………বিছানায় ওভাবেই ওরকম গা ভর্তি অলংকার আর কাতান পরেই (দ) হয়ে শুয়ে থাকে নীলা। আর কিষান সেই দ ভেঙে বুকের আঁচল সরিয়ে ব্লাউজের বােতাম পটাপট খুলে নেয়, কাঁচুলি ঠেলে সরাতেই নীলার স্তনজোড়া লাফিয়ে ওঠে। শক্ত আঙুলে সেদ্ধ আলু ডলার মতাে দুরন্ত স্তনদুটোকে ডলে নিস্তেজ করে কিষান। ফোঁস ফোঁস শব্দ ছাড়া আর কোনও শব্দ নেই ঘরে। কিষানের লােমশ শরীরের তলে সে নিসাড় পড়ে থাকে। নিজেকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কি সুখ পাও এ সবে? নিজেকেই উত্তর দেয়, না।……….
…..রাতে ঘুমােবার আগে আর দিনের মতাে মহা উদ্দীপনায় কিষান যখন শাড়ি খুলতে নেয়, নীলা অপ্রসন্ন স্বরে বলে আমার ঘুম পাচ্ছে।
ঠিক আছে ঘুমিয়ে যাও। আমি আমার কাজ করছি। একটুও টের পাবে না কী করছি আমি। নীলা জানে এ কাজটি কিষানেরই। এ কাজে তার নিজের কোনও ভূমিকা নেই। কিষান যখন হাতের তেলােয় স্তন দলছে, নীলা পাশ ফিরে বলে, ঘুমােতে দাও।…….
……নার্স বলে, মাথা হােক, পায়ের আঙুল হােক, কাপড় খুলতেই হবে। এরকমই নিয়ম? এরকমই নিয়ম। শাড়ি ব্লাউজ পেটিকোট খুলে হাসপাতালের সাদা জামাটি পরে নেয় নীলা। নার্স দেখে বলে, জামার তলে কোনও সুতাে থাকলেও চলবে না। ব্রাও খুলতে হবে? ব্রাও। প্যান্টিও ? প্যান্টিও। নীলা খােলে, শােয়, ডাক্তার এসে নাড়ি দেখে, মাথা টেপে, পাঠিয়ে দেয় এক্সরে করতে। এক্সরে করতে গিয়ে মহা বিপদ, পুরাে উলঙ্গ হয়ে এক্সরে টেবিলে শুতে হবে। নীলা জিজ্ঞেস করল মাথার এক্সরে হলে উলঙ্গ হতে হবে কেন? ওরা বলে হতে হবে। বুকের এক্সরেও হবে, বুকের এক্সরে হলেই বা উলঙ্গ হওয়ার দরকার কী?…..
…….এখানে উলঙ্গ হওয়ার প্রস্তাব শুনে নীলা লজ্জায় মাটির সঙ্গে কেবল মিশে যায় না, মাটির তলেও ঢুকে যায় মনে মনে। তার পক্ষে পুরাে ন্যাংটো হয়ে ড্যাং ড্যাং করে স্তন দেখিয়ে নিতম্ব দেখিয়ে নার্স ডাক্তারের সামনে হেঁটে যাওয়া সম্ভব হয় না। ……..
……..দানিয়েলের আঙুল নীলার শরীর থেকে সরে না। দানিয়েলের পা নীলার পা থেকে সরে না। নীলা আবার পাশ ফেরে। ঘুমকণ্ঠে বলে চলাে ঘুমােই। অনেক রাত হয়েছে। তাতে কী, কাল রােববার।। কাল কাজ নেই, সকালে ওঠার তাড়া নেই। তাই দানিয়েলের আঙুল ঘােরে নীলার শরীরে। আঙুল শরীরের অলি গলি ঘুরে উরুর ফাঁকে যায়। নীলা যতই উরু যুক্ত করে, দানিয়েল তা বিযুক্ত করে দেয়।
এবার সে এক লাফে বিছানা থেকে নেমে গিয়ে চেয়ারে বসে। দানিয়েল এ কী করছ তুমি? কেন! তুমি কি চাও না? দানিয়েলের কণ্ঠে বিস্ময়। কী চাই না? সঙ্গম। মানে?………..
