নগ্ন পুতুল – জ্যাকলিন সুশান

›› অনুবাদ  ›› উপন্যাসের অংশ বিশেষ  ›› পেপারব্যাক  ›› ১৮+  

রূপান্তরঃ ইমরান মাহমুদ

…..আপ্যায়িকা মেয়েটি একটা আটসাট পোশাক পরে এসে ছিল। ওর পাছাটা ও স্তন দুটো দৃষ্টিকটু ভাবে উচু হয়ে ছিল।….

…..বাড়ি ফেরার পথে নিজের চিন্তায় লীন হয়েছিলো অ্যানি। এখন ও সত্যি কথাটা বুঝতে পেরেছে। ও হিমকন্যা। সেই ভয়ানক কথাটা, যা নিয়ে স্কুলের মেয়ের ফিসফাস করতাে। কিছু কিছু মেয়ে হিমকন্যা হয়েই জন্মায় তারা কখনও শৃঙ্গারে পুলকের চরমতম সীমায় পৌছতে পারে না কিংবা সত্যিকারের কোনাে কামনাও অনুভব করে না। ও তাদের মধ্যেই একজন। ঈশ্বর, ও একটা চুমু পর্যন্ত উপভােগ করতে পারে না। একবার ওর বাবার এক বন্ধু এক পাটিতে ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিল। ভদ্রলােকের বলিষ্ঠ বুকের চাপে ওর সদ্য বেড়ে ওঠা বুকদুটো দলিত মথিত হচ্ছিল। কিন্তু অন্য মেয়েদের মতো জিনিসটা সে উপভােগ করতে পারেনি।……

…..পাগলের মতো চারদিক হাতড়ে একটা বড়োসড়ো তােয়ালে পেয়ে গেলো অ্যানি। তােয়ালেটা সর্বাঙ্গে জড়িয়ে ভীরু হাতে স্নানঘরের দরজা খুললো ও। বিছানায় শুয়ে ছিলো লিয়ন, চাদরটা কোমর অব্দি টানা। স্নানঘরের আলাে নেভার জন্যে ঘুরে দাড়ালো অ্যানি।
‘এটা ওমনি থাক,’ লিয়ন বললাে, আমি তােমাকে দেখতে চাই।’
অ্যানি বিছানার কাছে আসতেই ওর হাত দুটো নিজের হাতে তুলে নিলো লিয়ন। তােয়ালেটা খসে পড়লো মেঝের ওপরে।
চাদরটা সরিয়ে লিয়ন ওকে নিজের কাছে টেনে নিলাে। তার আদরে-সােহাগে সবটুকু অস্বস্তি কেটে গেলে অ্যানির। ওর মনে হলাে, নিজের শরীরের ওপরে লিয়নের শরীরের ভার যেন পৃথিবীর সবচেয়ে স্বাভাবিক অনুভূতি।•••তারপর এলো সেই মুহর্ত! •••লিয়নকে খুশি করতে চাইছিলাে অ্যানি। কিন্তু আচমকা এক আকস্মিক যন্ত্রণায় ওর কণ্ঠ থেকে এক টুকরাে আর্তস্বর বেরিয়ে এলাে। সঙ্গে সঙ্গে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে নিলো লিয়ন।
‘অ্যানি… লিয়নের চোখে বিস্ময় ফুটে উঠতে দেখলাে ও।
‘করো, লিয়ন, অ্যানি বললাে, সব ঠিক হয়ে যাবে। নিচু হয়ে ওকে চুমু দিলো লিয়ন, তারপর নিজের মাথার নিচে হাত রেখে শুয়ে রইলো আধাে-অন্ধকারের দিকে তাকিয়ে। ‘বিশ্বাস করে অ্যানি, তুমি এখনও কুমারী আছে জানলে আমি কিছুতেই তােমাকে স্পর্শ করতাম না।’….

