প্রেমিক প্রেমিকার জন্য – সিগমন্ড ফ্রয়েড

›› অনুবাদ  ›› বই এর অংশ / সংক্ষেপিত  

অনুবাদঃ পৃথ্বীরাজ সেন

……..এবার আমরা মানুষের দেহের স্পর্শকাতর সহজ স্বাভাবিক যৌনাঙ্গগুলি সম্পর্কে কিছু আলােচনা করতে চলেছি। জন্ম থেকেই মানুষের দেহে এমন কতকগুলি অঙ্গ আছে যা সহজেই যৌন উদ্দীপনার প্ররােচক। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য অঙ্গ হল স্ত্রীর এবং পুরুষের জননেন্দ্রিয়। শিশুকাল থেকেই কটি স্ত্রী-শিশু বা পুরুষ-শিশু তার এই ইন্দ্রিয় সম্পর্কে অতিমাত্রায় সচেতন এবং এই সচেতনতা ক্রমে ক্রমে কিশােরকালীন অবস্থার চরম উন্নতির দিকে ধাবমান হয়।……

……..এটি ছাড়া মানুষের পায়ুদ্বার যৌন উন্মাদনার ক্ষেত্রে একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। যদিও অনেকে এই ধরনের মৈথুনকে বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক বলে মনে করেন। কিন্তু আমি একে সহজ স্বাভাবিক যৌনতার এক সাধারণ বহিঃপ্রকাশ হিসাবেই চিহ্নিত করতে চাই।……

…….প্রাপ্তবয়স্কা রমণীর ক্ষেত্রে স্তনবৃন্ত যে ধরনের যৌন অনুভূতির শিহরণ জাগিয়ে তােলে তা বােধহয় দেহের আর অন্য কোনাে অংশে প্রাপ্তব্য নয়। এ ছাড়া বাহু মূলও পুরুষ এবং রমণীর—উভয়ের ক্ষেত্রেই একটি অত্যন্ত যৌন উত্তেজক অঙ্গ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। এইসব সাধারণ যৌন উদ্দীপক অঙ্গ ছাড়াও কোনাে কোনাে মানুষের দেহের যেকোনাে অংশ যেমন, কানের লতি, এমনকী পায়ের পাতা প্রভৃতি সবেতেই যৌন অনুভূতির পরশ লেগে থাকে।……

…..একবার এক পড়ন্ত রােদের শীতার্ত বিকেলে জনৈক অ্যাটর্নি ভদ্রলােক এলেন আমার চেম্বারে। ভদ্রলােক চেহারায় সপ্রতিভ, আচরণে মার্জিত, পােশাক-পরিচ্ছদে ধনী বলে প্রতিপন্ন হলেন। তার বয়স চৌত্রিশ বছর। তিনি জানালেন তার অদ্ভুত মানসিক বৈকল্যের কথা।

গত দু’মাস ধরে তিনি অদ্ভুত ইন্দ্রিয় শৈথিল্য রােগে ভুগছেন। বছর তিনেক হল বিয়ে হয়েছে তার। প্রথম দিকে সঙ্গমকালে স্ত্রীর কাছ থেকে কোনােরকম সাড়া পেতেন না। ভালােবাসার আশ্লেষে অ্যাটর্নি ভদ্রলােক যখন স্ত্রীকে নানাভাবে উত্তেজিত করার চেষ্টা করতেন। স্ত্রী তখন পাথরের মতাে নিষ্ক্রিয় হয়ে স্বামীকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে থাকতেন। এরপর তার স্ত্রী গর্ভবতী হলেন এবং যথাকালে একটি সন্তান প্রসব করলেন। জননীহবার পর থেকে ভদ্রমহিলার আচরণে ঘটে গেল বিরাট পরিবর্তন। মৈথুন লগ্নে তিনি কামােত্তেজিত হয়ে সারা শরীরে স্পন্দন তুলতেন। বিশেষ করে কোমর ও নিতম্ব দোলাতেন।

স্ত্রী-র এই পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অ্যাটর্নি ভদ্রলােক নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়তে লাগলেন।যতই দিন যেতে লাগলাে ততই সঙ্গম ক্রিয়া সম্পাদনে তাঁর অনীহা প্রবল থেকে প্রবলতর হতে থাকে। ধীরে ধীরে তিনি কেমন যেন যৌন-জড়ে পরিণত হয়ে যান। ভদ্রলােককে অনেক প্রশ্ন করার পর জানতে পারলাম যে, যােলাে থেকে আঠাশ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি রাত্রেই তিনি তাঁর অবিবাহিতা মাসির বিছানায় গিয়ে শুতেন। তার মাসিও এব্যাপারে কোনাে আপত্তি করতেন না।