……….এমন চুমু নীলাকে কেউ খায়নি কোনওদিন। নীলা জানে না চুমু এরকম গভীর হতে পারে। তার সমস্ত শরীর অবশ মতাে হয়ে আসে, আর অবশ মতাে শরীরটিকে তুলে তুলাে-মেঘের মতাে নরম বিছানায় শুইয়ে দিয়ে একটি একটি করে জামা খুলে ফেলে। কী সুন্দর তুমি, নীলা ও নীলা, ভগবান তােমাকে নিজের হাতে গড়েছেন বলে বলে নীলার সারা শরীরে চুমু খায় বেনােয়া। চুলে কপালে কানে চোখে নাকে ঠোঁটে জিভে গালে চিবুকে গলায় ঘাড়ে পিঠে বুকে বাহুতে হাতে আঙুলে স্তনে পেটে তলপেটে নিতম্বে উরুতে উরুসন্ধিতে হাঁটুতে পায়ে নখে পায়ের পাতায়। নীলার সারা শরীর ভিজে ওঠে চুমুতে। চোখ বুজে থাকে সে। এত সুখ সে তার সাতাশ বছরের জীবনে কখনও পায়নি।
নীলাকে বিছানায় শুইয়ে জামা পান্তলুন টেনে খুলে ছুড়ে দেয় মেঝেয়, যেন একগাদা বাড়তি জিনিস নীলা গায়ে জড়িয়েছিল। এরপর দীর্ঘ গভীর চুমু ঠোটে, ঠোঁটের লাল চুষে খেতে থাকে, যেন কেবল ঠোঁটেই নয়, ঠোঁটের ওই লালেও আছে মধু, ঠোট থেকে ঠোট না সরিয়ে দুহাতে খুলে ফেলে নিজের পরনের যা কিছু, ওগুলােও বাড়তি। নীলা শরমে চোখে বােজে, চাদর টেনে দেয় নিজের শরীরে। সেটিও টেনে সরিয়ে নেয় বেনােয়া। এবার নীলার হাত আড়াআড়ি বুকের ওপর রাখা। হাতদুটোও সরিয়ে বেনােয়া মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে থাকে নীলার শরীরে। থরথর কণ্ঠ কাঁপে, কী সুন্দর তুমি নীলা।…….কী অপূর্ব রং তােমার গায়ের। কী মসৃণ ত্বক। কী চমৎকার রং তােমার চুলের। কী গভীর কালাে। কী সুন্দর তােমার স্তন। কারও এমন সুন্দর স্তন আমি দেখিনি। যেন দুটো কচি বাতাবি লেবু। আমাকে পাগল করে দেবে তুমি। বলতে বলতে নীলার বুকের ওপর ফোঁটা ফোঁটা ওয়াইন ঢেলে সেই ওয়াইন জিভে শুষে নেয়। এতে ওয়াইনের স্বাদ গেছে বেড়ে। সত্যি? সত্যি। ঠিক? ঠিক।
এরপর বাকি ওয়াইন নীলার বুকে পেটে তলপেটে ঢেলে পান করে বেনােয়া, আর নীলা বেনােয়ার সােনালি চুলের ভেতর ডুবিয়ে দেয় আঙুল, চুল থেকে বেনােয়ার কামানাে গালে, কামানাে গাল থেকে লালচে নাকের ডগা, ও থেকে ঠোঁট, ঠোঁট বেয়ে চিবুক, চিবুক থেকে আঙুল উঠে যায় নাক বেয়ে কপালে, কপাল থেকে আঙুলের আদর চোখের ভুরুতে, বােজা চোখের পাতায়..