝিয়ে দিতে লাগল “মধ্যে যেতে” ঠিক কতটা ভালে লাগে তার।…….

আঠারো

…….কিছুক্ষণ ওর ঠোটে ছোট ছোট চুমো দিল জয়, তারপর একটা সুপার-ডুপার জে. কে স্পেশাল দিয়ে শার্টের মধ্যে হাত ভরে জোর এক চাপ দিল ওর বুকে । সুস্ত অস্থির হয়ে জয়ের শার্ট খুলতে শুরু করে দিল। কাঁপা কাঁপা নিঃশ্বাস পড়ছে ওর। ব্রার বন্ধনমুক্ত হয়ে লাফ দিয়ে উঠল সুসুর স্তন, বোটা শক্ত হয়ে উঠেছে । জয়ের মুখ সেদিকে এগিয়ে গেল ।
ধৈর্য হারিয়ে ফেলি ও, সুসুকে পাঁজকোলা করে নিয়ে সৈকতে শুইয়ে দিল। আগে কখনও সৈকতে প্রেম করেনি সুসু, আজই প্রথম। দু’টো দেহ নির্দিষ্ট ছন্দে সামনে-পিছনে করতে লাগল। এক সময় ক্লান্ত হয়ে পরস্পরের বাহুতে নেতিয়ে পড়ল ওরা। স্ট্যালিয়ন, সুসু ফিসফিস করে। বলল, “এই “ফিলি” চিরদিনের জন্যে শুধু তোমার।….
……. বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে আছে ও, ঘুমঘুম লাগছে। জয় ওর ওপরে লম্বা হয়ে শুয়ে চুলের মধ্যে মুখ গুঁজে রেখেছে। ওর হল্টার নেক আগেই খুলে ফেলেছে জয়, এক হাতে ওর স্তনের বোঁটা নাড়াচাড়া করছে। অন্যহাতে ওর নগ্নতা ছুঁয়ে ছুঁয়ে দেখছে। চুমো খাচ্ছে সারা দেহে। একটু একটু করে কামনায় অধীর হয়ে উঠল সুসু। যখন মনে হলো বিস্ফোরিত হতে যাচ্ছে, তখনই ওকে চিত করে শােয়াল জয়।
এক সময় ঝড় থেমে যেতে সুসু তৃপ্তির দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বিড়বিড় করে বলল, তুমি দারুণ এক প্রেমিক, জয়। ইচ্ছে করে সব সময় তোমাকে ভেতরে ভরে রাখি।’…….

…….আগে কখনও হার্ড পর্নো দেখেনি সুসু, তাই শুরু থেকেই “আহ! উহ্!” জাতীয় শব্দ আর দৃশ্যাবলী দেখে ঘন ঘন মুখ লুকাতে লাগল । কিন্তু ততক্ষণে জমে উঠেছে দৃশ্য, পর্দায় উপস্থিতি দু’জন থেকে তিনজন, তিনজন থেকে চারজন, এইভাবে বাড়তে শুরু বাড়ছে। তাদের অবস্থান আর ভঙ্গি দেখে থিয়েটার অন্ধকার হলেও সুসুর লজ্জা করতে লাগল,
অনেকক্ষণ আগেই দেখা বন্ধ করে দিয়েছে ও। কিন্তু জয় বসে নেই, ও তার কাজ করে যাচ্ছে।
ওর চোখে, নাকে, ঠোটে, বুকে একের পর এক চুমো দিয়ে যাচ্ছে সে। পর্নো ছবি দেখা এবং তার সঙ্গে একই কাজ করায় ডবল উৎসাহী মনে হচ্ছে ওকে। সিনেমা হলে প্রেম করেছ কখনও?
‘যদি ধরা পড়ে যাই? ‘ধারেকাছের সবাইকে ঘুষ দিয়ে এসেছি। এদিকে আসবে না কেউ, প্যান্টের চেইন খুলে ফেলল জয়। কাঁপা কাঁপা নিঃশ্বাস ফেলছে।। সুসুও উন্মত্ত হয়ে উঠল এবার। নিজের স্কার্ট-ব্লাউজ ঝটপট খুলে ফেলল ও, একইসঙ্গে ওর প্যান্ট-শার্ট খুলতেও সাহায্য করল। একটু পর ও ভেতরে ঢুকতে উত্তেজনায় প্রায় চেঁচিয়ে উঠল। ভেবে পেল না হাতের কাছে আনন্দ উপভােগ করার এই উপায় থাকতে মানুষ এইসব আজেবাজে ছবি দেখে কেন ।।………