একবার সম্পূর্ণ মদ্যপ অবস্থায় বাড়ি ফিরে তিনি দেখলেন তার অভিভাবকরা দূরে কোনাে জায়গায় বেড়াতে গেছেন এবং বাড়িতে মাসি ছাড়া আর কেউ নেই। রাতের পর রাত ধরে মনের মধ্যে কামনার যে দীপশিখা জ্বলে উঠেছিল আজ একলা থাকার ঝােড়াে রাতে সেই বাসনা-বাতাসের উদ্দাম দাপাদাপিতে সে আগুন ছড়িয়ে গেল সারা দেহে।
চোখের সামনে নিদ্রিতা মাসিকে দেখে তিনি আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারলেন না। লিপ্ত হলেন অবৈধ সঙ্গমে। সেদিন যে সর্বনাশের সূচনা হল তা চলল দীর্ঘ দুটি বছর ধরে।
কিন্তু মনের মধ্যে অপরাধ বােধ দংশন দেওয়াতে ভদ্রলােক এক অদ্ভুত মানসিকতার উর্ণনাভ জালে জড়িয়ে পড়লেন। সঙ্গমকলে তার মাসি সামান্য নড়াচড়া করলে তিনি তৎক্ষণাৎ শিউরে উঠতেন এবং তার পৌরুষ নিস্তেজ ও শিথিল হয়ে পড়তাে। এ প্রসঙ্গে মনে রাখা প্রয়ােজন, অধিকাংশ রাত্রে তিনি নিদ্রিত মাসিকে ধর্ষণ করতেন।

অতীতের ওই অভিজ্ঞতা তাঁকে এক মিশ্র অনুভূতির মধ্যে স্থাপন করেছে। এজন্যে সঙ্গমের সময় তার অবচেতন মন স্ত্রীর মধ্যে মাসির প্রতিচ্ছবি খুঁজে বেড়ায়। এর ফলে স্ত্রীর দেহ সঞ্চালনে বিরক্ত হন তিনি। রুদ্ধ ক্ষোভ আর পাপের ক্রমাগত আক্রমণে অকর্মণ্য হয়ে পড়ে তার কাম এষণা।………

………..শৈশবানুবন্ধ মানুষের চরিত্র ও আচার-ব্যবহারকে কতখানি প্রভাবিত করতে পারে তার আরেকটি উদাহরণ দেওয়া যাক।

একবার আমার কাছে এলেন উচ্চশিক্ষিত এক ভদ্রলােক। যথেষ্ট সামাজিক প্রতিপত্তি আছেতার। মােটামুটি ভালাে উপার্জন করেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী-রসঙ্গেউপগত হবার সময় দেহ ও মনের দিক থেকে কোনাে তাগিদ অনুভব করতেন না। শুধু তাই নয়, উচ্চ বংশজাত সুন্দরী স্ত্রী-র সান্নিধ্যে তৃপ্ত না হয়ে তিনি সময় ও সুযােগ পেলেই তার বাড়ির পৃথুলা পরিচারিকার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন।

এমনিতে ভদ্রলােক যথেষ্ট রুচিবান। তা সত্ত্বেও কী এক দুর্বার আকর্ষণে বার বার প্রলুব্ধ হন ওই পরিচারিকার প্রতি! কিন্তু তিনি যে চরিত্রহীন এমন প্রমাণ আমার কাছে নেই। এমনকী বাড়ির অন্য কোনাে কিশােরী পরিচারিকার প্রতি সামান্যমাত্র অনুরক্ত নন তিনি। তাঁর সমস্ত আকর্ষণ কেন্দ্রীভূত ওই মধ্যবয়সের মােটাসােটা স্ত্রীলােকটির প্রতি।………

…..এবার আমাদের কাহিনীর নায়িকা দুই যমজ বােন—কেটি আর ট্রেসি। রূপ-যৌবনের অহঙ্কারে দুজনেই সমান গরবিনী। বয়স ওদের দাঁড়িয়ে আছে পনেরাে-যােলাের ঘরে। রক্তিম কিশােরী কালেই কেটি শুনেছে উদ্দাম সর্বনাশা যৌবনের ডাক। অসম্ভব উন্নত স্তনদুটিকে নিয়েই ওর সবচেয়ে বড়াে সমস্যা। তাই সব পুরুষের চোখেও যৌন বাসনাজর্জর পুতুল মাত্র। ওর ওই পিনােদ্ধত পয়ােধারার অন্তরালে আছে যে হৃদয়, কেউ তার খবর রাখে না। স্তনভারে টলমল কেটির তুলনায় ট্রেসি অনেক মেদহীন। ওর যৌবনে দীপ্তি আছে, চমক নেই। তাই বুঝি কেউ কেউ আচম্বিতে ছুঁয়ে যায় ওর হৃদয়।