ব্রায়ান এডামসের সঙ্গে বেনােয়া তখন গাইছে—আই মে নট অলওয়েজ | নাে হােয়াটস রাইট, বাট আই নাে আই ওয়ান্ট ইউ হেয়ার টুনাইট, গনা মেক দিজ মােমেন্ট লাস্ট ফর অল ইয়াের লাইফ, ওহ ইয়া দিজ ইজ লাভ, এন ইট রিয়েলি মিন সাে মাচ, আই ক্যান টেল ফ্রম এভরি টাচ… স্তনজোড়ায় প্রথম পালকের মতাে স্পর্শ আঙুলের। এরপর পাখির ঠোঁটের মতাে নাক এসে চুমু খায় দুটোয়, এরপর বেনােয়া জিভের জলে ভিজিয়ে দেয় দুটো, ঘুমিয়ে থাকা কালাে স্তনবৃন্তদুটো অল্প অল্প জাগতে থাকে, সেই জাগতে থাকা পলক না ফেলে দেখে, | ঠোঁট নেমে আসে জেগে ওঠা বৃন্তে, আলতাে করে চুমু খায়, যেন স্তনবৃন্তের ফল। বেনােয়াকে বেনােয়া মনে হয় না তার, যেন এপােলাে, এপােলাে তার আফ্রোদিতিকে ভালবাসছে, গভীর করে ভালবাসছে।
নীলার বুক থেকে পেটে চুমু খেতে খেতে বেনােয়া নীচে নামতে থাকে, লাজুক যৌনাঙ্গে। দু উরু শক্ত করে যুক্ত করে রাখা, দুটোকে দুহাতে বিযুক্ত করতে করতে বেনােয়া বলে, তােমার স্বাদ নিতে দাও নীলা, তােমার স্বাদ নিতে দাও।
কেন? কী বিচ্ছিরি ব্যাপার। তােমার কোমল কালাে লােমগুলাে কী অপূর্ব। তারও নীচে আমি জানি, অমৃত আছে। আমাকে পান করতে দাও। ধীরে ধীরে দু উরু বিযুক্ত করে বেনােয়া। নীলাকে চোখ ঢাকতে হয় লজ্জায়।
যৌনাঙ্গের ঠোঁটজোড়া জিভের জলে ভিজিয়ে দিয়ে বেনােয়া আরও গভীরে আরও জল উপচে পড়া নদীর দিকে যায়, মােমের মৃদু আলােয় বেনােয়াকে ডুবুরির মতাে দেখতে লাগে। সবটুকু জল সে শুষে নিতে থাকে অন্ধ উন্মাদের মতাে, যেন অমৃতসাগর সে খুঁজে পেয়েছে, পুরাে অমৃত পান না করলে তার মৃত্যু হবে, এমনই তৃষ্ণার্ত তার শরীর। | বেনােয়া ফিসফিস করে বলে, চোখ খােলাে নীলা। দেখাে আমাকে। স্পর্শ করাে। চুমু খাও।
নীলা চোখ খুলে আঁতকে ওঠে, প্রকাণ্ড এক শিশ্ন নীলার চোখের সামনে দপদপ করছে, যেন শিশ্ন নয়, বনাগ্নির লেলিহান শিখা। ভয়ে লজ্জায় সে চোখ বােজে। পুরুষঅঙ্গ, জীবনে দুটোই তাকে ছুঁয়েছে, সুশান্তরটির দিকে লজ্জায় সে তাকায়নি, কিষানেরটির দিকে হঠাৎ চোখ পড়েছিল, কড়ে আঙুলের মতাে অথবা নেংটি ইদুরের লেজের মতাে দেখতে। দৈর্ঘ্যে প্রস্থে কিষানের শিশ্ন উইয়ের ঢিবি যদি হয়, বেনােয়ার অঙ্গ হিমালয়। হিমালয়কে শেষ অব্দি স্পর্শ করে নীলা, মুঠো করে ধরেও নখের নাগাল পায় না, হাত থরথর কাঁপে তার। বেনােয়া নীলার ঠোঁটের কাছে লেলিহান শিখাটিকে, বিশাল দৈত্যটিকে আনে, চুমু খেতে।