…..‘আমার কৌমার্যতে তোমার কি খুব বেশি এসে যায়?’
‘অবশ্যই।
‘দুঃখিত,’ নিজের কানে নিজের কথাটাকেই অবিশ্বাস্য বলে মনে হয় অ্যানির। একটা তােয়ালে জড়িয়ে লিয়নের দিকে তাকায় ও, দয়া করে এখান থেকে যাও, আমি পােশাক পরে নেবাে। আমি কক্ষনো ভাবিনি যে এ ব্যাপারে অনভিজ্ঞতার জন্যে আমাকে কোনােদিন ক্ষমা চাইতে হবে। আমি ভেবেছিলাম, আমি যাকে ভালবাসবাে সে-সে এতে খুশি হবে অ্যাানির কণ্ঠস্বর বুজে আসে, নতুন করে ছুটে আসা অশ্রুবিন্দু লুকোবার জন্যে মুখ ঘুরিয়ে নেয় ও।……..

………সে খুশি হয়েছে,’ দুহাতে ওকে তুলে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দেয় লিয়ন। ফিসফিসিয়ে বলে, আমি চেষ্টা করবো যাতে তােমার ব্যাথা না লাগে। কিন্তু লাগলেই আমাকে বলল,কেমন ?
আমি তােমাকে ভালােবাসি,’ লিয়নের কাধে মাথা গোলে ‘অ্যাানি, ‘আমি তােমাকে খুশি করতে চাই।’…….
…….তবে এবারে তােমার পক্ষে সেটা হয়তাে সহজ হবে না•••প্রথম বারে সেটা নাকি খুব কমই হয়ে থাকে।
তার মানে তুমিও ঠিক মতাে জানাে না। তুমি কোনদিনও কোনাে কুমারী মেয়েকে…
‘না স্মিত হাসিতে স্বীকার করে নেয় লিয়ন, তাহলে বুঝতেই পারছো, আমিও এ ব্যাপারে তােমার মতােই অনভিজ্ঞ।’
‘ভালােবাসা দাও, লিয়ন•••তুমি আমার হয়ে যাও ••• আমি আর কিছুটি চাইবাে না,’ লিয়নকে শক্ত করে জড়িয়ে থাকে ও। •••দাতে দাত চেপে সহ্য করে প্রথম সঙ্গমের সবটুকু যন্ত্রণা। তারপর এক সময় লিয়নের শরীরটা শক্ত হয়ে উঠতেই সবিস্ময়ে অনুভব করে, নিজেকে ওর শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়েছে লিয়ন•••তার মানে কামনার চরমক্ষণটিতেও ওকে নিরাপদ রাখার কথা চিন্তা করেছে মানুষটা। সমস্ত পিঠটা ঘামে ভিজে উঠেছে ওর। সেই মুহুর্তে অ্যানি বুঝতে পারে, ভালােবাসার মানুষকে খুশি করতে পারাই জীবনের সব চাইতে পরম পাওয়া। নিজেকে পৃথিবীর সব চাইতে ক্ষমতাময়ী নারী বলে মনে হয় ওর।….

……….প্রথম রাত্রে মারিয়ার প্রস্তাবে চমকে উঠেছিলো জেনিফার। কিন্তু মারিয়া ওকে যুক্তি দিয়ে বােঝালাে, এতে কোনো অস্বাভাবিকত্ব নেই। তারপর আবরণ মুক্ত হয়ে দর্পিত ভঙ্গমায় দাড়ালে ওর সামনে। সুন্দর গড়ন মারিয়ার। কিন্তু ওর নিজের পড়ন ততােধিক সুন্দর কােনে এক গোপন পুলক অনুভব করলে জেনিফার। লাজুক হাতে নিজের পােশাক খুলে ফেললাে ও। যতোটা কল্পনা করেছিলাম, তুমি তার চাইতে আরও বেশী সুন্দর,’ নরম গলায় বললাে মারিয়া। তারপর গভীর অশ্লষে ওর অবারিত স্তনে নিজের গাল ছুইয়ে বললাে, “দেখো, আমি তােমার সৌন্দর্যকে ভালােবাসি…শ্রদ্ধা করি। কিন্তু একটা পুরুষ মানুষ হলে এতােক্ষণে এসব ছিড়েখড়ে ফেলতো।’ জেনিফারের সর্ব” সােহাগী হাত বুলিয়ে দেয় মারিয়া, অবাক হয়ে জেনিফার অনুভব করে, নিবিড় পুলকে ওর সমস্ত শরীর কেঁপে কেঁপে উঠতে শুরু করেছে। এইভাবে প্রতিরাতে একটু একটু করে এগিয়েছে মারিয়া।….

