অনুবাদ – অনীশ দাস অপু
…….. ‘তুমি ব্যথা পাবে না, খুকি…’ভীতিকর আঁধারে কানের কাছে ফিসফিস করে এ কথাগুলােই বলছিল ওর সৎবাপ।
‘মজা পাবে তুমি। পা দুটো ফাঁক করাে। এসাে, ইউ লিটল বিচ! সে পা-জোড়া দুপাশে ফাঁক করে লৌহ কঠিন পুরুষাঙ্গ ঢুকিয়ে দিয়েছিল ওর শরীরে এবং ব্যথায় যাতে চিৎকার করতে না পারে সেজন্য ক্যাটের মুখ চেপে ধরেছিল হাত দিয়ে। তখন। ক্যাটের বয়স তেরাে। তারপর থেকে সত্তাপ প্রায়ই আসত ওর কাছে। ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মতাে ছিল রাতগুলাে। “তুমি ভাগ্যবতী, কারণ কীভাবে ‘ফাঁক’ করতে হয় তা শেখার জন্য আমার মতাে একজন লােককে পেয়েছ।’ বলত সে ক্যাটকে। ক্যাট নামের অর্থ জানাে? ছােট্ট যােনি। আর এ জিনিসটি আমার চাই।’ বলেই সে চিৎ করে শুইয়ে ফেলত ক্যাটকে, উঠে আসত গায়ের ওপর। কান্নাকাটি কাকুতি-মিনতি কিছুই তাকে বিরত করত না।……
…………হানি জানে তার ক্লাসমেটদের অনেকেই প্রেম করে আর তাদের প্রেমপীরিতি নিয়ে স্কুলে গপ্পোও চলে হরদম।
‘রিকির সঙ্গে কখনও বিছানায় গিয়েছ? ও দারুণ…’ ‘জো চমৎকারভাবে রেতঃপাত ঘটাতে পারে…।’
‘গত রাতে টনির সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলাম। ও আমাকে চুষে-ছিবড়ে কিছু রাখেনি। জানােয়ার একটা! আজ রাতে আবার ওর সঙ্গে বেরুব…’
……..রজার মার্টনের গাড়ির পেছনের আসনে, অপরিসত জায়গায় শুয়ে হানি জীবনের প্রথম যৌন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করল। আর অভিজ্ঞতা ওর জন্য খুলে দিল অবিশ্বাস্য এক নতুন পৃথিবী। অভিজ্ঞতাটি খুব একটা যে উপভােগ করেছে হানি সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রজার খুব মজা পেয়েছে। বলা যায়, রজার এত সুখ পেয়েছে দেখে হানি রীতিমতাে তাজ্জব। পুরুষমানুষকে তাহলে সেক্স দিয়ে এতটা সুখি করা যায়! ভাবছিল হানি।
ওই দিনটি ছিল হানির নতুন করে জন্ম নেয়ার দিন।
সে রাতে বিছানায় শুয়ে রজার মার্টনের কথা ভাবছিল হানি। মনে পড়ছিল রজারের শক্ত পুরুষাঙ্গ ওর শরীরের ভেতরে সজোরে যাতায়াত করছিল আর সুখে গােঙাচ্ছিল রজার। “ওহ্, ইয়েস, ইয়েস…যিশাস, তুমি সত্যি অপূর্ব, স্যালি…’
না, রজার রমণ করার সময় গার্লফ্রেন্ডের নাম ধরে ডাকছিল বলে কিছু মনে করেনি হানি। তার কাছে মুখ্য বিষয় ছিল সে ফুটবল দলের ক্যাপ্টেনকে তৃপ্তি দিতে পেরেছে! স্কুলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছেলে! আর আমি নিজে বুঝতেও পারছিলাম না আসলে কী করছি! ভাবছিল হানি। আমি যদি সত্যি শিখতাম কীভাবে একজন পুরুষকে চরম সুখ দেয়া যায়…….