কুমারী
……..চঞ্চলা তখন নিশ্চিন্ত গভীর নিদ্রায় অভিভূত। বােধ করি গরম বােধ হওয়াতে গায়ের কাপড় খুলে দিয়েছে—মাথার খোঁপাও বালিশের ওপর এলিয়ে পড়েছে। বনলতা একবার কাছে গিয়ে দাড়ালো। মনে হলাে, চঞ্চলা শুধু কালাে নয়—কুৎসিৎ ! চেহারার মধ্যে এতটুকু শ্ৰী কোথাও নেই। সর্বাঙ্গে যৌবনের একটি প্রাচুৰ্য আছে বটে কিন্তু এমনতর যৌবন পথে ঘাটে যে কোনাে নারীর জীবনেও ত একবার করে আসে! যৌবনই ত সব নয়—রূপের যে একটি মহৎ আভিজাত্য আছে! চঞ্চলার দৈহিক প্রাচুর্যের মধ্যে আত্মতৃপ্তির একটি উদ্দাম পাশবিকতা যেন অতি কষ্টে আত্মগােপন করে রয়েছে।……
…….বনলতা আরাে কাছে সরে গেল। আপনার অপরিমিত যৌবনের প্রতিবিম্বকে সে যেন কিছুতেই আর এড়াতে পারছিল না। আপাদমস্তক নগ্নতার প্রতি চেয়ে থাকার বাধাও কিছু নেই। মনে হলাে, সুকোমল পেলব দুখানি বাহুমূলের পাশে দু’টি উন্নত সুগােল বুকের ওপর বড় বড় দু’ ফোটা রক্ত জমে আছে। তার সমস্ত দেহখানি যেন মানুষের একটি শ্রেষ্ঠ মরণ-শয্যা! অধীর উদ্দাম আবেগে সারা ঘরময় পায়চারি করে’ করে আপনার অবারণ দেহখানিকে বনলতা দুই হাতে পীড়ন করতে লাগলাে।………