অনুবাদঃ অনীশ দাস অপু
………দরজার কাছে সােফি দাড়িয়ে। কোম্পানির ইস্তাম্বুল শাখার সেক্রেটারি। স্থানীয় মেয়ে। বয়স পঁচিশের কোঠায়। মুখটা সুন্দর। মেদহীন ধারালাে শরীর। সংক্ষিপ্ত স্কার্ট, উরুর অনেকাংশ অনাবৃত। হাজিব কাফির অনেকবার রিজকে ইঙ্গিত দিয়েছে ইচ্ছে করলে সে সােফিকে ব্যবহার করতে পারে। সােফিও বহুবার সূক্ষ্মভাবে আভাসে জানিয়েছে, চাইলেই রিজ তাকে পেতে পারে। কিন্তু সাড়া দেয়নি রিজ।
‘আমার কয়েকটা চিঠি টাইপ করা বাকি ছিল। আমি যাচ্ছি। অবশ্য আপনার জন্যে কিছু করতে পারলে ধন্য হব।’ বলতে বলতে রিজের ডেস্কের দিকে এগিয়ে এল সােফি। সােফির ব্লাউজের উর্ধ্বাংশের ফাক দিয়ে অনাবৃত স্তনের অনেকখানি দেখা যাচ্ছে। সেন্টের সুঘ্রাণ পেল রিজ। সােফির এই গন্ধ কোনাে কোনাে পুরুষকে পাগল করে তােলে। রিজ ভাবলেশহীন মুখে জানতে চাইল, কাফির কোথায়?
সােফি হতাশ ভঙ্গিতে মাথা নাড়ল। জানি না, স্যার। উনি কয়েক দিনের ছুটি নিয়েছেন। ফর্সা, মসৃণ হাত দিয়ে উরুর কাছের কাপড় সমান করতে করতে কালাে ভেজা চোখ মেলে সােফি পূর্ণদৃষ্টিতে তাকাল। আর কিছু, স্যার?………………….
………..সিমমানেটা যদি হয় মানযুর গড়া নমনীয়, মিষ্টি শরীরের ভাস্কর্য, তবে ডােনাটেলাকে অনায়াসে তুলনা করা যায় রুবেনের যৌন আবেদনময় ভরাট যৌবনের নারীর সঙ্গে। তার মুখশ্রী নিখুঁত, সবুজ চোখ কামনার আগুন জ্বালিয়ে দেয় ইভের শরীরে। পরিচয় হওয়ার এক ঘণ্টার মাথায় ওরা বিছানায় গেল এবং ইভাে, যে সবসময় নিজেকে শ্রেষ্ঠ খেলােয়াড় বলে অহংকার করত, কিন্তু দেখল সে ছাত্র আর ডােনাটেলা তার শিক্ষক। এমন সুখ জীবনে পায়নি ইভাে। ডােনাটেলা তার শরীর দিয়ে ইভভাকে নিয়ে এমন সব কাণ্ড করল যা সে কোনােদিন স্বপ্নেও কল্পনা করেনি। সুখের অনন্ত সাগর যেন ডােনাটেলা। তৃপ্ত ইভাে বিছানায় চোখ বুজে ভাবছিল ডােনাটেলাকে ছেড়ে দিলে সে মস্ত বােকামি করবে।
ডােনাটেলা ইভোের রক্ষিতা হতে রাজি হল একটা শর্তে স্ত্রী ছাড়া অন্য কোননা মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখতে পারবে না। ইভাে আনন্দের সঙ্গে রাজি হয়ে গেল এ প্রস্তাবে। এসব আট বছর আগের ঘটনা। ইভাে তার স্ত্রী কিংবা রক্ষিতার সঙ্গে কখনােই অবিশ্বাসের কাজ করেনি। একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে দুই ক্ষুধার্ত রমণীকে সন্তুষ্ট করা কঠিন হলেও ইভাে এর সম্পূর্ণ বিপরীত। সে সিমােনেটার সঙ্গে প্রেম করার সময় ডােনাটেলার ভরাট শরীরের কথা ভাবে এবং কামনায় উদ্দীপ্ত হয়। আর ডােনাটেলার সঙ্গে মিলিত হওয়ার সময় সে সিমমানেটার উদ্ধত বক্ষ এবং রসালাে অধরের কথা মনে করে বুননা হয়ে ওঠে।……….