ছাব্বিশ

……..ক্যামেরার সামনে এতগুলো বছর কাটিয়ে, জয়সহ কয়েকজনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলার পরও ওর দেহের আকার-আকৃতি আজও পর্যন্ত অতুলনীয় আছে। কোমরে এক ফোঁটা চর্বি জমতে দেয়নি। …
…নিজের গায়ের টি-শার্টের ওপর চোখ পড়তে মুখে হাসি ফুটল। চোখ বুজতে মনে হলো জয় ওর পিছনে দাঁড়িয়ে আছে, জড়িয়ে ধরে দু’হাতে ওর স্তনের বোঁটা নিয়ে খেলছে। জাগিয়ে তুলছে তাকে। কি খেয়াল হতে হেসে মাথা নাড়ল রাধিকা। অনেকদিন আগের কথা-সেদিন দুপুরের পর নিজেদের স্টুডিওর ব্যক্তিগত সুইটের সামনের কামরায় ব্যস্ত ছিল জয়। সুইভেল চেয়ারে বসে একটার পর একটা ফাইল ওল্টাচ্ছিল। | মাথায় শয়তানী বুদ্ধি চাপতে ভেতরে ঢুকে বারবার ওর গা ঘেঁষে হাঁটতে লাগল রাধিকা। ব্যাপারটা এক সময় অসহ্য হয়ে উঠতে জয় এক হাতে ওর কোমর পেঁচিয়ে ধরল, পরক্ষণে টি-শার্ট এবং ব্রার ওপর দিয়ে ওর এক বোঁটায় এত জোরে কমড় দিয়ে বসল, ব্যথায় চিৎকার করে উঠল রাধিকা। কিন্তু জয় ওকে ছাড়ল না, পাঁজকোলা করে পাশের রুমে নিয়ে নিজের কাটিং কাউচের ওপরে ফেলল রাধিকার পরনে যা যা ছিল, সব টান মেরে ছিড়ে ফেলে সেখানেই মিলিত হলো। ওকে কামড় দেয়ার জবাবে রাধিকাও জয়ের এক কান এমনভাবে কামড়ে দিয়েছিল সেদিন যে, আরেকটু হলে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে আসত।
পরদিন সকালে গড়ার্ডের একটা ছবি দেখে আবার শয়তানী বুদ্ধি চাপল রাধিকার মাথায়। ছবিটার বিশেষ এক দৃশ্যে নায়কের মন ভােলাতে নায়িকা খুব পাতলা কাপড়ের শার্ট পরে ছিল, যার ওপর দিয়ে তার লোম পর্যন্ত স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল। তাই রাধিকাও ব্রা ছাড়া পাতলা একটা টি-শার্ট পরে জয়ের মন ভােলাতে চলে এল। ও যা চাইছিল তাই হলো, জয় একটানে সেটা ছিড়ে ফেলে ওর স্তন নিয়ে খেলা করতে লাগল। | ‘আমার টি-শার্টের ওপর তোমার এত রাগ কেন?’ জয়ের আদর উপভােগ করতে গিয়ে আবেশে ওর চোখ বুজে এল । গত চব্বিশ ঘণ্টায় আমার দু’টো টি-শার্ট ছিড়লে তুমি!’ ।……

Leave a Reply