যমজ হলেও দুজনের মধ্যে অমিল অনেক। যদিও ওদের মাথাভরা কোঁকড়া চুলের বন্যায়, উন্নত নাসিকায়, আহঙ্কারিক গ্রীবায় ছড়ানাে আছে সুকোমল নারীত্বের ইতিহাস। | ভদ্রসভ্য পরিবারের এমন দুটি মেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে উঠছিল নিয়মনীতির শৃঙ্খলতায়। শালীনতার আবরণে ঢাকা ছিল ওদের আচরণ।

কিন্তু পুলিশ ওদের উদ্ধার করে শহরের কুখ্যাত গণিকালয় থেকে। তারপর ওদের পাঠানাে হল আমার চেম্বারে। জীবনে অনেক নির্মম সকরুণ ঘটনার মুখখামুখি দাঁড়াতে হয়েছে আমাকে। আমি কখনাে বিচলিত হইনি। আমি জানি, একজন মনােবিজ্ঞানীকে সম্পূর্ণ নির্মোহ মন দিয়ে বিচার করতে হয় সবকিছু। কিন্তু কেটি আর ট্রেসির আত্ম-ইতিহাস আমাকে যথেষ্ট ব্যথা দিয়েছে। দুটি স্ফুটনােম্মুখ ফুলের এই বিষাক্ত পরিণতিতে আমি চিন্তিত হয়েছি।

ওদের নির্ভীক স্বীকারােক্তির মধ্যে লুকিয়ে আছে এক জঘন্য সামাজিক ব্যাধি। চার দেওয়ালের কঠিন প্রাচীরের মধ্যে বেড়ে ওঠা দুটি কিশােরী সদ্যপ্রাপ্ত যৌবন-সরীসৃপের দংশনে বার বার বিচলিত হচ্ছিল। যৌন আকাঙ্ক্ষার পথ পিচ্ছিল হয়ে ওঠায় তারা বিপথে সেই যৌবন-বহ্নিকে প্রশমিত করার চেষ্টা করে।

এই বাসনাজর্জর মুহূর্তে ওদের বিকৃত লালসা মেটাবার জন্য নিকট আত্মীয়েরা সামনে এসে দাঁড়ালাে। নব-যুবকালের উন্মাদ অস্থিরতায় মেয়েটি নিজেদের সম্পূর্ণ নিমজ্জিত করল এক বিকৃত কুৎসিত যৌন অভিসারে। যে সম্পর্ক শ্রদ্ধায় স্নেহে ভরে উঠতে পারতাে তা কলুষিত হল যৌন অভীপ্সায়। | ধীরে ধীরে ওরা হারিয়ে গেল কুৎসিত যৌনতার অন্ধকার বিবরে। তিন মাসের মধ্যে পাল্টে গেল ওদের মন। একবার শরীরের স্বাদ ওরা পেয়েছে, এখন আর কিছুতেই তাদের উপবাসী রাখা সম্ভব নয়। অবশেষে একদিন বাড়ি থেকে উধাও হল ওরা। ভরা যৌবনের তরণীখানি পৌঁছে গেল গণিকালয়ের বন্দরে। শুরু হল রাতের অন্ধকারে শরীরের আশ্চর্য বিকিকিনি! পেশাদার গণিকার মতাে বদলে গেল ওরা। চোখের কোণে বিদ্যুৎ চমক। মৈথুন মুদ্রায় প্রেমের আকুতি আর কামকলার বিচিত্রতায় অনন্যা সুন্দরী এই দুই তরুণী বারবণিতাকে ঘিরে গড়ে উঠলাে মধুচক্র।

আমি বেশ বুঝতে পারলাম যে ওরা ওদের পতনের জন্য মােটেই অনুতপ্তা নয় বরং এমনভাবে প্রতিটি পুরুষ পতঙ্গকে নিঃশেষে পুড়িয়ে ওরা প্রতিশােধ নেবে। | জানি না, সেই সব আত্মীয়-পরিজনেরা কখনাে নিদ্রাহারা মুহূর্তে এই দুই অসহায়। কিশােরীর জন্যে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন কি না!………..

