ন হন্যতে হন্যমানে – তুষার সরদার

›› গল্পের অংশ বিশেষ  

…..সোমা সামনে এগোলো। আজ, অন্ততঃ আজ সোমার সম্বন্ধে একটুও বাড়িয়ে বলেনি অরণ্য। বহ্নিগ্রাস তাকে খানিক ছুঁয়ে দিলেও তার শারীরিক গঠনকে একটুও ছুঁতে পারে নি। সুপুষ্ট যুগল স্তনাভাস, নির্মেদ কটিদেশ, গুরুভার শ্রোণী তাকে অনবদ্য সুষমায় পূর্ণ করে রেখেছে। সোমার পিছনে পিছনে যেতে যেতে খুব সুন্দর একটা সুরভি টের পায় অরণ্য। সম্ভবতঃ বিদেশি কোন পারফ্যুম ব্যবহার করে সোমা।….

….‘এখন তার প্রমাণ দিতে পারবেন?”
“অবশ্যই পারবো। এখন কী প্রমাণ দিতে হবে বলো!’
“তাহলে তাহলে, হ্যাভ মি নাউ! ‘
‘সোমা – !!’- প্রচন্ড চমকে ওঠে অরণ্য, – কী বলছো তুমি??’
সোমা তার সুস্থ সবল বাঁহাতটা দিয়ে ততক্ষণে বিভোরের পিঠটা জড়িয়ে ধরেছে। বিভোরের শরীর নিজের শরীরের দিকে টেনে ধরে ফিসফিসিয়ে বললো, – এবার তাহলে প্রমাণ করুন নিজের কথা! নারী হিসেবে পুরুষের কাছে আমি কতটা আকর্ষণীয়!…. আমি হাউসকোটের উপরের ফাঁসটা খুলে দিয়েছি…. ভেতরের বাকি ফাঁসটা আপনি খুলবেন বলে রেখে দিয়েছি…..’
“প্লিজ, সোমা তুমি কী করতে যাচ্ছো – এ কবার ভাবো!’
“আমার সব ভাবাভাবি খানিক আগেই শেষ হয়ে গেছে!’
“সোমা, প্লিজ আমার ছেলে প্রায় তোমারই বয়সী!’
“তাতে কিচ্ছু আসে যায় না, আপনি পুরুষ – আমি নারী। এক নারী স্বেচ্ছায় সাগ্রহে কামনা করেছে এক পুরুষকে…… পুরুষের উচিত সে নারীকে মর্যাদা দেওয়া, তার ইচ্ছাকে মর্যাদা দেওয়া…. হাউসকোটের ফাঁসটা খুলে দিন…. ভালো করে দেখুন …. বেশির ভাগটাই পোড়েনি……
সুন্দর স্বাস্থ্যবতী দীর্ঘাঙ্গী যুবতী সোমা। তার দেহের ভারযুক্ত চাপে নিরাবলম্ব অরণ্য বিছানায় চিৎ হয়ে পড়ে যাচ্ছিল। একহাতের কনুইতে ভর দিয়ে সে নিজের সম্পূর্ণ পড়ে যাওয়াটা কোনমতে ঠেকিয়ে রেখেছে। অন্যহাত দিয়ে সোমাকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে বেশিক্ষণ সোমাকে যে ঠেকানো যাবে না তা সে বুঝতে পারছিল। দেখলে যতটা মনে হয় সোমা তার চেয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী!
“সোমা, শোনো, যে কেউ এখানে এসে পড়তে পারে, সেক্ষেত্রে তোমার সামাজিক সম্মান নিয়ে”
‘এখানে কেউ এসে পড়তে পারেই না। আমি তখন নীচে গিয়ে বাইরের দরজা আর দোতলায় ওঠার দরজা দুটোই ভেতর থেকে বন্ধ করে দিয়েছি।’
সোমার উন্মুখ ঠোঁটজোড়া গ্রাস করতে চাইছে অরণ্যের ঠোঁট। কোনমতে মুখটা বার বার এদিক ওদিক করে নিজেকে তা থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে অরণ্য, – ‘সোমা, প্লিজ, তোমাকে শারীরিক ভাবে আঘাত করতে চাই না,….. প্লিজ আমাকে উঠতে দাও!
“তাই করুন! আমাকে আঘাত করুন! তারপর গলা টিপে শেষ করে দিন! এমন ঘৃণিত বাঁচার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো!’
অরণ্যের ঠোঁট নাগালে না আনতে পেরে সোমা মুখ গুঁজে দিল অরণ্যের গলার খাঁজে। সোমার নরম সিক্ত দুই ঠোঁট তীব্র ভাবে বসে যেতে লাগলো সেখানে। অরণ্য বুঝলো তার সব প্রতিরোধ একেবারে নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে। সে এবার নিতান্ত নিরুপায় হয়ে গেল, –

‘সোমা! প্লিজ, সোমা! তুমি আমাকে যা দিতে চাইছো তা হল শুধুই মাংস! শুধু মাংস নিতে আমার ঘেন্না করে, বমি আসে! আর তুমি কী তবে শুধুই একতাল মাংস…..?……..