……….বুয়েনস আয়ারসের বিখ্যাত রিজ হােটেলের বিলাসবহুল দামি ফ্ল্যাটে শুয়ে আছে হেলেন রােফ এবং তার স্বামী চার্লস। নগ্ন। মাত্র দুঘণ্টা আগে হেলেন বিশ্ববিখ্যাত পি কার রেস-এ জিতে এসেছে। সেই আনন্দে তার মুখ জুলজুলে। তবে এই মুহুর্তে সে তার স্বামীকে শারীরিকভাবে অত্যাচার করে আরাে বেশি আনন্দ পাচ্ছে। চার্লসের শরীরের উপরে উঠে আছে হেলেন। চাপ দিচ্ছে চার্লসের অণ্ডকোষে। যন্ত্রণায় কেঁপে উঠছে চার্লস। ওর চোখ দিয়ে জল বেরিয়ে আসতে দেখে আশ্চর্য উল্লাস অনুভব করল হেলেন। আমাকে শুধু শুধু ও কষ্ট দিচ্ছে: ভাবল চার্লস। তবে সে যে-অপরাধ করেছে এটা হেলেন কখনও জানতে পারলে ওর কপালে কী ভয়ংকর শান্তি আছে ভাবতেই শিউরে উঠল সে।……….
……….নুশাতেল গ্রামের অপরপ্রান্তে ছেলেদের স্কুল। এলিজাবেথের ক্লাসমেটরা সুযােগ পেলেই ছেলেদের সঙ্গে মিলিত হয়। এলিজাবেথের সঙ্গে পরে গল্প করে বলে অমুকের লিঙ্গের সাইজ অমুকের চেয়ে এত ইঞ্চি বড় ইত্যাদি ইত্যাদি। ওর ক্লাসমেটদের উদ্দাম যৌনলীলার গল্প শুনতে শুনতে এলিজাবেথের মনে হয় ও বােধহয় ভুলে কোনাে নিম্ফোম্যানিয়াকদের রাজ্যে এসে পড়েছে যেখানে শুধুই বিকৃত যৌনতার ছড়াছড়ি। এলিজাবেথদের স্কুলের মেয়েদের একটা প্রিয় খেলা লেজ। খেলাটা এরকম—কোনাে মেয়ে পুরাে ন্যাংটো হয়ে বিছানায় শুয়ে পড়ে, তখন আরেকটি মেয়ে এসে তার সুডৌল বুক দিয়ে শুয়ে-থাকা মেয়েটির ঊরুতে ধাক্কা মারতে থাকে। দশ মিনিট যদি কেউ এই খেলা খেলে তবে বিনিময়ে তাকে একটি পেস্ট্রি উপহার দেয়া হয়। দশ মিনিট এভাবে চলার পর মেয়েটির রেতঃপাত হওয়াই স্বাভাবিক, কিন্তু যদি না হয় তাহলে খেলাটা পরবর্তী আরাে দশমিনিট ধরে চলতে থাকে এবং তাকে আরেকটি পেস্ট্রি উপহার দেয়া হয়।
মেয়েদের আরেকটি উত্তেজক খেলা চলে বাথরুমে। এলিজাবেথদের স্কুলের বাথরুমগুলাে বেশ বড়। সবগুলােতেই বাথটাব আর শাওয়ার আছে। ইচ্ছে করলেই শাওয়ার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরানাে যায়। মেয়েরা একটা বাথটাবে বসে শাওয়ার খুলে দেয়। শাওয়ার থেকে ঝরঝর করে পড়তে থাকে গরম জল । ওরা শাওয়ারের মুখটা দুই উরুর মাঝখানে চেপে ধরে আস্তে করে উপরে নিচে ঘষতে থাকে। | এলিজাবেথ এই দুটো খেলার একটাতেও কখনও অংশ নেয়নি। কিন্তু ভেতরে। ভেতরে ও অগ্নিগিরি হয়ে উঠছিল। হঠাৎই একদিন বিস্ফোরণটা ঘটল।………..