………আদিম সমাজ ব্যবস্থার যে দিকটি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে সেটি হল কুমারী সম্পর্কে তাদের স্বচ্ছ সরল দৃষ্টিভঙ্গী। অনেক প্রাচীন জনগােষ্ঠীর মধ্যে এই ধারণা প্রচলিত ছিল যে, পুরুষেরা তাদের পৌরুষকে দৃঢ় করার জন্যে নির্বিচারে নারী সংসর্গ করতে পারবে। শুধু তাই নয়, ধর্ষিতা রমণী সমাজে বিশেষ শ্রদ্ধার আসনে অধিষ্ঠিতা ছিল। এমনকী রজঃদর্শনের পর শরীর সঙ্গম ছিল একটি অবশ্য পালনীয় পবিত্র কর্তব্য। কিন্তু নানা কারণে সমাজের সেই উদ্দাম বেপরােয়া মূল্যবােধটি হারিয়ে গেছে। অকারণ ধার্মিক নিষেধের বেড়াজালে আমরা আবদ্ধ করেছি কুমারীর মনকে। এর ফলে জন্ম হয়েছে পুঞ্জ পুঞ্জ জটিলতার মেঘ। আজ জন্ম মুহূর্ত থেকে রমণীরা প্রেম-অপ্রেমের বাঘবন্দী খেলায় মেতে ওঠে। তাদের একদিকে আছে অস্পর্শিত, অচুম্বিত, অনাঘ্রাত কোমল ইচ্ছার কোরক; অপরদিকে আছে বিষাক্ত বিকৃত কামনার ছােবল। এর থেকে কি কেউ কোনােদিন মুক্তি দেবে না ওই সব হতভাগ্য রমণীদের?….

……….অস্ট্রেলিয়ার জায়েরি এবং অন্যান্য উপজাতির মধ্যে এরূপ নিয়ম আছে যে ঋতু দর্শনের সঙ্গে সঙ্গে কুমারীদের সতীচ্ছেদ করা হয় এবং অপরিচিত পুরুষেরাই এ কাজের জন্য নির্বাচিত হয় (জার্নাল অফ দ্য রয়্যাল এনথ্রোপােলজিক্যাল ইনস্টিটিউট)। পাের্টল্যান্ড ও গ্লেনেলগ উপজাতির মধ্যে সতীচ্ছেদের ব্যাপারটি সঁপে দেওয়া হয় বৃদ্ধা রমণীর হাতে। অনেক সময় শৈশবকালেই এই ছেদনের ব্যাপারটি ঘটে যায়। অস্ট্রেলিয়ার কোনাে কোনাে স্থানে আনুষ্ঠানিক সঙ্গমের মাধ্যমে এটি ঘটে থাকে। আবার কোনাে কোনাে সময় কৃত্রিমভাবেও এটি ঘটানাে হয়। তখন ছেদনের পরবর্তী পর্যায়ে মৈথুনকে অবশ্যম্ভাবী বলে বিবেচনা করা হয়।……….

…….যেসব আদিবাসীরা বাস করে আফ্রিকার ঘন জঙ্গলে, সেখানকার জামাইদের মধ্যে কুমারীত্ব হরণ হল, প্রাক্-বৈবাহিক জীবনের অবশ্য করণীয় ঘটনা। মালয় দেশের মাকাই, সুমাত্রার বাটাস উপজাতির মধ্যে প্রচলিত আছে অদ্ভুত ধারণা। তারা ছেদনের পবিত্র কর্তব্য স্থাপন করে কন্যার পিতার ওপর। ফিলিপাইনস দ্বীপপুঞ্জে আছে কিছু পেশাদার পুরুষ ছেদকারক, যারা সুকৌশলে নববধূদের কুমারীত্ব হরণ করে। এস্কিমােদের মধ্যে এই দায়িত্ব দেওয়া হয় পুরােহিতদের ওপর। তারা মনে করে এটি হল অত্যন্ত পবিত্র কাজ!
ভারতবর্ষে প্রচলিত আছে এক বিচিত্র প্রথা। কোনাে কোনাে জেলায় নববধূর সতীচ্ছেদ ঘটানাে হয় তার যােনিতে লিঙ্গাকৃতি কাঠের দণ্ড প্রবেশ করিয়ে। এমনকী সেন্ট অগস্টাইনের রচনাতে এই ঘটনার সত্যতা নিরূপিত হয়েছে। এর থেকে অনুমান করা যেতে পারে যে, সে যুগে রােমানদের মধ্যেও এই প্রথার প্রচলন ছিল। এখনও আমরা দেখতে পাই, নববধূ প্রিয়াপাস (Priapus) নামে এক বিশালাকৃতি প্রস্তর-লিঙ্গের ওপর যোনি সংস্থাপন করছে।………