এমন মড়ার মতাে শুয়ে থাকো কেন? কালও চোখ বুজে মড়া হয়ে ছিলে, চোখ খােললা, দেখাে, অনুভব করাে, আনন্দ করাে। হাতে নাও, মুখে নাও, গালে নাও, বুকে নাও, আমাকে জাগাও, আমাকে বাজাও। এ তাে আমার একার নয়, এ আনন্দ আমাদের দুজনের। | চিত হয়ে মড়ার মতাে শুয়ে থাকাইনীলার অভ্যেস। এ খেলার নিয়মই, সে জানে, এমন। মেয়ে শুয়ে থাকবে চোখ বুজে, আর পুরুষ সেই মৃতপ্রায় শরীরের ওপর চড়ে বসে সুখ নেবে। নিয়ে নেমে যাবে। মেয়ে যদি কিছু পায় তাে পেল, না পেলে না পেল।
বেনােয়া নীলার শরীরের ওপর নিজের শরীর ফেলে না, দু হাতে ভর রেখে শরীরকে তুলে রাখে শরীরের ওপর, কেবল সেই দৈত্যটি তার অথৈ জলের কাছে গােড়ালি ভেজাতে থাকে। নীলা ছটফট করে, তীব্র এক তৃষ্ণা তাকে কামড়াতে থাকে, জল ফুসে উঠলে দৈত্যটি তীরের বালুতে দৌড়ে চলে যায়। জল ফুসতে থাকে, ওকে পেতে। ও যাবে না। একী খেলা, মুখের কাছে টোপ ঝুলিয়ে রেখেছ, খেতে দাও। নীলা চোখ খুলে দেখে বেনােয়া হাসছে। দুহাতে বেনােয়ার পিঠ আঁকড়ে নিজের দিকে টানে সে।
কী চাও, বলল। বেনােয়া ফিসফিস করে। আবছা আলাে এসে পড়েছে অদ্ভুত সুন্দর মুখে। এত গভীর নিকটে এমন সুদর্শন নীলা কখনও দেখেনি আগে। নীলার সারা গা ভালবাসায় কাঁপে। বলাে কী চাও।
লাজে রক্তিম হয় নীলা, সে বলে না সে কী চায়। ডানে কাত করে মাথা, বেনােয়াও ডানে ফেরে, নীলা বামে ঘােরায়, বেনােয়াও বামে।
কী, দেরি সইছে না বুঝি? দেরি সইছে না তার কিন্তু মুখে এ কথা বলতে সে জানে না, শেখেনি, অভ্যেস নেই। ব্রীড়ার চাদর তাকে আমূল ঢেকে রাখে।
বেনােয়া মিষ্টি মিষ্টি হাসে। দুষ্ট দুষ্ট হাসে। হাসতে হাসতে নীলার ছাতি ফেটে যাওয়া তৃষ্ণা দেখে।
হঠাৎ কোনও কিছু জানান না দিয়ে সেই হিমালয় পাড় বিদীর্ণ করে নীলার থইথই জলে ঢুকে যায়, সবটুকু জল এক অতিকায় তিমির মতাে শুষে নেয়। আর্তনাদ করে ওঠে নীলা, ধনুকের মতাে বেঁকে ওঠে মসৃণ শ্যামল শরীর। আর বেনােয়া, সেই এপপালাে, সেই ঝড়ের দেবতা, ভেঙে তছনছ করে সব, বলতে বলতে তুমি তাে কুমারী মেয়ে, কেউ তােমাকে স্পর্শ করেনি এর আগে, কেবল আমি, কেবল আমি! নীলাম • দুটো বুকের ওপর তুলে ঝড় তােলে, পা দুটোয় চুমু খেতে খেতে, তেড়ে আসে উদ্দাম উত্তাল সর্বনাশের মতাে। ঝড়ের গতি দ্রুত বাড়তে থাকে, ভেতরে বাইরে ঝড়ের দেবতা হাসছে। সারা শরীরে তার উথাল পাথাল সুখ, বিদ্যুৎ চমকের তীব্র সুখ।
চিত হয়ে শােয়া নীলাকে ঝটিতে বেনােয়া নিজের কোলের ওপর বসিয়ে দেয়, আর নিজে শ্রান্ত দু হাত দু পাশে ছড়িয়ে শুয়ে পড়ে। ঘােড়ার পিঠে চড়েছ কখনও?