………এলিজাবেথ বাথটাবে শুয়ে শুয়েও মিস হ্যারিয়টের কথা চিন্তা করে। তার মুখটা ভেসে ওঠে মনের আয়নায়। মিস হ্যারিয়ট ওর হাতদুটো আস্তে আস্তে চাপছেন, আদর করছেন, এই দৃশ্যটা খুব মনে পড়ে।
শুধু বাথরুমেই নয়, অন্য টিচারদের ক্লাসে বসেও এলিজাবেথের মন চলে যায় মিস হ্যারিয়টের কাছে। মনে পড়ে সেই দিনটির কথা যেদিন মিস ম্যারিয়ট ওকে। জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন, ওর বুক স্পর্শ করেছিলেন। প্রথম প্রথম এলিজাবেথ ভাবত ওর বুকে অসাবধানে মিস হ্যারিয়টের হাতের ছোঁয়া লাগছে, কিন্তু এই ব্যাপারটা প্রতিবার একইভাবে ঘটতে লাগল। মিস হ্যারিয়ট ওর দিকে কেমন দৃষ্টিতে যেন তাকিয়ে থাকেন। যেন এলিজাবেথের কাছ থেকে তিনি কিছু প্রত্যাশা করছেন। এলিজাবেথ মিস হ্যারিয়টের কথা ভাবলেই তার নগ্ন শরীর ভেসে ওঠে চোখে। কল্পনায় দেখতে পায় মিস হ্যারিয়টের সুঠাম নগ্ন পা, নিটোল উদ্ধত দুই বুক। মিস হ্যারিয়ট বিছানায় কেমন হবেন ভাবতেই এলিজাবেথের শরীর গরম হয়ে ওঠে। তারপর একদিন হঠাৎ করেই এলিজাবেথ মিস হ্যারিয়টের প্রতি ওর জৈবিক আকর্ষণের মূল কারণ আবিষ্কার করে ফেলল। আসলে ও সমকামী।……….
………একরাতে ঘুমিয়ে পড়েছিল এলিজাবেথ। হঠাৎ দরজা খােলার শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। মনে হল কেউ ভেতরে ঢুকেছে। চোখ মেলে চাইল এলিজাবেথ। হালকা চাঁদের আলাে রুমের মধ্যে। একটা ছায়া এগিয়ে আসছে ওর দিকে। একদম বিছানার কাছে চলে এসেছে ছায়ামূর্তি। চাদের আলােয় তার মুখটা দেখতে পেল এলিজাবেথ । মিস হ্যারিয়ট! মুহূর্তে হার্টবিট বেড়ে গেল এলিজাবেথের। দমাদম হাতুড়ির বাড়ি পড়তে শুরু করল বুকে। | মিস হ্যারিয়ট ফিসফিস করে ডাকলেন, ‘এলিজাবেথ।’ এলিজাবেথ সাড়া দিল না। মিস হ্যারিয়ট সােজা হয়ে দাঁড়ালেন, ঝুপ করে শরীর থেকে খসে পড়ল নাইট গাউন। ভেতরে কিছু পরা নেই তাঁর। এলিজাবেথের গলা শুকিয়ে এল। এই মুহূর্তটির জন্য সে বহুবার অপেক্ষা করেছে। শেষপর্যন্ত ব্যাপারটা ঘটতে যাচ্ছে ভাবতেই কেমন আতঙ্ক বােধ করল এলিজাবেথ। ওর ভালােবাসার মানুষ ওর সামনে দাঁড়িয়ে। কী করবে, কী বলবে কিছুই ভেবে পাচ্ছে না এলিজাবেথ । | ‘আমার দিকে তাকাও’—খসখসে কণ্ঠে হুকুম করলেন মিস হ্যারিয়ট। এলিজাবেথ তাকাল। ওর চোখ সারাশরীর ঘুরে এল। কল্পনায় এতদিন যে শরীর দেখে এসেছে এলিজাবেথ, তার সঙ্গে সামনে দাঁড়ানাে এই শরীরের কিছুই মিলছে না। মিস হ্যারিয়টের বুক খুবই ছােট। তাও আবার নিচের দিকে ঝুলে পড়েছে। তলপেট উঁচু আর তার নিচের জায়গাটা দেখে মােটেই শিহরিত হতে পারল না এলিজাবেথ। ‘ঘােরাে এলিজাবেথ, আমাকে শুতে দাও।’ ফিসফিসে গলায় নির্দেশ এল।