…….কুমারীত্বের কুহক কল্পনা নিয়ে লেখা এক অসাধারণ নাটক হল ‘জুডিথ অ্যান্ড হলাে ফারনেস’। নাট্যকারের নাম হেবেল (Hebbel)। জুডিথ হল এমন এক রমণী যার কুমারীত্বকে রক্ষা করা হয় আশ্চর্য উপায়ে। জুডিথের প্রথম স্বামী বিয়ের রাতে এক রহস্যময় উন্মাদনায় পঙ্গুহয়ে যায় এবং সে কখনাে তার স্ত্রীর অঙ্গ স্পর্শ করার কথা ভাবতে পারে না। যৌবনের মদমত্তে মাতাল জুডিথ ঘােষণা করে—আমার সৌন্দর্য বেলেভােনার মতাে। আমার সঙ্গে সঙ্গম আনে উন্মাদনা এবং মৃত্যুর হাহাকার। অবশেষে আসিরিয়ার সেনাপতি দখল করে সেই শহর। জুডিথ তার লাবণ্যের ছলনায় ভােলাতে চায় সৈনিকের মন। কিন্তু শক্তিশালী পুরুষের কাছেই নতি স্বীকার করতে হয় তাকে। আসিরিয় সেনাধিনায়ক সহজেই তার সতীচ্ছেদ ঘটায়। রাগে অন্ধ জুডিথ সঙ্গীকে হত্যা করতে কুণ্ঠিতা হয় না। আমার মনে হয়, বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্টের সুবিখ্যাত রূপক কাহিনীর দ্বারা হেবেল অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।……..

………যুগে যুগে নানা আদিম জনগােষ্ঠীর মধ্যে যে আশ্চর্য ঘটনাটি ঘটতে দেখা গেছে তা হল, নানা যৌন উপাচার সমৃদ্ধ পূজার্চনা। এর মধ্যে লিঙ্গপূজা ছিল সবথেকে জনপ্রিয় প্রথা। তবে লিঙ্গ পূজার ব্যাপারটিকে আমরা কখনােই বিকৃত কামের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে গ্রহণ করিনি। আমরা দেখেছি, কোনাে কোনাে সময় এক একটি আদিম জাতিগােষ্ঠী বিশেষ একটি অঙ্গের প্রতি অতিমাত্রায় যত্নশীল হয়ে পড়ে। অনেক সময় তা কেন্দ্রীভূত হয় লিঙ্গ অথবা যােনির মতাে যৌনাঙ্গের প্রতি এবং তখনই দেখা দেয় নানা আশ্চর্য ঘটনা। যার সবকটির কারণ আমাদের জানা নেই।……

………লিঙ্গ পূজা শুধুমাত্র যৌনাঙ্গকে কেন্দ্র করে সদাসর্বদা আবির্তত হয় না। অনেক সময় এর সীমানা বিস্তৃত হয় যৌনসঙ্গী অথবা সঙ্গিনীর পরিধেয়, প্রসাধন, নেশা, কিংবা মাদকতা পর্যন্ত। এমনকী দেখা গেছে যে কামনা থরাে থরাে পুরুষের চেখে প্রিয়তমা নারীর ব্যবহৃত অন্তর্বাস লিঙ্গপূজার উপাচার। ………

………বিশিষ্ট যৌন বিজ্ঞানী হ্যাভেলক এলিস আমার এই মত সমর্থন করে আমাকে লেখেন যে শিশুদের কখনােই ধাত্রী বা পরিচারিকার সঙ্গে শুতে দেওয়া উচিত নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শিশুদের মধ্যে হস্তমৈথুনের কুঅভ্যাস সংক্রামিত হয়েছে ধাত্রী বা পরিচারিকার সঙ্গে শোবার দরুণ। অনেক ধাত্রীই বালকদের সঙ্গে শােবার পর তাদের নিজের বুকে টেনে নিয়ে তাদের লিঙ্গে সুড়সুড়ি দেয় ও সেটি যােনির ভেতরে প্রবেশ করিয়ে বালকদের কামক্রীড়ার অনুকরণে অঙ্গ সঞ্চালন করতে বলে কিংবা বালকদের উত্তেজিত ও কৌতূহলী করে তােলার উদ্দেশ্যে তাদের হস্তমৈথুন করে দেয়। প্রায়ই তাদের লিঙ্গের কিংবা তাদের বােনেদের যােনির রন্ধপথটি দেখিয়ে তাতে আঙুল ঢােকানাের বুদ্ধি দেয়। তরুণী ধাত্রীরা যেভাবে বালকদের লিঙ্গের অকাল উত্থান ঘটায় তার ফলে বালকদের অপরিণত নার্ভসমূহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।……..

