পঞ্চাশটি গল্প – প্রচেত গুপ্ত

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

আহা! আজি এ বসন্তে

………কৃষ্ণ মৃদু হাসিয়া রাধার হাত ধরিল। গাঢ় স্বরে কহিল, আজ এত সাজ কীসের প্রিয়া?

রাধা অস্ফুট বলিল, ওমা, সাজ কই!

সত্যি রাধা সাজিয়াছে। মথুরা হাট হইতে ফিরিবার পথে দীর্ঘ সময় ধরিয়া রাধা সাজিয়াছে পুষ্প সাজে। পথের ধারে ফুলের সাজি লইয়া বসিয়া ছিল মালিনী। সে রাধার দুই বেণিতে জড়াইয়া দিয়াছে কুকলি। স্বর্ণ অঙ্গে পুষ্পভুষা আর কর্ণে দিয়েছে শিরীষের কঁপন। কণ্ঠে ফুলহার রাখিয়াছে এমনভাবে, যাহাতে সে দুলিতে পারে বক্ষযুগলের মৃদু ছন্দে। নিতম্ব অশােকপুষ্পের কাঞ্চীতে সুন্দর। তবে চরণে ফুলের অলংকার দেয় নাই মালিনী। সেখানে আছে অলক্তরাগের উপর সােনার গুঞ্জরী নূপুর। সুন্দরীর অঙ্গে ফুলের আভরণ শােভা বৃদ্ধি করে ঠিকই; কিন্তু পায়ে গুঞ্জরী নূপুর না থাকিলে প্রতি পদক্ষেপে ঝংকার উঠিবে কেমন করিয়া ? রাধার নিতম্ব, জঘন, পয়ােধর যুগল পত্রপুষ্পে ঝলমল করিতে লাগিল। জীবন্ত কানন যেন! রূপ, সৌরভ আর মন ভােলানাের মায়া লইয়া গুঞ্জরীতে রিনিঝিনিতে আওয়াজ তুলিয়ে হটিতেছে।……….

ধর্ষিতা

……….বহুদিন পর সেই রাতে, রিচি ঘুমিয়ে পড়ার পর, বিদিশা শাড়ি ছেড়ে রেখে স্বামীর কাছে উঠে এল। অনিকেত দ্রুত হাতে তার ব্লাউজ খুলতে খুলতে বলল, তােমার ওই উমা না রমা। শুয়েছে কোথায় ? ‘বসার ঘরে বিছানা করে দিয়েছি।’ বউয়ের ব্রায়ের হুকে হাত দিয়ে অনিকেত বলে, দেখাে, যদি টেকে।’ ‘পিছনে বেশি টিকটিক না করলেই টিকবে। উফ আস্তে খােলাে, খোঁচা লাগছে।’

অনিকেত খানিকটা উঁচু হয়ে বিদিশার পিঠ দেখতে চেষ্টা করে। হুকটা কোথাও গােলমাল করছে। আটকে যাচ্ছে।

‘তােমার মা এসে টিকটিক না করলেই হবে। এবার এইসব কেরানি মার্কা ব্রায়ের হ্যাভিট ত্যাগ করে বিদিশা, রাতে নাইটি পরে শশাবে। চট করে খােলা যায়।’ | নিজেকে অন্তর্বাস থেকে মুক্ত করতে করতে বিদিশা ঠোট টিপে হাসে। বলে, কেরানির কাজ করি, অভ্যেস ছাড়ব কী করে? আর আমার মাকে একাই বা দোষ দিচ্ছ কেন বাপু, | তােমরা বাড়ির লােকই বা কম কী? এই তাে সেদিন রান্নার মাসি বলছিল…।’

বহুদিন পর স্ত্রীর বুকে আদর করতে লাগল অনিকেত। বিদিশা গাঢ় স্বরে বলল, ‘অ্যাই তাড়াতাড়ি করাে, রিচি উঠে পড়বে। ‘পড়লে পড়ুক, এই সুন্দর জিনিস আমি ছাড়ছি না।’ জড়াননা গলায় বলে অনিকেত।

বিদিশা আদর খেতে খেতে ফিসফিসিয়ে বলে, ‘অ্যাই জানে ওই মেয়েটার শরীর এখনও ডেভেলপই করেনি।

‘সে আবার কী! | কী আবার, বুকটুক বােঝাই যায় না। ভাল করে একবেলা খাওয়াই জোটে না, বুক হবে কোথা থেকে? আমার অবশ্য সুবিধেই হল।

ডান পা দিয়ে বউয়ের কোমর জড়াতে জড়াতে অনিকেত বলল, তােমার আবার কী সুবিধে হল?

ভরা বুক, ভারী নিতম্ব, সুডৌল উরু স্বামীর শরীরে পেতে দিতে দিতে বিদিশা বলল, ‘বাঃ, সুবিধা নয়! পুরুষমানুষের কুনজরে পড়বে না।’

অনিকেত বউয়ের কাধে আলতাে কামড় বসিয়ে বলে, ‘তােমার ওপর আমার নজর। কেমন?

স্বামীর গালে নিজের নাক ঘষে বিদিশা বলে, ‘খুব খারাপ, একদম কু।

‘আমি কিন্তু তােমার মতাে এখনই মার্কশিট দিতে পারছি না বিদিশা। ওই মেয়ে সম্পর্কে খোঁজখবর নেব। আমাদের ওয়ার্কশপের কার যেন শ্বশুরবাড়ি ওই লালগােলার দিকে। কার যেন? এখনই মনে করতে পারছি না। মনে পড়লে বলব, বাপু একটু খোজখবর দিয়ে দেখি।

বিদিশা চাপা শীৎকার দিয়ে বলে, তুমি এখন আমার দিকে মন দাও তাে…।’…………..

Leave a Reply