……..টনি যখন এসে পৌছলাে, তখন জেনিফারের পরনে শুধু এটা ঢিলে গাউন। এই •••শীগগিরি পােশাক পরে নাও। সাড়ে বারােটায় শো শুরু টনির কাছে এগিয়ে এলাে ও। আলতো গলায় বললো, আগে আমাকে জড়িয়ে ধরো। আলিঙ্গন থেকে নিজেকে মুক্ত করে, জেনিফারের গাউনের বােতাম খুজতে থাকে টনি, ‘ওহ, তুমি এমন বােতাম লাগানাে পােশাক পরে কেন, বলো তাে?’ একটানে ওর গাউনটা কোমর অব্দি নামিয়ে আনে সে।

‘জেন, এমন দুধ কারুর থাকা উচিত নয়, আলতো হাতে জেনিফারের স্তন স্পর্শ করে টনী। জেনিফার মৃদু হাসে, ওরা তােমার টনি। হাটু মুড়ে বসে ওর স্তনের গভীরে মুখ গোজে টনি, ‘ওহ, ঈশ্বর, আমার কিছুতেই বিশ্বাস হয় না। যতােবার ওদের ছুই, কিছুতেই যেন বিশ্বাস করতে পারি না।’

টনির মুখ লােভাতুর হয়ে ওঠে। আলতাে হাতে টনির মাথাটা জড়িয়ে রাখে জেনিফার, ‘টনি, চলাে আমরা বিয়ে করি। “নিশ্চয়ই…নিশ্চয়ই করব, সােনা…’ বাকি বােতামগুলাে হাতড়াতে থাকে সে। মেঝেতে লুটিয়ে পড়ে অনাদৃত পাত্রবাস। খানিকটা পেছিয়ে যায় জেনিফার। হাটতে ভর দিয়ে ওর দিকে এগিয়ে আসে টনি। জেনিফার পেছিয়ে যায় আবার। ‘টনি,’ নিজের শরীরে মৃদু আঘাত করে ও, এ সব কিছুই আমার ••• তােমার নয়।•••কিন্তু আমরা তোমাকে চাই।’ তােমার পােশাক খুলে ফ্যালাে।’ এক টানে সব কটা বােতাম ছিড়ে জামাটা খুলে ফেলে টনি। তারপর নগ্ন হয়ে দাড়ায় ওর সামনে। “তােমার শরীরটা সুন্দর, টনি। কিন্তু আমারটাও সুন্দর।’ মৃদু হেসে নিজের স্তনে হাত বােলায় ও যেন নিজের স্পশে নিজেই রােমাঞ্চিত হয়ে উঠছে। টনির শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুততর হয়ে ওঠে। ছুটে যায় জেনিফারের দিকে। কিন্তু ফের সরে যায় ও, তুমি দেখতে পারো কিন্তু ছুতে পারবে না। অন্তত যতােক্ষণ ওরা তােমার না হচ্ছে।’ ‘কিন্তু ওরা তাে আমার।’ টনির কণ্ঠস্বর প্রায় গর্জন হয়ে ওঠে। ‘না, বিয়ে না করা অব্দি তোমার নয়।’ ‘আমি তােমাকে বিয়ে করবাে।’ কবে করবে, টানি? জেনিফারের হাত নিজের স্তন দুটোকে নিয়ে ইচ্ছে মতন খেলা করে,তারপর হাতটা নিজের পায়ের দিকে নেমে আসে একটু একটু করে। পরে আমরা ওই নিয়ে কথা বলবাে কিন্তু তার আগে ••• এবারে নিজেকে ধরা দেয় জেনিফার। টনি নিজের মুঠোয় আকড়ে ধরে ওর স্তন দুটোকে ক্রমশ তার হাত দুটো ওর উরুসন্ধির দিকে নেমে আসে। পরক্ষণেই নিজেকে মুক্ত করে নেয় জেনিফার। জেন। টনি হাফাতে থাকে, আমাকে কি করতে চাইছো তুমি ? মেরে ফেলতে ? ‘বিয়ে করতে। নয়তাে এই শেষবার তুমি আমাকে স্পর্শ করলে।” ‘করবাে••• করবে…’ ‘এখুনি, আজ রাতেই।’……