……….এই প্রসঙ্গে জনৈক অজ্ঞাতপরিচয় পত্রলেখক আমাকে তার শৈশবের যে অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়েছিলেন তা এখানে উদ্ধৃত হল।
“আমার যখন আট বছর বয়স সেই সময় একদিন আমি বাড়ির একটি খালি ঘরের ভেতর পাড়ার একজন মেয়ের সঙ্গে খেলা করছিলাম। মেয়েটি ছিল আমার চাইতে বেশ কিছুটা বড়াে। তার বয়স তখন বারাে কি তােরাে। আমার মা-বাবা সেদিন কোনাে উৎসব উপলক্ষ্যে জনৈক আত্মীয়ের বাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন এবং সদর দরজার দারােয়ান ছাড়া আর কোননা পুরুষ বাড়িতে ছিল না। মেয়েটি খেলতে খেলতে হঠাৎ আমার হাতে একটি কলম ধরিয়ে দিল। তারপর নিজে মাটিতে হামাগুড়ি দিয়ে আমার দিকে পেছন ফিরে চার হাত-পায়ে উবু হয়ে বসল এবং কলমটি তার যােনির মধ্যে প্রবেশ করিয়ে দিতে অনুরােধ করল। আমি প্রথমে তার কথায় রাজি হলাম না। কিন্তু মিষ্টি কথায় আমায় ভুলিয়ে সে আমাকে দিয়ে ওই কাজ ঠিকই করিয়ে নিল। কিছুক্ষণ পর কলমটি বের করে আনলে মেয়েটি হেসে বলল যে ওই কাজের ফলে সে যথেষ্ট সুখ অনুভব করেছিল। তারপর আরাে বহুবার আমি তার সঙ্গে খেলতে খেলতে ওই কাজের পুনরাবৃত্তি করেছি।”……

……..আরাে একজন পত্র লেখকের উদাহরণ এখানে উদ্ধৃত-হল।
“একবার জনৈক বন্ধু আমায় তার শৈশবের একটি ঘটনার কথা ব্যক্ত করেছিলেন। বন্ধুর বয়স যখন দশ সেই সময় যােলাে বছর বয়সী স্থানীয় এক তরুণী তাকে তার জুতাের ফিতে বেঁধে দিতে অনুরােধ করে। তিনি হাঁটু মুড়ে বসে বড়াে বােনের বয়সী সেই তরুণীর জুতাের  ফিতে বাঁধার উপক্রম করতেই তার হাতের আঙুলগুলাে মেয়েটির গােড়ালি স্পর্শ করল।
মেয়েটি হঠাৎ শিউরে উঠে তাকে আরাে ওপরে হাত ওঠাতে বলেছিল এবং যতক্ষণ না তিনি তার যৌনাঙ্গ স্পর্শ করলেন ততক্ষণ পর্যন্ত একনাগাড়ে আরাে ওপরে—আরাে ওপরে, বলে চলে এবং শেষ পর্যন্ত মেয়েটির অনুরােধে তিনি তার যৌনাঙ্গের রন্ধ্রপথে আঙুল ঢুকিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন। অথচ মজার ব্যাপার এই যে, সেই মেয়েটি খুবই শিক্ষিত, মার্জিত,
রুচিসম্পন্ন ও সুন্দরী হবার দরুণ তার অভিভাবকদের কাছ থেকে আদর ও ভালােবাসা পেত।……

………নারীর যৌন লিপ্সা বা কামাবেগ সম্পর্কে আরাে এক অজ্ঞাত পত্রলেখকের বর্ণনা এখানে উদ্ধৃত হল।
ওই পত্র লেখক তার বন্ধুর গ্রামের বাড়িতে কিছুদিনের জন্য স্বাস্থ্যোদ্ধার করতে গিয়েছিলেন। সেখানে ডিনার টেবিলে একদিন গ্রামের গীর্জার পাদ্রীর যুবতী কন্যা নিমন্ত্রিত হয়েছিলেন। মামুলি আলাপ-পরিচয়ের পরে পত্রলেখক খেতে খেতে তার সঙ্গে হালকা গল্পগুজব করেছিলেন। যুবতীর প্রতি তিনি কোনােরকম আকর্ষণ বােধ করেননি। কয়েকদিন পর এক বিকেলে চায়ের টেবিলে মেয়েটিকে তিনি আবার দেখতে পেলেন। এদিন মেয়েটি তার গা ঘেঁষে বসেছিলেন এবং গল্প করার ফাকে বেশ কয়েকবার নিজের হাত তার উরুর ওপর রেখেছিলেন। এরপর একদিন তাকে নির্জনে পেয়ে মেয়েটি কোনােরকম ভনিতা না করেই তার সঙ্গে তাকে সঙ্গমে লিপ্ত হবার আহ্বান জানালেন। কিন্তু মেয়েটি একে অক্ষতযােনি কুমারী, দ্বিতীয়ত, তাঁর সঙ্গে ভদ্রলােকের প্রণয় হয়নি, এইসব কারণে তিনি মেয়েটির প্রস্তাব অগ্রাহ্য করেন।

পর পর কয়েকদিন এমন অনুরােধের পর অবশেষে সেই ভদ্রলােক আর স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি মেয়েটির উন্মত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে তাকে সম্পূর্ণভাবে উপভােগ করলেন। সেই থেকে শুরু হল শরীরের এক বিচিত্র খেলা। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে এই দৈহিক সম্পর্ক বজায় ছিল।………