এলিজাবেথ সরল। মিস হ্যারিয়ট ওর পাশে শুয়ে পড়লেন। কটু একটা গন্ধ এসে ধাক্কা মারল এলিজাবেথের নাকে। মিস হ্যারিয়ট ঘুরলেন এলিজাবেথের দিকে, হাত দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরলেন, “উহ্ চেরি, আমি এই মুহূর্তটির জন্য কতকাল অপেক্ষা করেছি।’ বলে এলিজাবেথের ঠোটে চুমু খেলেন তিনি, জোর করে জিভ ঢুকিয়ে দিলেন ওর মুখে। গােঙানি বেরিয়ে আসতে লাগল তার মুখ থেকে।
……… মিস হ্যারিয়টের খসখসে আঙুল এলিজাবেথের সারা শরীর ঘুরছে, ওর বুক টিপছে, পেট বেয়ে নেমে যাচ্ছে দুই উরুর মাঝখানে। পশুর মতাে নির্দয়ভাবে তিনি সারাক্ষণ এলিজাবেথের কমলাকোয়া অধর চুষেই চললেন।…….তার পরদিনই এলিজাবেথ বাথরুমে ঢুকে একা একা মেয়েদের শাওয়ার নিয়ে খেলাটা খেলল এবং তৃপ্তি পেল।…..
……….এলিজাবেথ কুমারী। কিন্তু কৌমার্য সযত্নে লুকিয়ে রেখে শরীরকে কষ্ট দেয়ার মতাে কুসংস্কারাচ্ছন্ন মেয়ে সে নয়। যৌনসঙ্গমের ব্যাপারটা তার কাছে অস্পষ্ট নয়, কিন্তু স্বাদটা সম্পর্কে সে সম্পূর্ণ অপরিচিত। ওর প্রচণ্ড কৌতূহল রয়েছে ব্যাপারটা সম্পর্কে। জিনিসটা অল্প নাকি মধুর জানতে খুব ইচ্ছে করে। কিন্তু চাইলেই যারতার সঙ্গে সে নিশ্চয়ই বিছানায় যেতে পারে না। এমন কারাে সঙ্গে সে বিছানায় যেতে চায় যে পুরাে ব্যাপারটা তার জন্য উপভােগ্য করে তুলবে। জীবনের প্রথম যৌনঅভিজ্ঞতা সে প্রতিটি রােমকূপ দিয়ে উপভােগ করতে চায়।………
………যেন প্রতিশােধ নেয়ার বাসনাতেই রিজকে দেখিয়ে এক মাতাল রাশিয়ান চিত্রকরকে নিয়ে ও নিজের বেডরুমে ঢুকল।
পুরাে ব্যাপারটাই বিশ্রীরকমভাবে শুরু এবং শেষ হল। এলিজাবেথ এত নার্ভাস ছিল আর রাশিয়ান লোকটা এত মাতাল ছিল যে এলিজাবেথের মনে হল যে ব্যাপারটার আসলে কোনাে শুরু। বিরতি কিংবা শেষ নেই। ভাসিলভ তার প্যান্ট খুলেই ধপাস করে শুয়ে পড়ল বিছানায়। এলিজাবেথের ইচ্ছে হল পালিয়ে যায়, কিন্তু রিজের বিশ্বাসঘাতকতার শাস্তি তাহলে দেয়া হবে না। নগ্ন হল ও, হামাগুড়ি দিয়ে উঠে এল বিছানায়। পরমুহূর্তে ওকে বিন্দুমাত্র প্রস্তুতির সুযােগ না দিয়ে, একটুও আদর না করে ভাসিলভ ওর শরীরের ওপর চড়াও হল। মােটেও মজা পেল না এলিজাবেথ। এক মিনিট পরই প্রবল বেগে ভাসিলভের শরীর নড়তে লাগল, হুমড়ি খেয়ে পড়ল ও এলিজাবেথের বুকের ওপর। নিজেকে বিধ্বস্ত লাগল এলিজাবেথের। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে এই ব্যাপারটা নিয়ে কত সুন্দর সুন্দর গল্প আর কবিতা ও পড়েছে বইতে। তৃপ্তি পাওয়া দূরের কথা, ঘৃণা লাগছে রীতিমতাে। রিজের কথা মনে পড়ল ওর, কাঁদতে ইচ্ছে করল। আস্তে বিছানা ছেড়ে নামল এলিজাবেথ । কাপড় পরল, তারপর বেরিয়ে গেল রুম থেকে।…….