……..‘হ্যালাে, অ্যাানি। এই মাত্র তােমার নামে একটা তার এসেছে। আচ্ছা•••এক সেকেণ্ড…’ তারবার্তাটা খুললাে জেনিফার। টনি ওকে বিছানায় ঠেলে দিচ্ছে। এক হাতে তারবার্তা, অন্য হাতে রিসিভারটা ধরে নিঃশব্দে টনিকে সরিয়ে দেবার চেষ্টা করে জেনিফার। রিসিভারের মুখে হাত চাপা দিয়ে বলে, ‘না, টনি। এখন না। না।’…ওর শরীরে টনির শরীরের ভার। তারবার্তাটার দিকে তাকালো জেনিফার। টনির মুখ ওর স্তনদুটোকে খুজে পেয়েছে। ও ঈশ্বর। অ্যানি..হ্যা, আমি বলছি। •••অ্যানি হে ঈশ্বর, তােমার মা মারা গেছেন, অ্যানি। জেনিফার অনুভব করলো, টনি নিদয় ভাবে ওর শরীরের গভীরে প্রবেশ করেছে। হ, অ্যানি। না, আর কোনো খবর নেই। আমি ভীষণ দুঃখিত। রিসিভারটা রেখে দিলাে জেনিফার। টনি ওর শরীরে শরীর বিছিয়ে, নিঃশেষিত হবার নিবিড় তৃপ্তিতে হাফাচ্ছে।’
‘এটা ঠিক হলো না, টনি। তুমি পরিস্থিতিটার সুবিধে নিলে। ‘তুমিই তাে সুবিধে নিয়ে জন্মেছে, সােনা•••’ মৃদু হেসে ওর স্তন দুটো একটু দুলিয়ে দিলাে টনি, ‘একজোড়া সুবিধে। ‘আমরা বরং পােশাক পরে নিই। অ্যানি আসছে।…..

……….একসঙ্গে এতােটা ওজন কমানাের জন্যে ওর সৌন্দর্যের বেশ খানিকটা ঘাটতি হয়ে গেছে ।•••আচমকা ক্লদ বললাে, ‘পোশাক খােলো—’ অবাক হয়ে তাকালো জেনিফার, আমাদের মধ্যে সে সমস্ত তো বেশ কয়েক বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে, ক্ল’দ।’

“তােমাকে নিয়ে ধ্যামসানাের কোনাে ইচ্ছেই আমার নেই, ক্ল’দের কণ্ঠস্বরে স্পষ্টই বিরক্তির প্রকাশ। আমি দেখতে চাই, ওজন কমানাের জন্যে তােমার শরীরের কোনাে ক্ষতি হয়েছে কি না।

“কিছুই হয়নি, পােশাক খুলে দাড়ালো জেনিফার। আর হলেই বা ক্ষতি কিসের ? অ্যামেরিকার ছবিতে আমি তাে নগ্ন ভূমিকায় নামতে যাচ্ছি না।’

খুটিয়ে খুটিয়ে ওর স্তনদুটিকে দেখলো ক্লদ, এ দুটো যাতে এমনি আটসাট থাকে, আমি সে জন্যে তােমাকে একপ্রস্থ হরমোন ইনজেকশন দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছি। মুখের কাটাকুটি সেরে গেলেই ওগুলো দেওয়া হবে।’……

……জেনিফারের চুলে হাত বুলিয়ে দেন উইনস্টন, জেনিফারের ঘাড়ে চুমু দেন, সােহাগী হাত বুলিয়ে দেন ওর স্তন দুটিতে, আঙুলে ব্যাণ্ডেজের ছোয়া লাগতেই থমকে যান উইনস্টন……….

Leave a Reply