……..মেয়েদের যৌন আবেগ সম্পর্কে এবার আরেকটি চাঞ্চল্যকর দলিল পেশ করব।
এই পত্ৰলেখিকার নাম অ্যানি ইভান্স। বয়স সাতাশ। থাকেন প্রিসাউথে। চিঠির সঙ্গে পাঠানাে ফটোগ্রাফ দেখে মনে হয় অসাধারণ রূপ-লাবণ্যের অধিকারিণী। তার কাছ থেকে আমি মােট সাতটি চিঠি পেয়েছি। চিঠির পর চিঠি সাজাতে সাজাতে অতি সহজেই উন্মােচিত হয় তাঁর রমণী মনের বিচিত্র আবরণ এবং উদ্ভাস হয়ে ওঠে বাসনাজর্জর একখানি বালিকার মুখ। প্রতীক্ষার অবসান হােক। শুরু হােক অ্যানি ইভান্সের কাহিনি, তারই ক্ষুরধার কলমে।

“মাননীয় সিগমন্ড ফ্রয়েড,
ছেলে আর মেয়েদের যৌনতা নিয়ে গবেষণা করে সারা পৃথিবীতে ঝড় তুলেছেন আপনি। তাই আপনার কাছে অকপটে পেশ করছি আমার জীবনে ঘটে যাওয়া এক চাঞ্চল্যকর ঘটনাকে। আমি চাই আমার নাম-ঠিকানাসমেত এ চিঠি আপনি প্রকাশ করুন ছাপার অক্ষরে। মানুষের মনের যা নিরন্তর চাহিদা তাকে অকারণে হত্যা করলে কষ্টই শুধু বাড়ে। যাক, আর ভনিতা করব না। এবার আসল কথায় আসি।

তেরাে বছর বয়স থেকে আমি আমার চেয়ে দু’বছরের বড়াে দাদার সাথে মিলিত হতে শুরু করি। এমনকী দুরন্ত অভিমান আর দুর্বার যৌনতায় ভরা মারাত্মক সুইট সিক্সটিন কখন যে কেটে গেছে দাদার সাথে মেতে ওঠা মৈথুন খেলায় বুঝতেই পারিনি। দিনের পর দিন একই শয্যায় পাশাপাশি শুয়ে শরীরে শরীর রেখে তাকেই ভেবেছি জীবনের প্রিয় পুরুষ। কখনাে বুঝিনি একদিন ভেঙে যাবে এই তাসের ঘর। অবশেষে হল-ও তাই। ঠিক একুশ বছর বয়সে যার সাথে বিয়ে হল আমার তার নাম ইয়ান। চব্বিশের তাজা টগবগে যুবক। দুরন্ত
তারুণ্যের অধিকারী। মজার কথা হল এই যে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগেও দাদাকে বেঁধেছিলাম বাহুডােরে। এরপরের বার ঘটনা ঘটলাে দ্রুত গতিতে।

ইয়ানের সাথে মিলিত হবার সাথে সাথে মনের মধ্যে শুরু হল, তীব্র অনুশােচনা। মনে হল তাকে আমি ঠকাচ্ছি। অনাঘ্রাত কুসুম ভেবে সে যে ফুলের পাপড়ি ছিড়তে চাইছে তার বুকে পতঙ্গ বসেছে আগেই। দেখতে দেখতে অতিবাহিত হল সাতাশটি দিন। রােজই আমাদের মিলন ঘটত। রাগমােচনও ঘটত মাঝে মধ্যে। শুধু শরীরের নয়, মনেরও মিল স্থাপিত হয়েছিল। তারপর একদিন হঠাৎ আবিষ্কার করলাম, ইয়ান আর আমাদের পরিচারিকা রােজ আলিঙ্গনাবদ্ধ। দুজনের কারাে দেহে এককণাও আবরণ নেই। সেই রাতেই শহরতলীর ট্রেনে চড়ে ফিরে এলাম বাপের বাড়িতে। মাঝের কিছুদিনের অদর্শনে যে আগুন নিভে গিয়েছিল, আবার তা জ্বলে উঠলাে। শুরু হল দীর্ঘস্থায়ী শরীর সঙ্গম।ইয়ানকে বুঝতে দিলাম না যে আমি তার নিভৃত অভিসারের নীরব সাক্ষী।

এরপর জীবন প্রবাহিত হল দুটি ধারায়। সােম থেকে শুক্র পর্যন্ত আমার শারীরিক চাহিদার সামনে এসে দাঁড়ায় স্বামী। তার সমস্ত কামনাকে আমি মিটিয়ে দেবার চেষ্টা করি। শনিবার সকাল থেকেই মনের মধ্যে বেজে ওঠে দুরন্ত দামামা। উইকএন্ডের ছুটি কাটাতে আমি আসি দাদার কাছে। দুটি রাত কেটে যায় পুরােনাে আবেগ আর আশ্লেষে। বছর দুই আগে বিয়ে হয়েছে দাদার। তবু আজও চলেছে এই আশ্চর্য খেলা। আজ আমি তিন সন্তানের জননী। কিন্তু কে তাদের আসল জনক তা নির্ধারণ করা অসম্ভব!