…………
আন্তো এস্তোরিল এলাকার সবচেয়ে কুখ্যাত জায়গাগুলাের মধ্যে একটি রুয়া দেব বােম্বিয়ােস। এই রুয়ার এক চোরাগলির মধ্য ভাড়া-করা ছােট্ট একটি বাড়ির। বেডরুমে আরেকটু পর অভিনীত হতে যাচ্ছে শ্বাসরুদ্ধকর একটি দৃশ্য। ছােট্ট রুমটায় চারজন লােক। এদের মধ্য একজন ক্যামেরাম্যান, বিছানায় শুয়ে থাকা দুজন পুরুষ আর নারী। পুরুষটির বয়স ত্রিশ। সে একজন অভিনেতা আর সােনালিচুলাে আকর্ষণীয় ফিগারের কমবয়েসী মেয়েটি একজন অভিনেত্রী। মেয়েটির গায়ে কিছু নেই। শুধু গলায় একটা লাল রিবন জড়ানাে। লােকটা বেশ শক্তসমর্থ, কুস্তিগিরদের মতাে পেশিবহুল চেহারা, লােমহীন বুক। তার ‘জিনিসটা দুই উরুর মাঝখানে ঝুলে থাকা অবস্থাতেও বিশাল। আর চার নম্বর লােকটি একজন দর্শক। পেছনে, একটা চেয়ারে বসে আছে সে। চওড়া কার্নিশের হ্যাট মাথায় তার চোখে গাঢ় রঙের চশমা।
ক্যামেরাম্যান ঘুরল লােকটির দিকে, জিজ্ঞাসুদৃষ্টিতে তাকাল। মাথা ঝাকাল লােকটি। ক্যামেরাম্যান একটা সুইচ টিপল, চালু হল ক্যামেরা। অভিনেতা এবং অভিনেত্রীকে সে বলল : অলরাইট অ্যাকশন। পুরুষটি ঝকল মেয়েটির দিকে। মেয়েটি পুরুষটির লিঙ্গ মুখে নিয়ে চুষতে লাগল। দেখতে দেখতে ওটা লােহার মতাে শক্ত হয়ে গেল। মেয়েটি মুখ থেকে বের করল ওটা। বিস্মিত হয়ে বলল, মাগাে, কত্তবড় এটা। | ‘ওটা এখন ভেতরে ঢােকাও।’ ক্যামেরাম্যানের নির্দেশ এল। মেয়েটি ঊরু ফাক করল, পুরুষ তার দুই উরুর মাঝে শরীর সংস্থাপন করল। ধাক্কা মারল। ‘আস্তে, হানি, আস্তে, ককিয়ে উঠল মেয়েটি। ভয় নেই, ব্যথা পাবে না।’ হাসল পুরুষ। ‘যা সাইজ তােমার, ভয় না করে পারি। মেয়েটি উরুদুটি আরও মেলে ধরল।
চশমা-পরা লােকটি ঝুঁকে এল সামনের দিকে। নগ্ন নারী-পুরুষটির রমণের প্রতিটি দৃশ্য সে গিলছে গােগ্রাসে। মেয়েটি চিল্কার করে উঠল, ‘খােদা, কী দারুণ লাগছে। হ্যা, হ্যা, এভাবে আস্তে আস্তে করাে।’
লােকটির নিশ্বাস ঘন হয়ে এল।
মেয়েটি অসম্ভব সুন্দরী। এর আগের মেয়েগুলাে ওর তুলনায় কিছুই ছিল না। মেয়েটি এপাশ-ওপাশ মাথা নাড়ছে, গােঙানি বেরিয়ে আসছে মুখ থেকে। নিজ থেকেই কোমর তােলা দিচ্ছে সে। ওহ্ ইয়েস, ইয়েস,’ হিসহিস করছে সে সাপের মতাে, ‘থেমাে না থেমাে না, চালিয়ে যাও।’ পুরুষটির নিতম্ব খামচে ধরল সে দুহাত দিয়ে, টানল নিজের দিকে। পুরুষটির শরীর দ্রুত, ছন্দোবদ্ধভাবে ওঠানামা করছে রমণীর শরীরের ওপর। মেয়েটির নখ বসে গেল পুরুষের পিঠে। ওহ ইয়েস, ইয়েস’, গুঙিয়ে চলেছে সে রীতিমতাে, আমার আসছে, আসছে, এই এল…’। | ক্যামেরাম্যান লােকটির দিকে তাকাল, তার চোখ চশমার আড়ালে ঝিলিক দিল, সম্মতির ভঙ্গিতে মাথা ঝাকাল সে।