চড়েনি, ঘােড়া দৌড়ােনাের অভ্যেস তার নেই, নিশ্চল বসে থাকে সে। বেনােয়া তাকে দুহাতে ওপরে তােলে, নীচে নামায়। অশ্বচালনা শেখায়। দুর্বার গতিতে তাকে ছুটতে বলে। কানে কানে মন্ত্র দেয় তুখােড় অশ্বারােহী হবার। টেনে আনে নিজের কাছে, দু স্তন মুঠো করে ধরে, আর সেই চেরিফলের নেশায় মাতাল হতে থাকে। বিছানার একপাশ থেকে একের গভীরে ঢুকে থাকা আরেক, গড়িয়ে অন্য পাশে যায়। সেই পাশ থেকে দৃঢ় আলিঙ্গনে বেঁধে পরস্পরকে আরেক পাশে। গড়াতে গড়াতে দুটো শরীর এবার মেঝেয়।
আবার ফিসফিস করে বেনােয়া, নাচতে জানাে ? নীলা নাচতে জানে না। নাচ সে শেখেনি কোনওদিন। নাচো, ঘুরে ঘুরে নাচো, আমার দিকে পেছন ফিরে নাচো।
শরীরটিকে ঘুরিয়ে দিয়ে নাচায় বেনােয়া। এমন নাচ নীলা নাচেনি কখনও, পিঠে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে নীলাকে নাচের তালিম দেয়। এরপর সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিয়ে শুইয়ে দেয় উপুড় করে, সুঠাম সুদর্শন শরীরে ঢেকে দেয় সুশ্রী সুতনু। ঝড় বইছে পেছনের আঙিনায়। আবার তছনছ।
নীলা চিৎকার করে বিদ্যুৎ চমকে। সেই ঝড়াে হাওয়া এতটুকু না থেমে, নীলার কটিদেশ তুলে আনে ওপরে। নিতম্বজোড়া বেনােয়ার হাতের মুঠোয়। হাঁটু ভেঙে বসে নীলার সমুদ্রে উত্তাল ঢেউ আনে আবার। আবা গােড়ালি ভেজাল তাে, আচমকা ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই ঢেউ, পুরাে গা ভিজিয়ে স্নান করে। নীলা হাঁপাতে থাকে। মেঝে থেকে তুলে নীলাকে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে বেনােয়া জল নিয়ে আসে, গেলাসে অর্ধেক খেয়ে বাকিটা নীলাকে দেয় খেতে। জল খেতে খেতে আড়চোখে দেখে সে, লান জিভ বের করে দৈত্যটি তখনও ফুসছে। বেনােয়া পাঁজাকোলা করে নীলাকে সােফায় এনে নিজের কোলে বসায়। সারা শরীরে চুমু খেতে খেতে তাকে চঞ্চল করতে করতে বলে, এত সুন্দর নিতম্বকে স্থবির করে রাখাে কেন, দোলাও, দোলাও আমার জগৎখানা দোলাও।
দোলাতে সে জানে না। দোলাতে বেনােয়াকেই হয়। ঝড়ের বেগ যখন বাড়ে, নীলাবে কোলের ওপর তুলেই বেনােয়া দাঁড়ায়। শরীরটিকে শুন্যে তুলে, দেয়ালে সেঁটে ঝড় বইয়ে দেয় ভেতর ঘরে, আবার। নীলার শীৎকারে চিৎকারে ঘর দোলে। বেনােয়া দোলে। দুলতে দুলতেই, নীলাকে, যেন ছােট্ট শিশু, বাঁ কাতে শুইয়ে দেয় বিছানায়। পেছন থেকে জাপটে রাখে ক্লান্ত শিশুকে, শিশুর বুকের কচি বাতাবিলেবু দুটোকে, তার ওপরের দুটে চেরিফলকে। তারপর নতুন উদ্যমে বেনােয়া, সেই ঝড়, সেই তুফান, সেই তছনছ করে দেওয়া উন্মত্ত উত্তাল উত্তেজনা, প্রবল গতিতে ঢােকে নীলার শান্ত স্নিগ্ধ মন্দিরে, ভেঙে চুরে সর্বনাশ করে ঘেমে নেয়ে বিদ্যুৎচমক আনে, সেই চমক নীলা থেকে বেনােয়ায় সংক্রামিত হয়, বেনােয়া থেকে নীলায়। বেনােয়ার সাদা বেনাে জলে নীলার দুকূল ভেসে যায়, নীলার ভুবন ভেসে যায়।
ঘাম ঝরছে বেনােয়ার চুলের গােড়া থেকে, বুক পিঠ থেকে। তখনও সুখে কাঁপতে থাক নীলার শরীরখানি জড়িয়ে রাখে বেনােয়া, বুকে।……..উলঙ্গ বেনােয়া তার তৃপ্ত ঘুমন্ত শিশ্নখানা নিয়ে হতভম্ব বসে থাকে, নীলা বেরিয়ে যায়।…….
……..নীলা এলােমলাে ঘুরে বেড়ায়, মানুষের ভিড় চারদিকে, মেয়েরা লােম কাটা মসৃণ পা দেখিয়ে হাঁটছে, পেট পিঠ খােলা এমন জামা গায়ে, হাঁটছে আর ওদের স্তন দুলছে, নিতম্ব দুলছে। সারা শীত সালাদপাতা চিবিয়ে চকচকে শরীর বানিয়েছে, যত মেদ ছিল, ঝরিয়েছে, ঝরিয়ে এই গরমে শরীর প্রদর্শন করছে রাস্তাঘাটে বাগানে… গরমকাল এখন, সুখের কাল………..