সভ্যতা যখন এতখানি এগিয়ে গেছে তখন আমরা কেন মিথ্যে বাধা নিষেধের গণ্ডি টেনে বন্দি, করি যৌনতাকে? তার চেয়ে সে তার আপন আবেগে নিজের খেয়ালখুশিতে এগিয়ে চলুক। আমার মনে হয়, নৈতিকতার লাল চোখের নিষেধ যেদিন উঠে যাবে সেদিন থেকে সমাজের বুকে ঘটবে না আর কোনাে যৌন অপরাধ। জানেন তাে, নিষিদ্ধ যে কোনাে কিছুর প্রতি আমাদের আকর্ষণ আকাশছোঁয়া! আশা করি, আমার খােলামেলা চিঠিটি আপনি সযত্নে অনুধাবন করবেন।

ইতি, আপনার একান্ত অনুগতা
অ্যানি।”

…………স্বয়ংরতির আর একটি আশ্চর্য দিক আছে।তা হল, সাধারণত স্তনবৃন্ত, বাহুমূল, নাভিমূল, পুরুষাঙ্গ অথবা স্ত্রী-জননাঙ্গের মতাে যৌন স্পর্শকাতর অঙ্গগুলি ছাড়াও দেহের যেকোনাে অংশে এই বােধ কেন্দ্রীভূত হতে পারে। এই প্রসঙ্গে আমার এক রােগীর মন্তব্য তুলে ধরছি

“সে এক বৃষ্টিমুখর সন্ধ্যাবেলা। আমি আর আমার ডার্লিং মারিয়া হােটেলের ঘরে সময় কাটাচ্ছি। বিয়ারের নেশা ধরে গেছে। আমি বার বার মারিয়াকে বলছি নিজেকে অনাবৃত করতে। হঠাৎ আমার চোখ পড়ে গেল কালাে মােজায় আচ্ছাদিত ওর পায়ের ওপর। ..আমি পাগলের মতাে ওর বুড়াে আঙুল ধরে নাড়তে লাগলাম। ধীরে ধীরে মােজা খুলে ওর উন্মুক্ত আঙুল চুষতে শুরু করলাম এবং সেই অবস্থাতেই আমার স্বলন হয়ে গেল।”……..

…….আমার বাড়ির ঠিক উল্টোদিকে থাকেন এই শহরের ডাকসাইটে সুন্দরী। কোনাে দিন তাকে যে এ অবস্থায় দেখব তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি!

রাত্রির মধ্য যামে পৃথিবী বয়ে এনেছে আমার জন্যে কী এক অনাস্বাদিত আনন্দের পসরা! আমি ধীরে ধীরে চোখ মেলে দিলাম আমার বাইনােকুলারের কাচে। দেখি উল্টোদিকের বাড়িতে নেটের পর্দার ফাক দিয়ে চাঁদের অমলিন জ্যোৎস্না ঢুকে ভাসিয়ে দিচ্ছে। সারা বিছানা। আর আমার স্বপ্নের সহচরী সেই মডেলকন্যা ধীরে ধীরে করছেন নিজেকে উন্মােচিতা।

টেবিল ল্যাম্পের হাল্কা আলােয় আভাস তার দেহে। প্রথমে তিনি খুলে ফেললেন তার ওপরের রাত-পােশাক। শুধুমাত্র ব্রেসিয়ার আর প্যান্টিতে সুসজ্জিতা হয়ে আনমনে সিগারেট ধরালেন ঠোটে।

উত্তেজনায় আমার সারা অঙ্গ থর থর করে কাঁপছে। পুরুষাঙ্গ দৃঢ় শক্ত হয়ে উঠেছে। ও কি দেখছি আমি? নিজের চোখকেও বুঝি বিশ্বাস করতে পারছি না। আমার মানসকন্যা ধীরে ধীরে তার দেহের সমস্ত আবরণ উন্মােচন করলেন। আমি দেখতে পাচ্ছি, ওঁর জননঅঙ্গ ঘিরে কুঞ্চিত কেশদাম। ওঁর নির্লোম বাহুমূল। উনি আবেগের আতিশয্যে মদের গেলাস রাখলেন ঠোটে। একটু পরে নিভিয়ে দিলেন টেবিল ল্যাম্পের আলাে।

আমার চোখের সামনে থেকে অদৃশ্য হয়ে গেল স্বপ্নের সেই পরী। আমি বিষন্ন মনে বিছানায় চলে এলাম। শুরু হল আমার আত্মরতির পালা।”……….

Leave a Reply