নাউ!’ ক্যামেরাম্যান পুরুষটিকে হুকুম করল।……
………
হিন্ডি নার্ভাস।
ছােট একটি অ্যাপার্টমেন্টের বিছানায় নগ্ন হয়ে শুয়ে আছে সে। ঘরের তিন পুরুষকে দেখছে এবং ভাবছে। কিছু একটা ভজকট আছে এখানে। বার্লিন, মিউনিখ এবং হামবুর্গের রাস্তার অভিজ্ঞতা তার অনুভূতিশক্তিকে প্রখর করেছে। আর এ উপলব্ধিক্ষমতার ওপর বিশ্বাস আছে তার। এ লােকগুলাের আচরণ যেন কেমন। এদেরকে বিশ্বাস হচ্ছে না ওর। ঘটনা ঘটার আগেই সে চলে যেত। কিন্তু ওরা। তাকে ইতিমধ্যে পাঁচশাে মার্ক দিয়েছে, ভালাে কাজ দেখাতে পারলে আরও পাঁচশাে দেবে বলেছে। ভালাে কাজ দেখাবে হিল্ডি। সে একজন পেশাদার এবং নিজের কাজ নিয়ে গর্বও করে। পাশে শােয়া, ন্যাংটো পুরুষটার দিকে ফিরল সে। শক্তসমর্থ পেটা শরীর। গায়ে একগােছা লােমও নেই। লােকটার অনেক বয়স। তার চেহারা দেখে অস্বস্তি লাগছে হিন্ডির। তবে তাকে সবচেয়ে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে ঘরের দূরপ্রান্তে চুপচাপ বসে থাকা দর্শকটি। এর পরনে লম্বা কোট, মাথায় বড় হ্যাট, চোখ ঢেকে রেখেছে কালাে চশমায়। দর্শক নারী না পুরুষ বুঝতে পারছে না হিল্ডি। সে ঘাড়ে বাঁধা একটা লাল রিবন হাত দিয়ে স্পর্শ করল। বুঝতে পারল না ওরা তাকে এটা কেন গলায় বাঁধতে বলেছে। ক্যামেরাম্যান বলল, “ঠিক আছে। আমরা এখন প্রস্তুত। অ্যাকশন।
ক্যামেরা ঘরঘর শব্দে চলা শুরু করল। কী করতে হবে বলাই আছে হিন্ডিকে। লােকটা চিৎ হয়ে শুয়ে আছে। হিন্ডি কাজ শুরু করে দিল।
জিভ আর ঠোট ব্যবহার করল সে। লােকটার কান আর ঘাড় চেটে নেমে এল বুকে। তারপর পেট ছুঁয়ে কুঁচকি এবং পুরুষাঙ্গে। এরপর দুই পা, পায়ের আঙুলও চুষল সে। উত্তেজিত হয়ে উঠছে ওর সঙ্গী, দাঁড়িয়ে যাচ্ছে লিঙ্গ। লােকটার পেটের ওপর গড়িয়ে চলে এল হিন্ডি, এখন শুধু জিভ ব্যবহার করছে। কামােত্তেজনা জাগানাের যত উপায় আছে এক এক করে সবগুলাে প্রয়ােগ করল সে। লােকটা এখন পুরােপুরি জেগে উঠেছে। তার পুরুষাঙ্গ পাথরের মতাে শক্ত।
‘ওর ভেতরে ঢােকো, আদেশ করল ক্যামেরাম্যান। লােকটা গড়ান দিয়ে চলে এল হিন্দির গায়ের ওপর। যােনিতে প্রবেশ করাল তার জিনিস। কোমর নাড়াতে শুরু করল । হিল্ডিও একই সঙ্গে সাড়া দিতে লাগল। তার নিতম্ব দ্রুত নড়ছে। ঘরের কোণের দর্শক ঝুঁকে এল সামনের দিকে, রমণরত নারী-পুরুষের প্রতিটি নড়াচড়া লক্ষ্য করছে। বিছানায় শােয়া মেয়েটি চোখ বুজল।
মেয়েটা সব নষ্ট করে ফেলবে! ‘ওকে চোখ খুলতে বলাে’, চেঁচিয়ে উঠল দর্শক। পরিচালকের হুকুম এল, ‘অফনে ডাই অজেন।
