বন্দুকে বিচার – সুমন চৌধুরী

›› পেপারব্যাক  

………….দরজা খুলে ধীরে ধীরে ঢুকলাে লিজি। ওর চোখে মুখে একটু সতর্ক ভাব। পরনে পাতলা নাইট ড্রেস। ঘরে ঢুকে পেছনে আস্তে করে দরজাটা বন্ধ করে দিলো ও। ঘরে শুধুমাত্র একটি টেবিল ল্যাম্প জ্বলছে। তাতে অন্ধকার দূর হয়নি মোটেও। বরং আধাে আলাে আধাে অন্ধকারে ঘরটা কেমন যেন রহস্যময় হয়ে আছে। দু’জনের কেউই তাদের মুখ খুব একটা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে না। তবে টেবিল ল্যাম্পের আলো নিচের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় স্টিফেন লিজির মুখ ছাড়া বাকীটুকু দেখতে পাচ্ছে স্পষ্ট। পা টিপে টিপে এগিয়ে আসছে লিজি। এখন ওর চোখে-মুখে দুষ্টুমী ফুটে উঠেছে। উঠে বসলো স্টিফেন, নির্বিকার চেহারা ওর। লিজির পরনে নাইটির নিচে তার কিছু নেই। ফলে স্বচ্ছ কাপড়ের ফাক দিয়ে ওর দেহের অমূল্য সম্পদ সব ধরা পড়ছে স্টিফেনের চোখে । মুখ থেকে গলায়, গলা থেকে বুকের ওপর দৃষ্টি কতােক্ষণ আটকে রইলাে স্টিফেনেয়। তারপর নেমে কোমরের বাঁকে এসে স্থির হয়ে রইলো। লিজি এসে পড়েছে স্টিফেনের সামনে। কারো মুখে কোনাে কথা নেই। এবার স্টিফেনের পাশে এসে বসলো লিজি। ওর চোখে এখন কামনা মদির চাহনী। কেবল যেন ধরা দেওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ও। বেশ কিছুক্ষণ একে অন্যের দিকে তাকিয়ে রইলাে নির্নিমেষ দৃষ্টিতে। | হঠাৎ ঝাপিয়ে পড়লো লিজি স্টিফেনের বুকে। স্টিফেনের নিষ্ঠুর ঠোট দুটো নেমে এলাে ওর মুখের ওপর তারপর ওদের মুখের সব কথা হারিয়ে গেলাে। স্টিফেনের হাত দুটো লিজির শরীরের কোমল অঙ্গে যত্রতত্র বিচরণ করছে। এক সময় স্টিফেন মুখটা তুললাে। জিজ্ঞেস করলো, মনে কোনাে অপরাধ বোধ নেই তো? ‘না, মােটেও না।

এরপর আর কোনো বাধন রইলাে না। একটানে নাইটীর গলার কাছে রিবনটা খুলে ফেললল লিজি। ঝপ করে পড়ে গেলো ওটা গােল হয়ে কোমরের কাছে। এবার স্টিফেন টান দিয়ে খুলে নিলে নাইটী। লিজি ব্যস্ত হয়ে পড়লাে স্টিফেনের কোমরের বেল্ট নিয়ে। মিশে গেলে দু’টি দেহ এক সঙ্গে। এরপর ঘরে কিছুক্ষণ কেবল উদ্দাম সঙ্গীতের ছন্দ বাজতে লাগলাে; যদিও এ কেবল দেহের অপূর্ব মুছনার সঙ্গীত। অনেকক্ষণ পর, লিজি ও স্টিফেন শুয়ে আছে পাশাপাশি। ওদের মুখে বেশ কিছুক্ষণ কোনাে কথা নেই। শুধু নিঃশ্বাসের তালে তালে লিজির উন্নত দু’টো স্তন ওঠানামা করছে। অনেক ক্ষণ পর লিজি জিজ্ঞেস করলো, আবার দেখা হবে তো স্টিফেন ?…………

Leave a Reply