বিস্মিত হয়ে চোখ মেলে চাইল হিন্ডি। তার শরীরের ওপর উঠে বসা লােকটাকে দেখল। ভালােই খেলুড়ে। এ-ধরনের মিলন পছন্দ করে হিল্ডি। শক্ত এবং জোরে জোরে। লােকটার কোমর দোলানাের গতি আগের চেয়ে দ্রুত হয়ে উঠল। সাড়া দিল মেয়েটিও। ওর সাধারণত রেতঃপাত হয় না, শুধু বান্ধবীর সঙ্গে মিলনের সময় ছাড়া। খদ্দেরদের সঙ্গে সে রেতঃপাত হওয়ার অভিনয় করে। তবে কাস্টমার কখনােই ফাকিটা ধরতে পারে না। কিন্তু ক্যামেরাম্যান তাকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে রেতঃপাত না হলে সে অতিরিক্ত টাকাটা পাবে না। নিজেকে রিল্যাক্স হতে দিল হিন্ডি, টাকা দিয়ে কী কী কিনবে তা ভাবতে লাগল। টের পেল রেতঃপাতের প্রান্তে এসে পৌঁছেছে সে।
“আসছে!’ গুঙিয়ে উঠল মেয়েটা। আমার আসছে। শরীর থরথর করে কাঁপছে হিল্ডির। “ওহ গড!’শীস্কার করল ও। আমার হয়ে আসছে। এই এই এল, উহ্! মাথা ঝাকাল দর্শক। চেঁচাল ক্যামেরাম্যান। এখন -…….
…………ইভাে কল্পনায় দেখতে পেল ডােনাটেলাকে বিছানায় ধাক্কা মেরে ফেলে ওর ওপর চড়াও হয়েছে। টান মেরে ছিড়ে ফেলেছে পাতলা নাইটি। ওর শরীরের মধ্যে প্রবেশ করেছে ইভে। এত জোরে কোমর দিয়ে ধাক্কা মারছে যন্ত্রণায় ডাক ছেড়ে কাঁদছে ডােনাটেলা। ওকে রেহাই দিতে কাতর অনুরােধ করছে। কিন্তু ইভাে ওকে ছাড়ছে না। ভাবনাটা রক্ত গরম করে তুলল। টের পেল পুরুষাঙ্গ ফুঁসে উঠেছে।………
……….তুমি জাননী এলিজাবেথ স্টক বিক্রি করবে না।’ হেলেন ব্লাউস আর প্যান্টি খুলে ফেলল। সম্পূর্ণ নগ্ন । চমৎকার দেহবল্লরী তার। কামনায় শক্ত হয়ে গেছে স্তনের বোঁটা। তাহলে ওর একটা ব্যবস্থা তােমাকে করতে হবে। নয়তাে কুড়ি বছর জেলের ঘানি টানবে। তবে ভেবাে না। কী করতে হবে আমি বলে দেব তােমাকে। তবে আগে এখানে এসাে, চার্লস।………
…………সােনালি চুলের মেয়েটির বয়স আঠারাের বেশি হবে না কিছুতেই। এত সুন্দরী একটি মেয়ে এমন বিকৃত যৌনতায় মেতে উঠতে পারে, এ ছবি না-দেখলে বিশ্বাস হত না ম্যাক্সের। তার সঙ্গীর গায়ে একগােছাও লােম নেই। ক্যামেরা খুব কাছ থেকে লােকটার প্রকাণ্ড লিঙ্গকে ফোকাস করল। মেয়েটির দুই উরুর ফাকে অদৃশ্য হয়ে গেল ওটা। এবার ক্লোজআপে মেয়েটির মুখ ধরল ক্যামেরা। একে আগে কখনও কোথাও দেখেনি ম্যাক্স হােরনাং। তার চোখ আটকে গেল মেয়েটির গলায় বাঁধা লাল রিবনে। কী যেন মনে পড়তে পড়তেও পড়ছে না। লাল রিবন! এর আগে কোথায় দেখেছে সে? পর্দার মেয়েটির যৌন উত্তেজনা যখন চরমে, চেহারা দেখে মনে হচ্ছে রাগমােচন হতে চলেছে তার, এমন সময় লােকটার দুই হাত চেপে ধরল তার গলা।…….
………রিজ তাহলে এলিজাবেথের বেদনা বুঝতে পারছে। ওর শরীরের স্পর্শ পাচ্ছে। সে নিজের শরীরে। রিজ কি জানে ওকে কীরকম কামনা করছে এলিজাবেথ?
চোখ বুজল ও। শরীর চেপে ধরল রিজের গায়ে। শুধু সংগীতের মূর্ধনা ছাড়া আর ওরা দুজন। রিজের বাহুতে বাঁধা পড়ে সারাজীবন সে এভাবে নাচতে পারবে। এলিজাবেথ টের পেল রিজের পৌরুষ ফুসে উঠেছে। ওর নরম উরুতে ধাক্কা দিচ্ছে। চোখ খুলল এলিজাবেথ। রিজের চোখে এমন দৃষ্টি আগে কখনও দেখেনি ও। কথা বলল রিজ, কর্কশ শােনাল কণ্ঠ, ‘হােটেলে চলাে। | রিজ ওকে জড়িয়ে ধরে লিমুজিনে চড়ল। শরীর যেন পুড়ে যাচ্ছে এলিজাবেথের। আর তর সইছে না। ওকে পাঁজাকোলা করে বেডরুমে ঢুকল রিজ। স্ত হাতে কাপড় খুলতে গিয়ে ভুল হয়ে যাচ্ছে। নগ্ন হল ওরা। জড়িয়ে ধরল পরস্পরকে। একে অপরকে আবিষ্কার করছে ওরা। এলিজাবেথ চুমু খেতে শুরু করল। ওর জিভ রিজের সমস্ত শরীরে আদর বােলাল। এরপর রিজ তার জিভ ব্যবহার করল। ঠোট, গাল, গলা, বুক, পেট, নাভি ছুঁয়ে উষ্ণ, খরখরে জিভ নেমে এল ঊরুসন্ধিতে। দুই পা ফাক করে ধরল। রসে ভিজে চপচপে এলিজাবেথের যােনি। জিভ ঢুকিয়ে সে রসের স্বাদ নিল রিজ। তীব্র সুখে, আনন্দে চিৎকার দিল এলিজাবেথ। এরপর ওর ওপর উঠে এল রিজ। এলিজাবেথ টের পেল লৌহকঠিন একটা মাংসখণ্ড ওর শরীরের ভেতরে ঢুকছে। একদম ভেতরে ঢুকে গেল ওটা। ছন্দোবদ্ধ গতিতে কোমর নাড়াচ্ছে রিজ। নিচ থেকে নিতম্ব তুলে সাড়া দিতে লাগল এলিজাবেথ। প্রথমে আস্তে তারপর দ্রুত হয়ে উঠল গতি। একটা সময় সবকিছু যেন চলে গেল নিয়ন্ত্রণের বাইরে। প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটল অবশেষে। শান্ত হয়ে এল পৃথিবী। এবং স্থির।
পাশাপাশি শুয়ে থাকল ওরা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে রেখে। তৃপ্ত এবং সুখী এলিজাবেথ মনে-মনে বলল : মিসেস রিজ উইলিয়ামস।………